দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এবং ঠিকাদার অসমাপ্ত কাজ ফেলে যাওয়ার কারণে উপজেলার গোরকঘাটা-জনতাবাজার সড়কের ১০টি ব্রিজ-কালভার্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে সড়কটিতে যানবাহন চলাচল দুস্কর হয়ে পড়েছে।
এ কারণে ওই ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টের ওপর দিয়ে গাড়ি যাতায়াত করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া সড়কের কার্পেটিংয়ের অবস্থা আরও করুণ। ফলে বিকল্প কোনো পথ না থাকায় এ এলাকার আড়াই লক্ষাধিক মানুষ মৃত্যুর ঝুঁিক নিয়ে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতে প্রতিনিয়ত সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়ারছড়া, খোরশাপাড়া, বড়ছড়া, কেরুনতলী, কালালিয়াকাটা, পানিরছড়া; কালারমারছড়া ইউনিয়নের ইউনুছখালীর আফজলিয়াপাড়া, এলাকার ছোট-বড় ১০টি কালভার্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব কালভার্টের ওপর দিয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে। এ ছাড়া গোরকঘাটা-জনতাবাজার সড়কের মধ্যে হোয়ানকের ধলঘাটপাড়া, পানিরছড়া, কেরুনতলী বাজারের দুটি অংশ, ছনখোলাপাড়া ও কালারমারছড়া এলাকার মাইজপাড়া এলাকায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে।
কালারমারছড়া ইউনিয়নের ইউনুছখালীর বাসিন্দা আবদুর রশিদ বলেন, বিকল্প যাতায়াতের কোনো উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয় লোকজন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে।
গাড়িচালক আবুল হোসেন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সড়কের ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে গিয়ে অনেক সময় উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। কালভার্টের পাশাপাশি সড়কের অবস্থা আরও করুণ। ফলে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি।
হোয়ানক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল করিম চৌধুরী বলেন, অনেক কালভার্ট ও সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় গাড়িতে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে স্থানীয় লোকজন।
হোয়ানক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম বলেন, কালভার্ট ও সড়ক ভেঙে গিয়ে ঝুঁিকপূর্ণ হলেও তা সংস্কারে কর্তৃপক্ষ উদাসীন।
ইউএনও এটিএম কাউসার হোসেন বলেন, গত বর্ষা মৌসুমে সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি অনেক কালভার্ট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ কারণে স্থানীয় লোকজন মৃত্যুর ঝুঁিক নিয়ে যাতায়াত করছে। ভেঙে যাওয়া কালভার্ট ও সড়ক সংস্কারের জন্য জেলা মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় অনেকবার উত্থাপন করা হলেও এখনও কোনো কাজ হয়নি।
No comments:
Post a Comment