Tuesday, May 22, 2012

উখিয়ায় পরিবেশবান্ধব ইটভাটা নির্মাণের পক্ষে এলাকাবাসী

‘ইয়াবা ব্যবসার ওপর ভাসছে উখিয়া-টেকনাফ। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ইয়াবাসহ উখিয়া-টেকনাফের লোকজন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হচ্ছে।

কিন্তু এ নিয়ে কোনো সচেতন মহলতো কখনো কোনো আন্দোলন করেনি। অথচ উখিয়ার একটি পিছিয়ে পড়া জনপদ সাবেক রুমখায় একটি পরিবেশবান্ধব ইটভাটা বন্ধ করার জন্য এতো আন্দোলন হচ্ছে- এর পেছনে রহস্য কি?’ একথাটি ক্ষোভের সঙ্গে বললেন উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুফিজুর রহমান (৬৮)। একটি নির্মাণাধীন ইটভাটা পরিদর্শনের জন্য একদল সাংবাদিক উখিয়ার সাবেক রুমখার কেলাসেপাড়ায় গেলে তিনি এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, “এই এলাকায় একটি ইটভাটা হচ্ছে- এতে এলাকার কারো কোনো আপত্তি নেই। কারণ ইটভাটাটি হলে এলাকার হাজারো লোকের কর্মসংস্থান হবে।”

এলাকার সমাজসেবক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “এই এলাকার পূর্বপাশে বনাঞ্চল সংলগ্ন আরো চারটি ইটভাটা আছে। কিন্তু সেগুলো সরকার অনুমোদিতও নয়, পরিবেশবান্ধবও নয়। তাহলে ওসব ইটভাটার বিরুদ্ধে কখনও আন্দোলন হয়নি কেন? তখনও এসব সচেতন মহল বা পরিবেশবাদীরা কোথায় ছিল?”
 
তবে কক্সবাজার বন ও সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল মামুন বলেন, “কক্সবাজার জেলার প্রায় ৬০টি ইটভাটা রয়েছে। এরমধ্যে মাত্র একটি জিকজাক পদ্ধতিতে স্থাপিত। জিকজাক পদ্ধতি পরিবেশবান্ধব হওয়ায় এই ধরনের ইটভাটা স্থাপনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সনাতনী পদ্ধতিতে স্থাপিত ইটভাটা পরিবেশের ক্ষতি হওয়ায় আমরা এসব ইটভাটা উচ্ছেদের পক্ষে।”

নতুন ইটভাটা নির্মাণ সম্পর্কে রুমখা এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবক ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আবুল মনসুর চৌধুরী বলেন, “ইটভাটা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু ইটভাটা না থাকলে দেশে উন্নয়ন করা যাবে না। সেজন্য সরকার পরিবেশ বান্ধব ইটভাটা গড়ার নীতিমালা তৈরি করেছে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী ইটভাটা নির্মাণ করতে হলে ‘জিকজাক’ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। আর সেই জিকজাক পদ্ধতিতেই ইটভাটা নির্মাণ করছেন জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক শাহ আলম চৌধুরী। তার এই উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মসংস্থান কর্মসূচিরও একটি অংশ।”

ইটভাটার উদ্যোক্তা জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক শাহ আলম চৌধুরী ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, “এই অঞ্চলের পাশে বনাঞ্চল নেই। জমির আশি ভাগই এক ফসলী ও অনুর্বর। যা সরেজমিনে সাংবাদিকরা পরিদর্শন করেছেন। কারো সন্দেহ থাকলে তারাও ঘটনাস্থলে এসে এলাকা পরিদর্শন করতে পারেন।”

তবে উখিয়া এলাকাবাসীর দাবি, কে কেউ ইটভাটা করুক তা যেন পরিবেশবান্ধব হয়।

No comments:

Post a Comment