Thursday, January 12, 2012

উপকূলীয় নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় উদ্বোধনকালে এমপি বদি

শিক্ষার মানোন্নয়নে নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যাত্রা হয়েছেঃ
উখিয়ার অবহেলিত জনপদ জালিয়া পালং ইউনিয়নের উপকূলের ২০হাজার মানুষের শিক্ষার মাইল ফলক
মাদারবুনিয়া নিম্ন-মাধ্যমিক বিদ্যালয় উদ্বোধন শেষে স্বতস্ফুর্ত জনতার সমাবেশে সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি বলেছেন,
মহাজোট সরকারের মেয়াদকালে এ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি সয়ং সম্পূর্ণ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলা হবে। বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি এ স্কুলে যেসমস্ত শিক্ষার্থী ভর্তি হবে তাদের কোন প্রকার ফি দিতে হবেনা। উপরোন্ত ব্যক্তিগত অনুদানে শিক্ষার্থীদের পোশাক বিতরণ করা হবে। তিনি মাদারবুনিয়া বসবাসরত উপজাতীয়দের সকল ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে বলেন, উপকূলের জীবন জীবিকা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসন সব রকমের সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করবে।  উপকূলে একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় যথেষ্ট নয়। তাই মনখালী ও পাঠোয়ার টেক এলাকায় আরো দু’টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি গতকাল ১১জানুয়ারী দুপুর ২টায় উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট শাহজালাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিউল আলম শাকিব, চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক আদিল উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, মোহাম্মদ হোছাইন খাঁন, সাবেক চেয়ারম্যান এসএম ছৈয়দ আলম, মাওলানা আবুল বশর, সোলতান আহমদ মেম্বার, নুরুল আবছার শাহ জাহান, মোস্তাক আহমদ, মহিলা মেম্বার কামরুন নেছা কেমিলিয়া, এর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার মোক্তার আহমদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ সেলিম রেজা।

বিএনপি- জামায়াতের নৈরাজ্য রুখতে সবাইকে সজাগ হতে হবে

মহাজোটের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা
যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার ও বিএনপি-জামায়াতের রোর্ড মার্চের নামে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে জেলাব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে মহাজোট নেতৃবৃন্দ।
 
গতকাল আয়োজিত মিছিল গুলো স্ব স্ব এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশে মিলিত হয়।
সভায় বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ঠেকাতে বঙ্গবন্ধু প্রেমীদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে বলে উল্লেখ করেন।
॥শহর আ’লীগ॥
৭১ এর নরঘাতক কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আযম সহ মানবতা বিরোধী সকল কর্মকান্ডের বিচার করতে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গতকাল সন্ধ্যায় কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ রাজারকার প্রধান গোলাম আযম কে মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গ্রেপ্তার ও আদালতে প্রেরণ করায় এক উল্লাস মিছিলত্তোর সমাবেশ করে। কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বের হয়ে মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌরসভা কার্যালয় চত্তরে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান এর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. একে আহম্মদ হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ  সম্পাদক উজ্জ্বল কর, সাইদুল ইসলাম, সোনা আলী, সহ সভাপতি এড. মঞ্জুর আলম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আছিফুল মওলা, ডা. পরিমল কান্তি দাশ, জেলা মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি আজিজুল হক চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শুভ দত্ত বড়ুয়া, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ইউছুপ বাবুল, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আলম পেঠান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক খোকন, ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি রফিক মাহমুদ, ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী, শামসুল আলম মেম্বার, মীর কাশেম কন্ট্রাকটর, মোঃ ইউনুছ, কাজী মোর্শেদ আহম্মদ বাবু, শাহেদ আলী, মোঃ ইলিয়াছ, জানে আলম পুতু, তৈয়ব উল্লাহ, মিন্টু দাশ, শহর মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি সোহেল রানা প্রমুখ।
॥চকরিয়ায় মহাজোটের সমাবেশ॥
চকরিয়াস্থ স্টাফ রিপোর্টার জানান,যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার ও বিএনপি-জামায়াতের রোর্ড মার্চের নামে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে গতকাল ১১জানুয়ারী চকরিয়া পৌরশহরে মহাজোটের উদ্যোগে এক বিশাল গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। বিকাল ৪টায় গণমিছিলটি পৌরশহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ আবদুল হামিদ পৌর বাসটার্মিনালে গিয়ে শেষ হয়। পরে এক বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা আ.লীগের আহবায়ক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক চেয়ারম্যান এটিএম জিয়া উদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি ও আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক এড. আমজাদ হোসেন, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, পৌরসভার সাবেক মেয়র জাফর আলম এমএ, নুরুল কাদের বি.কম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী বশিরুল আলম, নুরুল আলম চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাংগঠনিক কমান্ডার আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালী, মাতামুহুরী আ.লীগের সরওয়ার আলম, মকছুদুল হক ছুট্টো, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, চকরিয়া আ.লীগের আলমগীর চৌধুরী, জামাল উদ্দিন জয়নাল, ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ছৈয়দ আলম কমিশনার, যুগ্ম আহবায়ক ফজলুল করিম সাঈদী, পৌর আ.লীগ নেতা এম আর চৌধুরী, আমিনুর রশিদ দুলাল, এড. গিয়াস উদ্দিন, চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম, চেয়ারম্যান বদিউল আলম। মিছিলে অংশনেন ফিরোজ আহমদ চৌধুরী, মীর আহমদ হেলালী, কবির আহমদ, মুজিবুল হক চৌধুরী, মোক্তার আহমদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্বাছ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম শহীদ, জেলা যুবলীগ নেতা তপন কান্তি দাশ, আতিক চৌধুরী, খম বুলেট, আলমগীর হোছাইন মেয়র, পৌর যুবলীগের আহবায়ক জাহেদুল ইসলাম লিটু, পৌর শ্রমিকলীগের সভাপতি ইউনুছ মেম্বার, মিফতাব উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ন আহবায়ক জামাল উদ্দিন, বশির আলম, জমির মেম্বার, স্বেচছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবলা দেব নাথ, পৌর যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম, ওলামা লীগের নেতা মুফতি মজিবুর রহমান, মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি ইকবাল দরবেশী, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম টিটু, ছাত্রলীগের সভাপতি হায়দার আলী, সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কচির, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সোহেল, আতিক, ইমন, জামাল হোসেন, সাইফুল এহেসান, সাংবাদিক রস্তম গণি মাহমুদ, কৃষকলীগের ফেরদৌস ওয়াহিদ, মুজিবুর রহমান লিটন, অহিদুর রহমান, হুমায়ন কমিশনার, সাংবাদিক শাহ আলম, ফরিদুল আলম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম রুমন, চকরিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জিহান। এদিকে দীর্ঘদিন পর উপজেলা ও পৌর আ.লীগের নেতাকর্মীদের সাথে পৌর আ.লীগের যুগ্ন আহবায়ক ফজলুল করিম সাইদীও মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেয়ায় নেতাকর্মীদের প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
॥মহেশখালীতে বিক্ষোভ মিছিল ও আলোচনা সভা॥
আমাদের মহেশখালী প্রতিনিধি জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে গতকাল ১১ জানুয়ারী মহেশখালী উপজেলায় আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে মহাজোট এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্টিত হয়েছে। শেষে পৌরসভার গোরকঘাটা বাজার চৌরাস্তার মোড়ে এক আলোচনা সভা এম.আজিজুর রহমান বি.এ এর সভাপতিত্বে মাষ্টার এনামুল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ডা:নুরুল আমিন । বিশেষ অতিথি ছিলেন,সিরাজুল হক সিকদার, মাষ্টার দিলিপ দাশ,পূর্ণ চন্দ্র দে, আলহাজ্ব শামশুল আলম চেয়ারম্যান , এড.আবু তালেব ,মৌ: সুলতান উদ্দিন, সাংবাদিক মৌ:ডা:রুহুল কাদের, মৌ:ফরিদুল আলম জালালী । বক্তব্য রাখেন,মুক্তিযোদ্ধ কমান্ডার ছালেহ আহমদ,ডা: ফিরোজ থানঁ,প্রনব কুমার দে ছৈয়দুল ইসলাম, মোস্তাক আহমদ তালুকদার,ব্রজ গোপাল ঘোষ,আলা উদ্দিন আলম, ছাদেক উল্লাহ ছিদ্দিকী, মহি উদ্দিন,মিজানুর রহমান,আবুল হাসান,ডা:মাহাবু,মনছুর আলম,জসিম উদ্দিন,মৌ: রুশুন আলী ও মৌ: আতা উল্লাহ বোখারী প্রমুখ।

ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই মানুষ নৈতিকতার শিক্ষা পায়

ডুলাফকির (রাঃ) মিশকাতুন্নবী দাখিল মাদ্রাসা উদ্বোধন ও বই বিতরণকালে লুৎফুর রহমান কাজল এমপি
কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফুর রহমান কাজল বলেছেন, দেশে শান্তি বিরাজমান রাখতে হলে নৈতিকতা ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে।
 

তিনি বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই মানুষ নৈতিকতার শিক্ষা পায়। তাই নৈতিক চরিত্র গঠনসহ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব অপরীসীম।
তিনি গতকাল বুধবার সকালে সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাতজুলাকাটা ডুলাফকির (রাহঃ) মিশকাতুন্নবী দাখিল মাদ্রাসার উদ্বোধন ও বই বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
এমপি কাজল আরো বলেন, ইসলাম ধর্মের শিক্ষা মানুষকে শান্তি ও নৈতিকতার শিক্ষা দেয়। তাই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্মীয় বিধি বিধান মেনে চলতে হবে।
তিনি ইসলাম ধর্মের শিক্ষা মানুষকে জ্ঞানী ও মহৎ করে তুলে বলে মন্তব্য করে বলেন, ইসলাম ধর্মের শিক্ষা থেকে মুসলমানরা দূরে সরে গেছে বলেই সারাবিশ্বে অন্য জাতির কাছে মার খাচ্ছে।
সাতজুলাকাটা ডুলাফকির (রাঃ) মিশকাতুন্নবী দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আবদু রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ছলিম উল্লাহ্ বাহাদুর, ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম মমতাজুল ইসলাম, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান নুরুল হক, জেলা কৃষকদলের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সানা উল্লাহ্, জামায়াত নেতা রুহুল আমিন, ইসলামী ব্যাংক ঈদগাঁও শাখার ম্যানেজার জামাল উদ্দিন, সৌদি আরবের মক্কা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তরুণ শিল্পপতি মোহাম্মদ আলমগীর, সাবেক ছাত্রনেতা গিয়াস উদ্দিন, ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক মোজাফ্ফর আহমদ সুমন, মামুন সিরাজুল মজিদ, স্থানীয় মেম্বার ও বিএনপি নেতা ওমর আলী, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক মোজাম্মেল হক মেম্বার, ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোহাম্মদ আজমগীর, যুগ্ম-আহবায়ক আবুল কাসেম মেম্বার, জসিম উদ্দিন, যুবদল নেতা মোহাম্মদ সেলিম, শহিদ উল্লাহ্ কাইছার, মোহাম্মদ মানিক, ছাত্রদল নেতা রুবেল মল্লিক ও নাছির উদ্দিন প্রমূখ।

কক্সবাজারে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দলের মাশরুম চাষ পরিদর্শন

ক্সবাজারে মাশরুম চাষ পরিদর্শনকালে সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, মাশরুম শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী খাদ্য।
 
যে খাদ্যে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন ছাড়াও মানব শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে।

এছাড়া মাশরুম রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও বাড়ায়। ফলে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে ভেষজ ওষুধ হিসাবেও মাশরুম ব্যবহৃত হচ্ছে।
তারা বলেন, মাশরুম মৃত্যুরোগ ছাড়া পৃথিবীর সমস্ত রোগের প্রতিরোধক হিসাবে সারা বিশ্বে পরিচিত।
তারা মাশরুম চাষের মাধ্যমে জনগণের পুষ্ঠির চাহিদা পূরণের জন্য কক্সবাজারের শিক্ষিত ও বেকার জনগোষ্ঠীর প্রতি আহবান জানান।
সাভারের মাশরুম উন্নয়ন জোরদার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ সালেহ আহমদ এর নেতৃত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের একদল প্রতিনিধি গতকাল বুববার বিকালে কক্সবাজারে মাশরুম চাষ প্রকল্প পরিদর্শনকালে একথা বলেন। এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নরেশ চন্দ্র বাড়ৈও উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি দলটি শহরের উত্তর নূনিয়াচড়াস্থ কক্স মাশরুম উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে গেলে সেখানে তাদেরকে স্বাগত জানান উক্ত প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী অধ্যাপক শহীদুল হক কাজল। এসময় কক্স মাশরুম উন্নয়ন প্রকল্পের অন্যতম পার্টনার ও নারী উদ্যোক্তা জোবায়দা খানম লাকীও উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি দলটি কক্স মাশরুম উন্নয়ন প্রকল্পের ‘পাওয়ার মাশরুম’ ও ‘তাজা মাশরুম’ চাষ ও প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং শিক্ষিত বেকার যুবকদের মাশরুম চাষের মাধ্যমে স্বাবলম্বি হওয়ার আহবান জানান। প্রতিনিধি দলটি মাশরুমের উৎপাদন বৃদ্ধি, জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ কক্সবাজারের চাষীদের বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। এছাড়া কক্সবাজারে মিল্কি মাশরুম ও বাটন মাশরুম চাষের প্রয়োজনীয়তার কথাও তারা তুলে ধরেন।
প্রতিনিধি দলটি শহরের বিডিআর ক্যাম্পস্থ কক্সবাজার মাশরুম উন্নয়ন কেন্দ্রও পরিদর্শন করেন।

জেলা মহিলা আ’লীগের কমিটি ঘোষনা নিয়ে লংকাকান্ড

এমপি সাফিয়া খাতুনের গাড়ী অবরোধ, বিদ্রোহীদের পাল্টা কমিটি। তুমুল বাকবিতন্ডার, গোলযোগ ও পাল্টা কমিটি ঘোষনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে  জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের ত্রি বার্ষিক কাউন্সিল।
 
জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের নতুন কমিটি ঘোষনাকে কেন্দ্র করে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।

সদ্য ঘোষিত কমিটি থেকে বাদ পড়ায় জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের একটি অংশ কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সুফিয়া খাতুন এমপি’র গাড়ী এক ঘন্টা ধরে অবরোদ্ধ করে রাখে। গতকাল বুধবার সন্ধায় জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে আয়োজিত জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শেষে কমিটি ঘোষনার পর এ ঘটনা ঘটে। এদিকে নব গঠিত কানিজ ফাতেমা-হামিদা কমিটিকে বর্জন করে পাল্টা কমিটি দিয়েছে বিদ্রোহী রুহানা-বাপ্পী  গ্রুপ।
জানা যায়, গতকাল ১১ জানুয়ারি বুধবার ছিল কক্সবাজার জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের ত্রি বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশন ও সম্মেলন’২০১২। এ লক্ষ্যে  বিশালাকারে বর্ণাঢ্য আয়োজনও করা হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে। সকাল ১০ টা থেকে জেলা পরিষদ  প্রাঙ্গনে জেলার ৮ উপজেলার নেতা-কমীদের উপস্থিতিতে প্রথম অধিবেশন শেষ হয়। এরপর দ্বিতীয় অধিবেশনে কেন্দীয় মহিলা আওয়ামীরীগের সহ-সভাপতি সাফিয়া খাতুন এমপি’র উপস্থিতিতে বর্তমান কমিটির সভানেত্রী কানিজ ফাতেমা মোস্তাক  ও সাধারণ সম্পাদক হামিদা তাহেরকে পূণরায় দায়িত্বভার দিয়ে কমিটি ঘোষনা করা হলে শুরু হয় উত্তেজনা।
এক পর্যায়ে জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষ থেকে বের হয়ে নিজ গাড়ী নিয়ে যাওয়ার পথে এমপি সাফিয়া খাতুনের গাড়ী অবরোদ্ধ করে রাখে রুহানা-বাপ্পী গ্র“পের নেতা-কর্মীরা। এসময় বিক্ষুব্ধরা পকেট কমিটি বাতিল পূর্বক গণতান্ত্রিকভাবে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবীতে নানা ধরণের প্রতিবাদী শ্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশের সহযোগীতা ও কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সাফিয়া খাতুন এমপির গাড়ি অবরোদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে এমপি সাফিয়া খাতুন অবস্থান ত্যাগ করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
অপর দিকে এ ঘটনার পর রুহানা-বাপ্পী গ্র“প তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আরো একটি পাল্টা কমিটি ঘোষনা করে। সন্ধায় শহরের একটি অভিজাত হোটেলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রুহানা আক্তারকে সভানেত্রী,নাসিমা আক্তার বানু সহ-সভানেত্রী,লূৎফুর নাহার বাপ্পীকে সাধারণ সম্পাদক ও টিপু সোলতানাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী কমিটি ঘোষনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লুৎফুর নাহার বাপ্পী লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে কানিজ ফাতেমা মোস্তাক ও হামিদা তাহের জেলা কমিটিকে জিম্মি করে রেখেছে। তারা ত্রি বার্ষিক সম্মেলনের কথা বল্লেও অবৈধভাবে  দীর্ঘ ১১ বছর জোর পূর্বক জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ন দুটি পথ দখল করে রাখে। যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত ও অগঠনতান্ত্রিক।
তাদের দাবী তৃণমূল পর্যায়ের ত্যাগী ও দলের দুঃস্বময়ে রাজপথে থাকা নেতা-কর্মীদের মুল্যায়ন করা হয়নি। ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পূরণো কমিটি আবারো বহাল রাখার বিষয়টি তারা কোনভাবে মেনে নেবেনা। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী ও মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ নীতি-নির্ধারকদের কাছে গিয়ে সরাসরি এ পকেট কমিটি বাতিলের দাবী জানানো হবে বলে বাপ্পী তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। এর আগে দ্বিতীয় অধিবেশনে তাৎক্ষণিক উপস্থিত মহিলা ও মিশু বিষয়ক প্রতি মন্ত্রী ড.শিরীন সোলতানা কে ঘটনাস্থলেই পকেট কমিটি কে নিয়ে তাদের জোর আপত্তির কথা অবহিত করেন। মন্ত্রীও বিষয়টি আমলে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ করবেন বলে বিদ্রোহীদের আশ্বস্থ করেন।
এব্যাপারে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী আশরাফুন্নেসার সাথে মুঠো ফোনে আলাপ করা হলে তিনি জানান, কমিটিকে নিয়ে আপত্তি উঠলে অবশ্যই দেখা হবে। সবাইকে এক জায়গায় এনে কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন করা  হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে প্রথম অধিবেশনে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী কানিজ ফাতেমা মোস্তাকের সভাপতিত্বে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্ভোধক ছিলেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরী। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চকরিয়া-পেকুয়ার দায়িত্ব প্রাপ্ত মহিলা সাংসদ কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাফিয়া খাতুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. আহমদ হোসেন, কক্সবাজার-রামু আসনের মহিলা সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো: আলী, জেলা আওয়ামীরীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি, মহিলা আ’লীগ নেত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুসরাত জাহান মুন্নী, জেলা স্বেচ্চাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কায়সারুল হক জুয়েল,মাহাবুবা ইয়াছমিন চৌধুরী, হামিদা তাহের, উম্মে কুলসুম মিনু, জয়নাব আকতার, নিগার সুলতান, মিসেস আয়েশা সালাহ উদ্দিন, অধ্যাপিকা মোতাহেরা বেগম, রেজুত আরা বেগম, লুৎফুর নাহার বাপ্পী, নাছিমা আকতার বানু, রোহেনা আকতার প্রমুখ। অপর দিকে সন্ধায় সম্মেলনস্থলে আসেন বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড.শিরীন শারমীন চৌধুরী। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে কিছুক্ষন অবস্থান করে পরামর্শমূলক বক্তব্য রাখেন।