Saturday, May 26, 2012

উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সঃ ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের কাজ চলছে ঢিমেতালে

উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের কাজ চলছে ঢিমেতালে। ২০১০ সালের মে মাসে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে উখিয়া উপজেলা

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে পরবর্তী ১৮ মাসের মধ্যে শেষ করে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ওই হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম কখন থেকে শুরু হবে তা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল প্রকৌশলীও বলতে পারেননি।
দ্বিতীয় দফা সময় বর্ধিত করার পরও হাসপাতাল ও অন্যান্য ভবন নির্মাণ, বিদ্যুতায়ন এবং অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জার কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আধুনিকায়ন ও জনগণের স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ২০১০ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদফতরের মাধ্যমে আধুনিক হাসপাতাল ভবন, চিকিৎসক ও কর্মচারীদের আবাসিক ভবন, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও পুরনো হাসপাতাল ভবনের আনুষঙ্গিক মেরামত প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদফতর চট্টগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতর থেকে দরপত্র আহ্বান পূর্বক ২০১০ সালের মে মাসে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উন্নীতকরণের কাজ শুরু করে। চট্টগ্রামের জুবলি রোডের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফ্রেন্ডস ইন্টারন্যাশনাল ওই নির্মাণ কাজ ১৮ মাস সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি।
নির্মাণ কাজ তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত স্বাস্থ্য প্রকৌশলীর অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মোর্শেদ বলেন, অবশ্যই নির্মাণ কাজ প্রথমদিকে কিছুটা নিম্নমানের হলেও পরে কাজের মান রক্ষা করে কাজ চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, ঠিকাদারের নির্ধারিত সময়ের পরও দ্বিতীয় দফা সময় বর্ধিত করা হয়েছে এরপরও কাজ সম্পন্ন করা যায়নি। এখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষাই। তবে তিনি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পাদন হবে বলে আশা করেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফ্রেন্ডস ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের নিয়োজিত লোকজন এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হয়নি। উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এসএ আবু সাঈদ বলেন, সব মিলিয়ে এখনও প্রায় ২০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে। হাসপাতাল ভবন, ডক্টর্স ভবন, নার্স ভবন ও স্টাফ ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ফিটিংস ফিক্সিংসের কাজ অনেক বাকি রয়েছে। নতুন ভবনে বিদ্যুতায়নের কাজও বাকি রয়েছে।

No comments:

Post a Comment