Friday, May 02, 2014

লোকসভা নির্বাচনে এত সময় লাগে কেন?

ভারতের লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে গত ৭ এপ্রিল, চলবে ১২ মে পর্যন্ত। ২৮ রাজ্যবিশিষ্ট দেশটিতে ৫৪৩টি আসনের জন্য মোট নয় পর্বে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি অর্থাৎ ৩৬ দিন ধরে। ভারতের এ দীর্ঘ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশে কি এত প্রলম্বিত নির্বাচন হওয়া কি উচিত? বিবিসি ম্যাগাজিনে আজ শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচন পাঁচ পর্বে অনুষ্ঠিত হয়, চলে এক মাস ধরে। দেশটির ইতিহাসের প্রথম নির্বাচন অর্থাৎ ১৯৫১-৫২ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচন চলেছিল তিন মাস ধরে। তবে ১৯৬২ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় চার থেকে ১০ দিনের মধ্যে। এর মধ্যে ১৯৮০ সালের নির্বাচন ছিল ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে স্বল্প সময়ের নির্বাচন, যা চলেছিল মাত্র চারদিন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাওয়িদ লাইকের মতে, ভারতের নির্বাচন 'অন্তহীন' নির্বাচন। তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়ার ফলে প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচার তিক্ততার পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে। এ ছাড়া এ সময় দেশের উন্নয়ন কাজ থমকে যায়। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ইন্দোনেশিয়া কিংবা ব্রাজিলের মতো ঘন বসতিপূর্ণ দেশ যদি একদিনের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে পারে তবে ভারত কেন পারবে না? বিবিসির প্রতিবেদক সৌতিক বিশ্বাসের মতে, ভারতে নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রলম্বিত হওয়ার অন্যতম কারণ স্থানীয় পুলিশের দলীয়করণ। ভারতে প্রতিটি লোকসভা নির্বাচনে সহিংসতা এবং ভোট জালিয়াতি-দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। নির্বাচনি সহিংসতায় অনেকেই প্রাণ হারায়। এসব ক্ষেত্রে প্রায়ই স্থানীয় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে কাজ করার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কোরেশী বলেন, স্থানীয় পুলিশের দলীয়করণের কারণে নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় পুলিশ ফোর্স নিয়োগ করতে হয়। এ সময় তাঁদের নিজস্ব কাজ থেকে মুক্ত থেকে শান্তি রক্ষায় ট্রেনে-বাসে চড়ে দেশের নানান স্থানে টহল দিতে হয়, বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এ কারণে নির্বাচনের সময় বেশি লাগে। এবারের নির্বাচনে ভারতজুড়ে মোট এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রীয় পুলিশ ফোর্স নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচন প্রলম্বিত করার পেছনে আরেকটি কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এর মধ্য দিয়ে ভোটারদের আচরণ প্রভাবিত করার চেষ্টা চলে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সঞ্জয় কুমারের মতে, প্রলম্বিত নির্বাচনের ক্ষেত্রে জয়ের সম্ভাবনা আছে এমন দল বা প্রার্থীর জিতে যাওয়ার সুযোগ বেড়ে যায়।
কেননা স্বল্প সময়ের নির্বাচনে ভোটাররা বুঝতে পারেন না, কোন প্রার্থী বা দল জিততে যাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন দীর্ঘায়িত হলে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জোর আলোচনা, তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে কোনো দলের পক্ষে-বিপক্ষে প্রচার চালানো যায়। কয়েক পর্বের নির্বাচনে প্রার্থীরা নিজেদের নির্বাচনি প্রচার চালানোরও যথেষ্ট সময় পান। এর ফলে ভোটারদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটাই সম্ভব হয়। এ দুই কারণ ছাড়াও নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনা করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব, অর্থের জোগান কম থাকা, যন্ত্রপাতির স্বল্পতা, অপর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ইত্যাদি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জে সড়ক অবরোধের চেষ্টা, লাঠিচার্জ

নারায়ণগঞ্জে অপহূত ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে উদ্ধারের দাবিতে বেঁধে দেওয়া তিন ঘণ্টা পার হওয়ার পর আজ শুক্রবার এলাকাবাসী সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেছেন। তবে পুলিশ শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর থেকে সাইফুলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর পরিবারের দাবি, সাইফুলকে অপহরণ করা হয়েছে। সাইফুলের স্ত্রী আফরিন সুলতানার ভাষ্য, সাইফুল সানারপাড়ের লামিয়া সুপার স্টোর নামের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক। গতকাল রাতে অপহরণকারীরা ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছে। প্রথমে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল বলে জানা গেছে।
সাইফুলের সন্ধানের দাবিতে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সানারপাড় বাসস্ট্যান্ড বাজারের ব্যবসায়ী ও তাঁর স্বজনেরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ তাঁদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরাতে গেলে তাঁরা পুলিশকে তিন ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন। এর মধ্যে জুমার নামাজের সময় হওয়ায় তাঁরা মহাসড়ক থেকে সরে যান। কিন্তু তিন ঘণ্টার মধ্যে সাইফুলকে উদ্ধার করতে না পারলে তাঁরা আবার মহাসড়ক অবরোধ করবেন বলে ঘোষণা দেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. জাকারিয়া বলেন, নিখোঁজ সাইফুলকে উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন জানান, সাইফুল ইসলাম নামের একজন ব্যবসায়ী নিখোঁজ রয়েছেন। এ নিয়ে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে গত রোববার একসঙ্গে সাত ব্যক্তি অপহূত হন। তাঁরা হলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তাঁর বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম। গত বুধবার দুপুরে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও গতকাল একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

ডুবে যাওয়ার আগে যা হয়েছিল ফেরিতে

'মনে হচ্ছে টাইটানিক জাহাজে উঠেছি।' হাসতে হাসতে বলেছিল এক কিশোর। পাশ থেকে তার বন্ধু বলে উঠেছিল, 'মুঠোফোন কাজ করছে না? ইশ! ভিডিওটি যদি ফেসবুকে দেওয়া যেত।' যখন উচ্ছল তরুণেরা এসব মজা করছিল তখন দক্ষিণ কোরিয়ার ফেরিটি এক পাশে কিছুটা কাত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারা কেউই ভাবতে পারেনি পরিণতি এত ভয়ংকর হবে। নিশ্চিন্ত মনে উচ্ছল তরুণেরা সে সময়েও ছিল গল্পে মুখর। ১৭ বছরের কিশোর পার্ক সু হেইন ভিডিওতে ধারণ করছিল সব। দক্ষিণ কোরিয়ার ফেরিতে ভ্রমণের সময় সব মজা, আনন্দ ভিডিওতে ধারণ করে রাখতে চেয়েছিল পার্ক। সে এখন দক্ষিণ কোরিয়ার ফেরিডুবিতে নিহত শিক্ষার্থীর তালিকায়। তার লাশের পাশে পড়েছিল মুঠোফোনটি। সেখানে ধারণ করা ভিডিওতে ছিল এসব দৃশ্য।
১৬ এপ্রিল সকাল আটটা ৫২ মিনিটের দিকে মুঠোফোনে ভিডিওটি ধারণ করা শুরু করে পার্ক সু হেইন। এর কিছুক্ষণ পরেই ফেরিটি বিপদের মুখে পড়ে। প্রথম দিকে কিছুই বুঝে উঠতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। তখনো মজা করছিল তারা। একজন বলছিল, 'মনে হচ্ছে এখনই আমার শেষ কথা বলার সময়।' পরে যখন আতঙ্ক ছড়ায় তখনো মুঠোফোনে ভিডিওটি ধারণ করা হচ্ছিল। ভিডিওতে দেখা যায়, ফেরি ডোবার আগ মুহূর্তে আতঙ্কে ছোটাছুটি করছেন যাত্রীরা। লাউড স্পিকারে সবাইকে নিজ নিজ জায়গায় থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ সময় আতঙ্কিত এক শিক্ষার্থী বলে ওঠে, 'ক্যাপ্টেন কোথায়? তিনি কী করছেন?'
একজন ছাত্র বলে, 'আমার পা কাঁপছে।' যাত্রীদের যখন লাইফ জ্যাকেট পরতে বলা হয় তখন আতঙ্কিত একজন বলে ওঠেন, 'লাইফ জ্যাকেট পরব? তার মানে কী ফেরি ডুবে যাচ্ছে?' ভিডিওটি দেখার পরে পার্কের বাবা সেটি তুলে দেন দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্টগার্ডের কাছে। পরে ভিডিও ফুটেজটি দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার ডুবে যাওয়া ফেরির ৪৭৬ জন যাত্রীর মধ্যে ৩২৫ জনই ছিল একই স্কুলের শিক্ষার্থী। ছুটিতে তারা একটি দ্বীপে বেড়াতে যাচ্ছিল। আজ শুক্রবার সকালে সরকারি হিসাবে জানানো হয়, ফেরিডুবিতে ২২৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ৭৭ জন। এএফপি।

মোদি বনাম কেজরিওয়াল

ভারতের পবিত্র নগর বলে পরিচিত বেনারসের ভোটারদের এখন রোজ ঘুম ভাঙে নরেন্দ্র মোদি ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের লড়াইয়ে নিত্যনতুন চমক দেখার আশায়।  এই দুই নেতাকে নিয়ে অনেকটা বিভক্ত হয়ে পড়েছে বেনারস। অভিজাত এলাকা ভেলুপুরা থেকে শুরু করে রসুলপুরের অলিগলি পর্যন্ত সবাই কেজরিওয়ালের স্থিরসংকল্পের সমর্থক। শহরের একজন শিক্ষাবিদ দীপক মাধক দুঃখ নিয়ে বলেন, কেজরিওয়াল শুধু একটি আসন থেকেই লড়ছেন।
আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা ও স্বেচ্ছাসেবীরা বলছেন, এটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো লড়ায়ই শেষ হবে না। তাঁরা অভাবনীয় কোনো কিছুর অপেক্ষা করছেন। জনতা দল (ইউ) কেজরিওয়ালকে সমর্থন দেওয়ার পর থেকে এএপির জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এই লড়াইয়ে ভালোই মজা পাচ্ছেন। তাঁর দাবি, কেজরিওয়ালের নির্বাচনী প্রচার শুরুর আগেই মোদির প্রচারণা শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমরা গত ডিসেম্বরে প্রচারকাজ শুরু করেছি। এখন আমরা এক মাসের বেশি সময় ধরে ভোটারদের কাছ থেকে আমাদের প্রতি সমর্থন নিশ্চিত করতে কাজ করছি।' তিনি বলেন, '২০০৯ সালে এই আসনে মুরলি মনোহর জোসি কিছু ভোটের জন্য হেরে যান। এবার এই  কিছু ভোটই প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি বেনারসবাসীর দায়িত্ব। আপনারা খুব সহজেই একজন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী পাবেন না।' মোদি এখন বেনারসে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি অনুষ্ঠানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আরএসএস এবং এর সামনের সারির সংস্থাগুলো 'হিন্দুত্ববাদের' ব্র্যান্ড তৈরিতে ব্যস্ত।

অন্যদিকে এএপিও থেমে নেই। দলটির প্রচারণার মূল বক্তব্য হলো, মোদি মোটেও বদলে যাননি, তিনি নিছক একজন বিকল্প। কেজরিওয়ালের গুণগ্রাহী ও সমর্থকেরা এটা পছন্দ করছেন। তবে তা মোদির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা এবং তাঁকে একজন কুখ্যাত খুনি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যথেষ্ট নয়। এএপি শহরটিকে সচল রাখতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করছে। পুরো দেশ থেকে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী এখানে এসে প্রচারে অংশ নিলেও তা যথেষ্ট নয়। তাদের প্রচারের ধরন বিজিপি ছাড়া অন্যদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় একজন সিপিআই নেতা বলেন, সমস্যা হলো স্বেচ্ছাসেবীরা ভোটারদের চেনেন না। আবার ভোটাররাও তাঁদের চেনেন না। স্বেচ্ছাসেবীরা ভোটারদের নজর কাড়তে পারছেন, বাস্তবে মন কতটা বদলাতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে সিপিআই প্রকাশ্যে এএপির পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে।

পুড়েছে ১১০ বাড়ি, ঝড়ে উড়ে গেছে চালা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুরে আগুনে পুড়ে গেছে ১১০টি বাড়ি। এ ছাড়া কালবৈশাখী ঝড়ের তোড়ে উড়ে গেছে শতাধিক বাড়ির চালা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অবস্থান করছেন।
এলাকাবাসী জানায়, গতকাল রাত ১০টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলে মোহাম্মদপুর গ্রামে টিন ও খড় দিয়ে তৈরি শতাধিক ঘরের চালা উড়ে যায়। এ সময় প্রচণ্ড বাতাসে একটি বাড়ির চুলার আগুন বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তা আশপাশের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়লে একে একে ১১০টি বাড়ির ঘরগুলো পুড়ে যায়। নদী পার হয়ে চরের ভেতর এ ঘটনা ঘটায়, সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কোনো গাড়ি যেতে পারেনি।
খবর পেয়ে আজ সকাল সাতটার দিকে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোকতার হোসেন ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাস্থল থেকে তিনি প্রথম আলোকে জানান, উপজেলার প্রায় ১০ ভাগ গাছ গত রাতের ঝড়ে উপড়ে গেছে। ১১০টি বাড়ি পুড়ে গেছে। বাকি ঘরগুলোর বেশির ভাগেরই চালা নেই। ঘটনাস্থল থেকে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুজিব উল ফেরদৌস বলেন, তাত্ক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খাবারের জন্য তিন টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে নগদ এক হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে।

খুন-গুমের ব্যাপারে সরকারকে কঠোর হতে হবে: সুরঞ্জিত

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, 'খুন, গুম গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার জন্য শুভকর নয়। এ বিষয়ে সরকারকে কঠোর হতে হবে। প্রশাসনকে নমনীয় হওয়া যাবে না। এদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। সন্ত্রাসী যত বড়ই হোক, তাকে ধরতে হবে।' আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি খুন-গুমের পেছনে বিরোধী জোটের অংশগ্রহণ ও উসকানি থাকতে পারে দাবি করে সুরঞ্জিত বলেন, 'এর (খুন-গুম) মধ্যে অবশ্যই বিরোধীদের অংশগ্রহণ ও উসকানি থাকতে পারে। এ জন্য প্রশাসনকে দৃঢ়ভাবে তাদের দমন করতে হবে। সব মহলকে নিরপেক্ষ অবস্থানে দাঁড়িয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারের কাছে মানুষের যে প্রত্যাশা, সেটা দেওয়ার জন্য সুশাসনের প্রশ্নে আপসহীন ও অপরাধীর প্রশ্নে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে।'
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মে দিবসের সমাবেশে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন সুরঞ্জিত। তিনি বলেন, 'তিনি (খালেদা জিয়া) নিজে আন্দোলনে নেমে সরকার পতনের ঘোষণা দিয়েছেন। খালেদা জিয়া, আপনি কী নিজে আগে আন্দোলনে নামেন নাই? ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ঠেকাতে আপনি তো আন্দোলনে নেমেছিলেন। কিন্তু সফল হন নাই। নিষ্ফলতা ছাড়া আপনার ভাগ্যে কিছু জোটে নাই। একটি নির্বাচিত সরকার ফেলে নতুন সরকার আনবেন, এ দুরাশা অতীতেও পূরণ হয় নাই। এখনো হবে না।'
জিয়াউর রহমান খুন-গুমের রাজনীতির জনক উল্লেখ করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, 'খালেদা জিয়া খুন, গুম ও অপহরণের রাজনীতির কথা বলেছেন। আপনাকে মনে রাখতে হবে, এ রাজনীতির শুরু করেছেন জিয়াউর রহমান। এই রাজনীতির বিষবৃক্ষ আপনার দল বপন করেছে। সেই বিষফল দিয়ে সমাজকে দূষিত করেছেন আপনি। তাই আপনাদের মুখে এ কথা শোভা পায় না।'
সংগঠনের সহসভাপতি চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন, স্বতন্ত্র সাংসদ হাজি মোহাম্মদ সেলিম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া প্রমুখ।

উন্নয়নে সরকার ইতিহাস গড়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের বন্ধ কারখানা চালু করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেকার শ্রমিকেরা এখন কাজ করছেন। পরিবার নিয়ে তাঁরা ভালো আছেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার দেশের কৃষক-শ্রমিকের জন্য যা কিছু করেছে, তা বিগত কোনো সরকার পারেনি। বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে এ সরকার ইতিহাস গড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত মহান মে দিবস উপলক্ষে এক শ্রমিক জনসভায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুকুর মাহমুদের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, নৌপরিবহনমন্ত্রী ও শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি শাজাহান খান প্রমুখ। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, কারখানার মালিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নিজে দর-কষাকষি করে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা করেছেন। এমনটি পৃথিবীর কোথাও নেই।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেছেন, দেশের পরাজিত শক্তিই দেশকে  অশান্ত ও দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। তারা যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, আগামী পাঁচ বছর বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যাবে।  নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, যখনই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে, তখনই দেশের উন্নয়ন হয়।

প্রত্যেকের ভেতর আতঙ্ক, আমরা উদ্বিগ্ন: মিজানুর

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, 'দেশ এখন বিশেষ সন্ধিক্ষণ অতিক্রম করছে। প্রত্যেকের ভেতরে আতঙ্ক ও ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। এ নিয়ে  আমরা উদ্বিগ্ন, শঙ্কিত ও চিন্তিত। এ অবস্থা থেকে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে।' আজ শুক্রবার সকালে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত মানবাধিকার কর্মশালা ও মানবাধিকার কর্মী সমাবেশ উদ্বোধনকালে মিজানুর রহমান এসব কথা বলেন।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, দেশের এ অবস্থার প্রধান দায় বর্তায় রাষ্ট্রের ওপর। তবে এ কথাও মনে রাখতে হবে নাগরিকদের নিরাপত্তা, মানবাধিকার সুরক্ষা রক্ষা করা কেবল সরকারের একার দায়িত্ব হতে পারে না। আর এটা পারস্পরিক দোষারোপের বিষয়ও নয়। রাষ্ট্র ও সরকারের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে নীরবে বসে থাকা যুক্তিযুক্ত নয়। মিজানুর রহমান বলেন, রাষ্ট্র কতটা দিয়েছে, সে প্রশ্ন না তুলে আগে নিজের কাছে প্রশ্ন রাখতে হবে—আমি রাষ্ট্রকে কী দিয়েছি। তবেই দেশে শান্তি আসবে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা কমবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ওই কর্মশালা ও কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কমিশনের সদস্য কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন খান, মানুষের জন্য  ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক বনশ্রী মিত্র নিয়োগী, পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এইচ এম আজিমুল হক।
কর্মশালায় মানবাধিকার, নারী অধিকার, নারী শিক্ষা বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। কর্মশালায় বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার প্রশাসনের কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মী ও তৃণমূল পর্যায়ের মানবাধিকারকর্মীসহ ৭০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। আগামীকাল বরগুনায় দ্বিতীয় অধিবেশন।

চন্দন হত্যার প্রতিবাদে বার কাউন্সিলের কর্মসূচি

নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারকে হত্যার প্রতিবাদে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। সংগঠনটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন আজ শুক্রবার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বার কাউন্সিল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, ২ থেকে ৮ মে পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিসহ দেশের সব আইনজীবী সমিতির সদস্যরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। ৩ মে বেলা তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বার কাউন্সিলের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা হবে।

বার কাউন্সিলের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে আরও রয়েছে ৪ মে কালো পতাকা উত্তোলন ও মৌন মিছিল, ৫ মে বিক্ষোভ সমাবেশ, ৬ মে মানববন্ধন, ৭ মে প্রতিবাদ সমাবেশ ও ৮ মে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালিত হবে। সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব আইনজীবী সমিতিতে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউদ্দিন খোকন, আইনজীবী ও বিএনপির নেতা সানাউল্লাহ মিয়া প্রমুখ।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত by মো. আমিনুর রহমান @প্রথম আলো

ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। অনেকেরই নতুন এই ক্ষেত্রটিতে আগ্রহ রয়েছে। অনেকেই জানতে চান বিষয়টি কী এবং কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায়। পাঠকদের কাছে ফ্রিল্যান্সিংকে সহজভাবে তুলে ধরতেই ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত। আজকে রইলো এর প্রতিবেদনটির প্রথম পর্ব। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং শব্দ দুটি বাংলাদেশে অনেকের কাছেই পরিচিত। দেশের প্রচুর ওয়েবসাইট ডেভেলপার, গ্রাফিকস ডিজাইনার, রাইটার, মার্কেটার বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সফলতার সাথে কাজ করছেন, আবার অনেকেই নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে মার্কেটে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন। নতুনদের কাছে যে বিষয়টা প্রায়ই শোনা যায় তা হলো এই পেশায় সহজে সাফল্য পাওয়া যায় না। বিষয়টা কিছুটা হলেও সত্যি। যেকোনো একটি নির্দিষ্ট কাজের এবং ইংরেজি মাধ্যমে যোগাযোগের দক্ষতা না থাকলে আসলে এই পেশায় সাফল্য পাওয়া কঠিন। অবশ্য শুধু এই দুইটি যোগ্যতা থাকলেই যে সাফল্যের চূড়ায় যাওয়া যাবে, তাও ঠিক নয়। সাময়িক সাফল্য পাওয়া এবং নিজেকে একটি পেশায় প্রতিষ্ঠিত করা এক কথা নয়। যদি লম্বা ভবিষ্যত্ ঠিক করে এই পেশায় এগিয়ে যেতে চান তাহলে নিজেকে একটি সম্পূর্ণ প্যাকেজ হিসেবে তৈরি করতে হবে, যাতে শুধু কাজের দক্ষতা নয়, অন্যান্য সব দিক দিয়ে নিজেকে আন্তর্জাতিক মানের একজন পেশাজীবী হিসেবে তৈরি করা যায়।
আউটসোর্সিং বিষয়টি কী?
ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেয়। নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কাউকে দিয়ে এসব কাজ করানোকে আউটসোর্সিং বলে। যাঁরা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে দেন, তাঁদের ফ্রিল্যান্সার বলে। ফ্রিল্যান্সার মানে হলো মুক্ত বা স্বাধীন পেশাজীবী। আউটসোর্সিং সাইটে যিনি কাজ করেন তাঁকে বলে কনট্রাক্টর (তিনি কনট্রাক্টে কাজ করেন)। আর যিনি কাজ দেন তাঁকে বলে বায়ার/ক্লায়েন্ট (তিনি কনট্রাক্টে কাজ দেন)।
যে ধরনের কাজ পাওয়া যায়
আউটসোর্সিং সাইটের কাজগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা থাকে। যেমন: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (Web Development), সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট (Software
Development), নেটওয়ার্কিং ও তথ্যব্যবস্থা (Networking & Information Systems), লেখা ও অনুবাদ (Writing & Translation), প্রশাসনিক সহায়তা (Administrative Support), ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া (Design & Multimedia), গ্রাহকসেবা (Customer Service), বিক্রয় ও বিপণন (Sales & Marketing), ব্যবসা-সেবা (Business Services) ইত্যাদি।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
এই বিভাগের মধ্যে আছে আবার ওয়েবসাইট ডিজাইন, ওয়েব প্রোগ্রামিং, ই-কমার্স, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন, ওয়েবসাইট টেস্টিং, ওয়েবসাইট প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
এই বিভাগের মধ্যে আছে ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন, গেম ডেভেলপমেন্ট, স্ক্রিপ্ট ও ইউটিলিটি, সফটওয়্যার প্লাগ-ইনস, মোবাইল অ্যাপিস্নকেশন, ইন্টারফেস ডিজাইন, সফ্টওয়্যার প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সফ্টওয়্যার টেস্টিং, ভিওআইপি ইত্যাদি।
নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম
এর মধ্যে আছে নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ডিবিএ (ডেটাবেইস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন), সার্ভার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইআরপি/সিআরএম ইমপিস্নমেনটেশন ইত্যাদি।
রাইটিং ও ট্রান্সলেশন
এর মধ্যে আছে টেকনিক্যাল রাইটিং,  ওয়েবসাইট কনটেন্ট, বস্নগ ও আর্টিকেল রাইটিং, কপি রাইটিং, অনুবাদ, ক্রিয়েটিভ রাইটিং ইত্যাদি।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট
এর মধ্যে আছে ডেটা এন্ট্রি, পারসোনাল অ্যাসিসট্যান্ট, ওয়েব রিসার্চ, ই-মেইল রেসপন্স হ্যান্ডলিং, ট্রান্সক্রিপশন ইত্যাদি।
ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া
এর মধ্যে আছে গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ইলাস্ট্রেশন, প্রিন্ট ডিজাইন, থ্রিডি (3D) মডেলিং, অটোক্যাড, অডিও ও ভিডিও প্রোডাকশন, ভয়েস ট্যালেন্ট, অ্যানিমেশন, প্রেজেন্টেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনিক্যাল ডিজাইন ইত্যাদি।
কাস্টমার সার্ভিস
এর মধ্যে আছে কাস্টমার সার্ভিস ও সাপোর্ট, টেকনিক্যাল সাপোর্ট, ফোন সাপোর্ট, অর্ডার প্রসেসিং ইত্যাদি।
সেলস ও মার্কেটিং
এর মধ্যে আছে বিজ্ঞাপন, ই-মেইল মার্কেটিং, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন), এসইএম (সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং), এসএমএম (সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং), পিআর (পাবলিক রিলেশনস), টেলিমার্কেটিং ও টেলিসেল্স, বিজনেস প্ল্যানিং ও মার্কেটিং, মার্কেট রিসার্চ ও সার্ভে, সেলস ও লিড জেনারেশন ইত্যাদি।
বিজনেস সার্ভিসেস
এর মধ্যে আছে অ্যাকাউন্টিং, বুককিপিং, এইচআর/পে-রোল, ফাইন্যানসিয়াল সার্ভিসেস অ্যান্ড পস্ন্যানিং, পেমেন্ট প্রসেসিং, লিগ্যাল, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস কনসালটিং, রিক্রুটিং, পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ ইত্যাদি।
কোন কাজের কী যোগ্যতা
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করা জানতে হবে। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন এইচটিএমএল, পিএইচপি, জাভা স্ক্রিপ্ট, সিএসএস, ডেটাবেইস (মাইএসকিউএল) ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এই ভাষাগুলোর ওপর দু-একটা টেস্ট দেওয়া থাকলে কাজ পেতে সুবিধা হবে।
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে সফ্টওয়্যার তৈরি করা জানতে হবে। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন জাভা, সি-শার্প, ভিজুয়্যাল বেসিক, ডেটাবেইস (মাইএসকিউএল, ওরাকল, এমএস এসকিউএল সার্ভার) ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এই ল্যাঙ্গুয়েজগুলোর ওপরও এক-দুইটা টেস্ট দেওয়া থাকলে কাজ পেতে সুবিধা হবে।
নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম
এই বিভাগের কাজের জন্য ডেটাবেজ, নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
লেখা ও অনুবাদ (রাইটিং ও ট্রান্সলেশন)
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে, কারিগরি জ্ঞান থাকতে হবে, ওয়েবসাইট, ব্লগ, ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। লেখালেখির অভ্যাস থাকলে ভালো হয়।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট
এই বিভাগের কাজগুলো তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ। মূলত কপি পেস্টের কাজ। কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট, বস্নগ, ই-মেইল, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং (ফেসবুক, গুগলপ্লাস, টুইটার) ইত্যাদি সাইটগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে গ্রাফিক্সের কাজ জানতে হবে। ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ফ্লাশ ইত্যাদি জানা থাকলে লোগো ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ খুব সহজেই করা যায়। অডিও, ভিডিও এডিটিংয়ের ওপরও অনেক কাজ পাওয়া যায়।
কাস্টমার সার্ভিস
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। দ্রুত ইংরেজি লেখা এবং বলা দুটোতেই দক্ষ হতে হবে।
সেলস ও মার্কেটিং
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনার ই-কমার্স সাইটগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। ই-কমার্স ওয়েবসাইট, ব্লগ, ই-মেইল, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং (ফেসবুক, গুগলপ্লাস, টুইটার), মার্কেটিং, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
বিজনেস সার্ভিসেস
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনার ব্যবসায়িক জ্ঞান থাকতে হবে। লেনদেনের বিভিন্ন মাধ্যম (পেমেন্ট মেথড) সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
কাজ পাবেন যেখানে
আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাওয়া যায় এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে। আবার অনেক ভুয়া সাইটও বের হয়েছে। ফলে সতর্ক হয়েই কাজ শুরু করা ভালো। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সাইটের ঠিকানা হলো-
www.odesk.com
www.freelancer.com
www.elance.com


মার্কেটপ্লেসের প্রোফাইল
বর্তমানে ৪-৫টি আন্ত্মর্জাতিক মানের ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেখানে কাজ করে বড় ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। এই মার্কেটপ্লেসগুলোর প্রতিটিতেই একটি বিষয় কমন থাকে আর সেটা হলো একটি ভালো প্রোফাইল তৈরি করা। সাধারণ কাজে যেমন সিভি দেখে চাকরি দেয়া না দেয়ার বিষয়টি নির্ধারণ হয় তেমনি অনলাইন মার্কেটপ্লেসেও আপনার প্রোফাইল দেখেই ক্লায়েন্ট বিবেচনা করবে আপনি কাজ পাওয়ার যোগ্য কি না। এর জন্য প্রোফাইলকে যতটুকু সম্ভব আকর্ষণীয় করে তৈরি করুন। প্রোফাইলে যেগুলো না থাকলেই নয়-
হাসিমুখে তোলা একটি ছবি যেখানে আপনার চেহারা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে।
স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ভালো। ইল্যান্স.কমে ফ্রিতেই প্রচুর স্কিল টেস্ট দেয়া যায়। স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ক্লায়েন্ট বুঝবে যে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নতুন অথবা অভিজ্ঞ যা-ই হোন না কেন সেই স্কিলে আপনার যথেষ্ট তাত্ত্বিক জ্ঞান আছে।
পোর্টফলিও আইটেম যোগ করা উচিত। পোর্টফলিও আইটেম হিসেবে নিজের তৈরি লোগো, নিজের বানানো ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট, ইউনিভার্সিটিতে তৈরি করা কোনো প্রেজেন্টেশন, কোনো সার্টিফিকেটের স্ক্যান করা ইমেজ ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে। এর সাথে যদি স্কিল টেস্ট থাকে, তাহলে ক্লায়েন্ট জেনে যাবে যে আপনার শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান আছে তাই নয়, তার সাথে প্র্যাকটিক্যাল কাজ করার অভিজ্ঞতাও আছে।
বিষয়টি অনেকটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার মতো। একদম খালি একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিয়ে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠালে যেমন কেউ আপনাকে সহজে অ্যাড করবে না, ঠিক তেমনি একদম খালি, অনাকর্ষণীয় একটি ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল তৈরি করে কাজে আবেদন করলে ক্লায়েন্টরাও সাড়া দেবে না।

একই নামের প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ে বিপত্তি

লোকসভা নির্বাচনে লড়তে নেমে চান্দুলাল সাহু দেখেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে সাতজনের নামের সঙ্গে তাঁর নামের মিল রয়েছে। এতে তিনি বিরক্ত, তবে অবাক নন। তিনি ছত্তিশগড় রাজ্য থেকে লড়ছেন। এমন বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি কেবল চান্দুলালের বেলায়ই নয়, বেশ কয়েকজন প্রার্থীর বেলায় দেখা যাচ্ছে। আজ শুক্রবার এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, নির্বাচনী লড়াইয়ে মথুরায় প্রার্থী হওয়া বলিউড তারকা হেমা মালিনীর একই নামে প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন দুজন। একই অবস্থা পাঞ্জাবের উত্তরাঞ্চল থেকে নির্বাচনের প্রার্থী অমরিন্দর সিংয়েরও। একই নামে রয়েছে তাঁরও দুজন প্রতিদ্বন্দ্বী।
এই নামবিপত্তি থেকে বাদ যাননি ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদিও। গুজরাটের বরোদা আসনে মোদির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন আরও একজন নরেন্দ্র মোদি। তিনি কংগ্রেস দলের প্রার্থী। ভারতের রাজনীতিতে নামবিপত্তির এই কৌশল পুরোনো।  নির্বাচনে শক্তিশালী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে একই নামে নকল প্রার্থী সাজানো হয়। তাঁদের লক্ষ্য নির্বাচনে জেতা বা অংশ নেওয়া নয়, উদ্দেশ্য থাকে ভোটারদের বোকা বানানো। পোলিং বুথের ভেতরে নাম দেখে অনেক ভোটারই হয়তো নকল প্রার্থীকে ভোট দেন। এতে আসল প্রার্থী তাঁর ভোট হারান। গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ভোটে ছত্তিশগড় রাজ্য থেকে নির্বাচনী প্রার্থী চান্দুলাল সাহুর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন সাতজন চান্দুুলাল সাহু। স্বাভাবিকভাবে অনেক ভোটারই হয়তো নাম দেখে নকল চান্দুুলাল সাহুকে ভোট দিয়েছেন। এ ব্যাপারে সাহু এএফপিকে বলেন, 'আমি কী করতে পারি? এটা আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতাদের ষড়যন্ত্র। তবে এসব কৌশল কাজে লাগবে না। আমার এলাকার ভোটাররা সচেতন। আমার প্রবল আত্মবিশ্বাস আছে যে তাঁরা ঠিকই আসল সাহুকে চিনে নেবেন।'
রাজনৈতিক দলগুলো নকল নামের এসব প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় বহন করেন। উদ্দেশ্য থাকে কয়েক শ ভোট এদিক-সেদিক করা। অপরিচিত কোনো প্রার্থীকে নকল নামে ও নকল  রাজনৈতিক দলের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই প্রতীক হয় প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলের প্রতীকের আদলে। এমনটিই ঘটেছে আম আদমি পার্টির নেতা আশুতোষের বেলায়। তাঁর নাম ও আম আদমি পার্টির প্রতীকের আদলে নকল প্রতীক ব্যবহার করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরেক আশুতোষ। এ ব্যাপারে আম আদমি পার্টির নেতা আশুতোষ বলেন, ভোটাররা দুই আশুতোষ হওয়ার কারণে দ্বিধায় পড়েছেন। নির্বাচন কমিশন বলছে, এটি বেআইনি নয়। তাই আসল প্রার্থীদের আড়ালে নকল প্রার্থী দাঁড় করানো হলেও আইনত কিছুই করতে পারছে না কমিশন। তবে দিল্লির সহযোগী প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা নিরাজ ভারতী  বলছেন, তাঁরা সব প্রার্থীর তালিকা তৈরি করেছেন। প্রতীকও চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিটি পোলিং বুথের বাইরে দলের প্রতীক ও প্রার্থীর প্রচার করতে হবে জোরেশোরে, যাতে করে নকল প্রার্থীরা ধোপে টিকতে না পারেন। ভারতে কয়েক দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৬ মে নির্বাচন শেষ হবে।

উ. কোরিয়ায় নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন

উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গেছে। দেশটির সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের পর দ্বিতীয় নেতা হিসেবে হোয়াং পিয়ং সোর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএর খবরের বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, পিয়ংইয়ংয়ে মে দিবস উদযাপনের সময় কোরিয়ান পিপলস আর্মির (কেপিএ) জেনারেল পলিটিক্যাল ব্যুরোর পরিচালক হিসেবে হোয়াং পিয়ং সোর নাম ঘোষণা করা হয়। আগে এই পদে ছিলেন চো রিয়ং হায়ে। সেনাবাহিনীতে কিমের পরে এ পদটিকে গুরুত্বপূর্ণ পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আন্তর্জাতিক বিরোধিতার পরও উত্তর কোরিয়া চতুর্থ পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন খবরের মধ্যে আবার নেতৃত্বে বদলের বিষয়টি নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করবে। কেসিএনএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৮ এপ্রিল ভাইস মার্শাল হিসেবে হোয়াংয়ের পদোন্নতির একদিন পরই এ ঘোষণা আসে।
তবে চোর কী হবে, এ বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। গত ডিসেম্বরে কিমের ফুপা জ্যাং সং থায়েককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর চোয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে তিনি পলিট ব্যুরোর স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য, সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন ও ন্যাশনাল ডিফেন্স কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নিরসনে বাংলাদেশের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র

তিক্ত রাজনৈতিক বিভাজন ভুলে একযোগে কাজ করতে আবারও বাংলাদেশের রাজনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের মতো একটি দরিদ্র দেশের জন্য বিপদ বয়ে আনবে। গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক উপকমিটিতে দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক এক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিরোধের দিকে ইঙ্গিত করে নিশা দেশাই বিশওয়াল বলেন, দ্বিপক্ষীয় তীব্র বিরোধ নিরসনে বাংলাদেশের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি আরও বলেন, 'আর আমরা সেখানে তেমন জোরালো কোনো আন্দোলনও দেখিনি।'
নিশা দেশাই বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, দুর্গম পথ অতিক্রম করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যেসব সাফল্য অর্জন করেছে, সেসব অর্জন অচিরেই ভঙ্গুর ও অস্থায়ী হয়ে পড়বে যদি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা না থাকে।' তিনি বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের অন্তর্ভুক্তি না ঘটলে স্থিতিশীলতা সম্ভব না। নিশা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশের নানা সাফল্য ও অর্জনের কথা তুলে ধরেন। রানা প্লাজা ধস ও তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। তবে আরও অনেক কাজ বাকি রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শুনানিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এশিয়াবিষয়ক উপকমিটির প্রধান স্টিভ শ্যাবোট রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে অব্যাহত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, 'এ সংকটের যদি সমাধান না হয়, তবে উদারপন্থী মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিত এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র হিসেবে বাংলাদেশ একদম পাল্টে যেতে পারে।'

খুন-গুমের ব্যাপারে সরকারকে কঠোর হতে হবে: সুরঞ্জিত @প্রথম আলো

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, 'খুন, গুম গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার জন্য শুভকর নয়। এ বিষয়ে সরকারকে কঠোর হতে হবে। প্রশাসনকে নমনীয় হওয়া যাবে না। এদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। সন্ত্রাসী যত বড়ই হোক, তাকে ধরতে হবে।' আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি খুন-গুমের পেছনে বিরোধী জোটের অংশগ্রহণ ও উসকানি থাকতে পারে দাবি করে সুরঞ্জিত বলেন, 'এর (খুন-গুম) মধ্যে অবশ্যই বিরোধীদের অংশগ্রহণ ও উসকানি থাকতে পারে। এ জন্য প্রশাসনকে দৃঢ়ভাবে তাদের দমন করতে হবে। সব মহলকে নিরপেক্ষ অবস্থানে দাঁড়িয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারের কাছে মানুষের যে প্রত্যাশা, সেটা দেওয়ার জন্য সুশাসনের প্রশ্নে আপসহীন ও অপরাধীর প্রশ্নে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে।'
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মে দিবসের সমাবেশে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন সুরঞ্জিত। তিনি বলেন, 'তিনি (খালেদা জিয়া) নিজে আন্দোলনে নেমে সরকার পতনের ঘোষণা দিয়েছেন। খালেদা জিয়া, আপনি কী নিজে আগে আন্দোলনে নামেন নাই? ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ঠেকাতে আপনি তো আন্দোলনে নেমেছিলেন। কিন্তু সফল হন নাই। নিষ্ফলতা ছাড়া আপনার ভাগ্যে কিছু জোটে নাই। একটি নির্বাচিত সরকার ফেলে নতুন সরকার আনবেন, এ দুরাশা অতীতেও পূরণ হয় নাই। এখনো হবে না।'
জিয়াউর রহমান খুন-গুমের রাজনীতির জনক উল্লেখ করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, 'খালেদা জিয়া খুন, গুম ও অপহরণের রাজনীতির কথা বলেছেন। আপনাকে মনে রাখতে হবে, এ রাজনীতির শুরু করেছেন জিয়াউর রহমান। এই রাজনীতির বিষবৃক্ষ আপনার দল বপন করেছে। সেই বিষফল দিয়ে সমাজকে দূষিত করেছেন আপনি। তাই আপনাদের মুখে এ কথা শোভা পায় না।'  সংগঠনের সহসভাপতি চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন, স্বতন্ত্র সাংসদ হাজি মোহাম্মদ সেলিম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া প্রমুখ।

সাইফুলকে উদ্ধারে তিন ঘণ্টার আলটিমেটাম

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় থেকে নিখোঁজ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে (৩৫) উদ্ধারে পুলিশকে তিন ঘণ্টার সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর থেকে সাইফুলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর পরিবারের দাবি, সাইফুলকে অপহরণ করা হয়েছে। সাইফুলের সন্ধানের দাবিতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সানারপাড় বাসস্ট্যান্ড বাজারের ব্যবসায়ী ও তাঁর স্বজনেরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ তাঁদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরাতে গেলে তাঁরা পুলিশকে তিন ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন। এর মধ্যে জুমার নামাজের সময় হওয়ায় তাঁরা মহাসড়ক থেকে সরে যান। কিন্তু তিন ঘণ্টার মধ্যে সাইফুলকে উদ্ধার করতে না পারলে তাঁরা আবার মহাসড়ক অবরোধ করবেন বলে ঘোষণা দেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. জাকারিয়া বলেন, নিখোঁজ সাইফুলকে উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
সাইফুলের স্ত্রী আফরিন সুলতানার ভাষ্য, সাইফুল সানারপাড়ের লামিয়া সুপার স্টোর নামের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক। গতকাল রাতে অপহরণকারীরা ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছে। প্রথমে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল বলে জানা গেছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন জানান, সাইফুল ইসলাম নামের একজন ব্যবসায়ী নিখোঁজ রয়েছেন। এ নিয়ে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে গত রোববার একসঙ্গে সাত ব্যক্তি অপহূত হন। তাঁরা হলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তাঁর বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ইব্রাহিম। গত বুধবার দুপুরে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও গতকাল একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর পর গতকাল রাতেই রাজধানীর মিরপুর উড়ালসড়ক থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।