Thursday, December 23, 2010

দেশে দারিদ্র্য নিয়ে খুব ব্যবসা চলছে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী

মাজকল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ বলছেন, দেশে ভাত না খেয়ে থাকে—এমন কোন লোক নেই। তারপরও দারিদ্র্য নিয়ে ব্যবসা চলছে। দেশে দরিদ্র লোকের সংখ্যা সত্যিই বাড়ছে, না কমছে—সে প্রশ্ন আজ দেখা দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘প্রান্তিক মানুষের খাদ্য ও কাজ: প্রেক্ষিত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। ১১টি বেসরকারি সংগঠনের প্লাটফর্ম প্রান্তিক মানুষের সংহতি সেমিনারের আয়োজন করে।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, দেশে যত ভিক্ষুক আছে, তাদের মাত্র দুই থেকে তিন শতাংশ প্রয়োজনে ভিক্ষা করে। বাকিরা ব্যবসায়িক কারণে ভিক্ষা করে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের ২৫ লাখ মানুষকে বয়স্ক ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এর আর্থিক পরিমাণ ৮৭০ কোটি টাকা।
মন্ত্রী বলেন, ‘আইলা ও সিডর বিক্রি করে আমরা আর কত দিন খাব? এ ঘটনায় কত বিদেশি ফান্ড এসেছে, কয়টি এনজিও অর্থ পেয়েছে, কী পরিমাণ অর্থ আত্মসাত্ হয়েছে, সেটি কেউ বিবেচনা করছে না।’ বেসরকারি সংগঠনগুলোকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সাংসদ হাসানুল হক ইনু বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্য সম্পূর্ণ দূর করা সম্ভব নয়। এটি কোনো রকমে প্রান্তিক মানুষকে টিকিয়ে রাখে।
সাংসদ ইসরাফিল আলম বলেন, প্রান্তিক মানুষের খাদ্য সমস্যা দূর করতে হলে খাদ্য উত্পাদন, সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণ ব্যবস্থার সমস্যাগুলোকে দূর করতে হবে।
একশনএইডের পরিচালক ফারাহ কবির বলেন, দারিদ্র্য নিরসনের স্থায়ী সমাধান হিসেবে মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে প্রান্তিক মানুষের সংহতির আহ্বায়ক মহসিন আলী বলেন, দেশের প্রায় ৪০শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। ২৫ শতাংশ পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। দেশের পরিবারগুলো খাবার কিনতে তাদের আয়ের ৬২ শতাংশ ব্যয় করে, ৫৮ শতাংশ পরিবার পর্যাপ্ত খাবার পায় না। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে অতিদরিদ্রদের অন্তর্ভুক্ত করার কথা থাকলেও তার যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সিপিডির এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ভিজিডি কর্মসূচির অধীনে প্রকৃত দরিদ্র নয়—এমন ২৭ শতাংশ মানুষ উপকার পেয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে সরকারের তদারকি না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

No comments:

Post a Comment