Thursday, February 09, 2012

চবিতে দুই শিবির নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে শহর ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের বর্বরোচিত ও নৃশংস হামলায়
দুই শিবির নেতা মাসুদ বিন হাবিব ও মুজাহিদুল ইসলামকে হত্যার প্রতিবাদে ককসবাজার শহর ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল

শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বার্মিজ মার্কেটে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে শহর ছাত্রশিবির সভাপতি আবু নাঈম মুহাম্মদ হারুন বলেন, সরকারের প্রত্যক্ষ ইন্দনে ও পুলিশ বাহিনীর সহযোগীতায় ছাত্রলীগ সারাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে এবং শিক্ষাঙ্গনের সুন্দর পরিবেশকে বিনষ্ট করছে। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে দুই মেধাবী ছাত্রনেতাকে হত্যা করেছে। কিন্তু সরকার ও পুলিশ ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করে উল্টো ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করছে। তিনি অবিলম্বে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রনেতা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে অবিলম্বে খুনি ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও অন্যায় ভাবে গ্রেফতারকৃত ছাত্রশিবির নেতা কর্মীদের মুক্তির জোর দাবী জানান। অন্যথায় ছাত্রশিবির ছাত্র সমাজকে সাথে নিয়ে কঠিন কর্মসূচীর মাধ্যমে সরকার পতনের কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষনা করতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। শহর সেক্রেটারী সরওয়ার কামাল সিকদারের পরিচালনায়  অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জেলা সভাপতি আল আমিন মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারী দিদারুল ইসলাম এবং শহর ও থানা শাখার নেতৃবৃন্দ।

চবিতে দুই শিবির নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে শহর ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের বর্বরোচিত ও নৃশংস হামলায়
দুই শিবির নেতা মাসুদ বিন হাবিব ও মুজাহিদুল ইসলামকে হত্যার প্রতিবাদে ককসবাজার শহর ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল

শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বার্মিজ মার্কেটে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে শহর ছাত্রশিবির সভাপতি আবু নাঈম মুহাম্মদ হারুন বলেন, সরকারের প্রত্যক্ষ ইন্দনে ও পুলিশ বাহিনীর সহযোগীতায় ছাত্রলীগ সারাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে এবং শিক্ষাঙ্গনের সুন্দর পরিবেশকে বিনষ্ট করছে। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে দুই মেধাবী ছাত্রনেতাকে হত্যা করেছে। কিন্তু সরকার ও পুলিশ ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করে উল্টো ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করছে। তিনি অবিলম্বে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রনেতা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে অবিলম্বে খুনি ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও অন্যায় ভাবে গ্রেফতারকৃত ছাত্রশিবির নেতা কর্মীদের মুক্তির জোর দাবী জানান। অন্যথায় ছাত্রশিবির ছাত্র সমাজকে সাথে নিয়ে কঠিন কর্মসূচীর মাধ্যমে সরকার পতনের কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষনা করতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। শহর সেক্রেটারী সরওয়ার কামাল সিকদারের পরিচালনায়  অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জেলা সভাপতি আল আমিন মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারী দিদারুল ইসলাম এবং শহর ও থানা শাখার নেতৃবৃন্দ।

যুবলীগ নেতা দিদার হত্যাঃ পরিবার ও গ্রামবাসী আতঙ্কে

সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবলীগ নেতা দিদার খুন হওয়ার পর কক্সবাজারের মহেশখালীর ডেবাংগাকাটা গ্রামবাসী ও পরিবারে আতঙ্ক বিরাজ করছে। হত্যাকাণ্ডের ৩০ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো ঘাতককে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
উল্টো এ হত্যায় জড়িত সালাহ উদ্দিন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা এলাকায় তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছেন। তাদের হুমকি ধামকিতে নিহত দিদারের স্ত্রী সন্তান ও প্রতিবেশীরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন।

এদিকে এ হত্যা মামলা নথিভুক্ত না করায় হাইকোর্ট ডিভিশনের একটি দ্বৈত বেঞ্চ ৬ ফেব্রুয়ারি মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রঞ্জিত কুমার বড়ুয়াকে শোকজ করেছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে শোকজের জবাব দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন, সন্ত্রাসীরা এলাকার লবণের মাঠ, পানের বরজ, স্থানীয় বাজার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে চলেছে। রাতের বেলায় তারা এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে দিদার হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছে মুখ না খোলার জন্য হুমকি দিচ্ছে। এ নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করবে তাদের পরিণতিও দিদারের মতোই হবে বলেও তারা জানাচ্ছে।

জানা গেছে, দিদার হত্যার বিচার চেয়ে প্রশাসনের কাছে ধর্না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা ৩১ জানুয়ারি স্থানীয় ইউপি মেম্বার আলমগীরের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

উল্লেখ্য, ৮ জানুয়ারি ফজরের নামাজের পর উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফোরকান আহমদের বড় ছেলে যুবলীগ নেতা দিদারকে ডেবাংগাকাটা গ্রামে তার বাড়ির কাছেই সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। এর পরপরই র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। খবর পেয়ে মহেশখালী থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এসময়  দিদারের লাশ ও কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।

দিদারের পরিবারের দাবি র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো ফেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

সম্প্রতি একদল সাংবাদিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে গ্রামের নারী-পুরুষ অনেকেই সেদিনের লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসীরা জানান, এ পৈশাচিক হত্যার পর প্রশাসনের কেউ খবর নিতে আসেনি। সাংবাদিকরাই প্রথম এসেছে। তাদের কাছে এ বিষয়ে মুখ খুললে বিপদে পড়ার আশঙ্কা করেন গ্রামবাসী।

দিদারের ছোট বোন রিজিয়া তার ভাইয়ের হত্যার বিচার দাবি করে পরিবারের অপরাপর সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য আবেদন জানান।

বড় মহেশখালী ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য জয়নাব বেগম তার এলাকায় সন্ত্রাসী সালাহ উদ্দিন বাহিনীর নানা অপকর্ম ও অপরাধের কথা স্বীকার করে জানান বর্তমানে এলাকাবাসী তাদের জানমাল নিয়ে উদ্বিগ্ন।

মহেশখালী থানার এসআই জহির বলেন, “ইউপি সদস্য আলমগীরের বসতবাড়ি ও সালাহ উদ্দিনের গোয়াল ঘরে ৩১ জানুয়ারি রাতে কে কারা অগ্নিসংযোগ করে। আমি মামলা দুটি তদন্ত করছি। তবে ঘটনার ব্যাপারে একে অপরকে দায়ী করছে।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ইউপি সদস্য আগে মামলা করেন পরে সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে  পাল্টা মামলা দায়ের করা হয়।

ইউপি সদস্য আলমগীর জানান, তার ভাই দিদারকে হত্যার পর সন্ত্রাসীরা ওইদিন রাতে তার বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়।

এস আই জহির জানান, সালাহ উদ্দিন একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি  ৮ জানুয়ারি থেকে পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইকবাল জয়নাল দিদার হত্যা নিয়ে র‌্যাব একটি এজাহার দায়ের করেছে।

বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিত বড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দিদার হত্যার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এদিকে দিদার হত্যার মামলা নথিভুক্ত না করায় মহেশখালী থানার ওসি রঞ্জিত বড়ুয়াকে শোকজ করেছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ওসিকে স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

নিহত দিদারের পিতা ফোরকান আহমদের দায়ের করা একটি রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বেঞ্চ এ শোকজ করেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

যুবলীগ নেতা দিদার হত্যাঃ পরিবার ও গ্রামবাসী আতঙ্কে

সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবলীগ নেতা দিদার খুন হওয়ার পর কক্সবাজারের মহেশখালীর ডেবাংগাকাটা গ্রামবাসী ও পরিবারে আতঙ্ক বিরাজ করছে। হত্যাকাণ্ডের ৩০ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো ঘাতককে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।

উল্টো এ হত্যায় জড়িত সালাহ উদ্দিন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা এলাকায় তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছেন। তাদের হুমকি ধামকিতে নিহত দিদারের স্ত্রী সন্তান ও প্রতিবেশীরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন।

এদিকে এ হত্যা মামলা নথিভুক্ত না করায় হাইকোর্ট ডিভিশনের একটি দ্বৈত বেঞ্চ ৬ ফেব্রুয়ারি মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রঞ্জিত কুমার বড়ুয়াকে শোকজ করেছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে শোকজের জবাব দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন, সন্ত্রাসীরা এলাকার লবণের মাঠ, পানের বরজ, স্থানীয় বাজার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে চলেছে। রাতের বেলায় তারা এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে দিদার হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছে মুখ না খোলার জন্য হুমকি দিচ্ছে। এ নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করবে তাদের পরিণতিও দিদারের মতোই হবে বলেও তারা জানাচ্ছে।

জানা গেছে, দিদার হত্যার বিচার চেয়ে প্রশাসনের কাছে ধর্না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা ৩১ জানুয়ারি স্থানীয় ইউপি মেম্বার আলমগীরের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

উল্লেখ্য, ৮ জানুয়ারি ফজরের নামাজের পর উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফোরকান আহমদের বড় ছেলে যুবলীগ নেতা দিদারকে ডেবাংগাকাটা গ্রামে তার বাড়ির কাছেই সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। এর পরপরই র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। খবর পেয়ে মহেশখালী থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এসময়  দিদারের লাশ ও কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।

দিদারের পরিবারের দাবি র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো ফেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

সম্প্রতি একদল সাংবাদিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে গ্রামের নারী-পুরুষ অনেকেই সেদিনের লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসীরা জানান, এ পৈশাচিক হত্যার পর প্রশাসনের কেউ খবর নিতে আসেনি। সাংবাদিকরাই প্রথম এসেছে। তাদের কাছে এ বিষয়ে মুখ খুললে বিপদে পড়ার আশঙ্কা করেন গ্রামবাসী।

দিদারের ছোট বোন রিজিয়া তার ভাইয়ের হত্যার বিচার দাবি করে পরিবারের অপরাপর সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য আবেদন জানান।

বড় মহেশখালী ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য জয়নাব বেগম তার এলাকায় সন্ত্রাসী সালাহ উদ্দিন বাহিনীর নানা অপকর্ম ও অপরাধের কথা স্বীকার করে জানান বর্তমানে এলাকাবাসী তাদের জানমাল নিয়ে উদ্বিগ্ন।

মহেশখালী থানার এসআই জহির বলেন, “ইউপি সদস্য আলমগীরের বসতবাড়ি ও সালাহ উদ্দিনের গোয়াল ঘরে ৩১ জানুয়ারি রাতে কে কারা অগ্নিসংযোগ করে। আমি মামলা দুটি তদন্ত করছি। তবে ঘটনার ব্যাপারে একে অপরকে দায়ী করছে।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ইউপি সদস্য আগে মামলা করেন পরে সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে  পাল্টা মামলা দায়ের করা হয়।

ইউপি সদস্য আলমগীর জানান, তার ভাই দিদারকে হত্যার পর সন্ত্রাসীরা ওইদিন রাতে তার বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়।

এস আই জহির জানান, সালাহ উদ্দিন একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি  ৮ জানুয়ারি থেকে পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইকবাল জয়নাল দিদার হত্যা নিয়ে র‌্যাব একটি এজাহার দায়ের করেছে।

বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিত বড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দিদার হত্যার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এদিকে দিদার হত্যার মামলা নথিভুক্ত না করায় মহেশখালী থানার ওসি রঞ্জিত বড়ুয়াকে শোকজ করেছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ওসিকে স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

নিহত দিদারের পিতা ফোরকান আহমদের দায়ের করা একটি রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বেঞ্চ এ শোকজ করেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

কক্সবাজারে দুটি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার

কক্সবাজারে ঈদগাঁও বাজার এলাকা থেকে দুইটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোররাতে বাজার সংলগ্ন বায়তুশ শরফ হাফেজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠ থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।

এ অস্ত্রগুলো ঈদগাঁও বাজারের দুই হুণ্ডি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ছিনতাইকালে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ওই ঘটনায় আটককৃত আমামিরা স্বীকার করেন।

পুলিশ জানায়, আটককৃত ছিনতাইকারী আল আমিন, শহিদ উল্লাহ ও শামশুল আলম পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই স্থানে অস্ত্রগুলো রেখে যায়। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

কক্সবাজারে দুটি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার

কক্সবাজারে ঈদগাঁও বাজার এলাকা থেকে দুইটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোররাতে বাজার সংলগ্ন বায়তুশ শরফ হাফেজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠ থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।

এ অস্ত্রগুলো ঈদগাঁও বাজারের দুই হুণ্ডি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ছিনতাইকালে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ওই ঘটনায় আটককৃত আমামিরা স্বীকার করেন।

পুলিশ জানায়, আটককৃত ছিনতাইকারী আল আমিন, শহিদ উল্লাহ ও শামশুল আলম পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই স্থানে অস্ত্রগুলো রেখে যায়। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

কক্সবাজারে ২ কেজি হেরোইনসহ যুবক আটক

কক্সবাজারের বাংলাবাজার এলাকায় একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে দুই কেজি হেরোইসনসহ যুবককে আটক করেছে বিজিবি।

বিজিবি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর এস এ রাকিবের নেতৃত্বে ৪২ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা কক্সবাজার-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বাংলাবাজার এলাকায় অবস্থান নেয়। সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে কক্সবাজারমুখী সৌদিয়া পরিবহণের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে একটি ব্যাগ উদ্ধার করে। এসময় ওই ব্যাগে ছোট ছোট প্যাকেট ভর্তি অবস্থায় এক কেজি ৯০০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়। এগুলো বহনের অভিযোগে ওই বাসের সুপারভাইজার সেলিমকে আটক করা হয়। তার বাড়ি চট্রগ্রামের পটিয়া উপজেলায়।

বিজিবি জানায়, ঢাকা থেকে এই চালানটি বহন করে তিনি টেকনাফের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। চালানটি মিয়ানমারে পাচার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

টেকনাফে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারসহ আটক ৭

বঙ্গোপসাগর থেকে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারসহ সাত যাত্রীকে আটক করেছে বিজিবি। এদের মধ্যে চারজন মায়ানমারের নাগরিক। মঙ্গলবার রাত সাড়ে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপের মোহনা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের মায়ানমারের নাগরিকরা হলেন- কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের সলিম উল্লাহ (৩২), আবুল ইসলাম (২১), আবুল হোসেন, মিয়ানমারের মংড়ু আকিয়াব এলাকার মোহাম্মদ হাসেম (১৮)।

বাকিরা হলেন- শাহপরীর দ্বীপ বাজারপাড়া এলাকার মোহাম্মদ ওসমান গণি (৩০), টেকনাফ পৌরসভার অলিয়াবাদ এলাকার আবদুল হক (২৩) এবং করাচিপাড়া গ্রামের ইলিয়াছ (২৮)।

টেকনাফস্থ ৪২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহেদ হাসান জানান, প্রায় ২০০ লোক ট্রলারযোগে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার যাত্রা করে। কিছুদূর যাওয়ার পর শাহপরীর দ্বীপের ১০-১২ জন অন্য একটি ট্রলার নিয়ে ওই ট্রলারকে ধাওয়া করে।

এক পর্যায়ে ট্রলারটি কূলে নিয়ে এলে যাত্রীরা লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘোলাপাড়া সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাঁচজনকে আটক করে বিজিবি। পরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারটিও জব্দ করা হয়।

অপরদিকে একই সময়ে টেকনাফ থানা পুলিশ  ঘোলারপাড়া এলাকা দিয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে মিয়ানমারের মংডু আকিয়াব মোহাম্মদ ইদ্রিস এবং টেকনাফ সাবরাং করাচি পাড়ার ইলিয়াছকে আটক করে।