Monday, December 06, 2010

 দুর্দান্ত জয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

য়ের ধারায় ফিরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে হারের ধাক্কা কাটিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে সমতা। আর মিরপুরে আজ অনুষ্ঠিত তৃতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করে সিরিজে ২-১-এ এগিয়ে গেছে সাকিব আল হাসানের দল। ফ্লাডলাইটের অপর্যাপ্ত আলোর কারণে ডে-নাইট ম্যাচটি হয়েছে ডে ম্যাচ। তবে ফ্লাডলাইটের আলো না থাকলেও আগের ম্যাচের মতোই আলো ছড়িয়েছে টাইগাররা। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটের ওপর ভর করে ৭ উইকেটে ২৪৬ রান তোলে বাংলাদেশ। এরপর ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়েকে ৪৮.১ ওভারে মাত্র ১৮১ রানে গুটিয়ে দিয়েছেন আবদুর রাজ্জাক ও শফিউল ইসলাম। সিরিজে এগিয়ে যাওয়া ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৬৫ রানের।
শুরুটা অবশ্য হতাশারই ছিল বাংলাদেশের। প্রথম ওভারেই তামিম ইকবাল (০) এলবিডব্লিউ! চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই আউট তামিমের জায়গায় খেলতে আসা জুনায়েদ সিদ্দিকী (১)। দলীয় ৪৭ রানে সাজঘরে ফেরেন রকিবুল হাসান (১২)। ৩৩ রান করে ফিরতে হয়েছে ইমরুল কায়েসকেও। দলীয় রান তখন ৪ উইকেটে ৭১। তবে এই বিপর্যয় শেষ পর্যন্ত থাকেনি। ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে বাংলাদেশকে শক্ত অবস্থান এনে দেন সাকিব আল হাসান ও উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। মুশফিকুরকে ফিরিয়ে এ দুজনের ১১৬ রানের জুটি ভেঙেছেন উেসয়া। কিন্তু ততক্ষণে দলীয় সংগ্রহে ৬৩ রান যোগ করেন মুশফিক। সাজঘরে ফেরার আগে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। নাঈম ইসলাম ২৩ ও মাশরাফি ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট লাভ করেন অধিনায়ক উেসয়া।
আগের ম্যাচে আবদুর রাজ্জাক ও সাকিবের ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। আজ সফরকারীদের বিধ্বস্ত করেছেন রাজ্জাক ও শফিউল। ৪৭ রানেই জিম্বাবুয়ের ছয় উইকেট নেই! ৯৫ রানে সাত, আর ১২০ রানে ৮ উইকেট! তার পরও জিম্বাবুয়ে যে ১৮১ রান তুলতে পেরেছে, তার কৃতিত্ব উেসয়ার। সতীর্থদের বিপর্যয়ের মধ্যেও ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন এই ব্যাটসম্যান। ১০ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৪ রানের বিনিময়ে চারটি উইকেট শিকার করে জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার বিধ্বস্ত করায় ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন আবদুর রাজ্জাক।

No comments:

Post a Comment