Wednesday, December 22, 2010

পাঁচ জিম্মিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে আফগান কর্তৃপক্ষ

মাজার-ই-শরিফে অপহূত পাঁচ বাংলাদেশিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে আফগান কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া দুষ্কৃতকারীদের হাতে নিহত বাংলাদেশির দেহ আগামী সপ্তাহের মধ্যে ফেরত পাঠানোরও চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে মুঠোফোনে জানান, গত রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ জানানোর পর জিম্মিদের উদ্ধার ও নিহত ব্যক্তির দেহ ফেরত পাঠাতে কাজ শুরু করেছে সে দেশের সরকার। ইতিমধ্যেই সেখানকার কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য এলাকায় অভিযানও চালিয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশের অনুরোধের পর পাঁচ জিম্মিকে উদ্ধারে উত্তর আফগানিস্তানে অভিযান চালায় সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু ঘটনাস্থলে তাদের পৌঁছানোর আগেই ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায় দুষ্কৃতকারীরা। এর পরও আশপাশের এলাকায় জিম্মিদের উদ্ধারে আফগান কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
নিহত প্রকৌশলীর দেহ দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি কয়েক দিনের মধ্যে শেষ হবে। আশা করি, প্রকৌশলীর লাশ আগামী সপ্তাহের মধ্যে দেশে পাঠানো যাবে।’
প্রসঙ্গত ১৭ ডিসেম্বর রাত আটটায় মাজার-ই-শরিফে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার অবকাঠামো নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সেমহোয়ান করপোরেশনের অস্থায়ী শিবিরে হামলা চালায় কয়েকজন আফগান দুষ্কৃতকারী। সে সময় আন্দখই সড়ক প্রকল্পে কর্মরত ১৭ জন বাংলাদেশি শ্রমিক শিবিরটিতে অবস্থান করছিলেন। হামলার সময় দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে প্রাণ হারান এসফল্ট প্ল্যান্টে কর্মরত ডিপ্লোমা প্রকৌশলী কাজী আলতাফ হোসেন। তিনি পাবনা জেলার অধিবাসী। ওই সময় পালিয়ে যান নয় বাংলাদেশি। পরে অন্য সাতজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুষ্কৃতকারীরা। এদের মধ্যে ১৯ ডিসেম্বর দুই জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, হামলার ঘটনার বিষয়ে খবর পাওয়ার পর সেমহোয়ানের আফগানিস্তান শাখায় কর্মরত বাংলাদেশিদের মাধ্যমে জিম্মিদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের শাখা ও নিহত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকেও খবর সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এদিকে জিম্মিদের উদ্ধার ও নিহত ব্যক্তির দেহ ফিরিয়ে আনতে সরকার উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

No comments:

Post a Comment