Wednesday, June 20, 2012

কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়নে ব্যয় হবে ৪১৬ কোটি টাকা

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে বিমানবন্দর উন্নয়নে ৪১৬ কোটি টাকা ব্যয় করতে যাচ্ছে সরকার। আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ নিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে তুরস্কের কুয়ানতা ইনসাত তাহাত নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এ-সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য আজ বুধবার সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উঠছে।
সূত্র জানায়, কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের (প্রথম পর্যায়) ঠিকাদার নিয়োগের জন্য ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ২০ মে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের জন্য একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছিল। প্রস্তাবে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে তুরস্কের কুয়ানতা ইনসাত তাহাতের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। বৈঠকে প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী নির্মাতা সংস্থাটির সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। ২৮ মে আবার ক্রয় কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হলে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির রানওয়ে পেভমেন্ট নির্মাণে নিরাপত্তা এবং গুণগত মান নিশ্চিত করা, মূল্য পরিশোধের সময় মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার কীভাবে নির্ধারণ করা হবে এবং দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের রানওয়ে পেভমেন্ট কাজের অভিজ্ঞতা, একসঙ্গে একাধিক কাজ করার যোগ্যতা ও সামর্থ্যের বিষয়টি আমলে নিয়ে দরপ্রস্তাবটি পুনর্মূল্যায়ন করার সুপারিশ করে।
সূত্র জানায়, তুরস্কের ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের রানওয়ে পেভমেন্ট নির্মাণকাজের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে কি-না তা যাচাইয়ের জন্য তুরস্কে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৫ জুন তাদের মতামত পাঠায়। এতে প্রতিষ্ঠানটির এক কোটি ৮০ লাখ ডলারের বেশি পেভমেন্ট কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে জানানো হয়। প্রতিষ্ঠানটি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে রানওয়ে পেভমেন্ট নির্মাণ করেছে বলেও জানানো হয়। প্রতিষ্ঠানটি আঙ্কারা চেম্বার অব কমার্সের নিবন্ধিত একটি প্রতিষ্ঠান। সূত্র জানায়, এ কাজের জন্য দেশীয় কোম্পানি আবদুল মোনেম লিমিটেড(এএমএল) ও ট্রান্স রিসোর্সেস করপোরেশন (টিআরসিএসবি) নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে দরপত্রে অংশ নিয়েছিল। তাদের দরপ্রস্তাব ছিল ৪৪৭ কোটি টাকা। ফলে তারা দ্বিতীয় দরদাতা হিসেবে পরিগণিত হয়। নিয়ম অনুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। ক্রয় কমিটির বৈঠকে তুরস্কের প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।

No comments:

Post a Comment