Friday, March 01, 2013

সহিংসতাকে ‘দাঙ্গার’ সঙ্গে তুলনা করেছে মার্কিন মিডিয়া

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়ার পর বৃহস্পতিবার সারা দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে দলটি।
এ দিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াত ও শিবির কর্মীদের সংঘর্ষে ৪৭ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছে। যাকে রায়ট বা দাঙ্গার সঙ্গে তুলনা করেছে নিউইয়র্ক টাইমস, সিএনএন ও ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।
এর মধ্যে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশে সৃষ্ট ভয়াবহ দাঙ্গায় সরকার নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে খবর প্রকাশ করেছে। নিউইয়র্ক ভিত্তিক এই আন্তর্জাতিক পত্রিকাটি সাঈদীকে দেশের একজন অন্যতম সুপরিচিত ধর্মপ্রচারক হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

পত্রিকাটি তাদের প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ৩০ বলে জানায়। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের যুদ্ধ নিয়ে যে গভীর বিভক্তি রয়েছে বৃহস্পতিবারের সেটাই প্রকাশ করে। বহু মধ্যবিত্ত শহুরে নাগরিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে সমর্থন করলেও ইসলামিক দলগুলো গ্রামের মানুষের সমর্থন পাচ্ছে।

এ বিষয়ে পত্রিকাটি জেনেভা ভিত্তিক আন্তর্জাতিক আইনবিদ কমিশনের প্রধান স্যাম জারিফি বক্তব্য তুলে ধরে। বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে গৃহযুদ্ধ উল্লেখ করে এবং সংগঠিত যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্যাম বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালে যে ১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা সবাই বিরোধী দলীয় রাজনীতিক। এর ফলে ১৯৭১ সালে গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল বর্তমান পরিস্থিতি সেই বিভক্তিকে আরও গাঢ় করবে।

নিউইয়র্কের আরেকটি সুপরিচিত পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ৩৫ বলে জানালেও সিএনএন তাদের প্রতিবেদনে ৩৭ বলে উল্লেখ করেছে। অন্যদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এই সংখ্যা ৩০ বলে জানিয়েছে।

এ বিষয়ে নিউইয়র্ক টাইমস তাদের প্রতিবেদনে সাঈদীকে ইসলামিক নেতা উল্লেখ করে তার ফাঁসির বিষয়টি তুলে ধরে। একই সঙ্গে তার ফাঁসির রায়ের পর শাহবাগে এর স্বপক্ষে জনতার উল্লাসের বিষয়টিও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

সিএনএন তাদের প্রতিবেদনে জামায়াতে ইসলামীকে দেশের সবচেয়ে বড় ইসলামি দল উল্লেখ করে এর নেতা সাঈদীর ফাঁসির রায় পরবর্তী সহিংসতার খবর প্রকাশ করে।

এছাড়া আল জাজিরা, বিবিসি, এবিসি নিউজ, রয়টার্সসহ বিশ্বের খ্যাতনামা গণমাধ্যমগুলো গুরুত্ব সহকারে এই খবর প্রকাশ করেছে। তবে পত্রিকাগুলোতে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।

No comments:

Post a Comment