Tuesday, June 12, 2012

মিয়ানমারের শরণার্থীদের বাংলাদেশে ঢুকতে দিতে জাতিসংঘের আহবান

মুসলমান এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে চলমান সহিংসতার জের ধরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের বাংলাদেশে ঢুকতে দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র  প্রতিনিধি ক্রেইগ স্যান্ডার্স এ আহবান জানান বলে জানিয়েছে বিবিসি।
একজন বৌদ্ধ নারীকে ধর্ষণের জের ধরে রাখাইন প্রদেশে বৌদ্ধ-মুসলমান বাঁধা দাঙ্গা অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। এ কারণে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। জাতিসংঘ ওই অঞ্চল থেকে সংস্থাটির কর্মীদের সরিয়ে নিতে শুরু করছে।

এ সহিংসতার জের ধরে আক্রান্ত রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে গেলে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বিজিবির সদস্যরা তাদের অধিকাংশকেই ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এ পর্যন্ত কমপক্ষে ছটি নৌকাভর্তি শরণার্থীকে বিজিবি সীমান্ত দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন ইউএনএইচসিআর’র  প্রতিনিধি ক্রেইগ স্যান্ডার্স। তিনি আরো বলেন, অল্পসংখ্যক শরণার্থীই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে পারছেন। কেননা, দুই সীমান্তেই নিজ নিজ দেশের বাহিনী নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

ক্রেইগ স্যান্ডার্স ওই শরণার্থীদের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার যেনো যতোটা সম্ভব সীমান্ত শিথিল রাখে এবং আশ্রয়প্রার্থীদের প্রবেশ করতে দেয়, আমরা সে আবেদন জানিয়েছি। বিশেষ করে সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসতে গিয়ে যারা আহত হয়েছেন তাদেরকে আগে ঢুকতে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।’

এদিকে মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিতওয়ে এলাকার একজন বৌদ্ধ মহিলা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ‘মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রচুর রোহিঙ্গা মুসলমানের বাস। তারা আমাদের ভয় দেখাচ্ছেন, হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। আমাদের কোনো আবেদনেই কান দিচ্ছেন না তারা। আমি খুবই ভয় পেয়েছি এবং পালিয়ে এসেছি।’

আঙুর চাষে মমতাজ বেগমের সাফল্য

চকরিয়ার খুটাখালীর পূর্বপাড়ার কবির আহামদের স্ত্রী মমতাজ বেগম আঙুর চাষে সাফল্য পেয়েছেন। পরিশ্রম ও সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে এক বছরের মাথায় আঙুরের অসামান্য ফলন এসেছে তার রোপিত গাছে।

এ ব্যাপারে মমতাজ বেগম বলেন, গত বছর এ সময়ে খুটাখালী বাজার থেকে ১৩০ টাকা দিয়ে একটি আঙুরের চারা কিনে এনে বাড়ির ছাদে রক্ষিত টবে লাগানো হয়।
ওই সময় মাটির সঙ্গে গোবর ও ইটের গুঁড়া মিশিয়ে আঙুর চারাটি টবের মধ্যে রোপণ করি। পরে নিয়মিত পানি সরবরাহ করা হয়।
কিছুদিন যেতে না যেতে গাছটি বড় হয়ে এর শাখা-প্রশাখা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ সময় লতাজাতীয় আঙুর গাছের ওপর একটি মাচা তৈরি করে দিই। এভাবে নিয়মিত পরিচর্যার এক পর্যায়ে আঙুর গাছের প্রতিটি শাখায় ফুল দেখা যায়। বাড়ির ছাদে টবে লাগানো আঙুর গাছ মাচার ওপর চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই গাছে আঙুরের ফলন প্রায় ২০ কেজির কাছাকাছি।

মমতাজ বেগম জানান, কয়েকদিন আগে গাছ থেকে আঙুর ছিঁড়ে প্রতি কেজি ১৭০ টাকা করে খুটাখালী বাজারে বিক্রি করা হয়। এ ছাড়াও ছাদের একাধিক টবে রয়েছে তার লাগানো শরিফা, কুল, কমলা, টমেটো, স্ট্রবেরি, পুদিনা পাতাসহ বিভিন্ন ফলদ বৃক্ষ।

অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির পুশব্যাক

মায়ানমারের মংডু রাজ্যে মগ ও মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষের পর টেকনাফ সীমান্তবর্তী নাফ নদী দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী রোহিঙ্গা নাগরিকদের পুশব্যাক শুরু করেছে বিজিবি।

পুলিশসহ বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, সোমবার দিনভর নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে ৫০৪ জন মায়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাকে সে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক বাংলানিউজকে জানান, সোমবার সকাল থেকে মায়ানমারের বেশকিছু নাগরিক নাফ নদী দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলো। এ সময় বিজিবি তাদের আটক করে আবারও ফেরত পাঠিয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী সতর্ক অবস্থায় আছে।

এদিকে সোমবার রাতে আরও একটি নৌকায় করে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী বেশ কয়েজনকে বিজিবি আটক করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরে শত শত মুসলিম  বর্মী নাগরিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আছে।

সোমবার সকালে সাতটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে ১৫৪ জন নারী,পুরুষ ও শিশু টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। এ সময় বিজিবি ও কোস্টগার্ড এদের বাধা দিয়ে মিয়ানমারের দিকে ফেরত দেয়।

দুপুরে এ ট্রলারগুলো সেন্টমার্টিন ভিড়তে চাইলে কোস্টগার্ড কৌশলে  উল্টা দিকে ফিরিয়ে দেয়। পরে এরা নাফনদী দিয়ে টেকনাফের দিকে ভিড়তে গেলে বিকেল ৪টার দিকে শাহপরীরদ্বীপ জেটি হতে বিজিবিও কোস্টগার্ডের সমম্বয়ে টিম প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এদের মিয়ানমারে পুশব্যাক করা হয়।

একই প্রক্রিয়ায় দিনের বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকটি বোটে আসা কমপক্ষে ৫০৪ জন অনুপ্রবেশকারীকে পুশব্যাক করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

টেকনাফ থানার ওসি বাংলানিউজকে জানান, গত ৩ জুন সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে টেকনাফের দুটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং রাখাইন পল্লীগুলোতে টহল জোরদার করা হয়েছে। রাতের পুরোটা সময় সেখানে পুলিশ পাহাড়া বসানো হয়েছে।

এদিকে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে সোমবার দু’দেশের ট্রানজিট ও ইমিগ্রেশন চতুর্থ দিনের মতো বন্ধ ছিল। টেকনাফ স্থল বন্দরে মিয়ানমার থেকে শুক্রবারের পর কোনো পণ্যবাহী জাহাজ আসেনি। স্থল বন্দরে কয়েকদিন ধরে বন্ধ থাকার পর সোমবার কাঠ লোডিংয়ের কাজ হয়েছে।

সূত্র জানায়, স্থল বন্দরে মিয়ানমারের কাঠবোঝাই ৫টি ও বাণিজ্যের পণ্য বোঝাই ২টিসহ ৭টি ট্রলার খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। এসব ট্রলারের মাঝি-মাল্লা ও শ্রমিকরা রাখাইন হওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে এসব ট্রলারের পণ্য খালাসের কাজ করা হয়নি।

মঙ্গলবার এসব ট্রলার থেকে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতিতে পণ্য খালাসের কাজ চলবে বলে  জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

আরাকানে সামরিক আইন জারি, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা

গত কয়েকদিন থেকে মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন আরাকান প্রদেশে (রাখাইনে) সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর হামলা পরবর্তী সহিংস


পরিস্থিতিতে দেশটির সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত সরকারের রাষ্ট্রপতি থেইন সেইন ১০ জুন রোববার থেকে পুরো প্রদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সামরিক শাসন জারি করেছেন।

রোববার  রাত আটটা দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এই তথ্য জানায়। সামরিক শাসন জারির এ সংবাদ আরাকানের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আতংক বেড়ে গেছে। মিয়ানমার মংডুতে আটকে পড়া ৫৫ বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের মধ্যে ফিরে আসা ৩৯ জন ব্যাবসায়ী জানান, মিয়ানমারের জাতিগত দাঙ্গায় আরাকানের সহস্রাধিক বসতবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। দাঙ্গায় নিহত হয়েছে শতাধিক।

মিয়ানমারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আহত হয়েছেন তিন শতাধিক রোহিঙ্গা। মুসলিম অধ্যুষিত বিভিন্ন গ্রামে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার পর ওই সব গ্রামের মানুষকে ঘিরে রাখা হয়েছে যেন বের হতে না পারে। গ্রামবাসীরা আগুন থেকে বের হতে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছে। অনেক গ্রামের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশে নিচে দিন যাপন করছেন।

আকিয়াব বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী শফি খান মসজিদসহ অন্তত ছয় মসজিদ পুড়িয়ে দিয়েছে সংখ্যাগুরু বৌদ্ধরা। মংডু শহরেও মুসলমানদের কয়েক’শ দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে রাখাইনরা।

মিয়ানমার থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, ৩ জুন রাখাইন প্রদেশের টাংগোপ শহরে ১০ মুসলিম হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে শুক্ররবার দুপুরে মংডু শহর সহ কয়েকটি মসজিদে জুমার নামাজ শেষে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ খবর মিয়ানমার জুড়ে ছড়িয়ে পড়লে জান্তা সরকারের নাসাকা এ্যাকশানে যায়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে মংডু শহরের আশপাশের এলাকা নুরুল্লাহ পাড়া, খিলাইদং, চার কম্ব, গদুচরা, বাগগুনা, কাদিও বিল, নরমাইন্না পাড়া, সিকদার পাড়া, গর্জন দিয়া, বমু পাড়া, হাউর ছড়া, ছমবইন্নাপাড়া, শিলখালী, মেরুংলোয়া, ব্যাপক সৈন্য মোতায়েন করেছে। এসব এলাকা সেনাবাহিনীর দখলে রয়েছে।

এদিকে বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খালেকুজ্জামান জানিয়েছেন, মংডু শহরে রোহিঙ্গা-রাখাইনদের সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক সর্তকর্তামূলক ব্যবস্থা জারি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বহু জাতি ও সম্প্রদায়ের দেশ মিয়ানমারের বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী আরাকান প্রদেশের সংখ্যালঘু মুসলমানদের কোনো ধরনের নাগরিক অধিকারের স্বীকৃতি নেই দেশটির সংবিধানে। প্রদেশটিতে জাতিসংঘের ভাষায় ‘বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়’ মুসলিম ধর্মালম্বী রোহিংগাদের চলাফেরার ওপর সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে রাখে। দেশটির প্রশাসন প্রায়ই এদের ‘বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী’ বলে প্রচারণা চালিয়ে থাকে।

কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজে বাণিজ্য বিভাগ চালু

প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পর কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজে বাণিজ্য বিভাগ চালু হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ একাদশ শ্রেণীতে বাণিজ্য বিভাগে ছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।

গতকাল সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ফ্যাক্সযোগে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজে বাণিজ্য বিভাগ চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক এ কে ফজলুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কলেজটিতে বাণিজ্য বিভাগে ছাত্রী ভর্তির সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছে। বিষয়টি গতকাল ফ্যাক্সবার্তায় কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহ আহমদ নবী বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাণিজ্য বিভাগে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। চলতি বছর ১৫০ জন ছাত্রী বাণিজ্য বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাবে।
কক্সবাজার শহরের ঝাউতলায় ১৯৯৬ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৮ সালের ১২ নভেম্বর কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়। স্নাতক পর্যায়ের এ কলেজটির ছাত্রীসংখ্যা বর্তমানে এক হাজার ১৯৪ জন।

কূটনৈতিক অদক্ষতায় সৌদি আরবে ২৫ লাখ শ্রমিক দুর্ভোগে

কূটনৈতিক অদক্ষতার কারণে সৌদি আরবে অবস্থানরত কক্সবাজারসহ সারা দেশের অন্তত ২৫ লাখ শ্রমিক চরম দুর্ভোগে রয়েছে।

সোমবার বিকেলে শহরের এক হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বজনরা এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন সিকদার তাজমহল অভিযোগ করেন, “সৌদি কর্তৃপক্ষ বিনা নোটিশে আকামা ইস্যু এবং নবায়ন বন্ধ করে দিয়েছে। মে মাসে সৌদি আরবের জেদ্দা, দাম্মামা, খোবা, তায়েফ ও রিয়াদের বিভিন্ন শিল্প-কারখানা এবং ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার বাংলাদেশী শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। চাকরি হারানো ওইসব শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছে।”

সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, প্রবাসীরা বার বার চেষ্টা করেও বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার অফিসারের সাক্ষাৎ পাচ্ছে না।

এক দিকে সৌদি নিয়োগকর্তারা বাংলাদেশী শ্রমিক নিচ্ছে না অপর দিকে শ্রম অধিদফতরের অনেক শ্রমিকের করা আবেদনও ফেলে রাখা হয়েছে। প্রবাসীদের এ দুরাবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়।