Monday, December 06, 2010

বন্দর ব্যবহারের বিনিময়ে রড রপ্তানির সুযোগ দাবি

ট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের সুবিধার বিনিময়ে বিনাশুল্কে ভারতে রড রপ্তানির সুযোগ চান সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। সোমবার তারা বিষয়টি বাণিজ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং এন্ড স্টিল মিলস্ অ্যাসোসিয়েশনের এক প্রতিনিধি দল বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানের সঙ্গে সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে দেখা করে এ বিষয়ে সরকারের সহায়তা চান। ভারতে বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার রড রপ্তানি করা সম্ভব বলে জানান সংগঠনের মহাসচিব আবুল কাশেম মজুমদার।
আবুল কাশেম মন্ত্রীকে জানান, বর্তমানে দেশের স্টিল ও রি-রোলিং মিলগুলোর বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৮০ লাখ মেট্রিক টন। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র ৪০ ভাগ (৩২ লাখ মেট্রিক টন) রড উৎপাদিত হচ্ছে। তবে দেশে রডের চাহিদা ২০ লাখ মেট্রিক টন হওয়ায় বছরে ১২ লাখ মেট্রিক টন রড উদ্বৃত্ত থেকে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। দেশে বর্তমানে ৪৩টি অটো রি-রোলিং এবং প্রায় আড়াইশটি রি-রোলিং মিল রয়েছে।

বর্তমানে ভারত বিপুল পরিমাণ শুল্ক আরোপ করায় এবং আমাদের এসএম প্রডাক্টের টেস্টিং রিপোর্ট গ্রহণ না করায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে রড রপ্তানি করা যাচ্ছে না বলে জানান স্টিল মিলস্ এসোসিয়েশনের মহাসচিব। তিনি মন্ত্রীকে বলেন, "ভারতকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার বিপরীতে সরকারের উচিৎ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যে বিনাশুল্কে রড রপ্তানির সুযোগ আদায় করা।"

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এমএস রড রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের রড টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে। এতে রডের মান উন্নত হওয়ার পাশাপাশি দেশের চাহিদা মিটিয়ে রড রপ্তানি করে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীর এ বক্তব্য জানানো হয়।

বৈঠকে উত্থাপন করা রড ব্যবসায়ীদের অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে, স্টিল ও রি-রোলিং মিলের কাঁচামাল মেল্টিং স্ক্র্যাপ ও রি-রোলেবল স্ক্র্যাপ আমদানি পর্যায়ে প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন (পিএসআই) প্রথা রহিত করা, এ শিল্পের যাবতীয় কাঁচামাল, কেমিক্যাল ও যন্ত্রপাতির উপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করা, বন্দরে অতিরিক্ত চার্য আদায় বিলোপ করা ইত্যাদি।

No comments:

Post a Comment