Thursday, December 30, 2010

পতনের পর এই সরকারের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা হবে

র্তমান সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, এই সরকারের পতন হলে তাদের সময় মানবতাবিরোধী যত অপরাধ ঘটেছে, সেগুলোর বিচার করা হবে।

আজ বুধবার বিকেলে পুরানা পল্টনে ঢাকা মহানগর জামায়াতের কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সমাবেশে এ টি এম আজহার এ কথা বলেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ‘ডিজিটাল কারচুপির নির্বাচন’ আখ্যা দিয়ে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে জামায়াত।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজহার বলেন, ‘সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে যুদ্ধাপরাধের কথা বলে তাদের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করছে।...আওয়ামী লীগ আসলে যুদ্ধাপরাধীদের আতঙ্কে ভুগছে। এই অসুখে আপনারা (আওয়ামী লীগ) শেষ হয়ে যাবেন। এই অসুখের চিকিত্সা কী জানি না।’
স্বাধীনতার এত বছর পর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা আইনসম্মত নয় বলেও দাবি করেন জামায়াতের এই নেতা। তিনি বলেন, ‘৩৯ বছর আগে কারা খুন করেছেন, তার সাক্ষী জোগাড় করে বিচার করা যায় না। যাঁরা বলেন বিচার করা যায়, তাঁরা মিথ্যা কথা বলছেন। যেসব দেশে দীর্ঘদিন পর বিচার করা হয়েছে, সেসব দেশে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হয় সঙ্গে সঙ্গে মামলা করা হয়েছিল, নয় তাঁরা আটক ছিলেন বা বিদেশে পালিয়ে ছিলেন। কিন্তু জামায়াতের নেতাদের ক্ষেত্রে এসবের কোনোটিই খাটে না।...মানবতাবিরোধী অপরাধ শুধু যুদ্ধের সময়ই হয়নি। এই সরকারের আমলেও মানবতাবিরোধী অপরাধ হচ্ছে। এই সরকারের পতন হলে মানবতাবিরোধী যত অপরাধ হয়েছে, সেগুলোর বিচার করা হবে।’
ঢাকা মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির সাংসদ হামিদুর রহমান আযাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। দলের কেন্দ্রীয় প্রচারবিষয়ক সেক্রেটারি তাসনীম আলম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য নূরুল ইসলাম, আবদুল হালিম প্রমুখ এ সময় বক্তব্য দেন।
সাম্প্রতিক সময় এই এলাকায় আয়োজিত সমাবেশগুলোর তুলনায় আজকের সমাবেশটি ছিল একটু অন্য রকম। অন্য সমাবেশগুলোতে জামায়াত ও তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। তারা পুরানা পল্টনে গ্র্যান্ড আযাদ হোটেলের সামনের গলিতে যানচলাচল বন্ধ করে দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। অথচ কার্যালয়ের সামনের জায়গা একদম ফাঁকা ছিল।

No comments:

Post a Comment