Sunday, September 18, 2011

জেমকন সাহিত্য পুরস্কার পেলেন পারভেজ হোসেন ও মুম রহমান

০১১ সালের জেমকন সাহিত্য পুরস্কার ও জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কথাসাহিত্যিক পারভেজ হোসেন ও মুম রহমান। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রূপসী বাংলা হোটেলের বলরুমে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
পারভেজ হোসেনকে তাঁর 'যে জীবন ফড়িঙের, দোয়েলের' গ্রন্থের জন্য নগদ দুই লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র এবং মুম রহমানকে তাঁর 'অন্ধকারের গল্পগুচ্ছ' নামে গল্পের পাণ্ডুলিপির জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়েছে। জেমকন গ্রুপের চেয়ারম্যান কাজী শাহেদ আহমেদ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে এ অর্থমূল্য তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে প্রথমেই মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট শিল্পী অদিতি মহসিন। বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় তিনি গেয়ে শোনান রবীন্দ্রনাথের কিছু গান। এতে সাহিত্য আসরের অন্য রকম আবহ সৃষ্টি হয়েছিল। কেননা, মিলনায়তনের বাইরে তখন গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। গানের পর শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল পর্ব।
গানের পর মূল অনুষ্ঠানে তরুণ কথাসাহিত্যিক মুম রহমানের গল্প সম্পর্কে আলোচনা ও সম্মাননা পাঠ করেন ভারতের কবি রণজিৎ দাশ। কথাসাহিত্যিক পারভেজ হোসেনের গল্প নিয়ে আলোচনা ও সম্মাননা পাঠ করেন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। পরে পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই লেখককে উত্তরীয় পরিয়ে দেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও কাজী নাবিল আহমেদ।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেমকন গ্রুপের পরিচালক ড. কাজী আনিস আহমেদ। তিনি বলেন, 'আমরা ২০০০ সাল থেকে কাগজ সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তন করি। পরে ২০০৭ সাল থেকে তা জেমকন সাহিত্য পুরস্কার নামে প্রতি বছর প্রদান করে আসছি। বাংলা সাহিত্যের সৃজনশীল লেখকদের সম্মানিত করার জন্যই মূলত এ পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। জেমকন সাহিত্য পুরস্কার সৃষ্টিশীল লেখকদের প্রেরণা জোগাবে বলে আমার বিশ্বাস।'
পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কথাসাহিত্যিক পারভেজ হোসেন বলেন, পুরস্কার আসলে জোনাকির মতো, ফুর্তি ও উৎসবের মধ্যেই তা শেষ। কিন্তু পুরস্কারপ্রাপ্তি বা স্বীকৃতি লেখককে কঠিন দায়িত্বের মধ্যে ফেলে। আবার এই দায়বোধের পাশাপাশি পুরস্কারপ্রাপ্তি লেখককে আরো নতুন উদ্যমে কাজ করার প্রেরণা জোগায়। তবে লেখকের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার আসলে পাঠকের ভালোবাসা। জেমকনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তরুণ কথাসাহিত্যিক মুম রহমান বলেন, 'এ পুরস্কার পেয়ে যেমন আনন্দ অনুভব করছি, তেমনি অনেক বেশি দায়িত্ব মাথার ওপর এসে গেল বলে মনে হচ্ছে। আমি মনে করি, জেমকনের এ পুরস্কার তরুণদের জন্য ভবিষ্যত সৃজনশীল কাজে প্রেরণা জোগাবে।' অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কবি মোহাম্মদ রফিক, কবি কামাল চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক মঈনুল আহসান সাবের, কবি খোন্দকার আশরাফ হোসেন, অধ্যাপক ড. রফিকুল্লাহ খান, কবি শামীম রেজা, কথাসাহিত্যিক আহমাদ মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

No comments:

Post a Comment