Wednesday, December 08, 2010

ট্রেন উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনী

রসিংদীতে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেন উদ্ধার কাজে নেমেছে সেনাবাহিনীর একটি দল। এছাড়া ঢাকা ও আখাউড়া থেকে দুটি উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নরসিংদীর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান। সন্ধ্যায় নরসিংদী রেলস্টেশনে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ পর্যন্ত সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরো অনেক যাত্রী হতাহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সন্ধ্যা পৌনে ৫টার দিকে আন্তনগর ট্রেন চট্টলা এক্সপ্রেস ও মহানগর গোধূলীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিনিধি জানান, ঘটনাস্থলে আরো কয়েকটি লাশ দেখা গেছে। হতাহতের সংখ্যা অনেক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নরসিংদীর পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট আক্কাস উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, সংঘর্ষে একটি ট্রেন আরেকটি ট্রেনের ওপর ওঠে গেছে। এখন পর্যন্ত সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতাল এবং তিনটি ঘটনাস্থলে রয়েছে। তিনি জানান, উদ্ধার কাজ চলছে। এই রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক টি এ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এখন পর্যন্ত নিহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আমারা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।" তিনি জানান, চট্টলা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসছিলো। অন্যদিকে মহানগর গোধূলী ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাচ্ছিলো।
নরসিংদী রেলওয়ের কর্মকর্তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্ষুব্ধ জনতা স্টেশন ঘেরাও করে রেখেছে। বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। নরসিংদীর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মনিরুজ্জামান জানান, উদ্ধার কাজ পুরোদমে শুরু হলে আরো কিছু লাশ পাওয়া যেতে পারে।
নরসিংদী রেলস্টেশনের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস নরসিংদী স্টেশনে না দাঁড়িয়ে সরাসরি প্রধান রেলপথ হয়ে ঢাকা চলে যাওয়ার কথা ছিলো।
অন্যদিকে মহানগর গোধূলী এই ট্রেনটিকে পাশ দেওয়ার জন্য স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলো। কিন্তু সংকেত ভুল করায় একই লাইনে চট্টলা ট্রেনটি চলে আসে। এতে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। রেলের উপসহকারী পরিচালক দিলীপ কুমার বোসের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল সরঞ্জাম নিয়ে ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে। দিলীপ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ঘণ্টা খানেকের মধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবো।"
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানান, উদ্ধারকারী একটি ট্রেন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় নরসিংদীর উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেন দুটি উদ্ধার করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সড়ক ও রেলপথ বিভাগের সচিব মোজাম্মেল হক খান এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক টি এ চৌধুরী ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বলে তিনি জানান।
নরসিংদী সদর হাপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মচারী কামাল জানান, হাসপাতালে এ পর্যন্ত আহত ১৭ জনকে আনা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা হচ্ছে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিনিধি জানান, দুর্ঘটনায় আহত চট্টলা এক্সপ্রেসের চালক রফিক উদ্দিনসহ (৫০) পাঁচজনকে সেখানে ভর্তি করা হয়েছে।
বাকিরা হলেন- যাত্রী মাহবুব (২২), মাঈনুদ্দিন (৩০), হুমায়ুন (২৪) ও রেলওয়েল নিরাপত্তাকর্মী মো. জসিম (২৫)। রফিক উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রেলপথটির সংকেত পেয়েই তিনি ট্রেন চালিয়ে আসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেনে সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি উদ্ধার কাজে অংশ নিতে সামরিক ও বেসামরিক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।

ট্রেনের সংঘর্ষ: সাত লাশ উদ্ধার

রসিংদী রেলস্টেশনে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরো অনেক যাত্রী হতাহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রেলওয়ের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে। বুধবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে আন্তনগর ট্রেন চট্টলা এক্সপ্রেস ও মহানগর গোধূলীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিনিধি জানান। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে আরো কয়েকটি লাশ দেখা গেছে। হতাহতের সংখ্যা অনেক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নরসিংদীর পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট আক্কাস উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, সংঘর্ষে একটি ট্রেন আরেকটি ট্রেনের ওপর ওঠে গেছে। এখন পর্যন্ত সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতাল এবং তিনটি ঘটনাস্থলে রয়েছে। তিনি জানান, উদ্ধার কাজ চলছে। এই রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক টি এ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এখন পর্যন্ত নিহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আমারা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।" তিনি জানান, চট্টলা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসছিলো। অন্যদিকে মহানগর গোধূলী ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাচ্ছিলো।

নরসিংদী রেলওয়ের কর্মকর্তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্ষুব্ধ জনতা স্টেশন ঘেরাও করে রেখেছে। বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। নরসিংদী রেলস্টেশনের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস নরসিংদী স্টেশনে না দাঁড়িয়ে সরাসরি প্রধান রেলপথ হয়ে ঢাকা চলে যাওয়ার কথা ছিলো।

অন্যদিকে মহানগর গোধূলী এই ট্রেনটিকে পাশ দেওয়ার জন্য স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলো। কিন্তু সংকেত ভুল করায় একই লাইনে চট্টলা ট্রেনটি চলে আসে। এতে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। রেলের উপসহকারী পরিচালক দিলীপ কুমার বোসের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল সরঞ্জাম নিয়ে ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে।

দিলীপ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ঘণ্টা খানেকের মধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবো।" যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানান, উদ্ধারকারী একটি ট্রেন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় নরসিংদীর উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেন দুটি উদ্ধার করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঘটনার খবর পাওয়ার পরই যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সড়ক ও রেলপথ বিভাগের সচিব মোজাম্মেল হক খান এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক টি এ চৌধুরী ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বলে তিনি জানান। নরসিংদী সদর হাপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মচারী কামাল জানান, হাসপাতালে এ পর্যন্ত আহত ১৭ জনকে আনা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা হচ্ছে।

নরসিংদীতে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১০ জন নিহত

রসিংদী রেলস্টেশনের কাছে আজ বুধবার বিকেলে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ট্রেন দুটির পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। একটির ইঞ্জিন অন্যটির ইঞ্জিনের ওপর উঠে গেছে। সন্ধ্যা সাতটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন।

দুর্ঘটনাস্থলে ছয়-সাতজনের লাশ দেখা গেছে। আহত ব্যক্তিদের জেলা হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে চিকিত্সাধীন অবস্থায় চারজন মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজ বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেন দুটি হলো ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া চট্টগ্রামগামী আন্তনগর ‘মহানগর গোধূলী’ ও চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মেইল ট্রেন ‘চট্টলা’।

নয়া দিগন্তর খবর- আরো গোপন তথ্য ফাঁস করার ঘোষণা উইকিলিকস’র

রো গোপন তথ্য ফাঁস করার ঘোষণা দিয়েছেন উইকিলিকস’র মুখপাত্র ক্রিস্টিন রাফনসন। ওয়েবসাইটটির প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জের গ্রেফতার ও জামিন নাকচের ঘটনাকে মিডিয়ার স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ওয়েবসাইটটির মুখপাত্র ক্রিস্টিন রাফনসন বার্তা সংস্খা রয়টার্সকে বলেছেন, বিভিন্ন দেশের গোপন নথি যেগুলো আজ কিংবা আগামী দিনগুলোতে প্রকাশের কথা রয়েছে তাতে কোনো পরিবর্তন আসবে না। সেগুলো যথাসময়ে ফাঁস করা হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।

ক্রিস্টিন রাফনসন বলেন, উইকিলিকস চালু আছে। আমরা আগের মতোই কাজ চালিয়ে যাব। লন্ডন এবং বিভিন্ন অজ্ঞাত স্খানে আমাদের একঝাঁক উদ্যোমী কর্মী এ ওয়েবসাইটটি চালু রেখেছেন।
উইকিলিকসের সাংবাদিক জেমস বিল বার্তা সংস্খা এএফপিকে বলেছেন, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের গ্রেফতার হওয়া সত্ত্বেও তাদের ওয়েবসাইট যুক্তরাষ্ট্রের আরো গোপন কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁস করবে। জেমস বলেন, যা কিছুই ঘটুক না কেন, সব কর্মসূচি ঠিকঠাক মতো চলবে।
উল্লেখ্য, ওয়েব সাইটটির প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ লন্ডনে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের একদিন পর আরো গোপন তথ্য ফাঁস করার এ ঘোষণা দেয়া হলো।

নয়া দিগন্তের সংবাদ- তথ্য ফাঁসের জন্য অ্যাসাঞ্জ নয়, যুক্তরাষ্ট্রই দায়ী : অস্ট্রেলিয়া

স্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেভিন রাড বলেছেন, উইকিলিকসে আড়াই লাখ কূটনৈতিক তথ্যপ্রবাহ ফাঁস হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রই দায়ী, সংবাদমাধ্যমটির প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নন।
কেভিন রাড বলেন, এই তথ্য ফাঁসের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তিনি আরো বলেন, তথ্যপ্রবাহে তার সম্পর্কে যে সমালোচনা হয়েছে করা হয়েছে তা নিয়ে তিনি চিন্তিত নন।
কেভিনের এ অবস্খানকে সমর্থন করেছেন প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড। কেভিনের মন্তব্যেরও প্রশংসা করে গিলার্ড বলেন, ‘তিনি অত্যন্ত চমৎকার কাজ করছেন।’

ছয়টি অপরাধের অভিযোগে অ্যাসাঞ্জকে লন্ডনের পুলিশ গ্রেফতার করে। সুইডেনে অ্যাসাঞ্জ এসব অপরাধ করেন জানা দেশটির সরকার তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করে।
তথ্য ফাঁস হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড অ্যাসাঞ্জের উদ্দেশে ‘মোটাদাগে দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে মন্তব্য করেন। অ্যাসাঞ্জও কম যান না। তিনি জুলিয়া গিলার্ডের সরকারকে লজ্জাজনকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী বলে মন্তব্য করেন।
গত কয়েক সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক তৎপরতার আড়াই লাখেরও বেশি গোপন দলিল ফাঁস করে দেয়। ওয়াশিংটন এ ঘটনাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ বলে মন্তব্য করেন।
বার্তাসংস্খা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কেভিন রাড বলেন, ‘আড়াই লাখ গোপন তথ্যপ্রবাহ ফাঁস হওয়ার জন্য কেবল অ্যাসাঞ্জই দায়ী নন, আমেরিকানরাও এ জন্য দায়ী।’

নয়া দিগন্তের খবর- বিদ্যুৎ নিয়ে বেশি কিছু করা সম্ভব নয় : অর্থমন্ত্রী

রকারের বর্তমান মেয়াদের মধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য আনা ছাড়া বেশি কিছু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বুধবার সকালে জাতীয় বিদ্যুৎ সপ্তাহ-২০১০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিদ্যুৎ বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ সময় সাপেক্ষ। তবে বিদ্যুতের চাহিদা ও উৎপাদনের মধ্যে ভারসাম্য আনা যাবে। এর অতিরিক্ত কিছু করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, বিরোধী দলে থাকাকালীন আওয়ামী লীগ বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে অনেক কথা বলেছে। তাই সরকার গঠনের সাথে সাথে বিদ্যুৎ উন্নয়নে তিন বছরের একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ পর্যন্ত ৯৭১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ২০১১ সালের মধ্যে ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সরকারের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সচিব আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুল হক, বিইআরসি চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন প্রমুখ উপস্খিত ছিলেন।

 ডিএসইতে ব্যাপক দরপতনে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ, ভাঙচুর

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ বুধবার ব্যাপক দরপতন হয়েছে। লেনদেনের প্রথম ঘণ্টা শেষে দুপুর ১২টা পাঁচ মিনিটে সাধারণ মূল্যসূচক ৪১৯ পয়েন্ট কমে যায়। এ ঘটনায় বিনিয়োগকারীরা ১২টা ১০ মিনিটে ডিএসইর সামনের সড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা দুটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করেন এবং ডিএসইর মূল ফটকে ইটপাটকেল ছোড়েন। রাস্তায় কাগজপত্র পুড়িয়ে তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

এ সময় মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বেলা দুইটার দিকে পুলিশ রাস্তা থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সার্বিক পরিস্থিতিতে ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জহুরুল আলম বলেন, ‘আমি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাঁদের বিভিন্ন অভিযোগ শুনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
আজ ডিএসইতে লেনদেনে প্রথম ঘণ্টায় ২১০টি প্রতিষ্ঠানের দাম কমে যায়। আর দাম বাড়ে মাত্র ১৩টি প্রতিষ্ঠানের এবং অপরিবর্তিত থাকে চারটি প্রতিষ্ঠানের। সাধারণ মূল্যসূচক ৪১৯ পয়েন্ট কমে আট হাজার ১৬৬ পয়েন্টে দাঁড়ায়।
বিনিয়োগকারী সাজ্জাদ, জনি, মুনির, রাজু ও আবদুল আলীম জানান, আজ মূল্যসূচক হঠাৎ ৫০০ পয়েন্ট কমে গেলে তাঁদের পোর্টফোলিও প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। এ কারণে তাঁরা বিক্ষোভ করতে বাধ্য হন। তাঁরা আরও বলেন, বাজারকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়া উচিত। হস্তক্ষেপ করা ঠিক নয়।

২৬ ডিসেম্বর হরতাল ডেকেছে ওলামা মাশায়েখ পরিষদ

শিক্ষানীতির প্রতিবাদে ২৬ ডিসেম্বর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকা হয়েছে। সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দিন খান আজ বুধবার এ ব্যাপারে ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে কাল বৃহস্পতিবার থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিলেরও ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। আজ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ ঘোষণা দেয়।

সংগঠনটি গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে ২৬ ডিসেম্বর হরতাল করার ঘোষণা দিলেও সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা প্রত্যাহার করে নেয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৬ তারিখের পর হরতাল দেওয়া হবে। কিন্তু সংগঠনটি আজ সংবাদ সম্মেলন করে একই তারিখে হরতালের ঘোষণা দিল।
সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা মুহিউদ্দিন খান বলেন, যে শিক্ষানীতি পাস করা হচ্ছে তা ধর্মহীন। ধর্মহীন শিক্ষা আল্লাহর কাছে কোনো শিক্ষা নয়। একতরফাভাবে এ শিক্ষা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ শিক্ষানীতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

স্পিকার নয়, সংসদ চালাচ্ছে সরকার (!)

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুক বলেছেন, স্পিকার নন বর্তমানে সংসদ চালাচ্ছে মহাজোট সরকার। বিরোধী দলের সংসদসংশ্লিষ্ট দাবি-দাওয়ার ব্যাপারেও সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে পারছেন না তিনি। তাহলে এই সংসদ কে চালাচ্ছে? স্পিকার, না সরকারের ইশারায় চলছে। এখানে স্পিকার অসহায়। তাহলে সংসদে গিয়ে কী হবে।



জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে গতকাল এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য, আইনশৃক্সখলা, পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ জনসমস্যার বিষয়ে আমাদের দেওয়া মুলতবি প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে কোনো সাড়া না পাওয়ায় আমরা সপ্তম অধিবেশনে আপাতত যোগ দিচ্ছি না। স্পিকারের সঙ্গে শনিবারের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, স্পিকার আমাদের সংসদে এসে কথা বলতে বলছেন। ওদিকে বিরোধী দলের নেতাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হলো। অথচ এ নিয়ে তিনি কোনো ভূমিকা পালন করতে পারলেন না। তাই এমন সংসদে যাওয়া আমাদের পক্ষে আপাতত সম্ভব নয়। তিনি বলেন, স্পিকার আমাকে যেসব কথা বলেছেন, তা আমি শনিবার রাতেই আমার দলের সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছি। তিনি বলেন, এর আগেও স্পিকারের অনুরোধে আমরা সংসদে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কোনো কথা রাখেননি। সারাদেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন, বিরোধীদলীয় নেতাকে তার ৩৮ বছরের বাস করা বাড়ি থেকে উচ্ছেদ, ইত্যাদিসহ আমাদের বিভিন্ন দাবি রয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আশরাফউদ্দিন নিজান, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, রেহেনা আকতার রানু, নীলুফার চৌধুরী মণি, শাম্মি আকতার, রাশেদা বেগম হীরা প্রমুখ।

নরসিংদীতে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত কর্মীদের সংঘর্ষ, আটক ৩২

রসিংদীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা শাখার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে পুলিশের আট সদস্যসহ জামায়াতের কমপক্ষে ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আবদুল মালেকসহ ৩২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের পুরাতন ডাকঘর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বিকেল পাঁচটার দিকে জেলা জামায়াতের আমির আ ফ ম আবদুর ছাত্তারের নেতৃত্বে শহরের ব্রাহ্মন্দী মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক অতিক্রম শেষে পুরাতন ডাকঘর এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
এ সময় পুলিশ দুই দিক থেকে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে। জামায়াতের নেতা-কর্মীরা পুলিশের হামলার জবাবে ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। এ ঘটনায় পুলিশের আট সদস্যসহ জামায়াতের অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জামায়াতের ৩২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। জেলা জামায়াতের নির্বাহী কমিটির কার্যকরী সদস্য মকবুল হোসেন বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করার সময় পুলিশ বিনা উসকানিতে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’ নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জামায়াতের নেতা-কর্মীরা মিছিল-সমাবেশের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছিল। পুলিশ জামায়াতের যে ৩২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে, তাদের সবার বিরুদ্ধে থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।