Tuesday, May 22, 2012

কক্সবাজারে খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

কক্সবাজার শহরের বাহারছড়ায় সর্বসাধারণের ব্যবহার করা প্রাচীন গোলচক্কর মাঠ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে ইজারা দেওয়ার প্রতিবাদে এবং মাঠটি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলন’-এর ব্যানারে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় গোল চক্কর মাঠে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কর্তৃপক্ষের মাঠ ইজারা দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত উদ্ভট। দীর্ঘদিন ধরে খেলাধুলা, জানাজাসহ সামাজিক অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত মাঠ ইজারা বাতিলের দাবি জানান তারা।

বক্তারা বলেন, কক্সবাজারের বিপুল জমি থাকতে অন্যতম একটি খেলার মাঠ ইজারা দিয়ে বৃহৎ সামাজিক প্রয়োজনে এর ব্যবহারকারী সর্বসাধারণকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা।

কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকার সভাপতিত্বে ও কক্সবাজার জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট তাপস রক্ষিতের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, নারী নেত্রী খোরশেদ আরা হক, কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান, পরিবেশবিদ সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী, দৈনিক কক্সবাজারের পরিচালনা সম্পাদক আলহাজ মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান, উন্নয়নকর্মী ইঞ্জিনিয়ার কানন পাল, জাসদ নেতা মোহাম্মদ হোসেন মাসু, জাপা নেতা কামাল উদ্দিন, সাংস্কৃতিক সংগঠক জসীম উদ্দিন বকুল, অধ্যক্ষ ওমর ফারুক, নজরুল ইসলাম, ডা. চন্দন কান্তি দাশ, জাহেদুল ইসলাম, মহি উদ্দিন, আবছার, হারুন অর রশিদ, নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজার শহরের বাহারছড়ায় সর্বসাধারণের ব্যবহার্য প্রাচীন গোল চক্কর মাঠ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নামে দেওয়া হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী এ মাঠ কোনো দপ্তরকে বরাদ্দ না দেওয়ার  জন্য ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ‘কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলন’।

পতাকা বৈঠকে আটক নাসাকা সদস্য হস্তান্তর

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী নাসাকার সঙ্গে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকে আটক এক নাসাকা সদস্যকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রোববার দুপুর ১২টায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ঘুনধুম সীমান্ত এলাকায় অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে আটক নাসাকা সদস্যকে হস্তান্তর করা হয়। তবে তার নাম জানা যায়নি।
বিজিবি সূত্র জানায়, মিয়ানমারের সীমান্তের ওপারে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিজিবির ১০ সদস্যের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৭ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. খালেকুজ্জামান। নাসাকা বাহিনীর ৬ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন নাসাকা ৩নং সেক্টর কমান্ডার ডেপুটি ডিরেক্টর অং কো টাই।

বৈঠক শেষে বিজিবির কক্সবাজারের ১৭ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. খালেকুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, পতাকা বৈঠকে  নানা বিষয়ে ফলপ্রসূ এবং কার্যকরী আলোচনা হয়েছে। 

তিনি জানান, ১৮ মে বালুখালী বিওপির নিয়মিত টহল দল  বাউন্ডারি রেফারেন্স পিলার ২১ থেকে আনুমানিক ৫শ গজ দক্ষিণ পশ্চিম কোণের শূন্য লাইন থেকে ৫০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে কাটাপাহাড়ের কাছে উখিয়া খাল থেকে ৩নং সেক্টরের নাইছাদং নাসাকা ক্যাম্পের সদস্যসহ মিয়ানমারের এক নাগরিককে আটক করে। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে রোববার ওই নাসাকা সদস্যকে ৩নং সেক্টর কমান্ডারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া নাসাকা সদস্যদের শূন্য লাইনের বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশের বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

মো. খালেকুজ্জামান জানান, বাংলাদেশের তমব্রু খালে বাংলাদেশি জেলেরা মাছ ধরতে গেলে নাসাকা বাহিনীর সদস্যরা প্রায়ই তাদের ধরে নিয়ে যায় এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেয়। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ নাসাকা বাহিনীকে এ ধরনের কার্যকলাপ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।

এর উত্তরে নাসাকা বাহিনীর সেক্টর কমান্ডার জানান, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তাকে জানানো হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উখিয়ায় পরিবেশবান্ধব ইটভাটা নির্মাণের পক্ষে এলাকাবাসী

‘ইয়াবা ব্যবসার ওপর ভাসছে উখিয়া-টেকনাফ। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ইয়াবাসহ উখিয়া-টেকনাফের লোকজন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হচ্ছে।

কিন্তু এ নিয়ে কোনো সচেতন মহলতো কখনো কোনো আন্দোলন করেনি। অথচ উখিয়ার একটি পিছিয়ে পড়া জনপদ সাবেক রুমখায় একটি পরিবেশবান্ধব ইটভাটা বন্ধ করার জন্য এতো আন্দোলন হচ্ছে- এর পেছনে রহস্য কি?’ একথাটি ক্ষোভের সঙ্গে বললেন উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুফিজুর রহমান (৬৮)। একটি নির্মাণাধীন ইটভাটা পরিদর্শনের জন্য একদল সাংবাদিক উখিয়ার সাবেক রুমখার কেলাসেপাড়ায় গেলে তিনি এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, “এই এলাকায় একটি ইটভাটা হচ্ছে- এতে এলাকার কারো কোনো আপত্তি নেই। কারণ ইটভাটাটি হলে এলাকার হাজারো লোকের কর্মসংস্থান হবে।”

এলাকার সমাজসেবক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “এই এলাকার পূর্বপাশে বনাঞ্চল সংলগ্ন আরো চারটি ইটভাটা আছে। কিন্তু সেগুলো সরকার অনুমোদিতও নয়, পরিবেশবান্ধবও নয়। তাহলে ওসব ইটভাটার বিরুদ্ধে কখনও আন্দোলন হয়নি কেন? তখনও এসব সচেতন মহল বা পরিবেশবাদীরা কোথায় ছিল?”
 
তবে কক্সবাজার বন ও সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল মামুন বলেন, “কক্সবাজার জেলার প্রায় ৬০টি ইটভাটা রয়েছে। এরমধ্যে মাত্র একটি জিকজাক পদ্ধতিতে স্থাপিত। জিকজাক পদ্ধতি পরিবেশবান্ধব হওয়ায় এই ধরনের ইটভাটা স্থাপনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সনাতনী পদ্ধতিতে স্থাপিত ইটভাটা পরিবেশের ক্ষতি হওয়ায় আমরা এসব ইটভাটা উচ্ছেদের পক্ষে।”

নতুন ইটভাটা নির্মাণ সম্পর্কে রুমখা এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবক ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আবুল মনসুর চৌধুরী বলেন, “ইটভাটা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু ইটভাটা না থাকলে দেশে উন্নয়ন করা যাবে না। সেজন্য সরকার পরিবেশ বান্ধব ইটভাটা গড়ার নীতিমালা তৈরি করেছে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী ইটভাটা নির্মাণ করতে হলে ‘জিকজাক’ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। আর সেই জিকজাক পদ্ধতিতেই ইটভাটা নির্মাণ করছেন জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক শাহ আলম চৌধুরী। তার এই উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মসংস্থান কর্মসূচিরও একটি অংশ।”

ইটভাটার উদ্যোক্তা জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক শাহ আলম চৌধুরী ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, “এই অঞ্চলের পাশে বনাঞ্চল নেই। জমির আশি ভাগই এক ফসলী ও অনুর্বর। যা সরেজমিনে সাংবাদিকরা পরিদর্শন করেছেন। কারো সন্দেহ থাকলে তারাও ঘটনাস্থলে এসে এলাকা পরিদর্শন করতে পারেন।”

তবে উখিয়া এলাকাবাসীর দাবি, কে কেউ ইটভাটা করুক তা যেন পরিবেশবান্ধব হয়।

কক্সবাজারে আড়াই মাসে বজ্রপাতে ১৮ জনের মৃত্যু

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে বজ্রপাতে গত আড়াই মাসে ১৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে চলতি মাসেই মারা গেছে ১০ জন। আহত হয়েছে আরও ১৫ জন। বজ্রপাতে ২০টিরও বেশি গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে।

বজ্রপাত থেকে রক্ষার উপায় সম্পর্কে জানতে চাইলে কক্সবাজার আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বজ্রপাতের সময় বড় কোনো গাছের নিচে দাঁড়ানো মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ বড় গাছে আর্থিং (বৈদ্যুতিক প্রবাহকে মাটিতে নামতে সহায়তা করে) থাকে। তা ছাড়া বৃষ্টির সময় বিদ্যুতের খুঁটির পাশে বা নিচে অথবা খোলা জায়গায় ছাতা নিয়ে দাঁড়ানো ও হাঁটাচলা বিপজ্জনক। কারণ মাটি ও ছাতার ওপরের লৌহাদণ্ডে আর্থিং থাকে। বাসাবাড়িতে বজ্রনিরোধক তার লাগাতে হবে। এ ছাড়া বজ্রপাতের সময় বাসাবাড়ির টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর ও মুঠোফোন বন্ধ রাখা ভালো।’
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ১৬ মে সকাল আটটার দিকে টেকনাফে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কুতুবদিয়াপাড়ার আবুল কালামের ছেলে মোহাম্মদ আলমগীর (১৫) বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। হঠাৎ বজ্রপাত বেড়ে গেলে আলমগীর দৌড়ে কুতুবদিয়াপাড়া জামে মসজিদের পাশে একটি বড় গাছের নিচে দাঁড়ায়। এ সময় বিকট শব্দে একটি বাজ গাছটির ওপর পড়ে। এতে নিচে দাঁড়িয়ে থাকা আলমগীরের মৃত্যু হয়। সঙ্গে গাছের নিচে দাঁড়ানো একটি ছাগলও মারা যায়।
একই দিন বেলা ১১টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার বাস টার্মিনাল থেকে হেঁটে নাইট্যংপাড়ার নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে আবু তাহেরের ছেলে আবু বক্কর (১৭) মারা যায়। একই দিন সকাল সাড়ে সাতটায় চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের মুড়াপাড়া গ্রামে বজ্রপাতে মারা যান সলিম উল্লাহ (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী রশিদা বেগম (৩৭)।
বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এ টি এম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বজ্রপাত প্রথমে একটি গাছে আঘাত হানে। তারপর গাছের পাশে সলিম উল্লাহর বাড়িতে লাগে। এ সময় ঘরের ভেতর থাকা স্বামী-স্ত্রী মারা যান। আহত হন পাশের বাড়ির আরেক গৃহবধূ সায়েমা আক্তার (১৯)। তাঁকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’ ওই দিন বজ্রপাতে মহেশখালীর কুতুবজোম গ্রামের লবণচাষি আবুল কালাম (৪৫) ও সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের চরপাড়ার ফরিদুল আলম (৪৩) গুরুতর আহত হন।
উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, গত ১৩ মে সকাল ১০টার দিকে বজ্রপাতে চেপটখালী গ্রামের মোহাম্মদ বাবুল (২৫) মারা যান। এ সময় গুরুতর আহত হন আরও তিনজন। তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁরা চারজন একটি নৌকা নিয়ে সমুদ্র উপকূলের চেপটখালী এলাকায় মাছ ধরতে গিয়েছিলেন।
বজ্রপাতে হতাহতের কোনো হিসাব আবহাওয়া কার্যালয়ে রাখা হয় না জানিয়ে কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন জানান, মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে বজ্রপাত বেশি হয়। কারণ প্রচণ্ড দাবদাহে ভূমির ওপর থাকা বাতাস হালকা হয়ে ১৮ হাজার ফুটের বেশি ওপরে উঠে যায়। এ সময় নিম্নচাপ দেখা দেয়। তখন ভারসাম্যহীনতার কারণে বজ্রপাত ঘটে। আর বজ্রপাত হচ্ছে তড়িৎ-চুম্বক তরঙ্গ। তড়িৎগুলোর সংঘর্ষ হয় বলে বিকট শব্দ হয় এবং নিচের দিকে মাটি টেনে নেয় বলে বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। তবে অন্য বছরের তুলনায় চলতি সালে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। তাই বজ্রপাতের সংখ্যাও বাড়ছে।
পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী জানান, গত ১ মার্চ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত আড়াই মাসে কক্সবাজারে বজ্রপাতে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ১৫ জন। মারা গেছে প্রায় ২০টি গরু-ছাগল।

চকরিয়ায় দেড় ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধ শেষে ছয় ডাকাত গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশ ও ডাকাতদলের মধ্যে কয়েক দফা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর চিংড়ি জোন এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধ চলে দেড় ঘণ্টাব্যাপী।

বন্দুকযুদ্ধ শেষে পুলিশ ছয় ডাকাত গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় দুটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, তিনটি কার্তুজ ও চারটি ছোরা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা এলাকার মো. সোলেমানের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম, মৃত বশির উদ্দিনের ছেলে নুরমোহাম্মদ, জাফর আহমদের ছেলে জহির আহমদ, শহর আলীর ছেলে আবদুর রশিদ, জহির আহমদ ও আহমদ সোবহানের ছেলে নুরুল আবচার।
পুলিশ জানায়, সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর মৌজার চিংড়ি জোন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন ৪ নম্বর স্লুইস গেট লাগোয়া ১০ একরবিশিষ্ট কয়েকটি চিংড়িঘেরে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল প্রায় ৪০ সদস্যের একদল সশস্ত্র ডাকাত। এ খবর পেয়ে শনিবার রাত ১১টার দিকে রামপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন।
এ সময় টের পেয়ে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে এই বন্দুকযুদ্ধ শেষে ডাকাতদল একপর্যায়ে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা এলাকার দিকে পালিয়ে আসে। পরে রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত চকরিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য চিংড়ি জোন সওদাগরঘোনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে।
রামপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবদুল হাকিম জানান, বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে মো. আরাফাত নামে পুলিশের একজন সোর্স আহত হয়েছে।
বর্তমানে সে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ফরহাদ কালের কণ্ঠকে জানান, পুলিশের ওপর হামলা, ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে থানায় পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে।

কুতুবদিয়া মাতিয়ে গেলেন খুদে গানরাজ পায়েল

গানের সুরে সুরে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া মাতিয়ে গেলেন মেরিডিয়ান-চ্যানেল আই খুদে গানরাজ পায়েল।

তার কুতুবদিয়া আসায় খবর ছড়িয়ে পড়লে দ্বীপের সর্বস্তরের মানুষ এক নজর দেখতে এবং সুমধুর কণ্ঠে গান শোনার জন্য উপজেলা অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে ভিড় জমায়। উপস্থিত সবার অনুরোধে শিল্পী পায়েল গান গেয়ে সবাইকে খুশি করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা এইচ এম এহসান জানান, পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর ই খাজা আলামিন কুতুবদিয়ায় দায়িত্ব পালন করছেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি কুতুবদিয়ায় অফিস করতে আসেন। এ সময় তিনি খুদে গানরাজ পায়েলকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। পায়েলের আগমন সংবাদ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ভিড় জমে যায়। তৎক্ষণাৎ গানের সরঞ্জাম নিয়ে উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে উপস্থিত হন কুতুবদিয়া শিল্পকলা একাডেমির সম্পাদক মাস্টার সমীর শীল। তার পরিচালনায় ১০-২০ মিনিটের একটি জমজমাট অনুষ্ঠান হয়ে যায়। এতে বেশ কটি জনপ্রিয় গান গেয়ে শোনান পায়েল।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আওরঙ্গজেব মাতবর, পিআইও সুব্রত দাশ, যুবলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম লালা প্রমুখ।

কক্সবাজারে বসুন্ধরা টিস্যু ট্রেড স্কিমের পুরস্কার বিতরণ

বসুন্ধরা টিস্যু ট্রেড স্কিমে অংশ নেওয়া কক্সবাজার অঞ্চলের ২৫০ ব্যবসায়ী ও পরিবেশককে নিয়ে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান গত শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বসুন্ধরা টিস্যুর ইনচার্জ ও ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার খন্দকার এম এ জলিল। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বসুন্ধরা টিস্যু গুণগত মানে এতই উন্নত যে তা আজ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যথাক্রমে বসুন্ধরা পেপার মিল লিমিটেড ৩-এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (অ্যাকাউন্ট অ্যান্ড ফিন্যান্স) মোহাম্মদ ইউনুছ আলী, এক্সিকিউটিভ মোহাম্মদ ইরফান খাঁন, কক্সবাজারের এরিয়া ইনচার্জ মোহাম্মদ বদিউল আলম, কক্সবাজার অঞ্চলের চার পরিবেশক।