Sunday, June 03, 2012

মহেশখালী উপজেলার আড়াই লাখ মানুষের দুর্ভোগ

দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এবং ঠিকাদার অসমাপ্ত কাজ ফেলে যাওয়ার কারণে উপজেলার গোরকঘাটা-জনতাবাজার সড়কের ১০টি ব্রিজ-কালভার্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে সড়কটিতে যানবাহন চলাচল দুস্কর হয়ে পড়েছে।

এ কারণে ওই ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টের ওপর দিয়ে গাড়ি যাতায়াত করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া সড়কের কার্পেটিংয়ের অবস্থা আরও করুণ। ফলে বিকল্প কোনো পথ না থাকায় এ এলাকার আড়াই লক্ষাধিক মানুষ মৃত্যুর ঝুঁিক নিয়ে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতে প্রতিনিয়ত সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
উপজেলার গোরকঘাটা-জনতাবাজার সড়কে ১০টি কালভার্ট সংস্কারের অভাবে এখন তা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এসব কালভার্টের ওপর দিয়ে স্থানীয় লোকজন গাড়ি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২০টি গাড়ি উল্টে গিয়ে দুই শতাধিক লোকজন আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে এসব ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া গোরকঘাটা-জনতাবাজার সড়কে ২৭ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ১০ কিলোমিটার খানাখন্দকে পরিণত হয়েছে। গত ২ বছর আগে সড়ক মেরামতের কাজে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হোয়ানক ইউনিয়নের কালালিয়া কাটা হতে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের সীমান্তে শুগরিয়াপাড়া পর্যন্ত দীর্ঘ ৬-৭ কি. মি. রাস্তার কাজ না করে ফেলে গেলেও সড়ক ও জনপথের যেন এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই। দীর্ঘ ২ বছর ধরে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত।
উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়ারছড়া, খোরশাপাড়া, বড়ছড়া, কেরুনতলী, কালালিয়াকাটা, পানিরছড়া; কালারমারছড়া ইউনিয়নের ইউনুছখালীর আফজলিয়াপাড়া, এলাকার ছোট-বড় ১০টি কালভার্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব কালভার্টের ওপর দিয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে। এ ছাড়া গোরকঘাটা-জনতাবাজার সড়কের মধ্যে হোয়ানকের ধলঘাটপাড়া, পানিরছড়া, কেরুনতলী বাজারের দুটি অংশ, ছনখোলাপাড়া ও কালারমারছড়া এলাকার মাইজপাড়া এলাকায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে।
কালারমারছড়া ইউনিয়নের ইউনুছখালীর বাসিন্দা আবদুর রশিদ বলেন, বিকল্প যাতায়াতের কোনো উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয় লোকজন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে।
গাড়িচালক আবুল হোসেন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সড়কের ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে গিয়ে অনেক সময় উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। কালভার্টের পাশাপাশি সড়কের অবস্থা আরও করুণ। ফলে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি।
হোয়ানক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল করিম চৌধুরী বলেন, অনেক কালভার্ট ও সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় গাড়িতে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে স্থানীয় লোকজন।
হোয়ানক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম বলেন, কালভার্ট ও সড়ক ভেঙে গিয়ে ঝুঁিকপূর্ণ হলেও তা সংস্কারে কর্তৃপক্ষ উদাসীন।
ইউএনও এটিএম কাউসার হোসেন বলেন, গত বর্ষা মৌসুমে সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি অনেক কালভার্ট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ কারণে স্থানীয় লোকজন মৃত্যুর ঝুঁিক নিয়ে যাতায়াত করছে। ভেঙে যাওয়া কালভার্ট ও সড়ক সংস্কারের জন্য জেলা মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় অনেকবার উত্থাপন করা হলেও এখনও কোনো কাজ হয়নি।

কক্সবাজারে বিজিবি-নাসাকা সমন্বয় সভা

কক্সবাজারে সেক্টর কমান্ডার বিজিবি চট্টগ্রাম এবং ডাইরেক্টর নাসাকা-এর মধ্যে আগামী ২২ থেকে ২৬ জুন অনুষ্ঠিতব্য বিজিবি ও নাসাকার মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনের একটি প্রস্তুতিমূলক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বিজিবি রেস্ট হাউজে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন কক্সবাজার এ সভার আয়োজন করে।

সভায় মায়ানমারের ১০ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের পক্ষে নেতৃত্ব দেন নাসাকা ডাইরেক্টর অং জি। এবং বিজিবির আট সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি চট্টগ্রাম সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গোলাম ফারুক নুরে কমর চৌধুরী, পিএসসি।

সভায় আগামী ২২ থেকে ২৬ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বিজিবি ও নাসাকার মাহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন নিয়ে আলোচনা করা হয়।

১৯৯৩ সালের পর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক এ বছর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন পর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা ও চোরাচালান রোধে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।