Monday, June 04, 2012

কক্সবাজারে বিজিবি-নাসাকার সমন্বয় সভা

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী নাসাকার মধ্যে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সমন্বয় সভা শনিবার বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিজিবি’র কক্সবাজার ১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন রেস্ট হাউজে সমন্বয় সভায় মিয়ানমারের ১০ সদস্য প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন নাসাকা ডাইরেক্টর অং জি এবং বিজিবির ৮ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের পক্ষে চট্টগ্রাম সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গোলাম ফারুক নুরে কমর চৌধুরী।
সভা শেষে বিজিবি চট্টগ্রাম সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গোলাম ফারুক নুরে কমর চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, আগামী ২২ থেকে  ২৬ জুন অনুষ্ঠিতব্য মহাপরিচালক বিজিবি এবং মহা পরিচালক পিপলস্ মিলিশিয়া অ্যান্ড বর্ডার গার্ড ফোর্সেস মিয়ানমার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সমন্বয় সভা এটি। সভায় সম্মেলন  বিষয়ে  প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক বিষয়াদির উপর ফলপ্রসু আলোচনা করা হয়।

মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সভা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের উদ্দেশে, সেক্টর কমান্ডার এবং ডাইরেক্টর এর মধ্যে এই সমন্বয় সভা অত্যন্ত ফলপ্রসু এবং কার্যকরী হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সমন্বয় সভায় বিজিবি চট্টগ্রাম সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছাড়াও অধিনায়ক, ১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন, সদর দপ্তর বিজিবি এর জিএসও-১ (অপারেশন ও গোয়েন্দা), ১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক এবং চট্টগ্রাম সেক্টরের জিএসও-২।

উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালের পর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক এ বছর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবং দীর্ঘদিন পর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা ও চোরাচালান রোধে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে বলে আশা করা যায়।

কক্সবাজারের প্রথমবারের মতো নারী সহায়ক কর্মকর্তা নিয়োগ

নারী নির্যাতন, ইভটিজিং সহ নারীদের প্রতি সব ধরনের সহিংসতা রোধ ও নারীর অবদানের  স্বীকৃতি এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো

কক্সবাজার জেলার আট থানায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে নারী সহায়ক কর্মকর্তা। এ কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে সরকারের নারী উন্নয়ন নীতি এগিয়ে গেল আরো একদাপ। এমনটাই মনে করছেন সাধারণরা।

নারী কখনো মা, কখনো বোন, কখনো কন্যা। সম্প্রীতির এ বন্ধন নিয়েই আমাদের জীবন আর আমাদের সমাজ। আর এ সমাজে নারীদের আলাদাভাবে সম্মান দিতে ও তাদের সমস্যা নিরসনে কক্সবাজার জেলা পুলিশ আটটি থানায় বিশেষ সেবা কেন্দ্রে খুলেছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানা চত্বরে জেলা পুলিশ আয়োজিত নারীর প্রতি আমাদের সম্মান শীর্ষক মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে  এ কর্যক্রমের যাত্রা শুরু হলো।

কক্সবাজারের সব  থানায় আলাদা মোবাইল দিয়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে আট নারী সহায়ক কর্মকর্তা। তাদেরকে দেয়া হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ। আট থানার আটজন নারী সহায়ক কর্মকর্তা নিয়োগের ফলে নারীরা যেমন বেশি সহযোগিতা পাবেন তেমনি বেড়ে যাবে পুলিশি সহায়তা। ফলে নারী নির্যাতরে মতো ঘটনাগুলো অনেক কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ সেবা পুর্নাঙ্গরূপে চালু হলে নারী পাচার, নারী নির্যাতন ও নারীর প্রতি সহিংতা অনেকটা কমে আসবে। সে সঙ্গে পুলিশের কাছে নারী সমাজ পাবে আলাদা সম্মান এমনটা প্রত্যাশা সকলের।

কক্সবাজার সৈকত থেকে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি

কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টসহ প্রায় ১২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে স্থাপিত সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে গতকাল রোববার দুপুরে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ এ দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে সরকারি একটি অনুসন্ধানদল সুশীল সমাজসহ স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য নেয়। সৈকত থেকে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ওই অনুসন্ধানদল গঠন করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহামঞ্চদ জয়নুল বারীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অনুসন্ধানদলের প্রধান মুখলেছুর রহমান। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অরূপ চৌধুরী, আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শেখ মো. শামীম ইকবাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব দীপক কান্তি পাল, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ইব্রাহিম খলিল, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবু ছালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান জাফর আলম, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সেলিম মো. জাহাঙ্গীর, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বিপুলকৃষ্ণ দাশ প্রমুখ ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুসন্ধানদলের প্রধান মুখলেছুর রহমান বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন সব স্থাপনা সৈকত থেকে উচ্ছেদ করা হবে। কিন্তু লাবণী পয়েন্টে স্থাপিত পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী, জেলা পরিষদ, বন বিভাগসহ সরকারি কয়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনের মতামত নিয়ে হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হবে।
কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, বিজিবি রেস্টহাউস আগে পাহাড়ের ওপরে ছিল। সমুদ্রের গর্জন শোনার জন্য সেটি সৈকতে নিয়ে আসা হয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর সৈকতে বাংলো, ফাঁড়ি, বিপণিকেন্দ্র, হোটেল-রেস্তোরাঁ স্থাপন করে ব্যবসা করছে। ভ্রমণ ও বিনোদনের জন্য সৈকতে এসব অপ্রয়োজনীয়। এসব স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হোক।
ব্যক্তিমালিকানাধীন অবকাঠামোর পাশাপাশি সরকারি অবৈধ স্থাপনাও উচ্ছেদ করতে হবে বলে দাবি জানান জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী। কক্সবাজার নাগরিক কমিটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী অভিযোগ করেন, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এই সৈকতে যেকোনো ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কতিপয় ব্যক্তি নানা ব্যবসাকেন্দ্র তৈরি করেছেন।
ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতা সৈকতে নামার স্থানে শতাধিক দোকানপাট স্থাপন করেছেন বলে অভিযোগ করেন কক্সবাজার আদালতের এপিপি ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ফরিদুল আলম।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মুহামঞ্চদ শাহজাহান বলেন, শুধু লাবণী পয়েন্ট নয়, হাইকোর্টের নির্দেশমতো পুরো ১২০ কিলোমিটার সৈকত থেকে সব স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। ইনানী সোনারপাড়ার চিংড়ি হ্যাচারিগুলো পরিবেশ ধ্বংস করছে। তাই সেগুলোও উচ্ছেদ করতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বিচারে পাহাড় কাটা বন্ধের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও তা বন্ধ করতে পারছি না। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। জিওটেক্স (এক ধরনের বাঁধ) দিয়েও আমরা সমুদ্র-আগ্রাসন থেকে উপকূল রক্ষা করতে পারছি না।’

মহেশখালীতে চিংড়ি ঘেরে প্যারাবন উজাড়

উপজেলার ঘটিভাংগা এলাকার আবদুল মালেক ও তার জামাতা জাগিরাঘোনার আবু তাহেরের বিরুদ্ধে প্রায় ১০০ একর প্যারাবন এলাকা নিধন ও মাটি ফেলে সীমানা দিয়ে অবৈধ চিংড়ি ঘের নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পরিবেশ অধিদফতরের সিবিএইসিএ প্রকল্পের সহযোগী সংস্থা সুখী বাংলা ফাউন্ডেশনের জীববিদ সংরক্ষক আবদুল কাইয়ুমসহ একটি টিম সরেজমিন তদন্ত করে এবং সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলেন। পাশাপাশি পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
আবদুল কাইয়ুম বলেন, 'বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫'-এর আওতায় ১৯৯৯ সালে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সোনাদিয়া দ্বীপ ও এর পার্শ্ববর্তী ঘটিভাংগা মৌজাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য পরিবেশ অধিদফতর ও এর সহযোগী সংস্থা নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) ও সুখী বাংলা ফাউন্ডেশন (এসবিএফ) মাঠ পর্যায়ে কর্মরত। প্রকল্পের মাধ্যমে সোনাদিয়া দ্বীপের ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণ ও সৃজন, বালিয়াড়ির উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও সৃজন, সামুদ্রিক কাছিম সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভরশীল দরিদ্র ও হতদরিদ্র মানুষ নিয়ে দল গঠন, তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান এবং সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করছে।
ইউএনও এটিএম কাওসার হোসেন বলেন, সংরক্ষিত এলাকায় চিংড়ি ঘের নির্মাণ করলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উখিয়ায় ভাবীকে জবাইঃ দেবর আটক

জেলার উখিয়া উপজেলায় দেবর তার ভাবীকে জবাই করেছে। গাছ থেকে কাঁঠাল পারা নিয়ে তাদের ঝগড়া বাঁধে। তপন বড়ুয়া তার ভাবী স্ত্রী খুকি বড়ুয়াকে (৩৫) জবাই করে।

শুক্রবার সকাল ৯ টায় উখিয়ার টিঅ্যান্ডটি এলাকায় এ ঘটনা। পুলিশ ঘাতক তপন বড়–য়াকে আটক করেছে।

খুকি অমল বড়ুয়ার স্ত্রী। উখিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) অপ্পেলা নাহা রাজু বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, উঠানে একটি গাছ থেকে কাঁঠাল পারাকে কেন্দ্র করে ভাবী ও দেবরের মধ্যে কথা কাটা-কাটির জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।