Saturday, May 26, 2012

চকরিয়ায় সেনাবাহিনীর পরিত্যক্ত জমিতে কোটি টাকার মার্কেট নির্মাণ

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরে সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন পরিত্যক্ত জমিতে প্রভাবশালীরা স্থাপনা নির্মাণ করে কোটি টাকার মার্কেট বাণিজ্য চালাচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

এ জমি উদ্ধারে চট্টগ্রাম প্রতিরক্ষা বিভাগের (এমইএস) ইস্টার্ন সার্কেল কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা মামলার পর উচ্ছেদ অভিযান জোরদার করবে এমন হুংকার ছাড়লেও গত ৬ মাসে তারা জমিটি উদ্ধারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযোগ উঠেছে, উল্টো প্রতিরক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্টরা মোটা অঙ্কের ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রভাবশালী দখলবাজ চক্রকে সরকারি জমিতে মার্কেট নির্মাণের সুযোগ দিয়েছে। অভিযোগে জানা গেছে, পৌরশহরের জনতা মার্কেট সাব রেজিস্ট্রার অফিস মরহুম মোজাহের আহমদ কোম্পানির বাড়ির পুকুর লাগোয়া প্রতিরক্ষা বিভাগের ১০ শতক জমি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে একটি প্রভাবশালী চক্র প্রকাশ্যে স্থাপনা (মার্কেট) নির্মাণ শুরু করে প্রায় ৬ মাস আগে। চট্টগ্রাম প্রতিরক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জানায়, ওই জমি লিজ পেতে আবেদন করেন স্থানীয় শামসুল আলম নামের একব্যক্তি। কিন্তু এমইএস কর্তৃপক্ষ তার আবেদন বাতিল করে দেন। এমনকি ওই জমি কাউকে লিজ দেননি। অভিযোগ উঠেছে, শামসুল আলম গং এরপরও তার ভাই এক সহকারী সচিবের দাপট দেখিয়ে প্রতিরক্ষা বিভাগের ওই জমিতে অবৈধভাবে স্থাপনা (মার্কেট) নির্মাণ করেন। বর্তমানে মার্কেটের একেকটি দোকান ৫ থেকে ১০ লাখ টাকায় ভাড়া দিয়ে তারা কোটি টাকার বাণিজ্য শুরু করেছে।
এমইএস সূত্র জানায়, তাদের জমি দখল ও স্থাপনা নির্মাণের ঘটনায় তারা শামশুল আলম ও তার ভাই কাউছার আলম, মোরশেদ আলম, ফাইচার আলম ও এরশাদ আলমকে আসামি করে একটি উচ্ছেদ মামলা (নং ৬২৮/১১) করেছেন। মামলার আদেশে অভিযুক্তদের একাধিকবার নোটিশ দেয়া হলেও তারা এসবের তোয়াক্কা না করে মার্কেট নির্মাণ অব্যাহত রাখে।
স্থানীয়রা জানান, মামলার নোটিশ নিয়ে চট্টগ্রাম প্রতিরক্ষা বিভাগের (ইস্টার্ন সার্কেল) মিলিটারি এস্টেট কর্মকর্তার কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা এলাকা পরিদর্শন করে অভিযুক্তদের স্থাপনা নির্মাণে বাধা দিয়েছেন। তবে জড়িতরা ওই কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের উপটোকন (ঘুষ) ধরিয়ে দিলে তারা বিগত ৬ মাসেও সরকারি কোটি টাকার এ জমি উদ্ধারে আর কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ সুযোগে জড়িতরা বর্তমানে মার্কেটটি দোকান আকারে প্লট করে লোকজনকে ভাড়া দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম প্রতিরক্ষা বিভাগের (মিলিটারি এস্টেট কর্মকর্তার কার্যালয়ের) সংশ্লিষ্ট সূত্র দাবি করেছে, তারা সরকারি ওই জমি উদ্ধারে এরই মধ্যে উচ্ছেদ মামলা করেছে জড়িতদের বিরুদ্ধে। কয়েকবার নোটিশও দেয়া হয়েছে। আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে জমিটি উদ্ধারে একটু বিলম্ব হচ্ছে। তবে জড়িতরা যতবড় প্রভাবশালী হোক অবশ্যই তাদের দখল থেকে সরকারি জমি উদ্ধার করা হবে।

উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সঃ ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের কাজ চলছে ঢিমেতালে

উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের কাজ চলছে ঢিমেতালে। ২০১০ সালের মে মাসে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে উখিয়া উপজেলা

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে পরবর্তী ১৮ মাসের মধ্যে শেষ করে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ওই হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম কখন থেকে শুরু হবে তা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল প্রকৌশলীও বলতে পারেননি।
দ্বিতীয় দফা সময় বর্ধিত করার পরও হাসপাতাল ও অন্যান্য ভবন নির্মাণ, বিদ্যুতায়ন এবং অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জার কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আধুনিকায়ন ও জনগণের স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ২০১০ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদফতরের মাধ্যমে আধুনিক হাসপাতাল ভবন, চিকিৎসক ও কর্মচারীদের আবাসিক ভবন, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও পুরনো হাসপাতাল ভবনের আনুষঙ্গিক মেরামত প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদফতর চট্টগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতর থেকে দরপত্র আহ্বান পূর্বক ২০১০ সালের মে মাসে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উন্নীতকরণের কাজ শুরু করে। চট্টগ্রামের জুবলি রোডের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফ্রেন্ডস ইন্টারন্যাশনাল ওই নির্মাণ কাজ ১৮ মাস সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি।
নির্মাণ কাজ তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত স্বাস্থ্য প্রকৌশলীর অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মোর্শেদ বলেন, অবশ্যই নির্মাণ কাজ প্রথমদিকে কিছুটা নিম্নমানের হলেও পরে কাজের মান রক্ষা করে কাজ চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, ঠিকাদারের নির্ধারিত সময়ের পরও দ্বিতীয় দফা সময় বর্ধিত করা হয়েছে এরপরও কাজ সম্পন্ন করা যায়নি। এখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষাই। তবে তিনি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পাদন হবে বলে আশা করেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফ্রেন্ডস ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের নিয়োজিত লোকজন এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হয়নি। উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এসএ আবু সাঈদ বলেন, সব মিলিয়ে এখনও প্রায় ২০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে। হাসপাতাল ভবন, ডক্টর্স ভবন, নার্স ভবন ও স্টাফ ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ফিটিংস ফিক্সিংসের কাজ অনেক বাকি রয়েছে। নতুন ভবনে বিদ্যুতায়নের কাজও বাকি রয়েছে।

বাংলাদেশের হয়ে খেলতেই আমার জন্মঃ সাকিব

ব্যাট-বলে দারুণ পারফরমেন্স করে টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ধারাবাহিক পারফর্ম করছেন।

আগামীতে তিনি ছাড়াও আরও অনেক বাংলাদেশি ক্রিকেটার প্রতিযোগিতায় আসার জন্য প্রস্তুত বলে ‘উইজডেন ইন্ডিয়াকে’ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন বাঁহাতি এই ক্রিকেটার।
এশিয়া কাপে অসাধারণ খেলেছে বাংলাদেশ। পারফরমেন্সের এমন রূপান্তর কিভাবে ঘটেছিলো। এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব, ‘দারুণ টুর্নামেন্ট (এশিয়া কাপ) হয়েছে। যদি আপনি ফলাফল দেখেন। তাহলে আমরা সত্যি ভালো করেছি। আমি এখনো অনুভরি করি, আমাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়া উচিৎ ছিলো। যাই হোক, খেলায় আমাদের মনোভাবে আমি সন্তুষ্ট ছিলাম।’

মজার বিষয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পরপর শুরু হয় এশিয়া কাপ। প্রথম বারের মতো আয়োজিত বিপিএল কি বাংলাদেশের পারফরমেন্সের উন্নতিতে ভূমিকা রেখেছে? সাকিব, ‘হ্যাঁ, প্রতিযোগিতায় বিশাল টার্গেট তাড়া করেছি আমরা। এর আগে ১৫০-১৬০ রান ধাওয়া করে জেতার বিষয়টি কখনো চিন্তা করিনি। কিন্তু বিপিএলের পর আমরা জেনেছি কিভাবে তা করতে হয়। এটাই আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়েছে।’

আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। তার মতো আরও অনেক ক্রিকেটার কি বাংলাদেশ দলে ডাক পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। এবিষয়ে সাকিবের মন্তব্য, ‘এমন আরও বেশকয়েকজন ক্রিকেটার পাইপলাইনে রয়েছে। বিপিএলে কয়েকজন ক্রিকেটার ভালো খেলেছে। এমুহূর্তে তাদের নাম বলতে চাইছি না আমি। কারণ ঠিক কাজ হবে না। আশা করি, বিসিবি তাদের সন্ধান করবে।’

অনেকে বলে ছোট পুকুরের বড় মাছ আপনি। আপনার মত কি? এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব, ‘বিষয়টি ঠিক নয়। কেননা আমার জন্ম হয়েছে বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেট খেলার জন্য। এ মুহূর্তে যে অবস্থায় আছি, তাতে আমি খুবই খুশি। কারণ এ পথেই উন্নতি হচ্ছে আমার ক্রিকেটের।’

বাংলাদেশের জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নেতৃত্বের হাতবদল হওয়ায় দলে আপনার বর্তমান  ভূমিকা। এ প্রশ্নের জবাবে সাকিবের ভাষ্য, ‘আমার মনে হয়, মাঠের ভেতরে ব্যাট ও বল হাতে দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ আমি। আর বাইরেও আমার কিছু দায়িত্ব আছে। বিশেষ করে, তরুণদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা।’

আগামী বছরে আপনি কি আরও বাংলাদেশি ক্রিকেটার আইপিএলে দেখতে চান? এবিষয়ে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘বেশকয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছে যারা আগামী মৌসুমে ডাক পেতে পারে প্রতিযোগিতায়। এরই মধ্যে তামিম ইকবাল চুক্তিবদ্ধ হয়েছে পুনে ওয়ারিয়র্সে। যদিও কোনো ম্যাচ খেলেনি। কিন্তু আমরা জানি, সে অসাধারণ ক্রিকেটার।’

ফাইনালে নাইট রাইডার্সের সঙ্গী চেন্নাই

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) মুরালি বিজয়ের ঝড়ো শতকে টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস।

শুক্রবার লিগের দ্বিতীয় কোয়ালিফাইং ম্যাচে তারা ৮৬ রানে উড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে।
স্কোর-
চেন্নাই সুপার কিংস: ২২২/৫
দিল্লি ডেয়ারডেভিলস: ১৩৬ (১৬.৫ ওভার)
ফল: চেন্নাই ৮৬ রানে জয়ী।

চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান দিল্লি ডেয়ারডেভিলস অধিনায়ক বীরেন্দ্র শেবাগ। উদ্বোধনী জুটিতে মুরালি বিজয় ও মাইকেল হাসি উড়ন্ত সূচনা এনে দেন চেন্নাইকে। দলীয় ৬৮ রানে বরুণ অ্যারনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মাইকেল হাসি (২০)। দ্বিতীয় উইকেটে সুরেশ রায়নাকে নিয়ে ব্যাটিং তান্ডবে মেতে ওঠেন মুরালি। ১৭ বলে ২৭ রান করে রায়না বিদায় নিলেও থামানো যায়নি মুরালিকে। পরবর্তীতে ধোনি ও ডোয়াইন ব্রাভোকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলেন লিগের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ইনিংসের শেষ বলে ওয়ার্নার ও ওঝার রান আউটের ফাঁদে পড়লেও দলকে ২২২ রানের সংগ্রহ এনে দেন মুরালি। মাত্র ৫৮ বলে ১৫টি চার ও চার ছক্কায় ১১৩ রানের ইনিংস খেলেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। এছাড়া ধোনি দশ বলে ২৩ ও ব্রাভো ১২ বলে তিনটি চার ও দুই ছ’য়ে করেন ৩৩ রান।

৬৩ রানে দুটি উইকেট নেন বরুণ অ্যারন। এছাড়া একটি করে পেয়েছেন উমেশ যাদব ও পাওয়ান নেগি।

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২২ রানেই ডেভিড ওয়ার্নার (৩) ও অধিনায়ক শেবাগের (১) উইকেট দুটি হারিয়ে বিপাকে পড়ে দিল্লী। পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা নিয়মিত উইকেট বিলিয়ে আসায় ১৩৬ রানেই মুখ থুবড়ে পড়ে ডেয়ারডেভিলসদের ইনিংস।

মাহেলা জয়াবর্ধনের ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ৫৫ রান আসে। তার ইনিংসে ছিল চারটি চার ও দুটি ছক্কা। এছাড়া রস টেলর ২৪ ও আন্দ্রে রাসেল ১৬ রান করেন।

২৩ রানে তিনটি উইকেট নিয়ে ডেয়ারডেভিলস ইনিংসে ধস নামান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এছাড়া শাদাব জাকাতি দুই উইকেট দখল করেন।

অনবদ্য ব্যাটিংয়ের জন্য ম্যাচ সেরা হন মুরালি বিজয়।

২৭ মে ফাইনালে নিজেদের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংস মুখোমুখি হবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের।

মধুর প্রতিশোধ মোহামেডানের

লিগের প্রথম পর্বে শেখ রাসেল ৩-০ গোলে হারিয়েছিলো মোহামেডানকে। দ্বিতীয় সাক্ষাতে শুক্রবার রাসেলকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছে সাদা-কালোরা।

আগের ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলা মোহামেডান শেখ রাসেলের বিপক্ষে নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি। বল দখলের লড়াইয়ে সাদা-কালোদের চেয়ে এগিয়েই ছিলো শেখ রাসেল।
১২ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় মোহামেডান। ফরোয়ার্ড ওয়াহেদ ও মিডফিল্ডার মোবারক বল আদান-প্রদান করে বক্সে ঢুকে পড়েন। মোবারকের প্রথম প্রচেষ্টা গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্য ঠেকিয়ে দিলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় নিশানাভেদ করেন এই মিডফিল্ডার। এই অর্ধে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় কোচ এমেকা ইউজিগোর দল।

৬১ মিনিটে বুকোলার প্রচেষ্টা নস্যাৎ করেন মোহামেডান গোলরক্ষক তিতুমীর চৌধুরী টিটু। ৭৯ মিনিটে শেখ রাসেল মিডফিল্ডার ইউসুফের জোরালো শট প্রতিহত করে দলকে আবারও বিপদ থেকে রক্ষা করেন এই গোলরক্ষক। ৮৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় সাদা-কালোরা। শেখ রাসেল ডিফেন্ডার আমিনুল মোহামেডানের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড অগাস্টিন চিজোবাকে বক্সে ফেলে দিলে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। স্পট কিক থেকে নিশানাভেদ করেন বেনিনের মিডফিল্ডার ওকালাওন। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ হলেও বাকি সময় ব্যবধানে হেরফের ঘটাতে পারেনি কোনো পক্ষই।

এ জয়ে ১৩ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে একধাপ এগিয়ে পঞ্চমস্থানে মোহামেডান। এক ম্যাচ বেশি খেলে ২১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়স্থান ধরে রেখেছে শেখ রাসেল।

তিন পয়েন্ট পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে মাহামেডান কোচ এমেকা ইউজিগো বলেন, ‘যেভাবে চেয়েছি ছেলেরা সেভাবে খেলতে পারেনি। তবে তিন পয়েন্ট পেয়েছি এটাই বড় বিষয়।’

শেখ রাসেল কোচ মারুফুল হক তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘আমাদের শিরোপা স্বপ্ন আগেই শেষ হয়ে গেছে। এই ম্যাচে অনেকগুলো আক্রমণ গড়লেও ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল পাইনি। লিগে আমাদের আর কোনো আশা নেই। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ছেলেরা যে পারফরমেন্স দেখিয়েছে তাতে খুশি আমি।’

বিদ্যুৎ-পরিস্থিতি আরও অসহনীয় হতে পারেঃ ক্ষোভ সামাল দিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চেয়ে চিঠি

সারা দেশে লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থাগুলো। এ কারণে বিদ্যুৎ বিতরণের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বিতরণকারী সংস্থাগুলো বলছে, সেচ মৌসুম শেষ হওয়ার পরও দিন-রাতনির্বিশেষে এক ঘণ্টা পর পর লোডশেডিং চলছে। এ অবস্থায় তাদের পক্ষে মানুষের ক্ষোভ সামলানো কঠিন হবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান এ এস এম আলমগীর কবির গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, জেলা প্রশাসকদেরও সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ সঞ্চালন ও বিতরণব্যবস্থার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে।
এদিকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসা এবং কয়েকটি পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, লোডশেডিং না কমলে এবং গরম আরও দুই সপ্তাহ অব্যাহত থাকলে পানি সরবরাহে আরও সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ইতিমধ্যেই পানিসংকট তীব্র হয়েছে।
ফলে গ্রীষ্মের এই দহনে বিদ্যুৎ ও পানির সংকট সারা দেশের জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শুধু বিদ্যুৎ-পরিস্থিতির উন্নতি হলেই এই বিপর্যয়কর অবস্থার অবসান হতে পারে।
লোডশেডিং কত বাড়বে: প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কথায় আস্থা রেখে শহর-নগরবাসী মানুষ আশা করেছিল যে সেচ মৌসুম শেষ হলে লোডশেডিং কমবে। কিন্তু সে আশা এখন হতাশায় পরিণত হয়েছে।
লালবাগের ডুরিআঙ্গুল লেনের বাসিন্দা নূর মুহাম্মদ গতকাল শুক্রবার ফোনে প্রথম আলোর কাছে জানতে চান, ‘সেচ মৌসুম শেষ হলেও গভীর রাতে লোডশেডিং বন্ধ হচ্ছে না কেন?’ লোডশেডিং কমবে না, বরং আরও বাড়তে পারে—এ কথা শুনে তিনি হতবাক।
বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থার নিরাপত্তা চেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চাওয়া অন্যতম প্রতিষ্ঠান ডিপিডিসি। এর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে নূর মুহাম্মদের প্রশ্নটি করা হলে তিনি বলেন, গরমের তীব্রতা বাড়লে এবং বিদ্যুতের সরবরাহ বর্তমানের চেয়ে না বাড়লে প্রতিবার লোডশেডিংয়ের মধ্যকার ব্যবধান এক ঘণ্টার চেয়ে কমিয়ে আনতে হতে পারে।
আরও দুটি প্রধান সরবরাহকারী কোম্পানি পল্লী বিদ্যুৎ (আরইবি) এবং ডেসকোর কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ বর্তমানের মতো থাকলেও গরম বাড়লে সব ক্ষেত্রেই চাহিদা আরও বাড়বে। সে কারণেও লোডশেডিং বেশি করতে হতে পারে।
পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস ও জ্বালানি তেল বরাদ্দের যে হিসাব পাওয়া যায়, তাতে এ বছর বিদ্যুতের উৎপাদন বর্তমানের তুলনায় বাড়বে না বলে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। পেট্রোবাংলা বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে পরিমাণ গ্যাস দিচ্ছে (গড়ে দৈনিক ৮০ কোটি ঘনফুট), তার চেয়ে আর বাড়ানো সম্ভব হবে না বলে সংস্থাটির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। এ ছাড়া পিডিবির চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) আগামী জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য তেল আমদানির যে পরিমাণ নির্ধারণ করেছে, তাতে বর্তমানের তুলনায় বেশি জ্বালানি তেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।
পিডিবির হিসাবেই দেশে এখন প্রতিদিন বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা সাড়ে সাত হাজার মেগাওয়াট। সর্বোচ্চ উৎপাদন পাঁচ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। নতুন স্থাপিত তেলচালিত ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর কোনো কোনোটি গড়ে প্রতিদিন চার ঘণ্টা চালানো হচ্ছে। অনেকগুলো একবারেই বন্ধ রাখা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলো করা হয়েছে দেশের বিদ্যুৎ-ঘাটতি পূরণের আশু পদক্ষেপ হিসেবে।
বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা বেহাল: চাহিদার তুলনায় উৎপাদন-ঘাটতির সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে অব্যবস্থাপনা। কোথাও একটানা কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকলেও গ্রাহক এর কারণ জানতে পারেন না। সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে ফোন করলে ভালো ব্যবহার মেলে না। শ্যামলীর রিং রোডের আজিজুর রহমান বলেন, ‘গ্রাহকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অভিযোগকেন্দ্রে টেলিফোন না ধরার প্রবণতা গত কয়েক বছরে অনেকটাই কমেছিল। এখন আবার তা বাড়ছে।’
সরবরাহব্যবস্থায় সামান্য সমস্যা দেখা দিলেও তার সমাধান কতক্ষণে হবে তা কেউ বলতে পারেন না। মিরপুর থেকে রানী বেগম জানান, তাঁদের এলাকায় (সেকশন-৬, ব্লক-বি) একটি ট্রান্সফরমারে সমস্যা দেখা দেয় গত বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে। ডেসকো সেখানে অন্য একটি ট্রান্সফরমার পুনঃস্থাপন করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে। এই সময়ের মধ্যে অনেক গ্রাহক এবং তাঁদের অনুরোধে অনেক সংবাদকর্মীও ডেসকোর একাধিক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার টেলিফোনে ফোন করে সমস্যাটির মাত্রা জানার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কেউ ফোন ধরেননি। রানী বেগম বলেন, ‘অথচ ডেসকো আমাদের মতো গ্রাহকের অর্থে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হয়েছে। ওই কর্মকর্তাদের পরিবার-পরিজন যে আমাদের অর্থে প্রতিপালিত, তা তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন।’
গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ একটানা কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকলেও কোনো গ্রাহক চেষ্টা করেও জানতে পারেন না যে সমস্যাটা কী এবং বিদ্যুৎ কখন আসবে। ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একজন গ্রাহক আবদুল কাদের বলেন, ‘আমাদের তো বিদ্যুতের আশায় একটানা কয়েক দিন পর্যন্তও চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করতে হয়।’
পানির পরিস্থিতি: ঢাকা ওয়াসা সূত্র জানায়, একদিকে গ্রীষ্মে পানির চাহিদা ও ব্যবহার বেড়েছে, অপরদিকে লোডশেডিং পানির স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যাহত করছে। জেনারেটর দিয়ে পাম্প চালিয়ে পূর্ণ ক্ষমতায় পানি তোলা যায় না। তা ছাড়া ঢাকার কয়েকটি এলাকায় গত দুই মাসে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর এতটা নেমে গেছে যে সেখানকার পাম্পগুলোতে পানি ওঠার পরিমাণ কমে গেছে।
তার পরও দৈনিক ২৩০ কোটি লিটার চাহিদার বিপরীতে বর্তমানে ২১০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে লোডশেডিং না কমলে এবং গ্রীষ্মের বাড়তি চাহিদা একটানা আরও কিছুদিন চললে পানির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এভারেস্ট চূড়ায় ওয়াসফিয়া

মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত-শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট চূড়ায় লাল-সবুজ পতাকা ওড়ালেন বাংলাদেশের আরেক নারী পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজরীন।

আজ শনিবার সকাল ছয়টা ৪১ মিনিটে হিমালয়ের দক্ষিণ দিক দিয়ে তিনি এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণ করেন। এভারেস্ট জয়ের পরপরই তিনি তাঁর ‘বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট’ কর্মসূচির মুখপাত্র করভী রাখসান্দকে স্যাটেলাইট ফোনে এ খবর দেন। রাখসান্দ প্রথম আলো ডটকমকে জানান, ‘ওয়াসফিয়া আমার সঙ্গে ৩০ সেকেন্ড কথা বলেছে এবং এভারেস্ট জয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।’
ওয়াসফিয়ার এভারেস্ট অভিযানের আয়োজক এক্সপিডিশন হিমালয়া ডটকমও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নবীন ত্রিতাল প্রথম আলো ডটকমকে জানান, ওয়াসফিয়া নাজরীন এবং তাঁর সহযোগী তিনজন শেরপা এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণ করেছেন। তাঁরা এখন সাউথ কোলের দিকে নেমে আসছেন। আজ রাতে তাঁরা সাউথ কোলে অবস্থান করবেন। আগামী পরশু তাঁরা বেস ক্যাম্পে ফিরে আসবেন। ওয়াসফিয়াসহ সবাই নিরাপদ রয়েছেন বলে তিনি জানান।
ওয়াসফিয়া নাজরীন গত বছর পৃথিবীর সাত মহাদেশের সাতটি চূড়া আরোহণের ‘বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এভারেস্ট জয়ের মধ্য দিয়ে সাতটি পর্বত শৃঙ্গের মধ্যে তিনটি জয় করলেন ওয়াসফিয়া। এর আগে গত বছরের ২ অক্টোবর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ পর্বত-শৃঙ্গ কিলিমানজারো এবং ১৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ পর্বত-শৃৃঙ্গ একঙ্কাগুয়া জয় করেন।
১৯ মে বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে নিশাত মজুমদার এভারেস্ট জয় করেন। ২০১০ সালে ২৩ মে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মুসা ইব্রাহীম এভারেস্ট চূড়ায় লাল-সবুজ পতাকা ওড়ান।

উখিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় সেনা কর্মকর্তাসহ আহত ৪

কক্সবাজারের উখিয়ার তুতুরবিল গ্রামে একদল সন্ত্রাসী বসতভিটায় হামলা চালিয়ে বাড়িঘরে লুটপাট করে গৃহবধূ ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ ৪ জনকে গুরুতর আহত করেছে।

আহতদের উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে সাবেক সেনা কর্মকর্তা বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি এজাহার করেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিল গ্রামের সন্ত্রাসী ছৈয়দুজ্জামান মুন্সি ও আবদুর রহিম সেলিমের নেতৃত্বে একদল বহিরাগত সন্ত্রাসী পূর্বশত্রুতার জের ধরে শুক্রবার সকাল ১০টায় সাবেক সেনা সার্জেন্ট কবির আহমদ বাবুলের বসতভিটায় হামলা চালায়। তারা বাড়িতে ঢুকে মালপত্র লুট করতে থাকে। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী পিয়ারা পারভীন (৪০), ছেলে মাসুদ পারভেজ সোহাগ ও মোস্তাফা কামালকে আহত করা হয়। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল উখিয়া পুলিশ পরিদর্শন করেছে।

উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৫

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে বাস-মাইক্রোর মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ৫ যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। উখিয়া থানা পুলিশ বাস দুটি আটক করেছে।

গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় কুতুপালং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, কক্সবাজারগামী মাইক্রোবাসের চালক মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টেকনাফগামী একটি মিনিবাসকে ধাক্কা দেয়। ওই সময় হোয়াইক্যংয়ের রাসেলসহ ৫ যাত্রী গুরুতর আহত হয়। আহতদের উখিয়া ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।