Monday, December 06, 2010

ভর্তি পরীক্ষার সময় ছাত্রদল-ছাত্রলীগের সংর্ঘষ, আহত ১০

য়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগের ছয় কর্মীসহ অত্যন্ত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহত ছাত্রদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আজ ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ছিল। দুপুরে পরীক্ষার সময় ছাত্রদলের নেতা সাহাবুলকে মোটরসাইকেলে করে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা উঠিয়ে নিয়ে যায় বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
এর প্রতিবাদে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসের মূল গেটে ছাত্রলীগের নেতাদের ধাওয়া শুরু করেন। এর পরই ছাত্রলীগের কর্মীরা ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে লাঠি নিয়ে ছাত্রদলের কর্মীদের পাল্টা ধাওয়া করে। এ ঘটনায় দুপুর ১২টায় প্রথম শিফটের পরীক্ষা শেষ হলে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ইটপাটকেল ও লাঠির আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। তাঁদেরও অধিকাংশই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। গুরুতর আহত সাব্বির আহমেদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যদের মধ্যে আবু কায়ছার, জয়, সজীব, আপেল ও মনিরকে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিত্সা দেওয়া হয়।
এ দিকে সংঘর্ষের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিকেলের পরীক্ষা এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেয়। দুইটার পরীক্ষা তিনটায় নেওয়া হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ছাত্রলীগের সদস্য মনির জানান, ছাত্রদল আকস্মিক ও অতর্কিতে হামলা চালায়। এ ঘটনার পর ছাত্রলীগ আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা হামলা চালায়। এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য ছাত্রদলের কাউকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গিয়াসউদ্দিন আহমেদ এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, পরীক্ষার্থীরা যেন সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দিতে পারে, সে জন্যই বিকেলের পরীক্ষা এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

No comments:

Post a Comment