Tuesday, June 12, 2012

অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির পুশব্যাক

মায়ানমারের মংডু রাজ্যে মগ ও মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষের পর টেকনাফ সীমান্তবর্তী নাফ নদী দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী রোহিঙ্গা নাগরিকদের পুশব্যাক শুরু করেছে বিজিবি।

পুলিশসহ বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, সোমবার দিনভর নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে ৫০৪ জন মায়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাকে সে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক বাংলানিউজকে জানান, সোমবার সকাল থেকে মায়ানমারের বেশকিছু নাগরিক নাফ নদী দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলো। এ সময় বিজিবি তাদের আটক করে আবারও ফেরত পাঠিয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী সতর্ক অবস্থায় আছে।

এদিকে সোমবার রাতে আরও একটি নৌকায় করে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী বেশ কয়েজনকে বিজিবি আটক করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরে শত শত মুসলিম  বর্মী নাগরিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আছে।

সোমবার সকালে সাতটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে ১৫৪ জন নারী,পুরুষ ও শিশু টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। এ সময় বিজিবি ও কোস্টগার্ড এদের বাধা দিয়ে মিয়ানমারের দিকে ফেরত দেয়।

দুপুরে এ ট্রলারগুলো সেন্টমার্টিন ভিড়তে চাইলে কোস্টগার্ড কৌশলে  উল্টা দিকে ফিরিয়ে দেয়। পরে এরা নাফনদী দিয়ে টেকনাফের দিকে ভিড়তে গেলে বিকেল ৪টার দিকে শাহপরীরদ্বীপ জেটি হতে বিজিবিও কোস্টগার্ডের সমম্বয়ে টিম প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এদের মিয়ানমারে পুশব্যাক করা হয়।

একই প্রক্রিয়ায় দিনের বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকটি বোটে আসা কমপক্ষে ৫০৪ জন অনুপ্রবেশকারীকে পুশব্যাক করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

টেকনাফ থানার ওসি বাংলানিউজকে জানান, গত ৩ জুন সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে টেকনাফের দুটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং রাখাইন পল্লীগুলোতে টহল জোরদার করা হয়েছে। রাতের পুরোটা সময় সেখানে পুলিশ পাহাড়া বসানো হয়েছে।

এদিকে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে সোমবার দু’দেশের ট্রানজিট ও ইমিগ্রেশন চতুর্থ দিনের মতো বন্ধ ছিল। টেকনাফ স্থল বন্দরে মিয়ানমার থেকে শুক্রবারের পর কোনো পণ্যবাহী জাহাজ আসেনি। স্থল বন্দরে কয়েকদিন ধরে বন্ধ থাকার পর সোমবার কাঠ লোডিংয়ের কাজ হয়েছে।

সূত্র জানায়, স্থল বন্দরে মিয়ানমারের কাঠবোঝাই ৫টি ও বাণিজ্যের পণ্য বোঝাই ২টিসহ ৭টি ট্রলার খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। এসব ট্রলারের মাঝি-মাল্লা ও শ্রমিকরা রাখাইন হওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে এসব ট্রলারের পণ্য খালাসের কাজ করা হয়নি।

মঙ্গলবার এসব ট্রলার থেকে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতিতে পণ্য খালাসের কাজ চলবে বলে  জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

No comments:

Post a Comment