Monday, December 27, 2010

 লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী সীমান্তে আজ সোমবার ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম বেলাল হোসেন (২৫)। তিনি গরুর ব্যবসায়ী। একই ঘটনায় মো. বাবু মিয়া (২৪) নামের আরেকজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

বিডিআর জানায়, নিহত বেলালের বাড়ি পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের নামাজিটারী গ্রামে। আহত বাবুর বাড়ি একই ইউনিয়নের বামনদল গ্রামে।
জানা যায়, আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বুড়িমারী সীমান্ত পার হওয়ার সময় ৮৩৮ মেইন পিলার-সংলগ্ন এলাকায় বেলাল ও বাবুকে লক্ষ্য করে বিএসএফের সদস্যরা গুলি চালায়। এতে বেলাল গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাবুর পিঠে গুলি লাগে। বেলালের লাশ বিএস বাড়ি এলাকার বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ভারতের ভেতরে নিয়ে গেছে। বাবু বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
বুড়িমারী বিওপি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার সাঈদ প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং নিহত বাংলাদেশির লাশ ফেরত চেয়ে বিএস বাড়ি এলাকার বিএসএফ ক্যাম্পে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট ৩১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের (বিডিআর) উপ-অধিনায়ক মেজর শফিক উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

রাঙামাটিতে সন্তু লারমার গাড়িবহরে হামলা

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির প্রধান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমার গাড়িবহরে আজ সোমবার সকালে হামলা হয়েছে। খাগড়াছড়ি থেকে রাঙামাটি ফেরার পথে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার বেতছড়ি এলাকায় তাঁর গাড়িবহর হামলার শিকার হয়। এ সময় বহরে থাকা দুটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। তবে যাত্রীদের সবাই অক্ষত আছে।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার মাসুদুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সন্তু লারমার ব্যক্তিগত সহকারী বরুণ চাকমা জানান, সকাল ১০টার দিকে গাড়িবহর বেতছড়ি এলাকায় পৌঁছালে হামলা চালানো হয়। তিনি দাবি করেন, এ সময় গাড়িবহর লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছে। গুলিটি গাড়িবহরে থাকা মাইক্রোবাসে আঘাত করে। এতে মাইক্রোবাসের কাচ ভেঙে যায়। এ ছাড়া অন্য একটি জিপ গাড়িরও কাচ ভেঙেছে।
তবে জেলা পুলিশ সুপার গুলি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। তিনি দাবি করেন, পাহাড়ের ওপর থেকে পাথর মারা হয়েছিল।
সন্তু লারমার ব্যক্তিগত সহকারী আরও জানান, সন্তু লারমা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির সভায় যোগ দিতে গতকাল রোববার রাঙামাটি থেকে খাগড়াছড়ি যান।
প্রসঙ্গত, এ বছরের ২৭ জানুয়ারি রাঙামাটি থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে একই এলাকায় সন্তু লারমার গাড়িবহর হামলার শিকার হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে এসে রোগীদের ভোগান্তি

মেয়ে ফরিদা বেগমের চিকিৎসা করাতে গত শনিবার রাতে ফেনী থেকে ঢাকায় এসেছিলেন শফিকুর রহমান। দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাসায় রাত কাটিয়ে গতকাল সকাল সাতটার মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গেটে এসে পৌঁছান তিনি। কিন্তু ষাটোর্ধ্ব শফিকুর রহমান ভেতরে ঢুকতে পারেননি। মেয়েকে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন
সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা। শফিকুর রহমানের মতো অসংখ্য ব্যক্তিকে রোগী নিয়ে বিএসএমএমইউর গেটে এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এক্স-রে রিপোর্ট, ব্যবস্থাপত্রসহ চিকিৎসাসংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে রোগীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। নিরাপত্তাকর্মীরা সকাল থেকেই গেট বন্ধ করে রেখেছিলেন। ভেতরে ঢুকতে চাইলে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান, ভেতরে যাওয়া চলবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং ৪০ শয্যার আইসিইউ ও ওটি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জরুরি ও বহির্বিভাগের গেট ছাড়াও দক্ষিণের গেটটিও বন্ধ ছিল দুপুর ১২টা পর্যন্ত। তবে ওই গেট দিয়ে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী এবং অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ব্যক্তিদের ঢুকতে দেওয়া হয়।
বহির্বিভাগের বাইরে একটি কাপড়ের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘আজ দুপুর সাড়ে ১২টার পর জরুরি ও বহির্বিভাগের রোগীদের চিকিৎসা শুরু হবে।’ প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে আসেন সাড়ে ১০টার দিকে। অনুষ্ঠান শেষে বের হন ১২টায়। কিন্তু গেটগুলো বন্ধ ছিল সকাল থেকেই। সোয়া ১২টার পর মূল গেট খুলতেই রোগী ও তাদের সঙ্গে আসা লোকদের ঢল নামে।
কুমিল্লা থেকে আসা আলী আশরাফ বলেন, তিনি সকাল নয়টা থেকে পেটে ব্যথা নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন। দুপুরের আগে চিকিৎসা পাওয়া যাবে না, এটা তিনি জানতেন না।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে আসা মনোয়ারা বেগম জানান, তাঁর হাঁটুব্যথার চিকিৎসার জন্য ভোরে রওনা দিয়ে এসে দেখেন গেট বন্ধ। তাই ফুটপাতে বসে কাটিয়েছেন সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা।
ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোডের বাসিন্দা সাজেদা বেগম জানান, তিনি এক বছরের শিশুর চিকিৎসা করানোর জন্য সকাল নয়টায় এসেছেন। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা ভেতরে যেতে দেননি। তিনি সন্তান নিয়ে কয়েক ঘণ্টা বাইরে বসে ছিলেন।
মো. ওয়াহিদ স্ত্রী ও নবজাতককে নিয়ে সাভার থেকে এসেছিলেন। শিশুটির পায়ে সমস্যা। নয়টা থেকে ১২টা পর্যন্ত গেটের বাইরে কোলের শিশু নিয়ে বসে ছিলেন।
যেসব রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে, তাদের স্বজনদেরও ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অনেকে অভিযোগ করেন, ওয়ার্ডগুলোতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক ছিলেন না।
জানতে চাইলে বিএসএমএমইউয়ের পরিচালক আবদুল মজিদ ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের উত্তর দিকের মাঠে বিকল্প বহির্বিভাগ বসিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে রোগীরা চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিকল্প বহির্বিভাগের ব্যাপারে আগে কোনো নোটিশ দিয়েছিলেন কি না, জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, বিকল্প বহির্বিভাগে রোগীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য সাদা পোশাকের আনসার প্রস্তুত ছিল। সবকিছুর পরও অল্প কিছু অসুবিধা হয়ে থাকতে পারে।

আইবির জরিপঃ কুমিল্লায় সকালে মামলা, সন্ধ্যায় খারিজ

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) শীর্ষস্থানীয় তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গতকাল রোববার সকালে কুমিল্লার আদালতে মামলা করেন এক আইনজীবী। দুপুরে আদালত ওই মামলায় টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম হাফিজউদ্দিন খান, নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান ও জ্যেষ্ঠ ফেলো মো. ওয়াহিদ আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে সন্ধ্যায় একই আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন।

একই দিন চট্টগ্রামের আদালতেও টিআইবির এই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন সেখানকার দুই আইনজীবী। এ দুটি মামলায় টিআইবির তিনজনকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়।
গতকাল সকালে কুমিল্লার ১ নম্বর আমলি আদালতে টিআইবির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন বিএনপি-সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কুমিল্লা জেলা শাখার সদস্য তৌহিদুর রহমান। ৫০১/৫০২/১০৯ ধারায় কুমিল্লার ১ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গাজী সাইদুর রহমান মামলাটি আমলে নেন এবং বিবাদী তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
বাদী তৌহিদুর রহমান গতকাল দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি একজন আইনজীবী হিসেবে ওই মামলা দায়ের করেছি। বিচারক মামলার আরজি দেখে বিবাদীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।’
কুমিল্লার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. মজিবুর রহমানও সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে রাত সাড়ে আটটায় পিপি মজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ফরম (তলবানা) পূরণের কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে, যাতে বিবাদীর পূর্ণ ঠিকানাসহ যোগাযোগের আনুষঙ্গিক বিষয়াদি লিখতে হয়। কিন্তু বাদী তা না করায় একই আদালত সন্ধ্যায় মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন।
তবে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের একটি সূত্র জানায়, মামলাটি দায়েরের পর বাদী দলের পক্ষ থেকে চাপে পড়েন।
অবশ্য রাতে যোগাযোগ করা হলে বাদী তৌহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি তলবানার ফরম পূরণ না করায় আদালত পরে মামলাটি খারিজ করেছেন।
মামলায় অভিযোগ: মামলার আরজিতে বলা হয়, ২৩ ডিসেম্বর প্রকাশ করা টিআইবির জরিপ সম্পূর্ণ অসত্য, উদ্দেশ্যমূলক এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিক প্রকাশ বটে। জরিপের ফলাফল প্রকাশের দিন ২০০৭ সালে বিচার বিভাগের অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে ২০১০ সালের একটি তুলনামূলক পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। ওই পরিসংখ্যানে দুর্নীতির মাত্রা ২০০৭ সালের তুলনায় ২০১০ সালে বেশি দেখানো হয়। টিআইবি উদ্দেশ্যমূলক ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সদ্য পৃথক হওয়া স্বাধীন বিচার বিভাগকে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপপ্রয়াস চালিয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
মামলার আরজিতে কুমিল্লার সহকারী পাবলিক প্রসিকিউর (এপিপি) আবুল কালাম আজাদসহ ১৩ জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, টিআইবি ২৩ ডিসেম্বর ‘সেবা খাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ-২০১০’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে সেবা খাতগুলোর মধ্যে বিচার বিভাগের দুর্নীতি সবচেয়ে বেশি বলে উল্লেখ করা হয়।
চট্টগ্রামের দুই মামলা: স্থানীয় আইনজীবী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও মোহাম্মদ মুজিবুল হক বাদী হয়ে টিআইবির তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যথাক্রমে চট্টগ্রামে মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমানের আদালতে ও বিচারিক হাকিম কেশব রায় চৌধুরীর আদালতে পৃথক মামলা দুটি করেন।
তিন বিবাদীকে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে আগামী ১৩ জানুয়ারি এবং চট্টগ্রামের বিচারিক হাকিম আদালতে ৩১ জানুয়ারি হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন উভয় আদালত।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান অভিযোগ আমলে নিয়ে বলেন, টিআইবির প্রতিবেদনের একটি অংশে ‘উকিলের হয়রানির শিকার হয়েছেন ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ’ বলে উল্লেখ করা হয়। বিচার বিভাগের অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় না আনলেও প্রতিবেদনের এ অংশের কারণে একজন আইনজীবী হিসেবে অভিযোগকারী সংক্ষুব্ধ বলে ধরে নেওয়া যায়। সার্বিক বিবেচনায় অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা থাকায় ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৫০০ ও ৫০১ এবং তৎসহ ১০৯ ধারার অধীনে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে নেওয়া হলো।
অন্য মামলায় চট্টগ্রাম জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কেশব রায় আদেশে বলেন, ‘অভিযোগ পর্যালোচনায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৫০০, ৫০১ এবং ১০৯ ধারা আমলে নেওয়া হলো।’
উভয় মামলার আরজিতে বলা হয়, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার পর একটি প্রতিক্রিয়াশীল ও স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্নভাবে স্বাধীন বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও অকার্যকর করতে তৎপর। আসামিরা এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। আসামিরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে সীমিতসংখ্যক ব্যক্তির শুধু অনুমাননির্ভর অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে কথিত জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মহানগর হাকিম আদালতে করা মামলার বাদী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘টিআইবির প্রতিবেদন গোটা বিচার বিভাগের মর্যাদা প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। একজন আইনজীবী হিসেবে সমাজে আমাকেও খাটো করা হয়েছে। তাই আদালতের কাছে ফরিয়াদ জানিয়েছি।’
টিআইবির প্রতিক্রিয়া: মামলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টি শেষ করব। আশা করি, ন্যায় বিচার পাব এবং ন্যায় বিচারের মধ্য দিয়ে দেশে যে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে, সেটাও নিশ্চিত হবে। এ ব্যাপারে আমাদের আত্মবিশ্বাস রয়েছে।’
সনাকের নিন্দা: টিআইবির সহযোগী সংগঠন সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় মামলা দায়ের নিন্দা জানিয়েছে। গতকাল সনাকের কুমিল্লা ও লালমনিরহাট শাখার নেতারা বলেন, এটি একটি অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ এবং প্রতিষ্ঠানের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি নগ্ন হস্তক্ষেপ।

বিদ্যুতের দুঃসময় শুরু হবে বোরোর মৌসুম দিয়ে by অরুণ কর্মকার

সারা দেশে বিদ্যুতের গ্রাহকদের জন্য আরেকটি দুঃসময় এগিয়ে আসছে। আগামী জানুয়ারি মাসের শেষার্ধ থেকে বোরো চাষে পুরোদমে সেচ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে এই দুঃসময় শুরু হবে। ফেব্রুয়ারির শেষার্ধ থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত অবস্থা হবে দুঃসহ। সরকারের পরিকল্পিত প্রায় ৩৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র এ সময় (নভেম্বর-ডিসেম্বর) চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। ফলে সেচ মৌসুমে সংকট বাড়বে। এ ছাড়া, আগামী মার্চ-এপ্রিল মাস থেকে নতুন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন শুরুর আশা করা হলেও একই সময় গ্রীষ্মকালীন বাড়তি চাহিদা যোগ হওয়ায় বিদ্যুৎ-সংকট তীব্রই থাকবে।
অবশ্য বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নে সরকারের মহাপরিকল্পনায় বেসরকারি খাতে (আইপিপি) এক হাজার ৩০০ মেগাওয়াটের আরও পাঁচটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম যুক্ত করা হয়েছে। ২০১৪ সালের মধ্যে সাত হাজার মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে পরিকল্পনা ছিল, এ উদ্যোগ তার বাইরে।
তবে চলমান শীত মৌসুমেও চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ঘাটতি থাকায় এখনো ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) হিসাব অনুযায়ী প্রায় চার হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে এখন দৈনিক উৎপাদন তিন হাজার ৭০০ মেগাওয়াটের মতো। বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ কম এবং মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেশ কয়েকটি কেন্দ্র বন্ধ থাকাই এর কারণ।
পিডিবির সূত্র জানায়, বর্তমানে গ্যাসস্বল্পতার কারণে ৫১৪ মেগাওয়াট এবং মেরামত-রক্ষণাবেক্ষণের কারণে এক হাজার ১৩২ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র চলছে না। পুরোনো অনেক কেন্দ্রে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়ে হঠাৎ বন্ধ (ফোর্সড আউটেজ) হয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে এসব কেন্দ্র মেরামত-রক্ষণাবেক্ষণে নিতে হচ্ছে। এ অবস্থার কারণে গত বছর নভেম্বর মাসের তুলনায় এ বছর নভেম্বর মাসে গড় উৎপাদন কম হয়েছে।
জানতে চাইলে বিদ্যুৎসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসন্ন সেচ মৌসুম ও আগামী গ্রীষ্মটাই বিদ্যুতের শেষ কষ্টের সময় হবে বলে আমরা মনে করছি। আগামী মার্চ-এপ্রিল থেকে বছরের শেষ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে আসবে।’ তিনি বলেন, নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে যেসব কেন্দ্র চালু হওয়ার কথা ছিল, তার মধ্যে ভেড়ামারা ১১৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রটিতে গতকাল রোববার সকাল থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে। অন্য দুটি কেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হতে আরও কিছুদিন লাগবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান সরকারের গত প্রায় দুই বছরে এক হাজার ১৩৬ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ভেড়ামারা কেন্দ্রটিসহ বর্তমান সরকারের পরিকল্পিত উৎপাদন হচ্ছে ৪১৫ মেগাওয়াট।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, বর্তমানে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের উৎপাদন-ক্ষমতায় ঘাটতি প্রায় ৪০ শতাংশ। আগামী বছর তা ১৭ শতাংশে নেমে আসবে। ২০১২ সালে তা হবে চার শতাংশ। এরপরের বছর চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
লোড-ব্যবস্থাপনা করে সেচ: বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে অন্যান্য বছরের মতো এবারও লোড-ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেচ মৌসুম সামাল দেওয়ার চেষ্টা করবে সরকার। এর অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ চাহিদার সময় পানির পাম্পসহ কোনো ভারী যন্ত্র চালানো যাবে না। প্রতিদিন রাত ১১টা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত সেচের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজন হলে মার্চ মাসে সারকারখানায় গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো হবে। গতকাল বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভায় বিতরণ কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, এ বছর সেচের জন্য দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় এক হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ দরকার হবে। পিডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের গড় উৎপাদন চার হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের কিছু বেশি থাকবে।
প্রসঙ্গত, সেচের জন্য সারা দেশে প্রায় ২৫ হাজার নতুন সংযোগ চেয়ে আবেদন করেছেন গ্রাহকেরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁদের বোঝাতে চেষ্টা করছে, নতুন সংযোগ ছাড়াই গত বছর যিনি যে ব্যবস্থাপনায় চাষ করেছিলেন এবারও সেভাবেই করতে।
অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জ বন্ধ: ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র নতুন বাহন হিসেবে চালু হওয়া ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যানগুলোর ব্যাটারি চার্জ করার জন্য গ্রিডের বিদ্যুৎ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়েছে বলে জানা যায়।
ভাড়াভিত্তিক আর নয়: সরকার আর কোনো ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নাও করতে পারে। অন্তত অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতামত এ রকমই। গত সপ্তাহে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে লেখা অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনামূলক চিঠিতে এই মত জানানো হয়েছে। কারণ হিসেবে ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে অতিরিক্ত ব্যয় এবং এই কেন্দ্রগুলো সময়মতো চালু না হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই অভিমত সম্পর্কে জানতে চাইলে বিদ্যুৎসচিব বলেন, এখন পর্যন্ত কত ক্ষমতার ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং সামগ্রিক পরিকল্পনা অনুযায়ী কতটা করতে হবে, তা হিসাব-নিকাশ করে এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পাঁচটি আইপিপি: বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নে সরকারের মহাপরিকল্পনায় বেসরকারি খাতে (আইপিপি) আরও পাঁচটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম যুক্ত করা হয়েছে। এই পাঁচটির মোট ক্ষমতা হবে এক হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। এর আগে ২০১৪ সালের মধ্যে সাত হাজার মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে মহাপরিকল্পনা ছিল, এই পাঁচটি তার বাইরে।
সরকারি সূত্র জানায়, ২০১৪ সাল নাগাদ নতুন বিদ্যুৎ দরকার হবে নয় হাজার মেগাওয়াট। তাই নতুন পাঁচটি আইপিপি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় প্রতিনিধিদল আসছে: বাগেরহাটের রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে যৌথ উদ্যোগের চুক্তি (জেভিএ) স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে ভারতের ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার করপোরেশন (এনটিপিসি) এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব ইন্ডিয়া লিমিটেডের (পিজিসিআইএল) একটি প্রতিনিধিদল আজ সোমবার ঢাকা আসছে। পাঁচ সদস্যের এই প্রতিনিধিদলটি জানুয়ারি মাসের মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে জেভিএ স্বাক্ষরের লক্ষ্যে আলোচনা করবে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই ও দুই দেশের মধ্যে গ্রিড সংযুক্তির ব্যাপারেও এবারের বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
বিদ্যুৎসচিব বলেন, আগামী মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফরের সময় যাতে রামপালের কেন্দ্রটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর ফলাফল মঙ্গলবার

দেশের সবচেয়ে বড় পাবলিক পরীক্ষা প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল আগামী মঙ্গলবার প্রকাশিত হচ্ছে। অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে ৩১ ডিসেম্বর। ওয়েবসাইট ও মুঠোফোনের খুদেবার্তার (এসএমএস) মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ফলাফল প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়ে বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ফলাফল পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (.িফঢ়ব.মড়া.নফ) ও মুঠোফোনের খুদেবার্তার মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ নভেম্বর সারা দেশের ছয় হাজার কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয়েছিল প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। প্রায় ২৫ লাখ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়। দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর মোট ২১ লাখ ৫৭ হাজার ১৫ জন পরীক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী আর তিন লাখ ৩১ হাজার ১৩৩ জন মাদরাসা শিক্ষার্থী ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছিল। এর মধ্যে দুই লাখ ৮১ হাজার ১২১ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। বিভিন্ন অভিযোগে বহিষ্কার হয়েছে ৬৬১ জন।
জেএসসি: অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জেএসসি ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ আন্তশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফল তুলে দেওয়ার পর দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে আনুুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। জেএসসি, জেডিসির ফলাফল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, ই-মেইল ও মুঠোফোনে খুদেবার্তার মাধ্যমে জানা যাবে।
আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে গত ৪ নভেম্বর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়ে ২২ নভেম্বর শেষ হয়েছিল। পরীক্ষায় ১৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯১ জন জেএসসি এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দুই লাখ ৭২ হাজার শিক্ষার্থী জেডিসি পরীক্ষা দেয়।

পৌরসভা ও সংসদ উপনির্বাচনঃ খুলনা ও বরিশালে আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থী চূড়ান্ত

খুলনা ও বরিশাল বিভাগের পৌরসভায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিভাগীয় দুই সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক এবং আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন নিয়ে দল-সমর্থিত প্রার্থী চূড়ান্ত করেন। জেলা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের চিঠি দিয়ে ওই প্রার্থীকে সমর্থনের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জোটগতভাবে নির্বাচন করায় খুলনা বিভাগে সাতক্ষীরা সদর ও দাকোপ পৌরসভায় জাতীয় পার্টি-সমর্থিত প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। একই বিভাগের আলমডাঙ্গায় জাসদ-সমর্থিত প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। খুলনা ও বরিশাল বিভাগে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ সোমবার। গতকাল রাত পর্যন্ত খুলনা বিভাগের মহেশপুর, কলারোয়া, গাংনী, পাইকগাছা, বাঘারপাড়া ও মনিরামপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি। আজ সকালের মধ্যে এসব পৌরসভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করে সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
খুলনা বিভাগ: খুলনা বিভাগে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌরসভায় জাহাঙ্গীর আলম, দর্শনায় মতিউর রহমান, কুষ্টিয়ার খোকসায় আলাউদ্দিন, মিরপুরে এনামুল হক মালিথা, ভেড়ামারায় শামীমুল ইসলাম, ঝিনাইদহ সদরে সাইদুল করিম, শৈলকূপায় তৈয়ব আলী, কালিগঞ্জে মোস্তাফিজুর রহমান, কোটচাঁদপুরে কাজী আলমগীর, হরিণাকুণ্ডতে শাহীনুর রেজা, নড়াইল সদরে সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, কালিয়ায় আকরামুল হক, মেহেরপুর সদরে পিয়ারুল ইসলাম, যশোর সদরে এস এম কামারুজ্জামান, অভয়নগরে এনামুল হক, কেশবপুরে মিলন মিত্র, চৌগাছায় এস এম সাইফুর রহমান, বেনাপোলে মো. আশরাফুল আলম, বাগেরহাট সদরে হাবিবুর রহমান খান, মোরেলগঞ্জে মনিরুল ইসলাম তালুকদার ও মাগুরা সদরে আলতাফ হোসেন।
বরিশাল বিভাগ: বরিশাল বিভাগে চূড়ান্ত হওয়া প্রার্থীরা হলেন ভোলা সদরে আবদুল মমিন, লালমোহনে এমদাদুল ইসলাম, চরফ্যাশনে সালাম তালুকদার, বোরহানউদ্দিনে রফিকুল আলম, দৌলতখানে আলী আজম, পটুয়াখালী সদরে শফিকুল ইসলাম, কলাপাড়ায় এস এম রাকিবুল আহসান, পিরোজপুর সদরে হাবিবুর রহমান, মঠবাড়িয়ায় রফিকউদ্দিন আহমেদ, স্বরূপকাঠিতে দেলোয়ার হোসেন, বরিশালের গৌরনদীতে আরিফুর রহমান, মেহেন্দীগঞ্জে কামালউদ্দিন খান, মুলাদীতে মো. শফিকুজ্জামান, বানারীপাড়ায় গোলাম সালেহ মঞ্জু, আমতলীতে শামসুল হক গাজী, পাথরঘাটায় আনোয়ার হোসেন, বেতাগীতে আলতাফ হোসেন, নলছিটিতে তসলিমউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও বাকেরগঞ্জে লোকমান হোসেন।