Thursday, December 23, 2010

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীর হাতে সার্জেন্ট লাঞ্ছিত

ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে মোটরসাইকেল চালানোয় বাধা দেওয়ায় পুলিশ সার্জেন্ট মশিউর রহমানকে লাঞ্ছিত করেছেন ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরের জাকির হোসেন রোডের এমইএস কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে তিন সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে খুলশি থানায় মামলা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, মোহাম্মদ ফিরোজ ওরফে ময়লা ফিরোজ একজন সহযোগীকে নিয়ে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। সার্জেন্ট মশিউর রহমান তাঁকে গাড়ি থামানোর সংকেত দেন। ফিরোজ গাড়ি থামিয়ে বলেন, ‘দেখছেন না, এটা গোপালগঞ্জের রেজিস্ট্রেশন করা গাড়ি? আপনি কেন গাড়ি থামাতে বললেন...।’ এ সময় সার্জেন্ট মশিউর গাড়ির কাগজপত্র চাইলে ফিরোজ উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং মুঠোফোনে তাঁর সহযোগীদের ঘটনাস্থলে চলে আসতে বলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ফিরোজ সার্জেন্ট মশিউরকে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তাঁদের ওপর ফিরোজ ও তাঁর সহযোগীরা হামলা চালান। এতে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি আহত হন। তবে তাঁর পরিচয় জানা যায়নি।
খুলশি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পাশের ভূঁইয়া গলির দিকে পালিয়ে যায়। পরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ভূঁইয়া গলি থেকে ‘গোপালগঞ্জ হ-১১-০৪৬৮’ নম্বরের মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়। পুলিশ সূত্র জানায়, ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে ফিরোজ মোটরসাইকেলটি ব্যবহার করে আসছিলেন।
সার্জেন্ট মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইন ভঙ্গ করে ময়লা ফিরোজ মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। আমি সংকেত দিলে তিনি গাড়ি থামিয়ে আমার সঙ্গে তীব্র বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হন। একপর্যায়ে আমাকে ধাক্কা দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেন। মুহূর্তের মধ্যে সাত-আটজন সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলে এসে গাড়িটি নিয়ে ভূঁইয়া গলির দিকে চলে যান। এ ঘটনায় ফিরোজসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।’
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, ময়লা ফিরোজ ছাত্রলীগ নামধারী দুর্ধর্ষ এক সন্ত্রাসীর দেহরক্ষী হিসেবে পরিচিত। ছাত্রলীগের ওই ক্যাডার নগরের নাসিরাবাদ ও খুলশিসহ আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তির জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগ আছে।
এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ফিরোজ নামের ছাত্রলীগের কোনো কর্মী বা সমর্থক নেই। ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে ও গোপালগঞ্জের পরিচয় দিয়ে কেউ সন্ত্রাস করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

No comments:

Post a Comment