র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) জড়িয়ে ভিন্নধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসে যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে, সে সম্পর্কে সরাসরি মন্তব্য করতে অপারগতা জানিয়েছে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস ও ব্রিটিশ হাইকমিশন। গতকাল বুধবার এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দুই দেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফাঁস হওয়া সরকারি কোনো তথ্য সম্পর্কে মন্তব্য করাটা তাদের নীতি নয়।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র প্রথম আলোকে ই-মেইলে বলেন, সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যমে বাংলাদেশের কয়েকটি ঘটনা সম্পর্কে প্রকাশিত সংবাদকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের গোপন বার্তা হিসেবে দাবি করা হচ্ছে। বস্তুত গোপনীয় ওই বার্তাগুলো ছিল ব্যক্তিগত কূটনৈতিক আলোচনা। খুব স্বাভাবিক নিয়মে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো ওই বার্তাগুলো যেমন খোলামেলা হয়ে থাকে, তেমনি বার্তায় দেওয়া তথ্যগুলোও থাকে অসম্পূর্ণ। ওই সব বার্তা যেমন মার্কিন নীতির বহিঃপ্রকাশ নয়, তেমনি চূড়ান্ত নীতি প্রণয়নে কোনো ভূমিকা রাখে না। তার পরও কেব্লগুলোতে যে আলোচনা হয়েছে, তা ছিল ব্যক্তিগত পর্যায়ের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দেশে ও বিদেশে দায়িত্বশীল, জবাবদিহিমূলক ও মুক্ত শাসনব্যবস্থাকে সমর্থন করেন; কিন্তু যা চলছে সেটি ওবামার সেই লক্ষ্যের পরিপন্থী, বেপরোয়া ও বিপজ্জনক।
উইকিলিকসে যে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে, সে সম্পর্কে ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।
তবে র্যাবের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্পর্কে ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘ন্যায়সংগতভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামর্থ্য বাড়ানোর অংশ হিসেবে আমরা সহায়তা করে থাকি। র্যাব আইনের বিধিনিষেধ মেনেই দায়িত্ব পালন করবে, তা বিবেচনায় রেখেই সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মৌলিক মানবাধিকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ, জবানবন্দি গ্রহণের দক্ষতা, তদন্ত প্রক্রিয়া পরিচালনায় দক্ষতা, অপরাধবিষয়ক মৌলিক জ্ঞানসহ আইনি ও মানবাধিকার বিষয়ে র্যাবের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ওই সহযোগিতার অংশ।’
মুখপাত্র আরও বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকেই আমরা র্যাবকে মানবাধিকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। মানবাধিকার সমুন্নত রাখাসহ ব্রিটিশ আইন ও মূল্যবোধ অনুসরণ করেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমরা নানা ধরনের সহায়তা দিয়ে থাকি।’
উইকিলিকসে যে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে, সে সম্পর্কে ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।
তবে র্যাবের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্পর্কে ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘ন্যায়সংগতভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামর্থ্য বাড়ানোর অংশ হিসেবে আমরা সহায়তা করে থাকি। র্যাব আইনের বিধিনিষেধ মেনেই দায়িত্ব পালন করবে, তা বিবেচনায় রেখেই সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মৌলিক মানবাধিকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ, জবানবন্দি গ্রহণের দক্ষতা, তদন্ত প্রক্রিয়া পরিচালনায় দক্ষতা, অপরাধবিষয়ক মৌলিক জ্ঞানসহ আইনি ও মানবাধিকার বিষয়ে র্যাবের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ওই সহযোগিতার অংশ।’
মুখপাত্র আরও বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকেই আমরা র্যাবকে মানবাধিকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। মানবাধিকার সমুন্নত রাখাসহ ব্রিটিশ আইন ও মূল্যবোধ অনুসরণ করেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমরা নানা ধরনের সহায়তা দিয়ে থাকি।’
No comments:
Post a Comment