Tuesday, July 03, 2012

মহেশখালীর সোনাদিয়া সৈকতঃ এক মাস পরপর পাচার হয় ১০ টন শামুক

কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া থেকে নির্বিঘ্নে শামুক পাচার চলছেই। এ সৈকত থেকে এক মাস পরপর পাচার হয় ১০ টন শামুক! এতে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করলেও সৌন্দর্য হারাচ্ছে সোনাদিয়া সৈকত।
জানা যায়, বন বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে শামুক পাচার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় ওই প্রভাবশালী চক্র। দিনদুপুরে পাচারকাজ চললেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তা বন্ধে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সোনাদিয়ার বেলাভূমিজুড়ে রয়েছে সাদা শামুক, যা দেখে পর্যটকরা বিমোহিত হন। বেলাভূমিতে রোদের আলোয় ঝিকমিক করা শামুকে এক ধরনের সুখ অনুভব করেন পর্যটকরা। কিন্তু গত দু'বছর ধরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বন বিভাগের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অবাধে শামুক পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষকে ব্যবহার করে নামমাত্র মূল্যে তারা সংগ্রহ করছে বস্তাভর্তি শামুক।
সোনদিয়া সৈকত থেকে শামুক সংগ্রহ করতে দেখা গেল সিরাজ মিয়া (৩০), বুড়ি বেগম (৩৬) ও আনোয়ার হোসেনসহ (৫৫) অনেককে। তারা জানান, বেঁচে থাকার অবলম্বন হিসেবেই তারা শামুক সংগ্রহের কাজে জড়িত রয়েছেন। প্রতিদিন সকাল থেকেই তারা শামুক সংগ্রহ করেন। ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা শামুক তারা বিক্রি করেন ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। কারা এ শামুক সংগ্রহ করে জিজ্ঞেস করা হলে তারা এর কোনো উত্তর দেননি।
সূত্র জানায়, মূলত স্থানীয় প্রভাবশালী ওই মহলটিই সংগ্রহকারীদের থেকে বস্তাভর্তি শামুক কিনে নেয়। তারা প্রতি বস্তা শামুক ৪০-৫০ টাকায় কিনলেও তা বিক্রি করে ১৪০-১৫০ টাকায়। চক্রটি সাগরপথে ট্রলারে করে এক মাস পরপর ১০ টন শামুক চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল গফর নাগু সমকালকে বলেন, 'আয়ের অন্য কোনো উৎস না থাকায় বেশ কিছু পরিবার সৈকতের শামুক বিক্রি করে সংসার চালায়।' অন্যদিকে গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর দাবি করেন, শামুক পাচারের সঙ্গে বন বিভাগের কেউ জড়িত নেই।
একই প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইউএনও এটিএম কাউছার হোসেন বলেন, 'বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যায় উন্নীত

উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি বলেছেন, বর্তমান সরকার মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।


সে লক্ষ্যে সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অর্থায়নে উখিয়ার আড়াই লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসাসেবা পাওয়ার জন্য ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ১৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও গণরায় দিয়ে ক্ষমতায় আনার সুযোগ সৃষ্টি করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেল্গক্সের মাঠ প্রাঙ্গণে ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথাগুলো বলেন। উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. কাজল কান্তি বড়ূয়া। বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজালাল চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আদিল উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হোছাইন খান, রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, ডা. এসএম আবু সাঈদ, অধ্যক্ষ শাহ আলম প্রমুখ।

রামুকে বন্যাদুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন

রামু উপজেলায় অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণকে মানবিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা ও রামু উপজেলাকে বন্যাদুর্গত এলাকা ঘোষণা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে


প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাবাসী। গতকাল সোমবার সকালে চৌমুহনী চত্বরে রামুকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবিতে আয়োজিত 'রামু উপজেলাবাসী'র মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি শেষে ইউএনওর মাধ্যমে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ওই দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল।
মাস্টার মোহাম্মদ আলমের সভাপতিত্বে অধ্যাপক নীলোৎপল বড়ূয়া, সোয়েব সাঈদ, মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমদ, বৌদ্ধ ভিক্ষু প্রজ্ঞানন্দ, বশিরুল ইসলাম, এসএম জাফর, নুরুল ইসলাম সেলিম, নীতিশ বড়ূয়া, ছৈয়দ করিম, আমান উল্লাহ, পুলক বড়ূয়া, মোহাম্মদ ফেরদৌস, মানসী বড়ূয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কুতুবদিয়ার আজম সড়কের তাবলের চর পয়েন্টে ব্যাপক ভাঙন

কুতুবদিয়ায় বর্ষণ ও সামুদ্রিক জোয়ারের স্রোতে দ্বীপবাসীর বাসীর যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম আজম সড়কের আলী আকবর ডেইলের তাবলেরচর পয়েন্টে ভেঙে সাগরগর্বে তলিয়ে গেছে।

দ্বীপের আজম সড়কের আলী আকবর ডেইল শান্তি বাজার হতে তাবলরচর পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৫ টি পয়েন্টে সড়ক ভেঙে খাল হয়ে গেছে। বর্তমানে কতিবিদিয়া দ্বীপের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত তাবলরচর গ্রামের ১০ হাজার মানুষ উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আজম সড়কের তাবলেরচর পয়েন্টে ভেঙে খাল হয়ে যাওয়ায় পথচারীসহ ওই গ্রামের বাসিন্দারা নৌকা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। তাবলরচর বায়ুবিদ্যুৎ এলাকায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙা থাকায় জোয়ারের পানি সরাসরি আজম সড়কে আঘাত করে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে আজম সড়কটি ভেঙ্গে যায়। স্কুল ,কলেজ, মাদরাসায় পড়ূয়া শিক্ষার্থীদের এ ভাঙ্গন সড়ক দিয়ে যাতাযাতের ক্ষেত্রে চরম দুভর্োগ পোহাতে হচ্ছে।
দ্বীপের তাবলরচর গ্রামের বাসিন্দা ও কুতুবদিয়া কলেজের শিক্ষার্থী শাহেনা বেগম,মর্জিনা,রেখা আকতার,রোজিনা আকতার জানান, আজম সড়কটি ভাঙা থাকায় উপজেলা সদরে অবস্থিত কলেজে যেতে পারছি না।
এদিকে গত শুক্রবার কুতুবদিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হাছিনা আকতার বিউটি ও ইউএনও ফিরোজ আহমেদ তাবলরচর গ্রামের আজম সড়কের ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এ ছাড়া আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে ১২ কিলোমিটার, বড়ঘোপ ইউনিয়নে ১৫ কিলোমিটার, কৈয়ারবিল ইউনিয়নে ১০ কিলোমিটার , লেমশীখালী ইউনিয়নে ১৫ কিলোমিটার, দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নে ১২ কিলোমিটার, উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে ১৬ কিলোমিটারসহ ৮০ কিলোমিটার সড়ক ও রাস্তা গুলো প্রবল বৃষ্টির পল্গাবিনে ভেঙ্গে গেছে। এ খবর নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যানরা। বর্তমানে কুতুবদিয়া দ্বীপে ৬ ইউনিয়নের ভাঙ্গন রাস্তা দিয়ে গাড়ি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এ সব রাস্তায় খানা-খন্দক হওয়ায় স্বাভাবিক চলাচলে মারাত্মক দুভর্োগে পড়েছে পথচারীরা।

চকরিয়ায় ত্রাণ বরাদ্দের দাবিতে মেয়রের সংবাদ সম্মেলন

বন্যায় চকরিয়া পৌর এলাকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ ও ৯নং ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধের কয়েকটি পয়েন্টে বিশাল অংশ ভেঙে যাওয়ায় চকরিয়া পৌর শহর অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।
জরুরি ভিত্তিতে এসব বাঁধ পুনর্নির্মাণ করা না হলে চলতি বর্ষায় আবার বন্যা হলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কসহ পৌর শহর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারিভাবে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার। শনিবার মেয়র বাসায় সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, বন্যায় পৌর এলাকার বেড়িবাঁধ, কোচপাড়া বেড়িবাঁধ ভেঙে পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। তৎক্ষাণিক ভাবে পৌর মেয়রের উদ্যোগে ৫টি লঙ্গরখানা খুলে ১০ হাজার মানুষের খাবার ব্যবস্থা ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের মাঝে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এ ছাড়া পৌর তহবিল থেকে ১৫০ বস্তা চিড়া, ৫০ বস্তা চিনি বিতরণ করা হয়। সরকারীভাবে ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১০ বস্তা চিড়া ও ৩ টন চাউল। যা পৌর এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের জন্য অতি নগণ্য। ইতিমধ্যে পৌর এলাকায় এক মহিলা ও এক যুবকসহ ২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন এনামুল হক বাবু ,নুরুল আমিন, লক্ষণ দাশ, ছৈয়দ আলম, নাজেম উদ্দিন, বশিরুল আইয়ুব প্রমুখ।

রামুতে অবৈধভাবে বালু তুলছে প্রভাবশালীরা

রামু উপজেলার ২টি বালুমহাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। উচ্চ আদালতের রায় এবং জেলা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে প্রকাশ্যে এ বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখা হয়েছে।
রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধোয়াপালং এবং ধেছুয়াপালং এলাকায় ২টি বালুমহাল রয়েছে। প্রায় ২৮.৩৮ একর এ ২টি বালুমহাল সরকারিভাবে ইজারা প্রদান করা হয়। কিন্তু মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় গত ১২ জুন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক স্মারকসূত্রে এ সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে করা আপিল মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বালু মহাল ২টি থেকে বালু উত্তোলন আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করে। কিন্তু এর পর গত ১৫ জুন থেকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বালুমহাল ২টি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেছে। অর্ধশতাধিক শ্রমিক বালুমহাল ২টি থেকে বালু উত্তোলন করে রাস্তার পাশে মজুদ করছে। একই সঙ্গে ট্রাকভর্তি করে বিক্রি করছে প্রকাশ্যে। কর্মরত কয়েক শ্রমিক জানিয়েছেন, স্থানীয় আবদুল মাবুদ, জহির উদ্দিন, আবদুস সালাম বাদল, আবদুল গফুর এ বালু মহালের ইজারা নিয়েছেন এবং তাদের শ্রমিক হিসেব বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। শ্রমিকরা জানান, প্রতিদিন বালু মহাল থেকে গড়ে ৭০ থেকে ৮০ ট্রাক বালু উত্তোলন করা হয়। ১২ থেকে ১৩ শত টাকা প্রতি ট্রাক বালু বিক্রি করা হচ্ছে।
গত ১৭ মে হাইকোর্টের রিট মামলার আদেশ মতে, বালু মহাল ওই এলাকার মৃত অছিয়র রহমানের ছেলে নুর আহমদ সওদাগরকে দখল হস্তান্তর করতে নির্দেশ দেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। এ নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রামু উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোহাম্মদ সেলিম ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সলিমউল্লাহ নুর আহমদ সওদাগরকে বালুমহাল ২টির দখল হস্তান্তর করেন। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল মামলা করা হয়। পরে আপিল মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বালুমহাল ২টি থেকে নুর আহমদ সওদাগরকে বালু উত্তোলন আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, বালু মহাল ২টি থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ অবৈধভারে বালু উত্তোলন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বন্যাঃ কক্সবাজারে ৩০০ কোটি টাকা ক্ষতি

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করেছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ।
গেল সপ্তাহজুড়ে প্রবল বর্ষণ, পাহাড়ধস, জলাবদ্ধতায় জেলার টেকনাফ, উখিয়া, রামু, পেকুয়া, চকরিয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও কক্সবাজার সদর উপজেলার ৭২ ইউনিয়নের মানুষ, পশু, ফসলি জমি, চিংড়িঘের, লবণচাষ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেড়িবাঁধ, কারখানা, বন, বিদ্যুৎ, মৎস্য খামার, নলকূপ ও পানের বরজসহ ৬০ প্রকারের সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি চিহ্নিত করা হয়েছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জয়নুল বারী জানান, দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে যতটুকু সম্ভব ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক বিবরণ তুলে আনা হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, 'অনেক এলাকায় এখনো বন্যার পানি রয়েছে। দুর্গতদের জন্য ৩০ লাখ নগদ টাকা এবং ৫০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।'