Friday, May 09, 2014

পানির অভাবে নদী মরলে সরকারের লোক খুশি হয় @প্রথম আলো

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেছেন, আমাদের দেশে যাঁরা সরকারে থাকেন তাঁদের লোকেরা নদীতে পানি না এলে খুশি হন। কেননা এতে নদী মরে গিয়ে জমিতে পরিণত হয়। আর তাঁরা ওই জমি দখল করতে পারেন। ফলে তাঁরা নৈতিকভাবেও ভারতের কাছ থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা চাওয়ার শক্তি পান না। আজ শুক্রবার রাজধানীতে এক গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন। গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত 'অভিন্ন নদীতে ভারতের আগ্রাসী নীতি' শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। যুক্তরাজ্যের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ মুশতাক খান বলেন, বাংলাদেশের উচিত ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া; আর ভারত বাংলাদেশকে পানি না দেওয়ায় যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তার জন্য ক্ষতিপূরণ চাওয়া। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসেন বলেন, 'যখন আমরা তিস্তার পানি পেলাম না, তখন ভারতের অনেক পত্রিকা ও নাগরিক সমাজের লোক বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলেছেন।' এ ধরনের মিত্রদের খুঁজে বের করে পানির অধিকার বিষয়ে আঞ্চলিক ঐকমত্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর বলেন, 'আমাদের শাসক শ্রেণী মনে করে পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জির জন্য শাড়ি ও ইলিশ পাঠালেই পানি চলে আসবে। কিন্তু ভারতের কাছে পানি ন্যায্য হিস্যা চাওয়ার মতো হিম্মত তাদের নেই।'
পানির হিস্যা পেতে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হবে
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, সরকারগুলোর মেরুদণ্ডহীনতার কারণে ভারত থেকে আসা ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করা যাচ্ছে না। পানির হিস্যা পেতে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হবে। বাংলাদেশকে জাতিসংঘের অভিন্ন নদীবিষয়ক চুক্তি 'কনভেনশন অব দ্য ল অব নননেভিগেশন ইউজেস অব ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটারকোরসেস'-এ স্বাক্ষর করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা। বক্তারা বলেন, বিশ্বের ৩৪টি দেশ জাতিসংঘের এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ এতে স্বাক্ষর করলে এটি একটি আইনে পরিণত হবে। আর এই আইনের আওতায় বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পেতে চাপ দিতে পারবে। গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, পানি বিশেষজ্ঞ ইনামুল হক, সংস্কৃতিকর্মী অরূপ রাহী প্রমুখ।

মুক্তিপণ নিতে গিয়ে ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাসহ আটক ৭ @প্রথম আলো

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ নেওয়ার সময় ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাসহ সাতজনকে আটক করেছে শাহবাগ থানার পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে এই সাতজনকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে অপহূত মুঠোফোনে টাকা ভরার (রিচার্জ) ব্যবসায়ী ফরহাদ ইসলামকেও উদ্ধার করা হয়। এদিকে আটক হওয়া নেতাদের ছাড়িয়ে নিতে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পুলিশের ওপর ব্যাপক চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান। আটক হওয়া ছাত্রলীগের নেতাদের শাহবাগ থানায় না রেখে রমনা থানার হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। এর কারণ জানতে চাইলে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিল হোসেন বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে ছাত্রলীগের ওই নেতাদের রমনা থানার পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন: ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-ক্রীড়া সম্পাদক সৃজন ঘোষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সহসভাপতি তানভীরুল ইসলাম, জগন্নাথ হল কমিটির সহসভাপতি অনুপম চন্দ্র, মুহসীন হল কমিটির ছাত্রবৃত্তিবিষয়ক সম্পাদক মামুন, জসীমউদ্দীন হল কমিটির সাবেক সহসম্পাদক বাপ্পী ও ছাত্রলীগের কর্মী হিমেল। এঁদের সঙ্গে আরফান পাটোয়ারি নামে আরেক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে। অপহূত ব্যবসায়ী ফরহাদ প্রথম আলোকে বলেন, এই আরফানের নেতৃত্বেই তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে ফরহাদকে অপহরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁর পরিবারের কাছে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার নামে ফাঁদ পেতে আজ বেলা আড়াইটার দিকে সাতজনকে আটক ও অপহূতকে উদ্ধার করে পুলিশ। রাতে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে হাতেনাতে ধরা পড়া সংগঠনের নেতাদের ছেড়ে দিতে পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টির বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি, তার আগেই তিনি 'প্রোগ্রামে আছি' বলে ফোনের লাইন কেটে দেন। এরপর এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামানকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। আজ সন্ধ্যায় শাহবাগ থানায় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ব্যবসায়ী ফরহাদের। তিনি জানান, তাঁর বাড়ি চাঁদপুরে। ঢাকায় মুঠোফোন রিচার্জের ব্যবসা করেন। অপহরণকারী দলের নেতৃত্বে থাকা আরফান তাঁর ছোটবেলার বন্ধু। ফরহাদ বলেন, তাঁর এক বড় ভাইয়ের সঙ্গে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে দেখা করতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চ এলাকায় যান। তখন আরফান ১৫-১৬ জনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁকে অপহরণ করেন। এরপর তাঁকে একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখা হয়। সেখানে রাতভর নির্যাতন করা হয়। এ সময় তিনি নির্যাতনের চিহ্ন হিসেবে শরীরে সিগারেটের পোড়া দাগ দেখান। ফরহাদকে অপহরণের এ ঘটনায় তাঁর বাবা তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে সন্ধ্যায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন।

অভিযুক্ত তিন র‌্যাব কর্মকর্তা- ফৌজদারি আইনেও বিচার হতে হবে

নারায়ণগঞ্জ ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণ ও খুনের সাত দিন পর র৵াবের অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে অকালীন এবং একজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে সরকার বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে৷ এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে অন্তত প্রাথমিকভাবে মেনে নেওয়া হলো যে অভিযোগের ভিত্তি রয়েছে৷ একটি গণতান্ত্রিক দেশে কোনো নাগরিকই আইনের ঊর্ধ্বে থাকতে পারেন না৷ র৵াবের আলোচিত তিন কর্মকর্তা 'ছয় কোটি টাকা ঘুষ' খেয়ে সাতজনকে অপহরণ ও খুন করেছেন বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেত৷ অবশ্য ঘটনার পরপরই তিন কর্মকর্তাকে নিজ নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল৷ কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না৷ এবং এখন যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক৷ অবসর কোনো শাস্তি নয়৷ অপহরণ ও খুনের মতো অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় বিচার হতে হবে৷ সাত খুনের মামলায় যঁাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তঁাদের কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে না পারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরাট ব্যর্থতা৷ এখন যদি অবসরে পাঠানো সাবেক সেনা ও নৌ কর্মকর্তাদেরও আইনের যথাযথ প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হয়, তাহলে আইনের প্রয়োগের বিষয়টি পরিহাসে পরিণত হবে৷
নারায়ণগঞ্জের রক্ত হিম করা ঘটনায় র৵াব, পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবার নির্দিষ্ট পরিসরে দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ জরুরি৷ কাউন্সিলর নজরুল আগে থেকেই তঁার জীবনের হুমকি সম্পর্কে সবাইকে জানিয়েছিলেন৷ বিষয়টি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকেও জানানো হয়৷ কিন্তু সবাই কেন নির্বিকার ছিলেন, তার রহস্য উদ্ঘাটিত হওয়া প্রয়োজন৷ এখানে সরকার ও প্রশাসনের জবাবদিহি নিশ্চিত না হলে বারবার এ ধরনের ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়৷ অনেক যাচাই-বাছাই করে দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়৷ তাই তাদের প্রতি দেশবাসীর আস্থাও বেশি৷ র৵াব গঠনের সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করায় মানুষ এ জন্যই আশ্বস্ত হয়েছিল৷ কিন্তু বিভিন্ন অনৈতিক ঘটনায় র৵াবে কর্মরত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ হতাশাজনক৷ দু-চারজন সদস্যের পদস্খলনের কারণে পুরো বাহিনীর মর্যাদা নষ্ট হতে দেওয়া যায় না৷ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দৈনন্দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত করা উচিত কি না, সে প্রশ্নটিও বিবেচনায় আনা যেতে পারে৷ এতে সমাজে বিরাজমান কলুষতায় কেউ সহজেই প্রলুব্ধ হতে পারে বলে সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন৷ সে ক্ষেত্রে এ ধরনের নিয়োগ সাময়িক হতে পারে৷ অবশ্য জাতিসংঘ শান্তি মিশনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যদি গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করতে পারেন, তাহলে দেশের ভেতরে পারবেন না কেন, সে প্রশ্নটিও আছে৷ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে জটিল বিষয়টি পুনর্বিবেচনায় আনা যেতে পারে৷ আপাতত ন্যায়বিচারের স্বার্থে অভিযুক্ত সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যদের আইনের আওতায় আনা হোক৷

ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার অঙ্কিত তিওয়ারি @প্রথম আলো

'আশিকি ২' খ্যাত সংগীত তারকা অঙ্কিত তিওয়ারির বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ তুলেছেন এক তরুণী। এ অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। আগে ছোট ও বড় পর্দায় সংগীত পরিচালনার কাজ করলেও গত বছর মুক্তি পাওয়া 'আশিকি ২' ছবির 'শুন রাহা হ্যায়' গানটি অঙ্কিতকে (২৪) ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়। গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি এর সুর ও সংগীত পরিচালনাও করেছেন অঙ্কিত। সম্প্রতি এক তরুণী অভিযোগ তোলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন অঙ্কিত। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ও ৫০৬ ধারায় অঙ্কিতকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। মুম্বাইয়ের ভার্সোভা থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে এ তথ্য জানানো হয়। অভিযোগকারীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে অঙ্কিতের ভাই অঙ্কুর তিওয়ারিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অঙ্কুরের বিরুদ্ধে ওই তরুণীর অভিযোগ, স্পর্শকাতর বিষয়টি জনসমক্ষে ফাঁস করলে তাঁকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দেন অঙ্কুর।
আজ শুক্রবার আন্ধেরি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হচ্ছে অঙ্কিত ও অঙ্কুরকে। তদন্তের প্রয়োজনে অভিযুক্ত দুজনকে কয়েক দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার অনুমতি চাওয়া হবে আদালতের কাছে। মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন পুলিশের হাতে আসার পর মামলার তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া পুরোদমে শুরু হবে। 'আশিকি ২' ছবির 'শুন রাহা হ্যায়' গানটি ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয়তা পাওয়ার পাশাপাশি ফিল্মফেয়ার, আইফার মতো মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার প্রদান আসরে পুরস্কৃতও হয়। গানটির জন্য সেরা সংগীত পরিচালকের পুরস্কার অর্জন করেন অঙ্কিত। কিন্তু ধর্ষণের মতো জঘন্য অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি নিঃসন্দেহে তাঁর ক্যারিয়ারে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। ধর্ষণের অভিযোগে অঙ্কিতের আগে গত ২৫ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন বলিউডের অভিনেতা ইন্দর কুমার। ২২ বছর বয়সী উঠতি এক অভিনেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। এ ছাড়া গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০০৯ সালের ১৪ জুন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন 'ভুলভুলাইয়া'খ্যাত বলিউডের তারকা অভিনেতা শাইনি আহুজা। তাঁর সাত বছরের কারাদণ্ডও হয়। পরে অবশ্য জামিনে মুক্তি পান তিনি। বর্তমানে 'ওয়েলকাম ব্যাক' ছবির মাধ্যমে বলিউডে প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৩৯ বছর বয়সী শাইনি।

ব্যাংককে ব্যাপক বিক্ষোভ

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে আজ শুক্রবার সরকারবিরোধী হাজারো বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করছেন। প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে সাংবিধানিক আদালত অপসারণ করার পর গঠিত নতুন মন্ত্রিসভা বাতিলের দাবিতে তাঁরা এ বিক্ষোভ করছেন। গতকাল বিক্ষোভকারীরা নতুন সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন৷ বিরোধীদের এই ঘোষণা চলমান সংকট আরও ঘনীভূত করতে পারে। আজ রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আশা করছে, আগামী ২০ জুলাই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তারা জয়ী হবে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা এই সরকারের পতন চান। একই সঙ্গে তাঁরা নির্বাচন স্থগিত ও ইংলাকের ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার প্রভাব শেষ করে দিতে সংস্কারের দাবি জানান। বিক্ষোভকারীদের নেতা সুথেপ থাউকসুবান বিক্ষোভকারীদের পার্লামেন্টের বাইরে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বাইরে এবং পাঁচটি টেলিভিশন চ্যানেল কার্যালয়ের বাইরে মিছিল করার আহ্বান জানান। সরকার যাতে তাঁদের ব্যবহার করতে না পারে, তাঁরা এ উদ্যোগ নিয়েছেন। সুথেপ বলেন, 'আমরা দেশ থেকে থাকসিন-যুগের সব আবর্জনা ঝেঁটিয়ে পরিষ্কার করব।' ২০১১ সালে থাইল্যান্ডের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান থাবিল প্লিয়েনশ্রিক বদলির ঘটনায় সাংবিধানিক আদালত গত বুধবার ইংলাক ও তাঁর মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যকে অপসারণ করেন। নিজের একজন আত্মীয়কে থাবিলের স্থলাভিষিক্ত করার মাধ্যমে ইংলাক ক্ষমতার অপব্যহার করেছেন বলে আদালত উল্লেখ করেন। পরে মন্ত্রিসভা পুয়ে থাই পার্টির নেতা উপপ্রধানমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রী নিওয়াত্তুমরং বুনসংপাইসানকে ইংলাকের স্থলাভিষিক্ত করে৷ ইংলাককে গতকাল ধান ক্রয় খাতে ভতুর্কি দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত করেছে থাইল্যান্ডের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা৷ এ নিয়ে দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে ভোটাভুটি হবে৷ সিনেট ইংলাককে অভিশংসিত করলে তিনি রাজনীতিতে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন।

ব্যাংককে ব্যাপক বিক্ষোভ @প্রথম আলো

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে আজ শুক্রবার সরকারবিরোধী হাজারো বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করছেন। প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে সাংবিধানিক আদালত অপসারণ করার পর গঠিত নতুন মন্ত্রিসভা বাতিলের দাবিতে তাঁরা এ বিক্ষোভ করছেন। গতকাল বিক্ষোভকারীরা নতুন সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন৷ বিরোধীদের এই ঘোষণা চলমান সংকট আরও ঘনীভূত করতে পারে। আজ রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আশা করছে, আগামী ২০ জুলাই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তারা জয়ী হবে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা এই সরকারের পতন চান। একই সঙ্গে তাঁরা নির্বাচন স্থগিত ও ইংলাকের ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার প্রভাব শেষ করে দিতে সংস্কারের দাবি জানান। বিক্ষোভকারীদের নেতা সুথেপ থাউকসুবান বিক্ষোভকারীদের পার্লামেন্টের বাইরে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বাইরে এবং পাঁচটি টেলিভিশন চ্যানেল কার্যালয়ের বাইরে মিছিল করার আহ্বান জানান। সরকার যাতে তাঁদের ব্যবহার করতে না পারে, তাঁরা এ উদ্যোগ নিয়েছেন।
সুথেপ বলেন, 'আমরা দেশ থেকে থাকসিন-যুগের সব আবর্জনা ঝেঁটিয়ে পরিষ্কার করব।' ২০১১ সালে থাইল্যান্ডের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান থাবিল প্লিয়েনশ্রিক বদলির ঘটনায় সাংবিধানিক আদালত গত বুধবার ইংলাক ও তাঁর মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যকে অপসারণ করেন। নিজের একজন আত্মীয়কে থাবিলের স্থলাভিষিক্ত করার মাধ্যমে ইংলাক ক্ষমতার অপব্যহার করেছেন বলে আদালত উল্লেখ করেন। পরে মন্ত্রিসভা পুয়ে থাই পার্টির নেতা উপপ্রধানমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রী নিওয়াত্তুমরং বুনসংপাইসানকে ইংলাকের স্থলাভিষিক্ত করে৷ ইংলাককে গতকাল ধান ক্রয় খাতে ভতুর্কি দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত করেছে থাইল্যান্ডের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা৷ এ নিয়ে দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে ভোটাভুটি হবে৷ সিনেট ইংলাককে অভিশংসিত করলে তিনি রাজনীতিতে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন।