Monday, December 06, 2010

ভারতীয় উপকূলে বাংলাদেশি জাহাজ জলদস্যু-আক্রান্ত

মুদ্রগামী বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’ আজ রোববার বিকেলে ভারতীয় উপকূলে জলদস্যু-আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জাহাজটির ২৬ জন নাবিকের সবাই বাংলাদেশি। এর মধ্যে একজন কর্মকর্তা সপরিবার ওই জাহাজে আছেন বলে জানা গেছে। শিপিং সূত্রে জানা গেছে, জলদস্যুরা নাবিকসহ জাহাজটিকে জিম্মি করে অজ্ঞাত স্থানের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় জলদস্যুদের সহায়তায় সোমালিয়ার জলদস্যুরা এই ঘটনা ঘটাতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে।জাহাজটির বাংলাদেশি মালিক এস আর শিপিংয়ের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন ‘ইন্দোনেশিয়া থেকে নিকেলের আকরিক নিয়ে জাহাজটি গ্রিসের দিকে যাচ্ছিল। মাঝপথে মালদ্বীপ ও ভারতীয় লাক্কা দ্বীপের মাঝামাঝি জায়গায় এটি জলদস্যু-আক্রান্ত হয় বলে আমরা খবর পেয়েছি। দুবাইভিত্তিক জলদস্যুতা তদারকি সংস্থা ইউকে-এমটিও আমাদের কাছে এই বার্তা পাঠিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘জলদস্যুরা জাহাজটির বেতার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এরপর ওই জাহাজ ও নাবিকদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা আর বলতে পারছি না।’
জলদস্যুকবলিত জাহাজটির অবস্থান নির্ণয়ের জন্য আজ গভীর রাত পর্যন্ত উপগ্রহ তদারক করছিলেন সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের মুখ্য কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন হাবিবুর রহমান। রাত সাড়ে ১১টায় তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জলদস্যুরা এমভি জাহান মণিকে ঘিরে ফেলে এবং সোয়া চারটার দিকে পুরো জাহাজটিকে নিজেদের কবজায় নেয়। এরপর তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘যেখানে জাহাজটি আক্রান্ত হয়েছে, সেখান থেকে সোমালিয়া দ্বীপের দূরত্ব এক হাজার মাইলেরও বেশি। এ কারণে সন্দেহ করছি, ভারতীয় জলদস্যুদের সহায়তায় কাজটি করা হয়েছে।’
জাহাজমালিক সূত্রে জানা যায়, ৪৩ হাজার মেট্রিক টন পণ্য পরিবহনে সক্ষম ওই জাহাজটির বর্তমান বাজারমূল্য এক শ কোটি টাকারও বেশি। জলদস্যু-আক্রান্ত হওয়ার সময় এটিতে ৪১ হাজার মেট্রিক টন পণ্য ছিল। জাহাজটি বাংলাদেশি মালিকের হলেও এটি আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে ভাড়ায় পরিচালিত হচ্ছিল। জাহাজটি ছিনতাইয়ের পর জলদস্যুরা নাবিকদের জিম্মি করে মুক্তিপণ চাইতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশঙ্কা করছেন।

No comments:

Post a Comment