কক্সবাজারের পেকুয়ায় জামায়াত-শিবিরের
সাথে পুলিশের কয়েক দফা সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পরিণত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার
বিকালে পুলিশের গুলিতে ১ শিবির কর্মী নিহতসহ জামায়াতের অর্ধ-শতাধিক
নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ গতকাল
সন্ধ্যায় পেকুয়া বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪জনকে আটক করেছে। তবে আটক
৪ জনের পরিচয় গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। যুদ্ধাপরাধের দায়ে
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলোয়ার হোছাইন সাঈদীর
ফাঁসির রায় ঘোষানার পর পরই পেকুয়ার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বেলা ২টার দিকে
কয়েক হাজার জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা লাটি-সোটা নিয়ে উপজেলা সদরে এসে
প্রকাশ্যে তান্ডব শুরু করে। এসময় জামায়ত-শিবিরের কর্মীদের একটি লাঠি
মিছিল পেকুয়া বাজারে গিয়ে নির্বিচারে দোকান-পাট ভাংচুর শুরু করে। এসময়
বাজারের শত শত ব্যবসায়ীরা ভয়ে দোকান-পাঠ বন্ধ করে চলে যায়। পরে পুলিশ
বাধা দিলে শুরু হয় দু‘পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। এতে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা
পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ জামায়াত-শিবিরের
কর্মীদের ছত্র-ভঙ্গ করতে অন্তত ১৫-২০ রাউন্ড গুলি ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এক
পর্যায়ে পুলিশ ও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই জামায়াত-শিবিরের ১
কর্মী নিহত হয়েছে। নিহত শিবির কর্মী হলেন, মো: সাজ্জাদ হোসেন (১৭), সে
পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামা গ্রামের মো: জালাল উদ্দিনের পুত্র
বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধ জামায়াত কর্মীরা হলেন, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের
জালিয়াখালী গ্রামের মো: শাহ আলমের পুত্র আবদুল জলিল (২৮), ছড়া পাড়া
গ্রামের মোস্তাক আহমদের পুত্র মো: ফারুক (২০), বাইম্যা খালী গ্রামের বদিউল
আলমের পুত্র মুজিব (২৪), এজাজুল হকের পুত্র মোবারক হোছাইন (১৮), কালা
মিয়ার পুত্র ওসমান (২০),ধনিয়া কাটা গ্রামের গ্রামের মহি উদ্দিনের পুত্র
তানভীর (১৫)। এদিকে গুলিবিদ্ধ জামায়াতের কর্মী মুজিব ও তানভীর অবস্থা
আশংকাজনক। তাদের চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে আহত অপরাপর
জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এদিকে পুলিশের গুলিতে
নিহত শিবির কর্মী সাজ্জাদের লাশ নিয়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা
পেকুয়া বাজারে মিছিল করেছে।
পেকুয়া থানার ওসি মো: আনোয়ার হোসেন জানান, পেকুয়া বাজারে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা লাটিসোটা নিয়ে পুলিশের উপর হামলাসহ দোকানপাঠ ভাংচুর শুরু করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পেকুয়া বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাষ্টার আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশ পেকুয়া বাজারে জামায়াত-শিবিরের মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে।
পেকুয়া থানার ওসি মো: আনোয়ার হোসেন জানান, পেকুয়া বাজারে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা লাটিসোটা নিয়ে পুলিশের উপর হামলাসহ দোকানপাঠ ভাংচুর শুরু করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পেকুয়া বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাষ্টার আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশ পেকুয়া বাজারে জামায়াত-শিবিরের মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে।

No comments:
Post a Comment