Saturday, January 01, 2011

কবর থেকে ৫২টি তাজা বোমা উদ্ধার

রসিংদীর একটি কবর থেকে ৫২টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি পেট্রল ও ৪৮টি হাতবোমা। আজ শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার আমদিয়া ইউনিয়নের ভূইয়ূম গ্রামের পূর্বপাড়ার একটি পারিবারিক কবরস্থান থেকে বোমাগুলো উদ্ধার করা হয়। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১-এর একটি দল বোমাগুলো উদ্ধার করে। তবে এই ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।

র্যাব-১১ সূত্র জানায়, র্যাবের সদস্যরা গোপন সূত্রে খবর পান, একটি চক্র নরসিংদী সদরে বোমা মজুদ করছে। পৌর নির্বাচন কিংবা বিশেষ কোনো দিনে সন্ত্রাসীরা এগুলোর বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। এর পরপরই তাঁরা বিশেষ নজরদারি শুরু করেন। আজ তাঁরা জানতে পারেন, একটি কবরে বোমাগুলো রাখা আছে। পরে তাঁরা নিশ্চিত হন ভূইয়ূম পূর্বপাড়ার আ. লতিফ প্রধানের পারিবারিক কবরস্থানের একটি কবরে বোমাগুলো রাখা আছে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে র্যাবের একটি দল কবরস্থানে গিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে। একপর্যায়ে কবরের ভেতরে বোমার সন্ধান মেলে। বোমাগুলো লাল একটি বালতির মধ্যে রাখা ছিল।
নরসিংদী সদর মডেল থানা সূত্র জানায়, বোমাগুলো তাজা এবং শক্তিশালী। এগুলোর মধ্যে চারটি পেট্রল বোমা। ৪৮টি হাতবোমার মধ্যে ১৪টি ছোট এবং ৩৪টি মাঝারি আকারের।
র্যাব-১১ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম সন্ধ্যার দিকে সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে বোমাগুলো পুলিশ হেফাজতে রেখে যান।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, র্যাব এবং আমাদের ধারণা পৌর নির্বাচনের পরিবেশ অস্থিতিশীল করে তোলার জন্য বড় একটি চক্র এসব বোমা নরসিংদীতে এনেছে। এর সঙ্গে কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর সম্পর্ক থাকতে পারে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।

মানিকগঞ্জে ছাত্রদল-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ২০

মানিকগঞ্জে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলে শনিবার পুলিশের সাথে সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দুপুর ১টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি ভবন এলাকা থেকে ছাত্রদলের একটি র‌্যালী বের হয়। র‌্যালিটি জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার পর পুলিশ এতে বাধা দেয়।
এ সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে র‌্যালিটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিক্ষুব্ধ বিএনপি কর্মীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়লে সংর্ঘষ বাধে। আধাঘন্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষের সময় শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ব্যাংকসহ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়।

রাবি ছাত্রলীগকর্মী অস্ত্রসহ পুঠিয়ায় গ্রেফতার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের এক কর্মীকে পিস্তলসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে পুঠিয়া থানার বানেশ্বর বেলপুকুর এলাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যব্যবস্খাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আসাদুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়।
তার সাথে সেলিম রেজা নামে অন্য এক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছে একটি পিস্তল এবং তিন রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে বলে পুঠিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শামীম হোসেন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আসাদুজ্জামান ও সেলিম মটর সাইকেলে চড়ে রাজশাহী নগরী থেকে পুঠিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। বেলপুকুর এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে পবা থানা হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পুলিশ মটর সাইকেল থামিয়ে তল্লাশি করে। ওই সময় তাদের কাছে পিস্তল ও গুলি পাওয়া যায়।
আসাদুজ্জামান যশোরের অভয়নগর থানার পাইকড়া এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে এবং সেলিম রাজশাহীর মতিহার থানার মাসকাটাদিঘী এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে।
দু’জনকে রাতেই পুঠিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান শামীম হোসেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

বড়পুকুরিয়া খনি এলাকায় আবার সংঘর্ষ

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের দুই পক্ষে আবার সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে ভূমি ও সম্পদ রক্ষা কমিটি এবং জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটির সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষের সময় দুটি মটর সাইকেল ভাংচুর হয় বলে স্খানীয়রা জানায়।
পার্বতীপুর থানার ওসি নুরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, দুপুরে পার্বতীপুর বাজারে সংঘর্ষ বাঁধার উপক্রম হলে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে দুই পক্ষকে হটিয়ে দেয়া হয়।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় বড়পুকুরিয়া খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের ওই দুই সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়। এরপর থেকে ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। মোতায়েন রয়েছে দাঙ্গা পুলিশ।
পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকার জমি অধিগ্রহণের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকার সম্প্রতি একটি প্যাকেজ ঘোষণা করে। জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটি সরকারের এ প্যাকেজ মেনে নিলেও ভূমি ও সম্পদ রক্ষা কমিটি তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এ নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্খান নেয়।
শুক্রবার সংঘর্ষের জন্য দুই পক্ষ পরস্পরকে দায়ী করেছে।

ফিরে দেখা ২০১০- বাংলাদেশ

মুসা ইব্রাহীমের হাত ধরে ২০১০ সালেই হিমালয়চূড়ায় লাল-সবুজ পতাকা উড়লো। সোনালি আঁশ পাটের জন্মরহস্য উন্মোচনও হলো বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর হাত ধরে। প্রণীত হয়েছে শিক্ষানীতি। এ সব ইতিবাচক খবর। বছরের শেষ ভাগে এসে নেতিবাচক খবর শুনিয়েছে পুঁজিবাজার। একই সময়ে তহবিল সরানো নিয়ে সমালোচনায় পড়লেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এ বছরে বিভিন্ন অঙ্গনে বাংলাদেশের আলোচিত ঘটনাগুলোর ওপর চোখ বোলানো যাক।

হিমালয়চূড়ায় মূসা
গত ২৩ মে- বছরের মাঝামাঝির এই দিনটি অনেক বাংলাদেশির কাছেই এখন বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। কেননা এ দিনের হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টে লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়েছেন মুসা ইব্রাহীম। এ স্বপ্ন সফল করার পথে অনেক প্রতিকূলতা ছিলো। কিন্তু সে সব বাধা পেরিয়ে হিমালয়চূড়ায় উঠলেন মুসা, বাংলাদেশকেও নিয়ে গেলেন অন্য এক উচ্চতায়। নর্থ আলপাইন ক্লাবের সভাপতি মুসা পড়াশোনা করেছেন ঢাকা ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাড়ি লালমনিরহাটে।

পাটের জন্মরহস্য উন্মোচন

গত ১৬ জুন আকস্মিকভাবেই সংসদে গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বললেন, সোনালী আঁশ পাটের জন্মরহস্য আবিষ্কার করেছে বাংলাদেশ। এতে পাটের সোনালী দিন ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন নতুন মাত্রা পায়। বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ গবেষক পাটের জন্ম রহস্য বা জেনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার হয়। মাকসুদুল যুক্তরাষ্ট্রে পেঁপের এবং মালয়েশিয়ায় রাবার গাছের জন্ম রহস্য আবিষ্কার করেন।

এ আবিষ্কারের বিষয়টি এতদিন গোপন রাখার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইট যেন বাংলাদেশের থাকে- সে জন্য তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে হবে। পাটের জন্মরহস্য আবিষ্কারের ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের গুটিকয়েক দেশের সঙ্গে যুক্ত হলো জানিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে মালয়েশিয়ার পর বাংলাদেশই দ্বিতীয় দেশ যারা জেনোম সিকোয়েন্সিং করতে সক্ষম হয়েছে।

বিতর্কে ইউনূস

ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নিয়ে অনেকের সমালোচনা থাকলেও এ বছরই বড় ধরনের বিতর্কে পড়লেন গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যা তহবিল স্থানান্তর নিয়ে। গত ৩০ নভেম্বর নরওয়ে টেলিভিশনে প্রচারিত একটি প্রামাণ্যচিত্রে ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রামীণ ব্যাংককে দেওয়া কোটি কোটি বিদেশি ডলার অন্য একটি তহবিলে সরানোর অভিযোগ তোলা হয়। যার ভিত্তিতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

বিষয়টি প্রকাশ্য হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন নেতা ইউনূসকে নিয়ে বক্রোক্তি করেন। ইউনূসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের কথাও বলা হয়। এরপর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, অভিযোগ তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে এ বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংক ও ইউনূসের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদেশি কোনো অর্থ আত্মসাৎ কিংবা অপব্যবহার করা হয়নি। আর তহবিল সরানোর বিষয়টি ১৯৯৮ সালেই সুরাহা হয়ে গেছে।

এ বিতর্কের মধ্যেই গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব থেকে ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জন ওঠে, যদিও ইউনূস বলেন, তিনি পদত্যাগ করেননি। পদত্যাগের খবরটি নাকচ করেন অর্থমন্ত্রীও।

উত্ত্যক্ততা

নারীদের উত্ত্যক্ততার বিষয়টি বছরের শেষ ভাগে এসে গুরুত্ব নিয়ে উঠে আসে সংবাদ মাধ্যমে। গত অক্টোবরে নাটোরে বখাটেরা কলেজ শিক্ষক মিজানুর রহমানের ওপর মটর সাইকেল তুলে দিলে তা নিয়ে দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। বাগাতিপাড়ার লোকমানপুর কলেজের শিক্ষক মিজান বেশ কয়েকদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ২২ অক্টোবর মারা যান। এরপর ফরিদপুরে নিজের দুই মেয়েকে উত্ত্যক্তের ঘটনার প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হামলায় মারা যান চাঁপা রানী ভৌমিক। এরপরপরই উত্ত্যক্ততার শিকার হয়ে সিরাজগঞ্জে আত্মহত্যা করে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী।

এসব বিষয় ভাবিয়ে তোলে সরকারকেও। আর সে জন্য উত্ত্যক্ততার বিচার ভ্রাম্যমাণ আদালতে করতে আইন সংশোধন করা হয়। এরপর নারী উত্ত্যক্তের তাৎক্ষণিক বিচার করতে নভেম্বর মাসের শুরুতেই ভাম্যমাণ আদালত কাজ শুরু করে।

জাহাজ ছিনতাই

বছর খানেক ধরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের উৎপাত চললেও এ বছরের শেষ ভাগে এসে তাতে বাংলাদেশেরও নাম জড়ায়। গত ৫ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরে ছিনতাই হয় বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ 'জাহান মনি'। ওই জাহাজে ২৫ জন নাবিকসহ ২৬ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে ভিড়ে আছে। উদ্ধার জলদস্যুদের মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনতে আনতে হবে, এমন কথাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা। অপহৃত নাবিকদের স্বজনরা এজন্য সরকারের পদক্ষেপ চেয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, উদ্যোগ চলছে।

এদিকে জাহান মনির ঘটনার মধ্যেই সোমালি জলদস্যুরা ৫৫ লাখ ডলার মুক্তিপণ পেয়ে জার্মানির একটি গত সপ্তাহে জাহাজ ছেড়ে দিয়েছে। ওই জাহাজটি গত মে মাসে অপহরণ করা হয়।

পুঁজিবাজারে ধস

বছরজুড়ে চাঙ্গাভাব থাকলেও বছরের শেষ দিকে এসে আকস্মিক ধস এলোমেলো করে দেয় পুঁজিবাজার। শুরু থেকেই লেনদেন বৃদ্ধির রেকর্ডের পর রেকর্ড অনেককে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলেছিলো। আর তাদের মধ্যে হতাশা নিয়ে আসে বছরের শেষ মাস ডিসেম্বর। যার প্রকাশ ঘটে বিক্ষোভ আর ভাংচুরে।

গত ৮ অক্টোবর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বড় ধরনের দরপতন হয়। লেনদেন শুরুর প্রথম ঘণ্টায় সাধারণ সূচক প্রায় ৫০০ পয়েন্ট কমে যায়। ১৯৯৬ সালে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে শেয়ারের আকস্মিক উত্থান-পতনের 'কালো দিবসের' পর এটাই সর্বোচ্চ দরপতন। একদিনে সর্বোচ্চ দরপতন হয় ১৯ ডিসেম্বর। সেদিন সূচক ৫৫১ পয়েন্ট কমে যায়। বাজার স্থিতিশীল করতে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা অবশ্য ত্বরিত বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়।


শিক্ষানীতি

৩৯ বছর পর পূর্ণাঙ্গ একটি শিক্ষানীতি এ বছরই পেলো বাংলাদেশ। জাতীয় শিক্ষানীতি গত ৩১ মে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়। এরপর গত ৭ ডিসেম্বর তা সংসদের সমর্থন পায়। শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তবে নতুন শিক্ষানীতিতে 'ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ কমানো হয়েছে' দাবি করে এর বিপক্ষে অবস্থান নেয় কয়েকটি ইসলামী দল। যদিও সরকার বলছে, তাদের দাবি ভিত্তিহীন।

নতুন শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন হলে শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান স্তরগুলোতে পরিবর্তন আসবে। মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকবে না। প্রাথমিক শিক্ষার পরিধি হবে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত। পাঠ্যবই ও পরীক্ষা পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আসছে। মাদ্রাসা শিক্ষারও আধুনিকায়ন হবে।

অ্যানথ্রাক্স

স্বাস্থ্য খাতে ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লু আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিলেও ২০১০ সালে আতঙ্ক ছড়ায় অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগ। রোগটি গবাদি পশুর হলেও বছরের মাঝামাঝিতে তা দেখা দেয় মানুষের মধ্যে। আক্রান্ত হয় ৫০০'রও বেশি মানুষ। এক পর্যায়ে সারাদেশে উচ্চ সতর্কতা জারি করে সরকার। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আসা গবাদি পশুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। তবে অক্টোবরের শুরুতে দেশকে অ্যানথ্রাক্সমুক্ত ঘোষণা করে সরকার।

অ্যানথ্রাক্স আতঙ্কে মানুষ মাংস এড়িয়ে চলায় পশু জবাই কমে যায়। ফলে মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চামড়া ব্যবসায়ীরাও বিপাকে পড়ে। মাংস ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, মুরগি ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। তাদের অভিযোগ সমর্থন করে প্রাণীসম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসও বলেন, তা তদন্ত করবে সরকার। তবে বছর গড়ালেও এর কোনো অগ্রগতি আর দেখা যায়নি।

বিমানে ধর্মঘট

গত অক্টোবর মাসের শেষ দিকে বৈমানিক ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়ে বিমান। ২৬ অক্টোবর থেকে তারা ধর্মঘট শুরু করে। পরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তিন দিনের অচলাবস্থার সুরাহা হয়। বিভিন্ন দাবিতে ২০ অক্টোবর বৈমানিকরা বিমানকে আলটিমেটাম দেয়। বিমান দাবি না মানায় কর্মবিরতিতে যায় বৈমানিকদের সংগঠন বাপার সদস্যরা। এরপর কয়েকজন বৈমানিককে ফ্লাইট পরিচালনা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলে পুরোদমে ধর্মঘট শুরু হয়। এতে এক দিনেই অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যের ১৫টি নির্ধারিত ফ্লাইটের মধ্যে আটটি বাতিল করতে বাধ্য হয় বিমান। এর মধ্যে ছয়টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যের। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিমান কর্তৃপক্ষ ও বৈমানিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়।

বিয়ে করবেন, তবে ভেবেচিন্তে

র কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো বাজবে অনেকের বিয়ের সানাই। শীতের এই আমেজটা সে কথারই জানান দিয়ে যায়। কারণ, বাঙালিদের মধ্যে শীতকালেই বিয়ের একটা ধুম পড়ে। অনেকেরই বিয়ে হবে প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে, আবার কেউ বা শুভ কাজটি সেরে ফেলবেন পরিবারের পছন্দেই।
তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, যাঁকে বিয়ে করছেন, তাঁকে বিয়ে করাটা কতটুকু সঠিক হচ্ছে সেটা একটু ভেবে দেখবেন। শেষে না আবার বানরের গলায় মুক্তোর হার পরিয়ে বসেন।
ভাবছেন, নিজের বিয়ে নিয়ে নিজেই ভাববেন, এ নিয়ে লেখালেখির কী আছে! লেখার কারণটি হচ্ছে, নিউ জার্সির পাদ্রি প্যাট কনর ৪০ বছর ধরে গবেষণা করে বানরের গলায় মুক্তোর হার না পরাবার জন্য একটি তালিকা তৈরি করেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন আট ধরনের পুরুষ, যাঁদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া নারীদের মোটেও উচিত নয়।
ভাবছেন গালগল্প! মোটেও নয়। মার্কিন সাময়িকী গ্ল্যামার জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়া ও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে বসবাসকারী প্যাট কনর ৪০ বছর ধরে দম্পতিদের নানা ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বিয়ে-পূর্ব পরামর্শের পাশাপাশি এ পর্যন্ত দুই শতাধিক দম্পতির বিয়েও পড়িয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ভুল পুরুষকে বিয়ে করার কুফল সম্পর্কে সচেতন করে তোলার জন্য নিজ উদ্যোগে তিনি হাইস্কুলের ছাত্রীদেরও পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
কনর বিশ্বাস করেন, আত্মার বন্ধু বলে কেউ নেই। শুধু প্রেমিকদের সঙ্গেই অঙ্গীকার করা যায়। তিনি তাঁর গবেষণায় দেখিয়েছেন, ব্যক্তির সঙ্গে গভীর প্রণয়ে জড়িয়ে যেতে পারেন, তাই বলে ওই প্রেমিক বা ব্যক্তির কাছ থেকে সফল দাম্পত্য জীবন পাওয়া যাবে, এমন নিশ্চয়তা নেই। হবু স্বামীর চরিত্র, মূল্যবোধ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি জেনে নেওয়ার জন্যও মেয়েদের পরামর্শ দিয়েছেন কনর।
এবার জেনে নেওয়া যাক ওই আট ধরনের পুরুষ সম্বন্ধে যাঁদের বিয়ে করা উচিত নয়। এঁদের মধ্যে রয়েছেন—মায়ের আঁচল ধরে থাকা ছেলে; যে পুরুষ ঠিকভাবে অর্থকড়ির ব্যবস্থাপনা করতে পারে না; যাঁর কোনো বন্ধু নেই; যে পুরুষ লোকজনের মাঝে প্রেমিকাকে একা ছেড়ে যায়; রেস্তোরাঁ বা ক্যাফেতে ওয়েটারদের সঙ্গে খারাপ আচরণকারী; যিনি হাসিখুশি থাকেন না; যিনি কর্তৃত্ব ভাগাভাগি করতে পারেন না এবং প্রেমিকার চাহিদার বিপরীতে যে পুরুষ নিজের চাহিদার কথা জানান না। টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন।