Wednesday, May 23, 2012

খুলে দেওয়া হল বিশ্বের সর্বোচ্চ টাওয়ার ‘টোকিও স্কাই ট্রি’

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার ‘টোকিও স্কাই ট্রি’ দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। জাপানের এই যুগান্তকারী স্থাপনার উদ্বোধনের প্রথম দিনেই প্রায় ৮ হাজার দর্শনার্থী সমাগমের প্রত্যাশা করা হলেও তাতে বাগড়া দিয়েছে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ।

ইতিমধ্যেই গিনেজ বুকে নাম লেখানো এই স্থাপনাটির উচ্চতা ২ হাজার ৮০ ফুট (৬৩৪ মিটার)। উচ্চতায় এটি টপকে গেছে চীনের ক্যান্টন টাওয়ারকে। এতদিন ক্যান্টন টাওয়ারকেই বিশ্বের সর্বোচ্চ টাওয়ার হিসেবে অভিহিত করা হতো। উল্লেখ্য, ক্যান্টন টাওয়ারের উচ্চতা ১ হাজার ৯ শ ৬৮ দশমিক ৫০ ফুট (৬০০ মিটার)।
তবে একই সঙ্গে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থাপনা ও বহুতল ভবনের রেকর্ড এখনও দুবাইর বুর্জ খলিফার দখলে।  ক্যান্টন টাওয়ার বা টোকিও স্কাই ট্রি মূলত টাওয়ার, বহুতল ভবন বা স্কাইস্ক্রাপার নয়। বুর্জ খলিফার উচ্চতা ৮২৮ মিটার।

টোকিও স্কাইট্রি টাওয়ারটি মূলত টেলিভিশন এবং রেডিও সম্প্রচারের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে। তবে এতে বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এর শীর্ষে উঠে আশপাশের সবকিছু অবলোকন করার সুযোগ।

টোকিওর প্রতীকরূপে দাঁড়িয়ে থাকা ‘টোকিও টাওয়ার’কে প্রতিস্থাপিত করে নির্মাণ করা হয়েছে আজকের টোকিও স্কাইট্রি। উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সালে নির্মিত টোকিও টাওয়ারের উচ্চতা ছিল ১ হাজার ৯২ দশমিক ৫০ ফুট।

জোট নেতাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর

হরতালে গাড়ি পোড়ানোর মামালায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৮ দলীয় জোটের ৩৩ নেতার জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জহুরুল হকের আদালতে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়ে বেলা ১১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত জামিন আবেদনের শুনানি চলে।

এরপর দুপুরে আদালত তার আদেশে জামিন আবেদন নামঞ্জুরের ঘোষণা দেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে জামিন শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞা, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী।
তবে ঢাকা বারের নেতাদের নামে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের হওয়ায় তাদের কাউকে আদালতে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি।

গত বুধবার মির্জা ফখরুলসহ জোটের নেতারা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আত্মসর্মপণ করে জামিন চাইলে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. এরফান উল্লাহ জামিন আবেদন নাকচ করে সবাইকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ওইদিন জামিন নাকচের পর আসামিদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম বিকাশ কুমার সাহার কাছে জামিন আবেদন পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে বিচারক তাও নাকচ করে দেন।

গত ২৯ এপ্রিল বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের পর রাত ৯টা ৫ মিনিটে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে একটি গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হরতালকারীরা। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইসমাইল মজুমদার বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় দ্রুত বিচার আইনের ৪ ও ৫ ধারায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৮ দলীয় জোটের ৪৪ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

৫০ হাজার লবণ চাষি শঙ্কায়

টেকনাফে বৈরী আবহাওয়ায় লবণ উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রাকৃতিক এ বাধা উপেক্ষা করে চাষিরা মাঠে রয়েছেন। তবে আশানুরূপ উৎপাদন করতে পারবে না এমন শঙ্কায় রয়েছেন তারা।

গত ১৫ দিন থেকে অবস্থার পরির্বতন ঘটছে না আকাশের। লবণ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ৫০ হাজার চাষি-শ্রমিকসহ লবণ চাষের ওপর নির্ভরশীল দেশের লক্ষাধিক মানুষ শঙ্কায় রয়েছে। প্রাকৃতির বৈরী অবস্থা যদি লবণ উৎপাদনের ভরা মৌসুমে বিরাজ থাকে তবে লবণ শ্রমিকদের পরিবার-পরিজনদের দু'বেলা খাবার জুটবে কি-না এ দুশ্চিন্তা থেকেই গেল।
খবর পাওয়া গেছে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ, কতুবদিয়া, মহেশখালী, পুকখালী, মাদারবাড়ি, ধলঘাটা, চকরিয়া ও চট্টগ্রাম বাঁশখালীর লবণ মাঠে বৃষ্টির পানি জমেছিল। বৃষ্টির পানিতে লবণ ভেসে গিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লবণ চাষি ও শ্রমিকদের। যেহেতু লবণ চাষের নিয়ম অনুযায়ী জমিতে যে পরিমাণ লবণ উৎপাদন হবে তার অর্ধেক লবণ পাবে জমির মালিক বা চাষি আর অর্ধেক পাবে শ্রমিক। টেকনাফ আলীখালীর লবণ শ্রমিক জাফর আলম জানান, আকাশে অবস্থা ভালো না হলে লবণ উৎপাদন সম্ভব নয়, এতে জমিদারের কি আসে যায়; ভাতে মরব তো আমরা শ্রমিকরা।
কক্সবাজার বিসিক অফিস সূত্রে জানা যায়, জাতীয় লবণনীতি ২০১১ অনুযায়ী ২০১২ সালে দেশে লবণের বার্ষিক চাহিদা ১৪ দশমিক ৩৬ লাখ টন। এ লবণ মনুষ্য খাদ্যে ৯ দশমিক ২৫ লাখ টন, মৎস্য ও প্রাণী খাতে ২ দশমিক ২৭ লাখ টন ও শিল্পখাতে ২ দশমিক ৮৪ লাখ টন প্রয়োজন হবে।
চলতি মৌসুমে কর্তৃপক্ষ লবণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১৪ দশমিক ৫০ টন। ওই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ৭০ হাজার একর জমিকে লবণ মাঠে পরিণত করেছেন ৪৫ হাজার লবণ শ্রমিক। তারা মাঠে পুরোদমে কাজ করে যাচ্ছে চাহিদা পূরণ ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে।
২০১১ সালে দেশে লবণের চাহিদা ছিল ১৩ দশমিক ৬৮ লাখ টন। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯০ লাখ টন। সেখানে ৩৮ হাজার ৫৮২ লবণ শ্রমিক ৫৫ হাজার ৬৩৭ একর লবণ মাঠে সারা মৌসুম লবণ উৎপাদন করেছিল ৯ দশমিক ৫৬ লাখ টন, যা চাহিদার চেয়ে ৪ লাখ ১২ টন কম। ফলে গত ২০১১ সালে লবণের চাহিদা পূরণে সরকারকে বিদেশ থেকে কিনতে হয়েছে।
চলতি মৌসুমে প্রারম্ভিক মজুদ (মার্চ পর্যন্ত) ৬ দশমিক ৯ লাখ টন ধরা হলেও বৈরী আবহাওয়া ও অসময়ে বৃষ্টি তা সম্ভব হয়নি। সেখানে চলতি মার্চ মাস পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে ১ দশমিক ৫৭ লাখ টনসহ এ পর্যন্ত মজুদ করা হয়েছে ৩ দশমিক ৭৪ লাখ টন।
মনুষ্য খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত, শিল্প-কারখানায়, মৎস্য ও পশুখাদ্যসহ দেশে মাসিক লবণের গড় চাহিদা ১ দশমিক ২০ লাখ টন।
লবণ উপাদন ও মজুদদার মোঃ শফিক মিয়া জানান, লবণ উৎপাদনের দিক থেকে দেশে সবচেয়ে অধিক লবণ উৎপাদন হয় টেকনাফে। তবে টেকনাফের পূর্বপাশের বেড়িবাঁধ দুই বছর থেকে বিধ্বস্ত হওয়ায় বিশাল আবাদি জমিতে লবণ চাষ সম্ভব হয়নি। বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকছে। ফলে বহু চাষি মাঠে নামতে পারেননি।
অন্যদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি সমকালকে বলেন, টেকনাফের পূর্ব পাশের পাউবো বেড়িবাঁধটি বিধ্বস্ত হয়েছে দু'বছর আগে। গত বছর ভরা বর্ষাকালে মেরামত করা সম্ভব হয়নি। চলতি বছর সেই বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য প্রথমবারে ৪২ লাখ টাকা দেওয়া হয়। ওই কাজের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শফিক মিয়া। চলতি লবণ মৌসুমে কেন চাষিরা লবণ উৎপাদন করতে পারছে না। এ প্রশ্ন তার কাছে করা উচিত।
বর্তমানে লবণের বাজার দরের ওপর শ্রমিক খুশি নন। অতি কষ্টে উৎপাদিত প্রতি টন কালো লবণে দর ২ হাজার টাকা, সাদা লবণের দর ৩ হাজার টাকা ও পলিথিন পদ্ধতিতে উৎপাদিত লবণের দাম সাড়ে তিন হাজার টাকা।
লবণ উৎপাদনকারীরা সরকারের প্রতি দেশে উৎপাদিত লবণের দর স্থিতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

উখিয়ায় ট্রলারসহ মদ জব্দ

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার উপকূলবর্তী রূপপতি এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার একটি মাছ ধরার ট্রলারসহ বিপুল পরিমাণ মদ জব্দ করেছে নৌবাহিনীর টহল দল। তবে নৌবাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, ধাওয়া করে ওই ট্রলারটি আটক করার আগে এলাকাবাসী ট্রলারে হানা দিয়ে অনেক মদ লুট করে নিয়েছে।

নৌবাহিনী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে টহলরত নৌবাহিনীর বানৌজা মেঘনা জাহাজের একটি দল গতকাল সকালে সেন্ট মার্টিন পয়েন্ট থেকে এমভি সামি নামের ট্রলারটি ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে মাদকভর্তি ট্রলারটি উখিয়ার উপকূলীয় এলাকা রূপপতি চ্যানেলে ভিড়িয়ে ট্রলারের মাঝিমাল্লারা পালিয়ে যায়। এ সময় নৌবাহিনীর টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয় লোকজন ট্রলারটিতে হানা দিয়ে লুটপাট করে। পরে টহল দল সেখানে পৌঁছে ট্রলার থেকে বস্তাভর্তি দুই হাজার ১৩৫ ক্যান বিয়ার, লেভেল ফাইভ ব্র্যান্ডের ১৪২ বোতল হুইস্কি ও প্রায় ১০০ বোতল রাম উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা মদ ও ট্রলারটি উখিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে নৌবাহিনী।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা জানান, এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। নৌবাহিনীর জব্দ করা তালিকা ও পুলিশের কাছে দেওয়া মামলার এজাহারে এই মদ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন হিসেবে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকার ছৈয়দ নূর (২৮), পাকড়িবাজার এলাকার মোহামঞ্চদ জয়নাল (৩৫), একই এলাকার দিল মোহামঞ্চদ (২৭), কর্ণফুলী বহদ্দারপাড়া এলাকার সালাহ উদ্দিন (৩৫) ও টেকনাফের জাফর আলমের (৫০) নাম রয়েছে।

রামুতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

কক্সবাজারের রামু উপজেলার পূর্বদ্বীপ ফতেখাঁরকুল গ্রামে রুবি আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রুবির মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। রুবি উপজেলার রাজারকুল গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে।

রুবির মামা মো. ইব্রাহীম অভিযোগ করেন, শুক্রবার রাতে রুবিকে তাঁর স্বামী দিলদার মিয়া বেদম মারধর করেন। রুবি গুরুতর আহত হয়ে পড়লে একপর্যায়ে পানি চান। এ সময় পানির পরিবর্তে তাঁকে বিষ খাওয়ানো হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রুবিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত শনিবার রাতে হাসপাতালে রুবির মৃত্যু হলে দিলদার তাঁর লাশ ফেলে পালিয়ে যান। হাসপাতালের বারান্দায় দুই দিন পড়ে থাকার পর খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে তাঁরা রুবির লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন এলাকায় প্রচারণা চালায় রুবি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তবে ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নুরুল হক জানান, এলাকার বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে তিনি জেনেছেন স্বামীর মারধর সহ্য করতে না পেরে ওই গৃহবধূ নিজেই বিষ খেয়েছেন।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে নজিবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে গতকাল বিকেলে তিনি দিলদারের বাড়িতে যান। কিন্তু বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে মামলা নেওয়া হবে।

পেকুয়ায় বেকারত্ব বাড়ছে

কক্সবাজারের উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ায় সরকারি-বেসরকারি কোনো কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র না থাকায় দিন দিন বেড়েই চলেছে বেকারের সংখ্যা। কর্মসংস্থানের সুযোগের অভাবে এখনকার শিক্ষিত বেকার যুবকরা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।

গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে পেকুয়া মডেল উপজেলায় বিসিক শিল্পনগরী গড়ে তোলা ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাস্তবায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে বলে সচেতন মহল অভিমত প্রকাশ করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলাভিত্তিক উৎপাদনশীল ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের প্রসারের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং গ্রামীণ অর্থনীতি সমৃদ্ধ করতে সরকার দেশে ১৯৯৯ সালে উপজেলা বিসিক প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নীতিমালা প্রবর্তন করে। এ প্রকল্পের আওতায় ১০ শতাংশ সুদে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদানের নিয়ম হয় সে সময়। সারাদেশে প্রায় ৩৫ হাজার ৪৩৭ জনকে প্রশিক্ষণ এবং ৫৩ হাজার ১৮২ জন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তাকে ঋণ সুবিধা দেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রকল্প শুরু করার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও মডেল উপজেলায় এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেনি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। এর ফলে একটি স্বাবলম্বী উপজেলা হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পেকুয়া।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, ২০০১ সালে সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমদ বহু চেষ্টা করেও পেকুয়ায় বিসিক শিল্প প্রকল্প ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাস্তবায়ন করতে পারেননি। বর্তমান সরকারের তিন বছর মেয়াদপূর্তি হলেও গ্রামীণ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিসিক শিল্পনগরী গড়ে না ওঠায় পেকুয়ার প্রায় ৪ লাখ মানুষের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, পেকুয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম পাহাড়িয়াখালীর রাখাইন সম্প্রদায় চাড়াই, পাটি, মোড়া, বেতের চেয়ার, কুলা ও নানা কুটিরশিল্প সামগ্রী তৈরি করে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারিভাবে কোনো সহায়তা না পাওয়ায় এখানকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায়ের নারী নেত্রী সা সুং প্রু বলেন, পেকুয়ায় কারিগরি শিল্প প্রতিষ্ঠানের অভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে পিছিয়ে পড়েছে অনেকে। অবিলম্বে এখানে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।
পেকুয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম উজানটিয়ার শিক্ষিত বেকার যুবক মোঃ শাহআলম বেপারী জানান, সরকারি মাধ্যম বা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কারিগরী শিক্ষা লাভ করতে পারলে আমরা আর বেকার থাকতাম না।
এ বিষয়ে পেকুয়া-চকরিয়া সংরক্ষিত আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংসদ সাফিয়া খাতুন বলেন, বর্তমান সরকার গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা ও জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি পেকুয়ায় বিভিন্ন এলাকায় বিসিক শিল্প প্রকল্প ও বেকার যুবকদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে সমস্যা দূর করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন।