Monday, December 06, 2010

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর আরও ৫ দিনের রিমান্ডে

শ ট্রাক অস্ত্র আটক মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে শুনানির পর চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান রিমান্ড মঞ্জুরের এই আদেশ দেন। এর আগে একই মামলায় গত ১ নভেম্বর তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছিল। আদালত সূত্র জানায়, সিআইডি আজ বাবরের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। দুই পক্ষের কৌঁসুলিদের যুক্তিতর্ক শোনার পর হাকিম পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে প্রথম দফায় বাবরকে গত ৭ থেকে ১১ নভেম্বর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গত ৩ অক্টোবর ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রিমান্ড শুনানিতে অংশ নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) কামালউদ্দিন আহম্মদ আদালতে বলেন, এর আগে তাঁকে ১০ ট্রাক মামলায় ঢাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেছেন, সিইউএফএল জেটিঘাটে দুটি ট্রলারে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ খালাসের বিষয়টি তিনি ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল ভোরে বিশেষ শাখার তত্কালীন ডিআইজি মো. শামসুল ইসলামের কাছ থেকে জানতে পারেন।
আসামির কৌঁসুলিরা রিমান্ডের বিরোধিতা করে আদালতে বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বাবর সাহেবকে হয়রানি করতে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। কারণ কোনো আসামি ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে তাঁর নাম বলেননি। এর আগে তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। একই মামলায় বারবার রিমান্ডে নেওয়া যুক্তিসংগত নয়। এ ব্যপারে হাইকোর্টের অনেক সিদ্ধান্ত আছে।’
তদন্ত সূত্র জানায়, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে সিইউএফএল জেটিঘাট থেকে দশ ট্রাক অস্ত্র আটক করা হয়। উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার জন্য অস্ত্রগুলো আনা হয় বলে বিভিন্ন সাক্ষীর বক্তব্যে জানা গেছে। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার তদন্ত বেশি দূর এগোতে পারেনি। বিগত তত্ত্বাবধায়ক ও বর্তমান সরকারের আমলে অধিকতর তদন্ত শুরু হয়। পরে এই মামলায় কয়েকজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা আদালতে জবানবন্দি দেন। তাঁরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বাবর ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব ওমর ফারুককে দায়ী করেন।

No comments:

Post a Comment