উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী সদস্যদের অপসারণের বিধান রেখে আজ সোমবার জাতীয় সংসদে উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল-২০১০ উত্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিলটি উত্থাপন করেন। প্রস্তাবিত বিলে বলা হয়েছে, যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকলে, রাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হলে, ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে, হলফনামায় অসত্য তথ্য দিলে, শারীরিক ও মানসিকভাবে অক্ষম হলে, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য ছিলেন প্রমাণিত হলে এবং বার্ষিক ১২টি সভার মধ্যে নয়টি সভায় গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া যোগদানে ব্যর্থ হলে সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী সদস্যদের তাঁদের পদ থেকে অপসারণ করতে পারবে।
তবে অপসারণের আগে উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। আর অপসারণ আদেশের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে অপসারিত ব্যক্তি সরকারের কাছে আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারবেন।প্রস্তাবিত আইনে আরও বলা হয়েছে, কোনো জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অপসারণের কাজ শুরু হলে এবং আদালত তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আমলে নিলে, সরকার সেই ব্যক্তিকে সাময়িকভাবে অপসারণ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে প্যানেল চেয়ারম্যানের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব সম্পর্কে প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, নির্বাহী কর্মকর্তা পরিষদের মুখ্য কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন এবং পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন।
বিলটির ব্যাপারে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাংসদ রাশেদ খান মেনন বলেন, উপজেলা আইন নিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তিনি বিলটি পুনর্বিবেচনার জন্য আবারও মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে উপস্থাপনের প্রস্তাব করেন।
তবে তাঁর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, বিলটি কমিটিতে পাঠানো হলে সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ থাকবে।
এ ছাড়াও আজ সংশ্লিষ্ট কমিটি থেকে বর্ডার গার্ড বিল-২০১০, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিল-২০১০, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল বিল-২০১০, ভোটার তালিকা (সংশোধন) বিল-২০১০-এর প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করা হয়।
No comments:
Post a Comment