Friday, May 18, 2012

চকরিয়ায় হিমাগারের অভাবে নষ্ট হচ্ছে কৃষিপণ্য

চকরিয়ায় হিমাগার না থাকায় সংরক্ষণের অভাবে প্রতি বছর পচে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার কৃষিপণ্য। সরকারি অথবা ব্যক্তিমালিকানায় একটি হিমাগার স্থাপন করা হলে চকরিয়া-পেকুয়া ও বান্দরবানের লামা-আলীকদম

উপজেলার হাজার হাজার কৃষক উৎপাদিত কৃষিপণ্য সংরক্ষণ করে অতিরিক্ত কয়েক কোটি টাকা আয় করতে পারবেন। এ সরকার ক্ষমতায় আসার প্রথম দিকে চকরিয়ায় কয়েকটি সভা-সমাবেশে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ূয়াও এ উপজেলাকে কৃষিভিত্তিক শিল্প নগরী হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। সাড়ে ৩ বছরেও শিল্পমন্ত্রীর ওই ঘোষণা বাস্তবায়ন হয়নি।
জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভায় প্রতি বছর শুতনো মৌসুমে কৃষকরা আমনের পাশপাশি ব্যাপক সবজি চাষাবাদ করেন। এ উপজেলায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য এ অঞ্চলের মানুষের খাদ্য ঘাটতির চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হয়ে আসছে।
কৃষকরা জানান, প্রতি বছর জমিতে উৎপাদিত ফসল (কৃষিপণ্য) প্রথম দিকে স্থানীয় বাজারে ভালো দামে বিক্রি করলেও মাঝপথে হিমাগার না থাকায় সংরক্ষণের অভাবে পানির দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন তারা। অনেক সময় বাজারে মূল্যের তারতম্যের কারণে কৃষিপণ্যগুলো কয়েকদিন অবিক্রীত থেকে গেলে তা পচে নষ্ট হয়ে যায়। এতে কৃষকরা লাভের চেয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন বেশি। কৃষকরা জানান, চকরিয়ায় সরকারি অথবা বেসরকারি পর্যায়ে একটি হিমাগার স্থাপন করা হলে কৃষিপণ্যগুলো সংরক্ষণের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারলে বছরে কয়েক কোটি টাকার বাড়তি আয় করতে পারবেন তারা। চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানান, উপজেলার সঙ্গে চকরিয়া উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব সহজ ও উন্নত হওয়ায় হিমাগারটি সব উপজেলার কৃষকরা ব্যবহার করতে পারবেন।

রামুতে প্রতিবন্ধী ফোরামের মতবিনিময়

কক্সবাজারের রামুতে প্রতিবন্ধী একীভূত বাজেট প্রণয়নে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা মতবিনিময় সভা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর মোশতাক আহমদ।

বৃহস্পতিবার কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পালস্ কক্সবাজারের চেয়ারম্যান আবু মোরশেদ চৌধুরী। ৮ রোভার এখন রামুতে
'ভেষজ ওষুধ ব্যবহারে মানুষকে উদ্বুদ্ধকরণ, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, মাদককে না বলুন এবং পরিবেশ বিপর্যয় রোধে পাহাড় ও বৃক্ষ সংরক্ষণ করুন' স্লোগানে বাংলাদেশ স্কাউটস ঢাকা জেলা রোভারের ৮ রোভার হেঁটে চট্টগ্রাম থেকে রামু পৌঁছেছেন।
রোভার প্রোগ্রামের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড 'প্রেসিডেন্ট রোভার স্কাউট' (পিআরএস) প্রাপ্তির লক্ষ্যে পরিভ্রমণ ব্যাজ অর্জনের জন্য তারা ১৩ মে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন।

'বেস্ট ইনস্পেক্টর' অ্যাওয়ার্ড পেলেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি কামরুল

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনস্পেক্টর কামরুল হাসান পিপিএম পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জে এপ্রিল মাসের 'বেস্ট ইনস্পেক্টর' নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ নওশের আলী পিপিএম এর কাছ থেকে তিনি 'বেস্ট ইনস্পেক্টর' অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) প্রতি মাসের কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির কাজে উৎসাহিত করার লক্ষে এ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।
পর্যটননগরী কক্সবাজার সদর মডেল থানায় গত এপ্রিল মাসে ১৫০ পলাতক আসামির গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল, ১০ জন দণ্ডপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ পলাতক আসামি গ্রেফতার এবং ইয়াবার চালান আটকসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলা ও ১০৫ থানার মধ্যে ইনস্পেক্টর কামরুল হাসানকে এপ্রিল মাসের 'বেস্ট ইনস্পেক্টর' নির্বাচিত করা হয়। কামরুল ১৯৮৮ সালে সাব ইনস্পেক্টর হিসেবে পুলিশে যোগ দিয়ে ১৯৯৭ সালে ইনস্পেক্টর পদে পদোন্নতি পান। তিনি ১৯৯৬ সালে দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার নাসিরকে গ্রেপ্তার এবং একে-৪৭সহ ৮ টি অস্ত্র উদ্ধার করে সারাদেশে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন।

সন্ধ্যা নামলেই কক্সবাজার অন্ধকার

সড়ক বাতির অভাবে পর্যটন শহর কক্সবাজারের অধিকাংশ এলাকা সন্ধ্যার পর অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে । সন্ধ্যার পর পর্যটকরা নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারেন না।

এমনকি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের প্রায় তিন কিলোমিটার চলাচলের রাস্তায় বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকলেও কোন বৈদ্যুতিক সংযোগ নেই। কক্সবাজার শহরের বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পট, গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, সড়ক ও উপসড়ক ঘুরে এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, সমুদ্রসৈকতের ডায়াবেটিক হাসপাতাল পয়েন্ট থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার চলাচলের রাস্তায় (ওয়াক ওয়ে) বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকলেও বৈদ্যুতিক তার এবং বাতি নেই। সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সৈকতেও নেই কোন আলোর ব্যবস্থা। সৈকতের প্রায় তিন কিলোমিটার চলাচলের রাস্তায় প্রায় ১০/১২ টি তারবিহীন বৈদ্যুতিক খুঁটি দাঁড়িয়ে আছে। ডায়াবেটিক হাসপাতাল পয়েন্টে সড়ক বাতি না থাকার কারণে সন্ধ্যার পর থেকেই অন্ধকার থাকে। ফলে সেখানে প্রায় সময় চুরি, ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এছাড়া কক্সবাজার শহরের অতিগুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে খ্যাত সার্কিট হাউস রোডের ম্যাজিস্ট্রেট কলোনি থেকে জেলা প্রশাসকের বাংলো পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানে সড়ক বাতি নেই। এই এলাকায় পুলিশ সুপারের বাস ভবন, হিলটপ ও হিলডাউন সার্কিট হাউস, রাডার স্টেশন, সিভিল সার্জনের বাসভবন ও অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। সৈকত ও হোটেল-মোটেল জোন থেকে শহরের বার্মিজ মার্কেটে যাতায়াতের জন্য পর্যটক ও স্থানীয়রা এ সড়কটি ব্যবহার করে থাকেন। স্থানটি বিপজ্জনক ও গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ওই সড়কের গোল চক্কর মাঠে অন্ধকার স্থানে পুলিশের একটি চৌকি আছে। সেখানে পর্যটন মওসুমে পুলিশ দায়িত্ব পালন করলেও অধিকাংশ সময় পুলিশ থাকে না। ওই স্থানে সার্কিট হাউস রোডের সাথে মোটেল রোডের সংযুক্ত আরো দুটি উপ-সড়কে কোন সড়ক বাতি নেই।
এছাড়া শহরের সদর হাসপাতালের পূর্ব পাশের সড়ক, বৌদ্ধ মন্দির এলাকা, সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের সড়ক, হলিডে মোড়ের জেলে পার্ক ময়দান থেকে ডায়াবেটিক হাসপাতাল পয়েন্ট, কস্তুরাঘাট, এন্ডারশন রোড, টেকপাড়া, বার্মিজ স্কুল, চাউল বাজার, পেশকারপাড়া, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, জেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকা, বাহারছড়াসহ বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ অর্ধশতাধিক পয়েন্টে সড়ক বাতি নেই। এ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সড়ক বাতি না থাকার কারণে পর্যটকরা সন্ধ্যার পর কোথাও বের হতে পারেন না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পাশাপাশি রাতের বেলায় এসব সড়ক দিয়ে যাতায়াতে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয় পর্যটক ও স্থানীয় লোকজনকে। ঢাকার সাভার থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা আবদুল করিম-নিলু দম্পত্তি বলেন, 'সন্ধ্যার পর পুরো সৈকতই থাকে অন্ধকারে। সৈকত থেকে শহরের বার্মিজ মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার সময়ও সড়কের অনেক স্থানে সড়ক বাতি নেই। বিশ্বের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার। শুধু সড়ক বাতি নয়, পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো দরকার। '
কক্সবাজার সোসাইটির যুগ্ম আহবায়ক ও শহরের নতুন বাহারছড়া এলাকার বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন কালের কণ্ঠকে জানান, পৌরসভা নাগরিকদের কাছ থেকে কর নিচ্ছে, অথচ কোন সড়কেই বাতি নেই। ইতিপূর্বে অল্প কিছু বাতি লাগানো হলেও তা অনেক আগেই অকেজো হয়ে গেছে।
অপরদিকে কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, 'পর্যটক দূরের কথা স্থানীয় লোকজনইতো পৌরকর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন নাগরিক সুবিধা পাচ্ছেন না। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর অধিকাংশ পয়েন্টে সড়ক বাতি নেই। যা আছে তাও নষ্ট হয়ে আছে। কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে আন্তরিক বলে মনে হয় না।'
এ বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র রাজবিহারী দাশ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি পৌরসভার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে সড়কগুলোতে অনেক বাতি লাগানো হয়েছে। এর পরও যেসব স্থানে বাতি নেই এবং বাতি নষ্ট হয়েছে সেখানে বাতি লাগানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে ।'
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের প্রায় তিন কিলোমিটার চলাচলের রাস্তায় সড়ক বাতি ও বৈদ্যুতিক সংযোগ না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ কক্সবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাং শামসুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সৈকতের ডায়াবেটিক হাসপাতাল পয়েন্ট থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে দুই বার সংযোগ তার লাগানো হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই দুর্বৃত্তরা তা চুরি করে নিয়ে গেছে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা কমিটি ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় একাধিকবার উত্থাপন করেছি। নিরাপত্তার দায়িত্ব না নিলে বার বার সরকারি অর্থব্যয়ে সেখানে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়া সম্ভব কিনা তা এ মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না।'
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ঘটনাটি অনেক আগের। এটি আমাদের জানা ছিল না। এখন এ ধরনের কিছু ঘটে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

কক্সবাজারে বনভূমি থেকে অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

কক্সবাজারের লিংক রোড এলাকার বনভূমি দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা অর্ধ শত বসতবাড়ি ও স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বন বিভাগ।

লিংক রোড বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রথম দফায় গত মঙ্গলবার ওই সব ঘরবাড়ি ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বিপুল কৃষ্ণ দাস জানান, লিংক রোড বন বিটের আওতায় ১২শ' একর সামাজিক বন রক্ষায় বনকর্মী রয়েছে মাত্র ৪ জন। ফলে বিশাল এলাকা দেখাশোনা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এই সুযোগে কিছু লোক বনভূমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করছে। তিনি জানান, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের লিংক রোড এলাকায় সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে প্রায় দু'শ' একর বনভূমি অবৈধভাবে দখলের খবর মঙ্গলবার সমকালে প্রকাশিত হয়। এর পর দুপুর থেকে বন বিভাগ ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে।

চকরিয়ায় বজ্রপাতে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বজ্রপাতে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরেকজন গৃহবধূ আহত হয়েছেন। পুড়ে গেছে তিনটি ঘর। উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মুড়াপাড়া গ্রামে গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন মুড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সলিম উল্লাহ (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী রশিদা বেগম (৩৭)।
বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী জানান, গতকাল সকাল সাতটা থেকে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সাড়ে সাতটার দিকে বজ্রপাতে মুড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সলিম উল্লাহর ঘরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার সময় ঘরে অবস্থান করা সলিম উল্লাহ ও তাঁর স্ত্রী রশিদা বেগম মারা যান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বজ্রপাতের ঘটনায় পাশের আরও দুটি বাড়ির আংশিক পুড়ে যায়। এতে গৃহবধূ সায়েমা আক্তার (১৯) আহত হন। তাঁর স্বামীর নাম মোহামঞ্চদ হোসেন। সায়েমাকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।