Wednesday, February 29, 2012

সেন্টমার্টিনে ভয়ংকর সমুদ্রযাত্রা by তোফায়েল আহমদ

দফায় দফায় জাহাজ বিকল হয়ে যাচ্ছে। ফলে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণকারী পর্যটকরা।
গত এক সপ্তাহেই টেকনাফের সঙ্গে সেন্টমার্টিন দ্বীপে চলাচলকারী এমভি সোনারগাঁও জাহাজটি দুই দফায় বিকল হয়ে পড়ে।


সেই বিকল জাহাজটি বর্তমানে নাফ নদের টেকনাফ জেটিতে নোঙর করা রয়েছে। গত রবিবার পর্যন্ত এটি সচল করা যায়নি। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের (বিআইডাবি্লউটিসি) মালিকানাধীন এমভি সোনারগাঁও এবং এসটি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত নামক অন্য একটি জাহাজ এ রুটে চলাচল করছে 'সমুদ্রে চলাচল অনুমোদনপত্র' (ভয়েজ লাইসেন্স) ছাড়াই। বর্তমানে জাহাজ দুটির চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন দ্বীপে ছয়টি পর্যটক যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল করছে। জাহাজগুলো হচ্ছে কেয়ারি সিন্দবাদ ও কেয়ারি ক্রুজ, এমভি ঈগল, এলসিটি কুতুবদিয়া, এমভি সোনারগাঁও এবং এসটি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত। গত ১৫ নভেম্বর থেকে জাহাজগুলো এ রুটে চলাচল শুরু করে। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত জাহাজগুলোর চলাচলে কর্তৃপক্ষীয় অনুমতি রয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম নাজিম উদ্দিন জানান, ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় সাধারণত সাগর শান্ত থাকে। পর্যটন মওসুমের এ সময়ে অন্তত দুই থেকে আড়াই লাখ পর্যটক দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে এসে থাকেন।
অভিযোগ উঠেছে, জাহাজগুলোর চলাচলে একে তো সময় ঠিক থাকে না, তদুপরি যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় অতিরিক্ত ভাড়া। নাফ নদের টেকনাফে জেটি সমস্যার কারণেও যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। নড়বড়ে জেটিতে ঝুঁকির মধ্যে জাহাজে ওঠানামা করতে হয় যাত্রীদের। গত ২০ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে এ রকম একটি জেটি ভেঙে আহত হয়েছিলেন অর্ধ শতাধিক পর্যটক। জেটি ভেঙে আহত পর্যটকদের শেষ পর্যন্ত দ্বীপ সফরে যাওয়া আর হয়নি। জাহাজগুলোর ধারণ ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জাহাজের স্থানীয় পরিচালকদের পক্ষে এ ব্যাপারে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি বিআইডাবি্লউটিসি কর্তৃক স্ক্র্যাপ ঘোষিত জাহাজও এ রুটে চলাচল করছে। কক্সবাজারের ট্যুর অপারেটর মাহবুবুর রহমান জানান, টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে চলাচলকারী জাহাজগুলোর এ রকম কর্মকাণ্ডের কারণে দ্বীপ ভ্রমণকারীদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণকারী যাত্রীদের সবচেয়ে বড় ভোগান্তি জাহাজ বিকল হয়ে পড়ার কারণে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রায় দেড় হাজার পর্যটক নিয়ে এমভি সোনারগাঁও জাহাজটি সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফেরার পথে নাফ নদের মোহনায় বিকল হয়ে পড়ে। মাত্র ৮৫০ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজটি দেড় হাজার যাত্রী নিয়ে পুরো এক রাতসহ ১৫ ঘণ্টা সাগরে আটকে পড়ার পর টেকনাফে ফিরে আসে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত করে নিশ্চিত হন, এমভি সোনারগাঁও এবং এসটি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত নামের জাহাজ দুটি চালানো হচ্ছিল সমুদ্রে চলাচল অনুমোদনপত্র ছাড়াই। এ কারণে সেদিনই জাহাজ দুটির চলাচল নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।
জাহাজটির স্থানীয় পরিচালক মেসার্স বে অব বেঙ্গল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তোফায়েল আহমদ জানান, এটি জার্মানির তৈরি একটি বিলাসবহুল জাহাজ। এত সহজে জাহাজটি বিকল হওয়ার কথা নয়। ব্যবসায়িক অসাধু প্রতিযোগিতাসহ নানাভাবে জাহাজটির সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্যই এ রকম 'বিকল করে দেওয়ার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।'

Monday, February 27, 2012

কক্সবাজার পৌরসভায় ১৫ প্রকল্পের গম নিয়ে নয়-ছয়

কক্সবাজার পৌরসভার গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের (টিআর) আওতায় ১৫টি প্রকল্পের ৩০.৫৪৯ মেট্রিক টন গম নিয়ে চলছে হরিলুট। জানুয়ারি মাসে এসব গম ময়দার মিল মালিকের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এসব গম ১৫ দিন আগে তুলে নেওয়া হলেও প্রকল্পগুলোতে কোনো কাজ হয়নি।


জানা গেছে, আবুজর আল গিফারী কেজি স্কুলের রং করা ও কক্ষ মেরামতে দুই মেট্রিক টন, কেন্দ্রীয় মহা শ্মশানের পুকুর ঘাট নির্মাণে ১.৫০ মেট্রিক টন, বড় বাজার জামে মসজিদের সংস্কার কাজে ১.৫০ মেট্রিক টন, টেকপাড়া ব্যাডমিন্টন ক্লাব মাঠ সংস্কারে ১ মেট্রিক টন, বার্মিজ মার্কেট এনবিসি মাঠ সংস্কার ও ক্রীড়া সরঞ্জাম ক্রয় বাবদ ১ মেট্রিক টন, হাঙ্গরপাড়া ব্যাডমিন্টন মাঠ সংস্কার ও ক্রীড়া সরঞ্জাম ক্রয় ১ মেট্রিক টন, বাচা মিয়ার ঘোনায় টিউবওয়েল স্থাপন খাতে ৩ মেট্রিক টন, ঘোনারপাড়ায় কৃষ্ণনান্দধামের পাশে গাইড ওয়াল নির্মাণে ৩.৫৪৯ মেট্রিক টন, বাহারছড়া জামে মসজিদের অজুখানা সংস্কার ৩ মেট্রিক টন, দক্ষিণ বাহারছড়া বায়তুশ সালাত মসজিদ সংস্কার ৩ মেট্রিক টন, লাইট হাউস ফাতেরঘোনা জামে মসজিদের সংস্কার ৩ মেট্রিক টন, পৌর কর্মচারী ইউনিয়ন কার্যালয়ের আসবাবপত্র ক্রয় ২ মেট্রিক টন, ফল্লইন্যাকাটা সোনাবিবির বাড়ি হতে নাগুর বাড়ি পর্যন্ত ড্রেন ও স্ল্যাব নির্মাণে ২ মেট্রিক টন, এসএম পাড়া পশ্চিম মসজিদের মক্তব সংস্কারে ১ মেট্রিক টন ও পেশকারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ক্রয় বাবদ ২ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত ৩০ জানুয়ারীর মধ্যে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও সরেজমিন দেখা গেছে সেখানে কোনো কাজ হয়নি। আবুজর আল গিফারী কেজি স্কুলের রং করা ও কক্ষ মেরামত করা হয়নি। পৌরসভার কাউন্সিলর মনছুর আলমের নামে ওই স্কুলে এর আগেও টিআর এর গম বরাদ্দ হলেও সেখানে কাজ হয়নি।
এ বিষয়ে পৌরসভার কাউন্সিলর মনছুর আলম বলেন, 'বরাদ্দের গম বিক্রি করে স্কুলের নানা ধরনের কাজ করা হয়। আত্মসাতের বিষয়টি ঠিক নয়।' কেন্দ্রীয় মহা শ্মশানের পুকুর ঘাট নির্মাণ ও বড় বাজার জামে মসজিদের সংস্কার কাজ না করা প্রসঙ্গে পৌরসভার কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান বলেন, 'গম বিক্রি করে টাকা কমিটিকে জমা দেওয়া হয়েছে। তারা কি করেছে না করেছে তা আমি জানি না।'
পৌর কর্মচারী ইউনিয়ন কার্যালয়ের আসবাবপত্র ক্রয় বাবদ বরাদ্দ হওয়া গম বিক্রি করে আগের ক্রয় করা আসবাবপত্রের টাকার সাথে সমন্বয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌরসভার কর্মচারী খোরশেদ আলম। টিআর এর বরাদ্দের টাকায় বাচা মিয়ার ঘোনায় টিউবওয়েল স্থাপন না হওয়া প্রসংঙ্গে পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদ বলেন, 'বরাদ্দ করা গম বিক্রি করে টিউবওয়েলের যন্ত্রাংশ ক্রয় করা হয়েছে। শীঘ্রই টিউবওয়েল স্থাপন করা হবে।'

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হচ্ছে

পর্যটন শহর কক্সবাজারের পরিকল্পিত উন্নয়ন, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় 'কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ' গঠন করছে সরকার। এ কর্তৃপক্ষ দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ উন্নয়ন কাজ তদারক করবে। পাশাপাশি এ শহরের ভূমির পরিবর্তন ও পাহাড় কাটা বন্ধে নজরদারি চালানো, শহরের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের একক কর্তৃত্ব থাকবে কর্তৃপক্ষের হাতে।

কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকার মধ্যে অনুমতি ছাড়া ইমারত নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ, জলাধার খনন করা যাবে না। এ সম্পর্কিত একটি আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান সমকালকে বলেন, সুপরিকল্পিত নগরীতে পরিণত করতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হচ্ছে। এটি গঠন হলে কক্সবাজারে উন্নয়ন কার্যক্রম বাড়বে। আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে কক্সবাজার।
সূত্র জানায়, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত ও প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের পর্যটন নগরী কক্সবাজারের ব্যাপক পরিচিতি থাকলেও বিভিন্ন কারণে জায়গাটির তেমন উন্নয়ন হয়নি। সমুদ্র-তীরবর্তী সব জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে। আবাসনের ক্ষেত্রে মানা হয়নি কোনো নীতিমালা। নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। নষ্ট করা হচ্ছে সমুদ্রসৈকতের পরিবেশ। সব মিলিয়ে কক্সবাজার পর্যটন নগরী তার বৈশিষ্ট্য ধরে রাখতে পারছে না। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকার শহরটিকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করে। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হচ্ছে।
খসড়া আইন অনুযায়ী একজন অতিরিক্ত সচিব মর্যাদার কর্মকর্তা হবেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। সার্বক্ষণিক তিনজন সদস্য থাকবেন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার। এ ছাড়া পর্যটন কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও ভূগোল বিভাগের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, কক্সবাজার শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি বা সম্পাদক, সরকার মনোনীত স্থায়ীভাবে বসবাসরত দু'জন ব্যক্তি, নগর উন্নয়ন অধিদফতর ও স্থাপত্য অধিদফতরের একজন করে প্রতিনিধি কর্তৃপক্ষের সদস্য হবেন।
আইনানুযায়ী, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কক্সবাজারে গৃহায়ন ও আবাসন সুবিধা সম্প্র্রসারণের জন্য সীমিত পরিসরে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে। তারা নগর উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় নৌ, বিমান, সড়ক যোগাযোগ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনারও উন্নয়ন করবে। চিহ্নিত করবে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকার অবস্থান। মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের জন্য ভূমি জোনিং করার দায়িত্ব থাকবে এ কর্তৃপক্ষের ওপর। তারা প্রাকৃতিক ল্যান্ডস্কেপ অনুসরণ করে ভূমি সংরক্ষণ করবে। নতুন কর্তৃপক্ষের হাতে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণের দায়িত্বও দেওয়া হবে।

কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সমন্বয় পরিষদের প্রাধান্য

কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের
প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে।


১৭টি পদের মধ্যে এ প্যানেল থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১০জন নির্বাচিত হয়েছেন। ২টি সম্পাদকীয় পদসহ ৭জন নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে।

শনিবার সকাল সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এক টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৪৯২জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ৪৫২ জন। ভোটগ্রহণ শেষে রাত ১১ টার দিকে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করেন সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট দিলীপ কুমার আচার্য্য।

সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেলের সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সাহাব উদ্দিন আহমদ ২২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার অপর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল আলা পেয়েছেন ২২২ ভোট। ২২৭ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেলের অ্যাডভোকেট ইকবালুর রশিদ আমিন সোহেল। তার অপর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ২২০ ভোট।

অপর ১৫টি পদের মধ্যে ৬টি সম্পাদকীয় ও ৯টি সদস্য পদ রয়েছে। ৬টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেলের ৪ জন নির্বাচিত হয়েছেন।

এরমধ্যে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট জাফর আলম (তার প্রাপ্ত ভোট ২৩০) ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাকারিয়া (তার প্রাপ্ত ভোট ২২৪)। এ প্যানেল থেকে ৩শ ভোট পেয়ে সহ-সাধারণ সম্পাদক (সাধারণ) পদে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহমদ। ২৪৭ ভোট পেয়ে পাঠাগার সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন।

বিএনপি জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে ২৫৫ ভোট পেয়ে সহ-সাধারণ সম্পাদক (হিসাব) পদে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান। ২২৯ ভোট পেয়ে আপ্যায়ন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মো. আবু তাহের (২)।

প্রতিদ্বন্দ্বী অপর সম্পাদকীয় পদে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেলের সহ-সাধারণ সম্পাদক (হিসাব) পদে অ্যাডভোকেট বাবুল চন্দ্র দাস পেয়েছেন ১৮১ ভোট।

আপ্যায়ন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট একে ফজলুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ২২৩ ভোট। আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আমির হোছাইন (২) পেয়েছেন ১৮৮ ভোট ও আবু তাহের (২) পেয়েছেন ১৯৭ ভোট। সহ-সাধারণ সম্পাদক (সাধারণ) পদে অ্যাডভোকেট হালিমুর রশিদ পেয়েছেন ১৪৪ ভোট। পাঠাগার সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম খোকন পেয়েছেন ১৯৪ ভোট।

সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেল থেকে ২৩২ ভোটে অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন, ২২৪ ভোটে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইছহাক (১), ২৫২ ভোটে অ্যাডভোকেট রাহমত উল্লাহ, ২১৬ ভোটে অ্যাডভোকেট ওয়াহেদা রহমান জোনাকী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে ৩৩৪ ভোটে অ্যাডভোকেট ইয়াছমিন শওকত জাহান রোজি, ২৫১ ভোটে অ্যাডভোকেট সব্বির আহমদ, ২৩৮ ভোটে অ্যাডভোকেট ছাদেক উল্লাহ, ২২৯ ভোটে অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী ও ২৩৪ ভোটে  অ্যাডভোকেট নাজেম উদ্দিন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেলের অ্যাডভোকেট আবু ছৈয়দ পেয়েছেন ১৭৪ ভোট, অ্যাডভোকেট আবুল কাসেম (২) পেয়েছেন ১৮১ ভোট, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বখতিয়ার পেয়েছেন ২০৭ ভোট, অ্যাডভোকেট খাইরুল আমিন পেয়েছেন ১৯২ ভোট, অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন পেয়েছেন ১৩০ ভোট। আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের অ্যাডভোকেট একে ফিরোজ আহমদ পেয়েছেন ২০৩ ভোট, অ্যাডভোকেট তাওহিদুল আনোয়ার পেয়েছেন ২১৩ ভোট, অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন পেয়েছেন ১৭৭ ভোট ও অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ পেয়েছেন ১৬৩ ভোট।

Thursday, February 23, 2012

ইনানী সৈকতের ঝাউবন দখল করে পিকনিক স্পট

মালিক বন ও পরিবেশমন্ত্রীর ভাই রাসেল মাহমুদসহ চট্টগ্রামের শহিদুল্লাহ শহীদ ও কক্সবাজারের মনজুর আলম।।
কক্সবাজারের ইনানী সৈকতে বন বিভাগের গড়ে তোলা সবুজ বেষ্টনীর পাঁচ একর ঝাউবন দখল করে একটি প্রভাবশালী মহল গড়ে তুলেছে 'ইকো বিলাস' নামে পিকনিক স্পট।


প্রভাবশালী মহলটি সরকারি জমি দখলে নিয়ে এখানে কটেজ, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে পর্যটকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আয় করছে। প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এ সৈকত এলাকা ইজারা দেওয়া এবং এখানে কোনো রকম স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ হলেও 'ইকো বিলাসে'র উদ্যোক্তরা দাবি করেন, তারা জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নিয়েই পর্যটকদের জন্য ট্যুরিস্ট স্পটটি গড়ে তুলেছেন। তবে জেলা প্রশাসন এ ভূমি ইজারা দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। গতকাল সোমবার ওই এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সৈকতের প্রায় পাঁচ একর ঝাউবন দখল করে বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঘের দেওয়া হয়েছে। বাঁশের বেড়া ও ছন দিয়ে এখানে নির্মাণ করা হয়েছে দুটি রেস্টুরেন্ট এবং ১২টি ছোট কটেজ। ১০টি তাঁবুও এখানে খাটানো হয়েছে। এ
ছাড়া রয়েছে আরও কিছু স্থাপনা।
পর্যটকদের কাছে প্রতিটি তাঁবু একদিনের জন্য ভাড়া দেওয়া হচ্ছে দেড় হাজার টাকায়। পিকনিক পার্টির কাছ থেকে একদিনের জন্য ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৭ হাজার
টাকা।
প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ জানান, তারা জেলা প্রশাসন থেকে এক সনা লিজ নিয়ে পিকনিক স্পটটি গড়ে তুলেছেন। তিনি জানান, এ প্রতিষ্ঠানের তিনজন মালিকের মধ্যে রয়েছেন বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ভাই রাসেল মাহমুদ, তার স্ত্রীর বড় ভাই চট্টগ্রামের শহিদুল্লাহ শহীদ এবং কক্সবাজারের ঝিলংজা এলাকার মনজুর আলম। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মনজুর আলম জানান, স্থানীয় প্রশাসন থেকে এক সনা লিজ নিয়ে তারা এ প্রতিষ্ঠান করেছেন। তিনি জানান, ইজারা নেওয়া হয়েছে রাসেল মাহমুদের আত্মীয় শহিদুল্লাহ শহীদের নামে। সরকার ঘোষিত প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় ঝাউবন কীভাবে ইজারা নিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা পরিবেশের কোনো রকম ক্ষতি না করেই সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে পিকনিক স্পটটি গড়ে তুলেছি।'
শহিদুল্লাহ শহীদ জানান, প্রশাসনের প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিয়ে তারা সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে পিকনিক স্পট তৈরি করেছেন। এখানে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকার কোনো রকম ক্ষতি হচ্ছে না। এ ছাড়া তারা ঝাউবনও রক্ষণাবেক্ষণ করছেন। ওই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা রাসেল মাহমুদের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। পরে অবশ্য তার অফিসের কর্মকর্তা পরিচয়ে একজন ফোন রিসিভ করে জানান, ইনানীতে পিকনিক স্পটের ওই জমি তারা ইজারা নিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
কক্সবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (দক্ষিণ) বিপুল কৃষ্ণ দাশ বলেন, 'ওই স্থানের ঝাউবাগান বন বিভাগের হলেও ভূমির মালিক জেলা প্রশাসন। ওই খাসজমি ইজারা দেওয়া হয়েছে কি-না তা আমাদের জানা নেই।'
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, ইনানী সৈকতের ওই ভূমি কখনও কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে কক্সবাজার সৈকতের এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। মেরিন ড্রাইভ সড়কের পশ্চিম পাশে সৈকতের তীর ধরে সব অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শিগগির অভিযান পরিচালনা করা হবে।

রামু রাবার বাগান বন্যহাতির অভয়ারণ্য রাবার কষ আহরণ বন্ধ

রামু রাবার বাগান এখন বন্যহাতির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
প্রতিদিন বন্যহাতির পাল বাগানে অবস্থান নিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। এতে ৫০০ একর বাগানে রাবার আহরণ বন্ধ থাকায় উত্পাদনে ধস নেমেছে।


গত দুই মাস ধরে বাগানের রাবার উত্পাদন এলাকায় একাধিক হাতির পাল প্রতিনিয়ত হানা দিচ্ছে। অনেক জায়গায় হাতির পাল সপ্তাহ ধরে বসবাস করছে। এতে আতঙ্কিত শ্রমিকরা ওইসব এলাকায় রাবার কষ আহরণ বন্ধ রেখেছে।
৫টি উত্পাদনশীল এলাকায় ১০৭টি বল্গক রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে হাতির উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০টি বল্গকে রাবার কষ আহরণ সম্ভব হচ্ছে না। উত্পাদনশীল এলাকাগুলো হাতির অবাধ বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি বল্গকে একজন করে রাবার উত্পাদনের দায়িত্বে থাকলেও তারা ওইসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যেতে পারছে না।
বাগানে রাবার উত্পাদনে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা জানান, অব্যাহতভাবে হাতির উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে রাবার উত্পাদনশীল ১ হাজার ৩২০ একর জমির মধ্যে ৫০০ একর জমিতে রাবার উত্পাদন বন্ধ রয়েছে। ৫টি উত্পাদনশীল এলাকার মধ্যে ৩ নং-এর জুমছড়ি, ৪ নং-এর আশিসনের বাগান, চৌধুরী খামার এবং ৫ নং-এর লোহাতলা, ডেপারঝিরি ও হাতিখাইয়া এলাকায় হাতির উপদ্রবে রাবার উত্পাদন ব্যাহত হচ্ছে।
রামুর রাবার বাগান কয়েক মাস আগেও লাভজনক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি হাতির অব্যাহত উপদ্রবের ফলে বর্তমানে অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে। বর্তমানে বাগানে ১ হাজার ৩২০ একর জমিতে দৈনিক ২ হাজার কেজি রাবার কষ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। অথচ আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে মাত্র ১ হাজার ৩০০ কেজি। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে রাবার কষ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ১০০ কেজি, তখন আহরণ করা হতো ২ হাজার ২০০ কেজি।
জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি, আওয়ামী লীগ নেতা কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স আমার দেশ কে জানান, নির্বিচারে বনাঞ্চল উজাড় হওয়ায় কয়েক মাস ধরে বন্যহাতির দল রাবার বাগানে তাণ্ডব চালাচ্ছে। তিনি আরও জানান, হাতির ভয়ে বাগানের শ্রমিকরা উত্পাদনশীল এলাকায় গিয়ে রাবার কষ আহরণ করতে পারছে না। জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মহলজ্জামা জানান, বন্যহাতির দল রাবার বাগানের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন বসতবাড়িতেও হামলা চালাচ্ছে এবং বোরো চাষাবাদের বীজতলা ও কৃষকের ফসলি ক্ষেতে তাণ্ডব চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করছে।
জুমছড়ি এলাকার সুলতান আহমদ জানান, সম্প্রতি বন্যহাতির দল রাবার বাগানে তাণ্ডব চালিয়ে ফেরার সময় তার বসতঘরটি ভেঙে ফেলে। দুই সপ্তাহ আগে স্থানীয় এক কৃষকের মহিষ হাতির আক্রমণে মারা যায়। এর আগে মানুষের প্রাণহানিও ঘটেছে।
বাগানে রাবার কষ উত্পাদনে দায়িত্বরত কয়েকজন শ্রমিক জানান, প্রতিদিনই বাগানে হাতির পাল আসে। প্রতিটি পালে ৪ থেকে ১০-১২টি হাতি থাকে। গত দেড় মাসে এসব হাতির পাল প্রায় ২ হাজার উত্পাদনশীল রাবার গাছ উপড়ে ফেলেছে। হাতির বিচরণ ও আক্রমণে রাবার কষ আহরণে ব্যবহৃত পাঁচ হাজার ট্যাপিং বাটি ভেঙে গেছে। এছাড়া প্রতিদিন উত্পাদনশীল রাবার গাছের নিচের অংশ কষ আহরণের উদ্দেশ্যে কেটে দেয়া হয়। কিন্তু হাতির ভয়ে ওই এলাকায় যেতে না পারায় গাছের ওই অংশ কেটে দেয়া ও কষ আহরণ দুটিই সম্ভব হচ্ছে না।
রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আইয়ুব আমার দেশকে জানান, বাগানে প্রতিদিন বন্যহাতির দল হানা দিচ্ছে। হাতির ভয়ে শ্রমিকরা রাবার কষ আহরণের জন্য যায় না। এ কারণে বর্তমানে রাবার উত্পাদনে ধস নেমেছে। এভাবে চলতে থাকলে অচিরে লাভজনক এ বাগান অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। গভীর বনাঞ্চল থেকে আসা এসব হাতি বাগানের গাছ এবং সরঞ্জামও নষ্ট করছে। তিনি এসব হাতির পাল যাতে বনাঞ্চল থেকে আসতে না পারে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বনবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

Tuesday, February 21, 2012

সৈকতে ভাসছে মৃত কচ্ছপ-জেলি ফিশ

কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন উপকূলের সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ভেসে আসছে মৃত কচ্ছপ ও জেলি ফিশ।
সাগরে দেশি-বিদেশি মাছ ধরা ট্রলারে এগুলো আটকা পড়লে জেলেরা তা পিটিয়ে মারেন। পরে সেগুলো সৈকতে ভেসে ওঠে।


এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, সাগরে মাছ শিকারের জন্য বড় বড় জাল ব্যবহার করছেন জেলেরা। এসব জালে আটকা পড়া কচ্ছপ ও জেলি ফিশ দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে। এরপর সেগুলো মারা যায় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কচ্ছপ সমুদ্রের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে আর জেলি ফিশের ডিম ও বাচ্চা মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহূত হওয়ায় এগুলো মাছের বংশবিস্তারে সহায়তা করে। তাই কচ্ছপ ও জেলি ফিশ রক্ষা করা না গেলে মাছের সংকট দেখা দিতে পারে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহে টেকনাফে সমুদসৈকতের শাহপরীর দ্বীপ, খুরের মুখ, মহেশখালিয়াপাড়া, লম্বরী, মিঠাপানির ছড়া, রাজার ছড়া, কচ্ছপিয়া, জাহাজপুরা, বড় ডেইল, শীলখালী ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপ এলাকার বিভিন্ন স্থানে ২৬টি মৃত কচ্ছপ ও দেড় শতাধিক জেলি ফিশ ভেসে উঠেছে। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক হুমায়ুন কবির (৪৫) বলেন, মৃত কচ্ছপ ও জেলি ফিশ সৈকতে পড়ে থাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এগুলো পুঁতে ফেলার কোনো ধরনের ব্যবস্থা না থাকায় সৈকতের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে খোলামেলাভাবে যাতায়াত করা সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলার মৎস্য জোন হিসেবে পরিচিত উপকূলের ৫৮ কিলোমিটার এলাকায় পাঁচ হাজারের বেশি ট্রলার ও ছোট-বড় নৌকায় কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ ধরা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কচ্ছপ শীত মৌসুমে প্রজননের সময় বালুময় সৈকতে গর্ত খুঁড়ে ডিম পাড়ে। এ সময় অধিকাংশ মা-কচ্ছপ জেলেদের মাছ ধরার জাল ও ট্রলারের কারণে বিপদে পড়ে। যন্ত্রচালিত ট্রলারগুলোর চলাচলের সময় আঘাতে মারা পড়ছে অনেক মা-কচ্ছপ। এ ছাড়া জেলেদের জালে আটকা পড়ে প্রচুর কচ্ছপ, যার বেশির ভাগই তাঁদের হাতে মারা পড়ে।
এ প্রসঙ্গে শাহপরীর দ্বীপের জেলে সেলিম উল্লাহ বলেন, বড় কচ্ছপ জালে আটকা পড়লে জাল ছিঁড়ে ফেলে। তাই সেগুলো মেরে ফেলা হয়। আটকা পড়া কচ্ছপ ও জেলি ফিশের ওজন ১৫ থেকে ৩০ কেজি পর্যন্ত হয়। পুরো কক্সবাজার জেলায় উপজাতীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে কচ্ছপের ডিমের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ছোট-বড় কচ্ছপে ডিম থাকে ৩০০ থেকে ৪০০টি। এসব ডিম বস্তায় ভরলেও ভাঙে না। কারণ, এগুলো রাবারের মতো নরম। পরে এসব ডিম ঘাটে এনে বিক্রি করা হয়।
টেকনাফের পরিবেশ অধিদপ্তরের সিবিএইসিএ প্রকল্পের প্রশাসনিক সহকারী সাঈদ আল শাহীন প্রথম আলোকে জানান, এ এলাকায় কচ্ছপ সংরক্ষণের জন্য ১৭টি গ্রামে কমিটি রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর কাজ চলছে। কিছুদিনের মধ্যে প্রায় চার হাজার বাচ্চা সাগরে ছাড়া হবে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিন উপকূলীয় এলাকার কারেন্ট জাল ও ট্রলারের জালে আটকে পড়ে কচ্ছপ ও জেলি ফিশ মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করলেও এর ব্যবহার রোধ করা যাচ্ছে না। কিন্তু বর্তমানে সেন্ট মার্টিনে অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহার প্রায় বন্ধ বলে তিনি দাবি করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা ইসিএ কমিটির সভাপতি আ ন ম নাজিম উদ্দিন জানান, উপকূলীয় এলাকায় মৃত কচ্ছপ ও জেলি ফিশ ভেসে আসার খবর তাঁরা পেয়েছেন। অবৈধ কারেন্ট জালের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের জালে ডিম ছাড়তে আসা মা-কচ্ছপ আটকা পড়লে এগুলো যাতে মারা না হয়, সে ব্যাপারে জেলেদের উদ্বুদ্ধকরণে জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আদিনাথ মন্দিরে শিবচতুর্দশী মেলাঃ তীর্থযাত্রী সমাগমে মুখর মহেশখালী

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মৈনাক পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত আদিনাথ মন্দিরে শুরু হয়েছে হিন্দুসম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী শিবচতুর্দশী মেলা। ১০ দিনব্যাপী এই মেলার দ্বিতীয় দিনে গতকাল সোমবার বিপুলসংখ্যক তীর্থযাত্রীর সমাগম হয়।


স্থানীয় সূত্র জানায়, মেলার প্রথম দিনে গত রোববার লোকসমাগম কম হলেও গতকাল হাজারো মানুষের ঢল নামে। আদিনাথ মন্দিরের শিবদর্শন করতে প্রতিবেশী ভারত, নেপালসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিবছরের মতো এবারও এসেছেন তীর্থযাত্রীরা। শিবদর্শনের জন্য তাঁরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেন। মেলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন এ বছর আশপাশে লটারি, সার্কাস, পুতুলনাচ, যাত্রা প্রভৃতি বিনোদনমূলক বিভিন্ন আয়োজনের অনুমতি দেয়নি। তীর্থযাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতে স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন। মেলায় বিভিন্ন ধরনের পণ্যের পসরা নিয়ে বসানো হয়েছে ৮০০ স্টল। তীর্থযাত্রী ছাড়াও কেবল মেলা দেখতে এসেছে অসংখ্য মানুষ। মেলা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
উপজেলার গোরকঘাটার বাসিন্দা মনির হোসেন ও আবদুল খালেক মেলা থেকে কিনেছেন আদিনাথ মন্দিরের ঐতিহ্যবাহী জিলাপি। চকরিয়ার বদরখালী থেকে মেলা দেখতে এসেছেন তাছনিয়া আবেদীন খান। তিনি বলেন, যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় এ বছর মেলায় এসেছেন তিনি। এই মেলায় বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পাওয়া যায়।
ঢাকার ধানমন্ডি থেকে আসা তীর্থযাত্রী মণীন্দ্রলাল শীল ও কালিচরণ দে বলেন, সকালে কক্সবাজার কস্তুরাঘাটে পর্যাপ্ত নৌযান না থাকায় তাঁদের দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।
আদিনাথ মেলা তদারক কমিটির সহসভাপতি দীপক পাল বলেন, তীর্থযাত্রীর সংখ্যা এ বছর তুলনামূলক বেশি। সড়ক যোগাযোগে উন্নতির ফলেই এমনটা হয়েছে।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিৎ কুমার বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, মেলা প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ টি এম কাউসার হোসেন বলেন, হিন্দুসম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী এই অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে একটি তদারক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Sunday, February 12, 2012

টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শন নৌমন্ত্রীর

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর ও দমদমিয়ার জেটি পরিদর্শন করেছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী মোঃ শাহজাহান খান।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় সেন্টমার্টিন্স থেকে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এসটি শহীদ আবদুর রব সেনিয়াবাত জাহাজযোগে টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছেন।

এ সময় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান একেএম ইয়াহিয়া চৌধুরী, ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের মহা-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কর্নেল ফারুক ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনম নাজিম উদ্দিন তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় মন্ত্রী স্থলবন্দরের জেটি, আর্ন্তজাতিক মানের টার্মিনাল, ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, ওয়্যার হাউজ, নবনির্মিত অফিস ভবন পরিদর্শন শেষে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তবে পরে দমদমিয়ার সেন্টমার্টিন্সগামী পর্যটকবাহী জাহাজের অবৈধ জেটি পরিদর্শন শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এসব ঝুঁকিপূর্ণ জেটি দ্বারা ব্যক্তি বিশেষ লাভবান হলেও সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।

এ বিষয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শিগগিরই বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, ইউনাইটেড ল্যান্ড কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে একটি সভা আহবান করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

এছাড়া বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট, টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন, টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, জেলা ট্রাক মালিক সমিতি প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এর আগে সকাল ৯টায় মন্ত্রী সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের বাতিঘর পরিদর্শন করেন।

টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শন নৌমন্ত্রীর

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর ও দমদমিয়ার জেটি পরিদর্শন করেছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী মোঃ শাহজাহান খান।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় সেন্টমার্টিন্স থেকে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এসটি শহীদ আবদুর রব সেনিয়াবাত জাহাজযোগে টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছেন।


এ সময় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান একেএম ইয়াহিয়া চৌধুরী, ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের মহা-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কর্নেল ফারুক ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনম নাজিম উদ্দিন তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় মন্ত্রী স্থলবন্দরের জেটি, আর্ন্তজাতিক মানের টার্মিনাল, ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, ওয়্যার হাউজ, নবনির্মিত অফিস ভবন পরিদর্শন শেষে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তবে পরে দমদমিয়ার সেন্টমার্টিন্সগামী পর্যটকবাহী জাহাজের অবৈধ জেটি পরিদর্শন শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এসব ঝুঁকিপূর্ণ জেটি দ্বারা ব্যক্তি বিশেষ লাভবান হলেও সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।

এ বিষয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শিগগিরই বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, ইউনাইটেড ল্যান্ড কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে একটি সভা আহবান করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

এছাড়া বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট, টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন, টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, জেলা ট্রাক মালিক সমিতি প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এর আগে সকাল ৯টায় মন্ত্রী সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের বাতিঘর পরিদর্শন করেন।

তথ্যসেবা দিতে সরকারি কর্মকর্তারা বাধ্য

তথ্য জানার অধিকার দেশের প্রত্যেক নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার উল্লেখ করে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেছেন,
এ আইনের আওতায় তথ্য সেবা প্রদানে সরকারি কর্মকর্তারা বাধ্য থাকবেন।

জনগণের অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন পাশ করেছেন।

শনিবার কক্সবাজার মোটেল শৈবালের সম্মেলন কক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে সকাল ১১টায় শুরু হওয়া দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আন্তর্জাতিক সংস্থা আর্টিকেল ১৯ বাংলাদেশ ও তথ্য কমিশনের যৌথ উদ্যোগে তৃণমূল পর্যায়ে তথ্য আইন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তথ্য কমিশনার অধ্যাপক সাদেকা হালিম ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক জয়নুল বারী।

আর্টিকেল ১৯ বাংলাদেশ-এর দক্ষিণ এশীয় পরিচালক তাহমিনা রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কক্সবাজার জেলার ৮ উপজেলা থেকে বিভিন্ন দপ্তরের ৫২ জন সরকারি কর্মকর্তা, ৮ জন দায়িত্বপ্রাপ্ত আপিল কর্তৃপক্ষ ও ৫ জন প্রকৌশলী অংশ নেন।

তথ্যসেবা দিতে সরকারি কর্মকর্তারা বাধ্য

তথ্য জানার অধিকার দেশের প্রত্যেক নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার উল্লেখ করে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেছেন,
এ আইনের আওতায় তথ্য সেবা প্রদানে সরকারি কর্মকর্তারা বাধ্য থাকবেন।


জনগণের অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন পাশ করেছেন।

শনিবার কক্সবাজার মোটেল শৈবালের সম্মেলন কক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে সকাল ১১টায় শুরু হওয়া দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আন্তর্জাতিক সংস্থা আর্টিকেল ১৯ বাংলাদেশ ও তথ্য কমিশনের যৌথ উদ্যোগে তৃণমূল পর্যায়ে তথ্য আইন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তথ্য কমিশনার অধ্যাপক সাদেকা হালিম ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক জয়নুল বারী।

আর্টিকেল ১৯ বাংলাদেশ-এর দক্ষিণ এশীয় পরিচালক তাহমিনা রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কক্সবাজার জেলার ৮ উপজেলা থেকে বিভিন্ন দপ্তরের ৫২ জন সরকারি কর্মকর্তা, ৮ জন দায়িত্বপ্রাপ্ত আপিল কর্তৃপক্ষ ও ৫ জন প্রকৌশলী অংশ নেন।

কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় ১২১৫ প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ রয়েছে

কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় ১২১৫ প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ রয়েছে।
এর মধ্যে উদ্ভিদ ৫৬৭ প্রজাতি, শামুক ১৬২ প্রজাতি, কাঁকড়া ২১ প্রজাতি, চিংড়ি ১৯ প্রজাতি, লবস্টার ২ প্রজাতি, মাছ ২০৭ প্রজাতি, উভচর ১২ প্রজাতি, সরীসৃপ ১৯ প্রজাতি ও  ২০৬ প্রজাতির পাখির সন্ধান পাওয়া গেছে।

জলবায়ু পরিবর্ত এবং পরিবেশ বিনষ্টের কারণে এসব প্রাণবৈচিত্র্য হুমকির মুখে রয়েছে এবং তা ক্রমাগত বিলুপ্ত হতে চলছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর ও নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের (নেকম) উদ্যোগে আয়োজিত- ‘ইসিএ এলাকা সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও মতবিনিময় সভায়’ এ তথ্য জানানো হয়।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হওয়া দিনব্যাপী এ কর্মশালা ও মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও নেকম চেয়ারম্যান ড. আবদুর রব মোল্লা বলেন, ‘কক্সবাজারের সোনাদিয়া, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন এলাকায় রয়েছে জীববৈচিত্র্যের সমাহার। বিশ্বে এ পর্যন্ত ৪৭৫ প্রজাতির মাছের সন্ধান পাওয়া গেছে। এক গবেষণায় কক্সবাজারে ২০৭ প্রজাতির মাছ দেখা গেছে। তার মধ্যে কোমলাস্থি ১৯ ও কঠিনাস্থি ১৮৮ প্রজাতির মাছ রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘২০৬ প্রজাতির পাখির মধ্যে দেশি ১৪৯টি এবং অতিথি ৫৭ ধরনের পাখি দেখা গেছে এ এলাকায়। বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় পাখিদের অনেক পাখিই কক্সবাজারে রয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করে এ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করতে হবে।’

কর্মশালায় পরিবেশ আইন বিষয়ে আলোকপাত করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার অফিসের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে কক্সবাজারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন নেকম কর্মকর্তা নাসির আজিজ, প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন আবদুল মান্নান।

পরিবেশ অধিদপ্তর সিবিএ ইসিএ প্রকল্প কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুর রহমানের পরিচালনায় কর্মশালার শেষে সিবিএ ইসিএ প্রকল্প পরিচালক জাফর সিদ্দিকী বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা হলে এ এলাকার মানুষ নিরাপদ হবে। তাই, পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় ১২১৫ প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ রয়েছে

কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় ১২১৫ প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ রয়েছে।
এর মধ্যে উদ্ভিদ ৫৬৭ প্রজাতি, শামুক ১৬২ প্রজাতি, কাঁকড়া ২১ প্রজাতি, চিংড়ি ১৯ প্রজাতি, লবস্টার ২ প্রজাতি, মাছ ২০৭ প্রজাতি, উভচর ১২ প্রজাতি, সরীসৃপ ১৯ প্রজাতি ও  ২০৬ প্রজাতির পাখির সন্ধান পাওয়া গেছে।

জলবায়ু পরিবর্ত এবং পরিবেশ বিনষ্টের কারণে এসব প্রাণবৈচিত্র্য হুমকির মুখে রয়েছে এবং তা ক্রমাগত বিলুপ্ত হতে চলছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর ও নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের (নেকম) উদ্যোগে আয়োজিত- ‘ইসিএ এলাকা সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও মতবিনিময় সভায়’ এ তথ্য জানানো হয়।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হওয়া দিনব্যাপী এ কর্মশালা ও মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও নেকম চেয়ারম্যান ড. আবদুর রব মোল্লা বলেন, ‘কক্সবাজারের সোনাদিয়া, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন এলাকায় রয়েছে জীববৈচিত্র্যের সমাহার। বিশ্বে এ পর্যন্ত ৪৭৫ প্রজাতির মাছের সন্ধান পাওয়া গেছে। এক গবেষণায় কক্সবাজারে ২০৭ প্রজাতির মাছ দেখা গেছে। তার মধ্যে কোমলাস্থি ১৯ ও কঠিনাস্থি ১৮৮ প্রজাতির মাছ রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘২০৬ প্রজাতির পাখির মধ্যে দেশি ১৪৯টি এবং অতিথি ৫৭ ধরনের পাখি দেখা গেছে এ এলাকায়। বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় পাখিদের অনেক পাখিই কক্সবাজারে রয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করে এ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করতে হবে।’

কর্মশালায় পরিবেশ আইন বিষয়ে আলোকপাত করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার অফিসের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে কক্সবাজারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন নেকম কর্মকর্তা নাসির আজিজ, প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন আবদুল মান্নান।

পরিবেশ অধিদপ্তর সিবিএ ইসিএ প্রকল্প কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুর রহমানের পরিচালনায় কর্মশালার শেষে সিবিএ ইসিএ প্রকল্প পরিচালক জাফর সিদ্দিকী বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা হলে এ এলাকার মানুষ নিরাপদ হবে। তাই, পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

অব্যাহত দরপতনঃ মহেশখালীর লবণ চাষি ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে

কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত লবণের দাম অব্যাহতভাবে নিম্নমুখী হচ্ছে।
এ অবস্থায় হাজার হাজার লবণ চাষি ও ব্যবসায়ী পরিবারে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র জানায়, কক্সবাজারের মহেশখালী-কুতুবদিয়াসহ বিস্তীর্ণ লবণ ভূমি এলাকায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হাজার হাজার টন লবণ মাঠে মজুদ থাকলেও মূল্য না থাকায় চাষি ও ব্যবসায়ীদের পরিবারে করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে সম্প্রতি লবণের ন্যায্যমূল্য দাবি করে বড় মহেশখালী ও হোয়ানক ইউনিয়নে লবণ উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীরা পৃথক সমাবেশ করেছেন। এতে তারা অবিলম্বে সরকারের কাছে লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার দাবি জানান। বড় মহেশখালীতে লবণ উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি ও লবণ চাষি নুরুল আলম বলেন, বর্তমানে ব্যাপক হারে বিদেশ থেকে লবণ আসার ফলে দেশীয় লবণ শিল্প হুমকির সম্মুখীন। দেশি বাজার বিদেশি লবণে সয়লাব ও সিন্ডিকেটের তৎপরতার কারণে উপকূলীয় লবণ চাষি ও ব্যবসায়ীরা চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন। সভায় বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সদস্য মনিরুজ্জামান, ওবায়দুল হক, আনোয়ার হোসেন, আবুল কালাম, আবদুর রহমান ও নেচার উদ্দিন।
এ ব্যাপারে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কাওসার হোসেন বলেন, লবণ চাষিদের কথা চিন্তা করে লবণের মূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের কাছে জানানো হয়েছে।

অব্যাহত দরপতনঃ মহেশখালীর লবণ চাষি ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে

কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত লবণের দাম অব্যাহতভাবে নিম্নমুখী হচ্ছে।
এ অবস্থায় হাজার হাজার লবণ চাষি ও ব্যবসায়ী পরিবারে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্র জানায়, কক্সবাজারের মহেশখালী-কুতুবদিয়াসহ বিস্তীর্ণ লবণ ভূমি এলাকায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হাজার হাজার টন লবণ মাঠে মজুদ থাকলেও মূল্য না থাকায় চাষি ও ব্যবসায়ীদের পরিবারে করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে সম্প্রতি লবণের ন্যায্যমূল্য দাবি করে বড় মহেশখালী ও হোয়ানক ইউনিয়নে লবণ উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীরা পৃথক সমাবেশ করেছেন। এতে তারা অবিলম্বে সরকারের কাছে লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার দাবি জানান। বড় মহেশখালীতে লবণ উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি ও লবণ চাষি নুরুল আলম বলেন, বর্তমানে ব্যাপক হারে বিদেশ থেকে লবণ আসার ফলে দেশীয় লবণ শিল্প হুমকির সম্মুখীন। দেশি বাজার বিদেশি লবণে সয়লাব ও সিন্ডিকেটের তৎপরতার কারণে উপকূলীয় লবণ চাষি ও ব্যবসায়ীরা চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন। সভায় বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সদস্য মনিরুজ্জামান, ওবায়দুল হক, আনোয়ার হোসেন, আবুল কালাম, আবদুর রহমান ও নেচার উদ্দিন।
এ ব্যাপারে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কাওসার হোসেন বলেন, লবণ চাষিদের কথা চিন্তা করে লবণের মূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের কাছে জানানো হয়েছে।

Thursday, February 09, 2012

চবিতে দুই শিবির নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে শহর ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের বর্বরোচিত ও নৃশংস হামলায়
দুই শিবির নেতা মাসুদ বিন হাবিব ও মুজাহিদুল ইসলামকে হত্যার প্রতিবাদে ককসবাজার শহর ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল

শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বার্মিজ মার্কেটে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে শহর ছাত্রশিবির সভাপতি আবু নাঈম মুহাম্মদ হারুন বলেন, সরকারের প্রত্যক্ষ ইন্দনে ও পুলিশ বাহিনীর সহযোগীতায় ছাত্রলীগ সারাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে এবং শিক্ষাঙ্গনের সুন্দর পরিবেশকে বিনষ্ট করছে। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে দুই মেধাবী ছাত্রনেতাকে হত্যা করেছে। কিন্তু সরকার ও পুলিশ ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করে উল্টো ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করছে। তিনি অবিলম্বে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রনেতা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে অবিলম্বে খুনি ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও অন্যায় ভাবে গ্রেফতারকৃত ছাত্রশিবির নেতা কর্মীদের মুক্তির জোর দাবী জানান। অন্যথায় ছাত্রশিবির ছাত্র সমাজকে সাথে নিয়ে কঠিন কর্মসূচীর মাধ্যমে সরকার পতনের কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষনা করতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। শহর সেক্রেটারী সরওয়ার কামাল সিকদারের পরিচালনায়  অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জেলা সভাপতি আল আমিন মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারী দিদারুল ইসলাম এবং শহর ও থানা শাখার নেতৃবৃন্দ।

চবিতে দুই শিবির নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে শহর ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের বর্বরোচিত ও নৃশংস হামলায়
দুই শিবির নেতা মাসুদ বিন হাবিব ও মুজাহিদুল ইসলামকে হত্যার প্রতিবাদে ককসবাজার শহর ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল

শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বার্মিজ মার্কেটে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে শহর ছাত্রশিবির সভাপতি আবু নাঈম মুহাম্মদ হারুন বলেন, সরকারের প্রত্যক্ষ ইন্দনে ও পুলিশ বাহিনীর সহযোগীতায় ছাত্রলীগ সারাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে এবং শিক্ষাঙ্গনের সুন্দর পরিবেশকে বিনষ্ট করছে। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে দুই মেধাবী ছাত্রনেতাকে হত্যা করেছে। কিন্তু সরকার ও পুলিশ ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করে উল্টো ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করছে। তিনি অবিলম্বে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রনেতা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে অবিলম্বে খুনি ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও অন্যায় ভাবে গ্রেফতারকৃত ছাত্রশিবির নেতা কর্মীদের মুক্তির জোর দাবী জানান। অন্যথায় ছাত্রশিবির ছাত্র সমাজকে সাথে নিয়ে কঠিন কর্মসূচীর মাধ্যমে সরকার পতনের কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষনা করতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। শহর সেক্রেটারী সরওয়ার কামাল সিকদারের পরিচালনায়  অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জেলা সভাপতি আল আমিন মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারী দিদারুল ইসলাম এবং শহর ও থানা শাখার নেতৃবৃন্দ।

যুবলীগ নেতা দিদার হত্যাঃ পরিবার ও গ্রামবাসী আতঙ্কে

সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবলীগ নেতা দিদার খুন হওয়ার পর কক্সবাজারের মহেশখালীর ডেবাংগাকাটা গ্রামবাসী ও পরিবারে আতঙ্ক বিরাজ করছে। হত্যাকাণ্ডের ৩০ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো ঘাতককে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
উল্টো এ হত্যায় জড়িত সালাহ উদ্দিন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা এলাকায় তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছেন। তাদের হুমকি ধামকিতে নিহত দিদারের স্ত্রী সন্তান ও প্রতিবেশীরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন।

এদিকে এ হত্যা মামলা নথিভুক্ত না করায় হাইকোর্ট ডিভিশনের একটি দ্বৈত বেঞ্চ ৬ ফেব্রুয়ারি মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রঞ্জিত কুমার বড়ুয়াকে শোকজ করেছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে শোকজের জবাব দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন, সন্ত্রাসীরা এলাকার লবণের মাঠ, পানের বরজ, স্থানীয় বাজার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে চলেছে। রাতের বেলায় তারা এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে দিদার হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছে মুখ না খোলার জন্য হুমকি দিচ্ছে। এ নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করবে তাদের পরিণতিও দিদারের মতোই হবে বলেও তারা জানাচ্ছে।

জানা গেছে, দিদার হত্যার বিচার চেয়ে প্রশাসনের কাছে ধর্না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা ৩১ জানুয়ারি স্থানীয় ইউপি মেম্বার আলমগীরের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

উল্লেখ্য, ৮ জানুয়ারি ফজরের নামাজের পর উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফোরকান আহমদের বড় ছেলে যুবলীগ নেতা দিদারকে ডেবাংগাকাটা গ্রামে তার বাড়ির কাছেই সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। এর পরপরই র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। খবর পেয়ে মহেশখালী থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এসময়  দিদারের লাশ ও কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।

দিদারের পরিবারের দাবি র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো ফেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

সম্প্রতি একদল সাংবাদিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে গ্রামের নারী-পুরুষ অনেকেই সেদিনের লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসীরা জানান, এ পৈশাচিক হত্যার পর প্রশাসনের কেউ খবর নিতে আসেনি। সাংবাদিকরাই প্রথম এসেছে। তাদের কাছে এ বিষয়ে মুখ খুললে বিপদে পড়ার আশঙ্কা করেন গ্রামবাসী।

দিদারের ছোট বোন রিজিয়া তার ভাইয়ের হত্যার বিচার দাবি করে পরিবারের অপরাপর সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য আবেদন জানান।

বড় মহেশখালী ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য জয়নাব বেগম তার এলাকায় সন্ত্রাসী সালাহ উদ্দিন বাহিনীর নানা অপকর্ম ও অপরাধের কথা স্বীকার করে জানান বর্তমানে এলাকাবাসী তাদের জানমাল নিয়ে উদ্বিগ্ন।

মহেশখালী থানার এসআই জহির বলেন, “ইউপি সদস্য আলমগীরের বসতবাড়ি ও সালাহ উদ্দিনের গোয়াল ঘরে ৩১ জানুয়ারি রাতে কে কারা অগ্নিসংযোগ করে। আমি মামলা দুটি তদন্ত করছি। তবে ঘটনার ব্যাপারে একে অপরকে দায়ী করছে।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ইউপি সদস্য আগে মামলা করেন পরে সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে  পাল্টা মামলা দায়ের করা হয়।

ইউপি সদস্য আলমগীর জানান, তার ভাই দিদারকে হত্যার পর সন্ত্রাসীরা ওইদিন রাতে তার বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়।

এস আই জহির জানান, সালাহ উদ্দিন একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি  ৮ জানুয়ারি থেকে পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইকবাল জয়নাল দিদার হত্যা নিয়ে র‌্যাব একটি এজাহার দায়ের করেছে।

বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিত বড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দিদার হত্যার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এদিকে দিদার হত্যার মামলা নথিভুক্ত না করায় মহেশখালী থানার ওসি রঞ্জিত বড়ুয়াকে শোকজ করেছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ওসিকে স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

নিহত দিদারের পিতা ফোরকান আহমদের দায়ের করা একটি রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বেঞ্চ এ শোকজ করেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

যুবলীগ নেতা দিদার হত্যাঃ পরিবার ও গ্রামবাসী আতঙ্কে

সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবলীগ নেতা দিদার খুন হওয়ার পর কক্সবাজারের মহেশখালীর ডেবাংগাকাটা গ্রামবাসী ও পরিবারে আতঙ্ক বিরাজ করছে। হত্যাকাণ্ডের ৩০ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো ঘাতককে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।

উল্টো এ হত্যায় জড়িত সালাহ উদ্দিন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা এলাকায় তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছেন। তাদের হুমকি ধামকিতে নিহত দিদারের স্ত্রী সন্তান ও প্রতিবেশীরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন।

এদিকে এ হত্যা মামলা নথিভুক্ত না করায় হাইকোর্ট ডিভিশনের একটি দ্বৈত বেঞ্চ ৬ ফেব্রুয়ারি মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রঞ্জিত কুমার বড়ুয়াকে শোকজ করেছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে শোকজের জবাব দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন, সন্ত্রাসীরা এলাকার লবণের মাঠ, পানের বরজ, স্থানীয় বাজার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে চলেছে। রাতের বেলায় তারা এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে দিদার হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছে মুখ না খোলার জন্য হুমকি দিচ্ছে। এ নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করবে তাদের পরিণতিও দিদারের মতোই হবে বলেও তারা জানাচ্ছে।

জানা গেছে, দিদার হত্যার বিচার চেয়ে প্রশাসনের কাছে ধর্না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা ৩১ জানুয়ারি স্থানীয় ইউপি মেম্বার আলমগীরের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

উল্লেখ্য, ৮ জানুয়ারি ফজরের নামাজের পর উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফোরকান আহমদের বড় ছেলে যুবলীগ নেতা দিদারকে ডেবাংগাকাটা গ্রামে তার বাড়ির কাছেই সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। এর পরপরই র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। খবর পেয়ে মহেশখালী থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এসময়  দিদারের লাশ ও কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।

দিদারের পরিবারের দাবি র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো ফেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

সম্প্রতি একদল সাংবাদিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে গ্রামের নারী-পুরুষ অনেকেই সেদিনের লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসীরা জানান, এ পৈশাচিক হত্যার পর প্রশাসনের কেউ খবর নিতে আসেনি। সাংবাদিকরাই প্রথম এসেছে। তাদের কাছে এ বিষয়ে মুখ খুললে বিপদে পড়ার আশঙ্কা করেন গ্রামবাসী।

দিদারের ছোট বোন রিজিয়া তার ভাইয়ের হত্যার বিচার দাবি করে পরিবারের অপরাপর সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য আবেদন জানান।

বড় মহেশখালী ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য জয়নাব বেগম তার এলাকায় সন্ত্রাসী সালাহ উদ্দিন বাহিনীর নানা অপকর্ম ও অপরাধের কথা স্বীকার করে জানান বর্তমানে এলাকাবাসী তাদের জানমাল নিয়ে উদ্বিগ্ন।

মহেশখালী থানার এসআই জহির বলেন, “ইউপি সদস্য আলমগীরের বসতবাড়ি ও সালাহ উদ্দিনের গোয়াল ঘরে ৩১ জানুয়ারি রাতে কে কারা অগ্নিসংযোগ করে। আমি মামলা দুটি তদন্ত করছি। তবে ঘটনার ব্যাপারে একে অপরকে দায়ী করছে।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ইউপি সদস্য আগে মামলা করেন পরে সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে  পাল্টা মামলা দায়ের করা হয়।

ইউপি সদস্য আলমগীর জানান, তার ভাই দিদারকে হত্যার পর সন্ত্রাসীরা ওইদিন রাতে তার বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়।

এস আই জহির জানান, সালাহ উদ্দিন একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি  ৮ জানুয়ারি থেকে পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইকবাল জয়নাল দিদার হত্যা নিয়ে র‌্যাব একটি এজাহার দায়ের করেছে।

বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিত বড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দিদার হত্যার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এদিকে দিদার হত্যার মামলা নথিভুক্ত না করায় মহেশখালী থানার ওসি রঞ্জিত বড়ুয়াকে শোকজ করেছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ওসিকে স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

নিহত দিদারের পিতা ফোরকান আহমদের দায়ের করা একটি রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বেঞ্চ এ শোকজ করেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

কক্সবাজারে দুটি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার

কক্সবাজারে ঈদগাঁও বাজার এলাকা থেকে দুইটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোররাতে বাজার সংলগ্ন বায়তুশ শরফ হাফেজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠ থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।

এ অস্ত্রগুলো ঈদগাঁও বাজারের দুই হুণ্ডি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ছিনতাইকালে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ওই ঘটনায় আটককৃত আমামিরা স্বীকার করেন।

পুলিশ জানায়, আটককৃত ছিনতাইকারী আল আমিন, শহিদ উল্লাহ ও শামশুল আলম পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই স্থানে অস্ত্রগুলো রেখে যায়। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

কক্সবাজারে দুটি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার

কক্সবাজারে ঈদগাঁও বাজার এলাকা থেকে দুইটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোররাতে বাজার সংলগ্ন বায়তুশ শরফ হাফেজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠ থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।

এ অস্ত্রগুলো ঈদগাঁও বাজারের দুই হুণ্ডি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ছিনতাইকালে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ওই ঘটনায় আটককৃত আমামিরা স্বীকার করেন।

পুলিশ জানায়, আটককৃত ছিনতাইকারী আল আমিন, শহিদ উল্লাহ ও শামশুল আলম পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই স্থানে অস্ত্রগুলো রেখে যায়। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

কক্সবাজারে ২ কেজি হেরোইনসহ যুবক আটক

কক্সবাজারের বাংলাবাজার এলাকায় একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে দুই কেজি হেরোইসনসহ যুবককে আটক করেছে বিজিবি।

বিজিবি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর এস এ রাকিবের নেতৃত্বে ৪২ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা কক্সবাজার-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বাংলাবাজার এলাকায় অবস্থান নেয়। সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে কক্সবাজারমুখী সৌদিয়া পরিবহণের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে একটি ব্যাগ উদ্ধার করে। এসময় ওই ব্যাগে ছোট ছোট প্যাকেট ভর্তি অবস্থায় এক কেজি ৯০০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়। এগুলো বহনের অভিযোগে ওই বাসের সুপারভাইজার সেলিমকে আটক করা হয়। তার বাড়ি চট্রগ্রামের পটিয়া উপজেলায়।

বিজিবি জানায়, ঢাকা থেকে এই চালানটি বহন করে তিনি টেকনাফের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। চালানটি মিয়ানমারে পাচার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

টেকনাফে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারসহ আটক ৭

বঙ্গোপসাগর থেকে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারসহ সাত যাত্রীকে আটক করেছে বিজিবি। এদের মধ্যে চারজন মায়ানমারের নাগরিক। মঙ্গলবার রাত সাড়ে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপের মোহনা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের মায়ানমারের নাগরিকরা হলেন- কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের সলিম উল্লাহ (৩২), আবুল ইসলাম (২১), আবুল হোসেন, মিয়ানমারের মংড়ু আকিয়াব এলাকার মোহাম্মদ হাসেম (১৮)।

বাকিরা হলেন- শাহপরীর দ্বীপ বাজারপাড়া এলাকার মোহাম্মদ ওসমান গণি (৩০), টেকনাফ পৌরসভার অলিয়াবাদ এলাকার আবদুল হক (২৩) এবং করাচিপাড়া গ্রামের ইলিয়াছ (২৮)।

টেকনাফস্থ ৪২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহেদ হাসান জানান, প্রায় ২০০ লোক ট্রলারযোগে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার যাত্রা করে। কিছুদূর যাওয়ার পর শাহপরীর দ্বীপের ১০-১২ জন অন্য একটি ট্রলার নিয়ে ওই ট্রলারকে ধাওয়া করে।

এক পর্যায়ে ট্রলারটি কূলে নিয়ে এলে যাত্রীরা লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘোলাপাড়া সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাঁচজনকে আটক করে বিজিবি। পরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারটিও জব্দ করা হয়।

অপরদিকে একই সময়ে টেকনাফ থানা পুলিশ  ঘোলারপাড়া এলাকা দিয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে মিয়ানমারের মংডু আকিয়াব মোহাম্মদ ইদ্রিস এবং টেকনাফ সাবরাং করাচি পাড়ার ইলিয়াছকে আটক করে।

Tuesday, February 07, 2012

টেকনাফে লবণ উৎপাদন শুরু দাম বৃদ্ধিতে চাষিরা খুশি

বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় উপজেলা টেকনাফে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও ঘন কুয়াশা না থাকায় এবার উৎপাদনও ভালো হচ্ছে।
পাশাপাশি চলতি মওসুমে উৎপাদিত লবণের দাম ভালো পাওয়ায় চাষিদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে।

লবণের দাম বৃদ্ধিকে পুঁজি করে অসাধু চোরাকারবারি সিন্ডিকেটগুলো পাশের রাষ্ট্র মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে লবণ আমদানির চেষ্টা চালাচ্ছে। বিভিন্ন সিন্ডিকেট চক্র ইতোমধ্যে মিয়ানমারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও চাষিদের দাদন দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লবণ চাষ পরিদর্শন করে জানা যায়, শাহপরী দ্বীপ, সাবরাং, নয়াপাড়া, টেকনাফ সদর, হ্নীলা, হোয়াইক্যংয়ের বিভিন্ন এলাকায় পাঁচ হাজার একর জমিতে লবণ উৎপাদনের কাজ চলছে। উৎপাদনও হচ্ছে বাম্পার। এ সব লবণ ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
শাহপরী দ্বীপের চাষি আলী আহমদ জানান, তার নিজের ৮৫ কানি জমি রয়েছে। এসব জমিতে বর্গাচাষি দিয়ে লবণ উৎপাদন করা হচ্ছে। তিনি উৎপাদিত লবণ ক্রয় করে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সরবরাহ করেন। এবারে চাষিরা উৎপাদিত লবণের উচ্চমূল্য পাওয়ায় মাঠের চাষিরা আনন্দিত। দিনরাত পরিশ্রম করে বেশি লবণ উৎপাদনের প্রতিযোগিতা চলছে।
ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় চলতি মওসুমে লবণের মূল্য বেড়ে যায়। বর্তমানে চাষিরা মণপ্রতি লবণের দাম পাচ্ছেন ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা, যা গত মওসুমের তুলনায় চার গুণ বেশি। গত মওসুমে পানির দরে লবণ বিক্রি হয়। প্রতিদিন টেকনাফ থেকে ট্রাকভর্তি করে বিপুল লবণ ঢাকা ও চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হয়।
লবণের দাম বৃদ্ধিতে অধিক মুনাফার লক্ষ্যে টেকনাফ সদর, সাবরাং ও লেদা এলাকার কয়েকটি চোরাকারবারি সিন্ডিকেট মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে লবণ আনার প্রস'তি নিয়েছে বলে জানা গেছে।
সীমানে- এসব চোরাকারবারির তৎপরতাও লক্ষ করা গেছে। স্থানীয় লবণচাষি, জমিমালিক ও ব্যবসায়ীরা লবণ চোরাচালান রোধে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কক্সবাজার ইট কংক্রিটের শহরঃ সৌন্দর্য্য বিমুখ হচ্ছে পর্যটকরা

পর্যটন জেলা কক্সবাজারে ইকো ট্যুরিজমের বিকাশ না ঘটায় পর্যটনের প্রসার ঘটছে না।
জেলার বিভিন্নস্থানের পর্যটন স্পটে ইকোট্যুরিজম গড়ে তোলার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সম্ভাবনা সরকার কাজে লাগালে এখানে বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা দ্বিগুণ বাড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে। স্থানীয় শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি সরকার আয় করতে পারবে বিপুল পরিমান রাজস্ব।

এদিকে ইট কংক্রিটের হিসেবে পরিণত হয়েছে পর্যটন শহর কক্সবাজার। ফলে পরিকল্পিত পর্যটন নগরায়নের প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করছে। ককসবাজারে ইকো ট্যুরিজমের প্রসারে বর্তমান মহাজোট সরকারের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নানা কারনে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। পর্যটন নগরী কক্সবাজার।

এখানে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত রয়েছে। খুব ভালো জায়গা হয়তো কম কিন্তু কক্সবাজার জেলাতেই কিছু জায়গা আছে যা দেশী বিদেশী পর্যটকদের শহুরে কান্তি ভুলিয়ে দিতে পারে।

এমন কিছু জায়গার খোঁজে পাওয়া যাবে তা হচ্ছে কক্সবাজার শহরের পার্শ্বে সমুদ্র সৈকত, কলাতলী, দরিয়া নগর, হিমছড়ি, পাথুরে বিচ ইনানী, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, নিঝুম দ্বীপ, ছিরা দিয়া, সোনাদিয়া, কুতুবদিয়া, আদিনাথ মন্দির, ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কসহ আশপাশ মনোরম একাধিক এলাকা। যে স্থানে সমুদ্রের সংযোগ, তার তীরবর্তী এলাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে পর্যটকদের সব সময় ছুটে চলা।

কিন্তু এখানে পর্যটকদের জন্য তেমন কোন সুযোগ সুবিধা গড়ে উঠেনি। শুধু অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে তোলা ভবন গুলোকে মনে করা হচ্ছে পর্যটন। পর্যটনের অপার সম্ভাবনা থাকা সত্বেও এখানে সেভাবে গড়ে উঠেনি। শুধু দালান কোটা আর হোটেল রেস্তোরাকে কেন্দ্র করে ভাবা হচ্ছে পর্যটন। দিন দিন কক্সবাজার দালানকোটার ভারে ভারি হয়ে উঠছে গিঞ্জি নগরী কক্সবাজারে। বিদেশীদের জন্য গড়ে উঠেনি এক্সকুসিভ ট্যুরিষ্ট জোন। এর পরেও সমুদ্রের টানে এখানে ভ্রমনে আসছেন হাজারো দেশী-বিদেশী পর্যটক।

আমেরিকা থেকে আগত পিটার নামের এক বিদেশী পর্যটক জানান, দেশের বাইরে কোথাও ভ্রমনে যেতে চাইলে সবার আগে যে জায়গার কথা মাথায় আসে তা হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত শহর কক্সবাজার। ভ্রমন মানে একটু অবকাশের আশা। যেখানে সমুদ্রও থাকবে আর তার সাথে সৈকতের নির্জনতাও। এমন এক একটি সমুদ্র সৈকত  হচ্ছে ইনানী, হিমছড়ি, পেঁচারদ্বীপ, সোনাদিয়া, সেন্টমার্টিন কিংবা কুতুবদিয়া।

এখানে ইকো ট্যুরিজম গড়ে তোলার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। মেঘের সঙ্গে রোদের খেলা আর সাগরের ঢেউ পর্যটকদের নিয়ে যায় এক অদ্ভুত মায়াবী জগতে। পৃথিবীর অন্যান্য সমুদ্রতীরের সঙ্গে বাংলাদেশের তথা কক্সবাজারের সমুদ্রতীরের রয়েছে বিরাট পার্থক্য। সমুদ্র সবাইকে কাছে টানে। তাই আসে পর্যটক। কক্সবাজারের ইকো ট্যুরিজমের প্রসার ঘটলে বাড়বে বিদেশী পর্যটক। দালান কোটা সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে শৈল্পিকতাকে কাজে লাগালে সরকারের এখাতে বাড়বে আয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ প্রথা চালু রয়েছে। সে কারণে সে দেশ গুলোতে সারা বছরই যাচ্ছে পর্যটক।

জেলা প্রশাসক মো. জয়নুল বারী সংবাদ২৪.নেট’কে জানান, বর্তমান সরকারের স্বদিচছা রয়েছে কক্সবাজারে পরিবেশবান্ধব ইকোট্যুরিজম গড়ে তোলার। সংসদে পর্যটন নীতিমালাও পাশ হয়েছে।

শীঘ্রই কক্সবাজারকে পরিবেশ বান্ধব পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মাষ্টার প্ল্যানের আশার কথাও জানান তিনি।

Sunday, February 05, 2012

শীতল পাটি তৈরি করে সংসার চালান রামুর ছেনুয়ারা বেগম

কাজ পাগল গৃহবধূ ছেনুয়ারা বেগম। শীতল পাটি তৈরি করে ধরে রেখেছেন সংসারের হাল।
পাটি বিক্রির টাকায় চলে তিন সন্তানের লেখাপড়া আর সংসারের ভরণ পোষণ।

এছাড়াও হাঁস-মুরগি, ছাগল পালন, ঘরের চালে শিমসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেন ছেনুয়ারা বেগম। এসব কাজের মাঝে অবসর পেলে স্থানীয় লোকজনের পানের বরজেও কাজ করেন তিনি। এতে বাড়তি আয় জুটে তার। জীবিকার তাগিদেই এমন সংগ্রামী জীবন কাটাচ্ছে ছেনুয়ারা বেগম। ছেনুয়ারা বেগম কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের মনিরঝিল পশ্চিমপাড়ার দিনমজুর মুফিজুর রহমানের স্ত্রী।
প্রায় ১৩ বছর আগে ছেনুঅয়ারা বেগমের বিয়ে হয়। এর পর থেকেই পাটি তৈরির করে আসছেন তিনি। তার তৈরি পাটি বিক্রির অর্থই বর্তমানে এ সংসারের জীবিকার প্রধান উত্স।
ছেনুয়ারা বেগম জানান, ১২-১৩ বছর ধরে তিনি পাটি তৈরির কাজ করে আসছেন। পাটি বিক্রির টাকায় তিনি সংসারের অধিকাংশ ব্যয় নির্বাহ করেন। তিনি আরও জানান, তিনি শীতল ও বুকার এ দু’ধরনের পাটি তৈরি করেন। বড় আকারের একটি শীতল পাটি তৈরি করতে সময় লাগে ১০ থেকে ১২ দিন। আর তা বিক্রি হয় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ছোট আকারের শীতল পাটি তৈরিতে সময় অনেক কম লাগে। বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। বড় সাইজের বুকার পাটি তৈরি করতে সময় লাগে ৪-৫ দিন। এটি বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। আর ছোট বুকার পাটি বিক্রি হয় ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। পাটি তৈরির প্রধান উপকরণ জাম আর রং কিনে নিতে হয়। ছেনুয়ারা বেগম পাটি তৈরির পাশাপাশি হাঁস, মুরগি, ছাগল পালন, ঘরের চালে শিম এবং বাড়ির পাশে খোলা জায়গায় বিভিন্ন সবজিও চাষ করেন যা দিয়ে ঘরের চাহিদা পূরণসহ বিক্রি করে সংসারের অনেক খরচ মেটাতে পারেন।
ছেনুয়ারা বেগমের তিন ছেলে-মেয়ের সবাই স্কুলে পড়াশোনা করছে। এর মধ্যে বড় মেয়ে মিতা নুর আকতার ষষ্ঠ শ্রেণী, ছোট মেয়ে আসমাউল হুসনা প্রথম শ্রেণী এবং ছেলে মো. সায়েম শিশু শ্রেণীতে অধ্যয়নরত আছে। সম্প্রতি ছেনুয়ারা বেগম পাটি বিক্রির টাকায় ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার জন্য চেয়ার টেবিলও তৈরি করেছেন। ছেনুয়ারা বেগমের স্বামী মুফিজুর রহমান জানান, ভিটেবাড়ি ছাড়া তাদের বাড়তি কোনো জমি নেই। তাই স্ত্রীর এসব আয়েই তার সংসার ভালোভাবে কেটে যাচ্ছে। তিনি মাঝে মধ্যে দিনমজুর হিসেবে কাজ করলেও সে টাকায় তার সংসার এবং সন্তানদের লেখাপড়া চালানো সম্ভব হতো না। ছেনুয়ারা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। হতদরিদ্র কর্মসূচির আওতায় পাটি তৈরির ক্ষুদ্র ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে ওই সংস্থার পক্ষ থেকে ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে ছেনুয়ারা বেগমকে ৪ হাজার টাকা দেয়া হয়। ব্র্যাক হতদরিদ্র কর্মসূচি রামু কাউয়ারখোপ কার্যালয়ের শাখা ব্যবস্থাপক আবদুর রশিদ মোল্লা জানান, ছেনুয়ারা বেগম পাটি তৈরি করে সংসারের হাল ধরে রেখেছে। তার এ উদ্যোগকে টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি ওই পরিবারের সদস্যদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে ব্র্যাক ছেনুয়ারা বেগমকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। এ সহায়তা ঋণ নয় এবং তা পরিশোধও করতে হবে না।

ঋণ দিয়েছে কৃষি ব্যাংকঃ রামুর সংরক্ষিত বনে মুরগির খামার

কক্সবাজারের রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সংরক্ষিত বনের গহিন অরণ্যে প্রায় দুই একর জমি দখল করে মুরগির খামার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
 
এরই মধ্যে কয়েক শ গাছ কেটে দ্বিতল ভবনের কাঠামো দাঁড় করানো হয়েছে।

‘আরিশাহ মিশ্র খামার’ নামের মুরগির খামারটি করছেন বেসরকারি সংস্থা ‘গ্রিন কক্সবাজার’-এর নির্বাহী পরিচালক ও কক্সবাজার পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল কাদের চৌধুরী। এ জন্য তিনি কৃষি ব্যাংক, কক্সবাজার শাখা থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণ (এসএমই) প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বন কর্মকর্তা জানান, নির্মাণাধীন ভবনটি বনবিভাগের গেজেটের আরএস-৪০০৫ দাগের অন্তর্ভুক্ত জমিতে পড়েছে। তাঁদের নির্দেশে ছয়-সাত দিন আগে ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ভবনের মালিক ফজলুল কাদের চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সারা জীবন পাহাড় কাটা ও সমুদ্র সৈকত দখলসহ পরিবেশ রক্ষা নিয়ে আন্দোলন করেছি। এখন আমি পরিবেশ নষ্ট হয়—এমন কাজ করব কেন? বনবিভাগ দাবি করছে, এই জমি নাকি তাদের। প্রমাণ হলে জমি ছেড়ে দেব।’
স্থানীয় লোকজন জানান, গহিন অরণ্য ও পাহাড়ের ভেতর গাছপালা কেটে ভবন তৈরি করার সময় স্থানীয় লোকজন বাধা দেন। তখন তাঁদের বলা হয়, এটি সরকারি খামার প্রকল্প। কৃষি ব্যাংকের টাকায় ভবন তৈরি করা হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পাঁচ শতাধিক লোকের কর্মসংস্থান হবে। এ কারণে ভবন নির্মাণে এত দিন কেউ বাধা দেননি। অনেক দিন ধরে এ ভবনে অস্ত্রধারী কিছু যুবকের অবস্থান লক্ষ করা যায়। বিষয়টি সন্দেহ হলে গত ৩১ ডিসেম্বর স্থানীয় বাসিন্দারা প্রধানমন্ত্রী, বন ও পরিবেশমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে একটি অভিযোগপত্র পাঠান। এতে কৃষি ব্যাংক ও বনবিভাগের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশ থাকার অভিযোগ আনা হয়।
২২ জানুয়ারি সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সবুজবাগ এলাকার বনতলায় বহুতল ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ভবনের দ্বিতীয় তলার কাঠামো দাঁড় করানো হয়ে গেছে। এর কয়েক শ গজ দূরে পানেরছড়া বনবিট কার্যালয়। এটি তৈরি করতে কয়েক শ ইউকেলিপ্টাস ও আকাশমনিগাছ কাটা হয়েছে বলে বন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর চারপাশ ঘিরে আরও অনেক গাছ দেখা গেছে। এর উত্তরে একটি কাঁচাঘর আছে। উল্টো দিকে আরেকটির খুঁটি পোঁতা হয়েছে। এসবের দেখভাল করছেন কয়েকজন শ্রমিক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শ্রমিক জানান, বনবিভাগের লোকজন কয়েক দিন আগে এসে ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। তাই তাঁরা অলস বসে আছেন।
কক্সবাজার (দক্ষিণ) বনবিভাগের পানেরছড়া বনবিট কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি এ বিটের দায়িত্ব নিয়েছি দেড় মাস আগে। এর আগেই ভবনটি তৈরি হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যেখানে ভবনটি উঠছে, সেখানে বনবিভাগের গেজেটের আরএস-৪০০৫ দাগের অন্তর্ভুক্ত সংরক্ষিত বন। ফজলুল কাদের এ দাগের প্রায় দুই একর বনভূমি নিজের দাবি করে ভবনটি নির্মাণ করছেন।
পানেরছড়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা তাপস সন্যাল জানান, ভবনটি গহিন অরণ্যের যেখানে তৈরি করা হচ্ছে, সেখানে কোনো লোকজনের আসা-যাওয়া নেই। জঙ্গলের কারণে এটি দেখা যায় না। কিছুদিন আগে বনাঞ্চল পরিদর্শনে গিয়ে ভবনটি নজরে পড়ে। তখনই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কক্সবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বিপুল কৃষ্ণ দাশ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সরেজমিন অনুসন্ধান করে এ ব্যাপারে আইনিব্যবস্থা নেব। সংরক্ষিত বনের জমিতে কাউকে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।’
কৃষি ব্যাংক, কক্সবাজারের মুখ্য আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন বলেন, ‘জমির বিপরীতে দলিল দেখেই ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আমরা এ পর্যন্ত প্রায় ৭৫ লাখ টাকা ফজলুল হক চৌধুরীকে দিয়েছি। যা দিয়ে তিনি সেখানে বহুতল ভবন তৈরি করছেন। এখন যদি ওই জমি বনবিভাগের বলা হয়, তাহলে সমস্যা দেখা দেবে।’

টেকনাফের প্রাচীন বৌদ্ধবিহার নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে

দখলদারদের থাবায় বিলুপ্ত হতে বসেছে কক্সবাজারের টেকনাফের প্রাচীন হ্নীলা বৌদ্ধবিহার (সেনপ্রু ক্যাং)।
প্রায় ২০০ বছর আগে জমিদার রাপুয়া চৌধুরী এই বিহারটি প্রতিষ্ঠা করেন।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভাষাগত সংখ্যালঘু রাখাইন জনজাতির বৌদ্ধবিহারের ১১ একর জমি দখলের উদ্দেশ্যে সেখানে চালানো হয়েছে দফায় দফায় হামলা। দখলদার-সন্ত্রাসীরা কয়েক দফায় মন্দিরের দরজা-জানালা, আসবাবপত্র, কাঠের সিঁড়ি ও অবকাঠামো খুলে নিয়ে গেছে। চুরি হয়েছে মন্দিরের ২০টি প্রাচীন বুদ্ধ মূর্তির মধ্যে ১৮টিই। কোনো রকমে এখন টিকে আছে কয়েকটি নড়বড়ে খুঁটির ওপর মন্দিরের টিনের চালাটি। বিহার এলাকার বড় বড় গাছও কেটে ফেলেছে দখলদাররা। অরক্ষিত এলাকাটিতে রাখাইন জনজাতির লোকজন দিন-দুপুরেও যেতে ভয় পায়। উপরন্তু বিহারের জমিতে একে একে গড়ে উঠছে নতুন নতুন ঘর-বসতি।
রাখাইন নেতারা অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মাদ আলী ২০০১ সালে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে চুক্তি করে বিহারের প্রায় ১০ একর জমি ৯৯ বছরের জন্য ইজারা নেন। দেবোত্তর সম্পত্তি ইজারা দেওয়া বেআইনি বলে এক বছর পর ওই চুক্তি বাতিল করা হয়। কিন্তু দুই বছর ধরে বিহারের জমি দখলের চেষ্টার অংশ হিসেবে মোহাম্মাদ আলী ও তাঁর ছেলে রাশেদ মোহাম্মাদ আলী সদলবলে মন্দিরের সম্পদ লুঠপাট করে চলেছেন।
মোহাম্মাদ আলী এসব অভিযোগ স্বীকার করেননি। তিনি দাবি করে বলেন, প্রয়াত মন্দির পুরোহিত (ভান্তে) অধ্যক্ষ উপঞা বংশ মহাথেরোর কাছ থেকে বৈধভাবে বিহারের জমি ইজারা নিয়ে তিনি সেখানে ফলদ ও বনজ গাছের আবাদ করছেন। মন্দিরের সম্পদ লুটপাটের সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই।
বাংলাদেশ রাখাইন-মারমা সংঘ কাউন্সিল চেয়াম্যান ভেন উ পণ্ডিত মহাথেরো অভিযোগ করে বলেন, মোহাম্মাদ আলী বিহারের জমি দখলের জন্য দফায় দফায় সেখানে লুঠতরাজসহ নানা সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তার অভাবে সেখানে পুরোহিত দেওয়া যাচ্ছে না। সন্ত্রাসীরা কয়েক দফায় বিহারের তত্ত্বাবধায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরীদের মারপিট করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।
ভেন উ পণ্ডিত মহাথেরো জানান, প্রায় ২০০ বছর আগে জমিদার রাপুয়া চৌধুরী ওই বিহারটি প্রতিষ্ঠা করেন। এর প্রথম পুরোহিত বা ভান্তে ছিলেন উ কাওয়ানা মহাথেরো। বিভিন্ন সময় পাঁচজন ভান্তে সেখানে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করেন।
হ্নীলা বৌদ্ধবিহার রক্ষা কমিটির সদস্যসচিব ক্য জ' অং জানান, বিহার এলাকায় দুই বছর ধরে মাটির ঘরবাড়ি তুলে চার-পাঁচটি পরিবার বসতি গড়ে তুলেছে। তারা বিহারের জমিতে চাষবাসও করছে। তিনি বলেন, বিহারের জমি ও মন্দির রক্ষায় সেখানে একটি পুলিশ ফাঁড়ি প্রতিষ্ঠা করা না গেলে শিগগিরই প্রাচীন মন্দিরটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বিহারের জমিও পুরোপুরি বেদখল হয়ে যাবে।
স্থানীয় কৃষক মো. ইদ্রিস বলেন, সন্ত্রাসীদের ভয়ে রাখাইনরা এখন বিহার এলাকায় ঢুকতে ভয় পায়। আগে এখানে রাখাইন ছেলেমেয়েরা নিয়মিত লেখাপড়া করত। বিহারে নানা ধর্মীয় উৎসবও হতো।
রাখাইনপল্লী চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা ক্রং কেয়াং (৮২) বলেন, 'দুই বছর ধরে আমরা হ্নীলা বৌদ্ধবিহারে প্রার্থনা করতে আসতে পারি না। সন্ত্রাসীরা বিহারের মূর্তি চুরি করেই থেমে নেই, তারা এর দরোজা-জানালাও খুলে নিয়ে গেছে। তারা মন্দিরের খুঁটিগুলোও ভেঙে ফেলেছে।'
হ্নীলা বাজার এলাকার রাখাইন গৃহিণী নিমা (৫৫) বলেন, সন্ত্রাসীরা পাহারা বসিয়ে দিন-দুপুরে বিহার এলাকার পুরনো আম-কাঁঠাল গাছগুলোও কেটে নিয়ে গেছে। তাদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক জয়নুল বারী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রি বা ইজারা দেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। প্রাচীন হ্নীলা বৌদ্ধবিহারটি সন্ত্রাসীদের কবল থেকে উদ্ধার করে আমরা এটিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নেব। কোনো ক্রমেই ভাষা ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু রাখাইনদের বিহার এবং মন্দির বেহাত হতে দেওয়া যায় না।'
জেলা পুলিশ সুপার সেলিম মো. জাহাঙ্গীর জানান, এরই মধ্যে সহকারী পুলিশ সুপারের (উখিয়া সার্কেল) তদন্তে হ্নীলা বৌদ্ধবিহার দখলের নেপথ্যে একটি প্রভাবশালী মহলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাখাইনরা আদালতে মামলা করলে পুলিশের পক্ষে বিহার ও মন্দিরের জমি দ্রুত পুনরুদ্ধারে সুবিধা হবে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, বিহারের জমি রক্ষায় রাতারাতি সেখানে পুলিশ ফাঁড়ি বসানো সম্ভব না হলেও টহল জোরদার করা হবে। তবে বিহারটি রক্ষায় রাখাইনদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এদিকে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মাদ আলী তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'বিহারের ইজারাকৃত জমিতে আমার ছেলে (রাশেদ মোহাম্মাদ আলী) ৩২ হাজার ফলদ ও বনজ গাছ লাগিয়েছে। এখন প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ পেলে আমি ইজারার দাবি ছেড়ে দেব। মন্দিরের টিলা নিয়ে আমি কি করব?' তিনি আরো বলেন, বিহার এলাকায় রাখাইন বসতি না থাকায় সেখানের মন্দিরের সম্পদ চুরি হচ্ছে। প্রয়াত মন্দির পুরোহিত বিহারের জমি বিক্রি করে সেখানে বাঙালি বসতি গড়ার অনুমতি দিয়েছেন। তাই এখন সেখানে ঘরবাড়ি উঠছে।

কুতুবদিয়ায় মন্ত্রী-আমলার আগমন ছাড়া রাস্তাঘাট সংস্কার হয় না

কুতুবদিয়ার প্রধান সড়কসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের সড়কগুলোর বেহাল দশা।
১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত রাস্তাগুলোর তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি দীর্ঘ ২০ বছর।

স্থানীয় নেতা ও ঠিকাদাররা রাস্তাগুলো সংস্কার করলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
১নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজদৌল্লাহ জানান, তার এলাকার রাস্তাগুলোর এত করুণ অবস্থা যা না দেখলে বুঝা যাবে না। রাস্তাগুলো হচ্ছে বাইঙ্গাকাটা রোড, জুম্মাপাড়া রোড, আজিজিয়া রোড, সতরুদ্দীন রোড, চাইন্দারপাড়া রোড ও পোড়ারপাড়া রোড।
দ্বীপের বিসিক শিল্প নগরীখ্যাত এলাকা লেমশীখালী। লবণের মৌসুমে সব সময় লবণ আনা-নেওয়ায় ব্যস্ত থাকে এই এলাকার রাস্তাঘাট। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতার হোসাইন জানান, ইউনিয়নের মতিবাপের পাড়া রোড, সেন্টার রোড, মিরাখালী রোড, গাইনা কাটা রোড ও দরবার ঘাট রোডের অবস্থা খুব খারাপ।
উপমহাদেশের আধ্যাত্মিক সাধক হযরতুল আল্লামা শাহ্ আব্দুল মালেক আল-কুতুবী (রহ.) প্রতিষ্ঠিত কুতুব শরীফ দরবার ও বাতিঘরখ্যাত দ্বীপের ২নং দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়ন। প্রতিদিন হাজার হাজার পুণ্যার্থী জিয়ারত করতে আসেন দরবার শরিফে। প্রতি বৎসর ১৯ ফেব্রুয়ারি বার্ষিক ফাতিহায় শরিফে লক্ষ লক্ষ ভক্তের ঢল নামে। তাই ফাতিহা শরিফে আগত ভক্তবৃন্দ ও জনসাধারণের চলাচলে ভাঙাচোরা রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন দরবার শরিফের পরিচালক শাহজাদা শেখ ফরিদ আল কুতুবী।
গত বৎসর প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. আফসারুল আমিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আব্দুল করিম ও আগমন উপলক্ষে রাস্তাঘাটের বেশ সংস্কার করা হয়। যা ১০-১৫ দিনের মধ্যে আবারও পুরনো রূপ ফিরে পায়। দ্বীপবাসীর বড় দুঃখ হল সরকারের উচ্চপর্যায়ের সচিব বা মন্ত্রীদের আগমন ছাড়া দ্বীপের রাস্তাঘাটের কোন উন্নয়ন হয় না। তাই ভালোভাবে রাস্তা সংস্কারের দাবি কুতুবদিয়াবাসীর।

মহেশখালীর বজল ডাকাত ও পুলিশ অফিসার পরেশ হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবি

মহেশখালীর শীর্ষ সন্ত্রাসী, কুখ্যাত বজল ডাকাত ও তার বাহিনীর অন্য সদস্য
এবং পুলিশ অফিসার এসআই পরেশ কুমার কারবারীর হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে

স্থানীয় উত্তর নলবিলায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী জনগণকে সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে চট্টগ্রামের মহেশখালী উন্নয়ন ফোরাম ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানবন্ধনে মহেশখালীর প্রবেশ দ্বার উত্তর নলবিলা গ্রামের চালিয়াতলীতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে সচেতন নাগরিক ও সুশীল সমাজের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

আবাদি জমিতে তামাক চাষ

চকরিয়ায় এ বছরও বিপুল পরিমাণ আবাদি জমিতে চাষ হয়েছে তামাক।
স্থানীয়ভাবে তামাক কোম্পানিগুলো চাষিদের বেশি মুনাফার প্রলোভনে ফেলে তামাক চাষ করেছে।

তামাকের আগ্রাসনে হুমকির মুখে পড়েছে উপজেলার খাদ্য নিরাপত্তা। জমি হারাচ্ছে উর্বরতা শক্তি। এ অবস্থার কারণে ব্যাপক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে পরিবেশ সচেতন মহল। প্রতি বছর তামাক চাষের পরিধি বাড়তে থাকায় হ্রাস পাচ্ছে আবাদি জমি। অন্যদিকে মালিকরা তামাক জমির ইজারা বেশি পাওয়ায় ইরি-বোরো ও সবজি চাষের জমি সাধারণ কৃষকদের অল্প টাকায় বর্গা দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে।
চকরিয়ার সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, ফাসিয়াখালী, চিরিংগা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী হারবাং ও বমুবিলছড়ি ইউনিয়নে ব্যক্তিমালিকাধীন আবাদি জমিতে এ বছরও তামাকের ব্যাপক চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি বর্গাচাষি সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন জানিয়েছেন, আবাদি জমিতে তামাক আগ্রাসনের কারণে জমির মালিকরা প্রতি বছর ইজারামূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। তারা তামাক ক্ষেতের জমি বর্গা দিতে পারলে আর্থিকভাবে লাভবান হবে বেশি, তাই ইরি-বোরো ও সবজিচাষিরা ওই মূল্যে জমি বর্গা নিতে পারেন না। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল বলেন, তামাক চাষ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক, এতে কোনো সন্দেহ নেই; কিন্তু এখানে নিয়োজিত টোব্যাকো কোম্পানিগুলোর ফাঁদে আটকে পড়ে কৃষকরা এ চাষ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তামাক চাষ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন। তামাকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনে নিয়োজিত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উবিনীগ, কক্সবাজারের আঞ্চলিক সমন্বয়ক রফিকুল হক টিটো বলেন, তামাক চাষের কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আতিক উল্লাহ বলেন, বোরো চাষের বরাদ্দকৃত সার তামাক ক্ষেতে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে এরকম কোনো ঘটনায় ডিলার, খুচরা বিক্রেতা ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।