Friday, December 17, 2010

অপহৃত নাবিকদের উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি

ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজের অপহৃত নাবিকদের উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে চট্টগ্রামে মানববন্ধন হয়েছে। শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমির সাবেক ক্যাডেটরা এ মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেয়। বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ কর্মসূচিতে সোমালিয়ায় জিম্মি এমভি জাহান মনির ১২ ক্যাডেটের পরিবারের সদস্যরাও অংশ নেয়।


মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মোরশেদ শুভ্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এমভি জাহান মনিতে চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমির সাবেক পাঁচ ক্যাডেট জিম্মি রয়েছেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বুকে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে বাংলাদেশি নাবিকদের উদ্ধারে জাহাজ মালিকের পাশাপাশি সরকারের জোরালো ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।
জিম্মি জাহাজের ইঞ্জিন ক্যাডেট শাহরিয়ার রাব্বীর মা বিলকিস রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "মালিক প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছে সোমালীয় জলদস্যু কর্তৃক মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি স্বীকার করছেন না। তবে জিম্মি নাবিকদের পরিবারদের কাছে ফোন করিয়ে ৯ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ চেয়েছে।"
মালিকপক্ষ মুক্তিপণের বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন কিনা- প্রশ্ন করা হলে বিলকিস বলেন, "তারা কিছু বলতে চাইছেন না।"
ছিনতাই হওয়া জাহাজ মালিক প্রতিষ্ঠান ব্রেভ রয়েল শিপিং ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড বরাবরই তাদের কাছে মুক্তিপণ চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। গত রোববার জাহাজে সর্বপ্রথম যোগাযোগ করে অবস্থানরত সোমালীয় জলদসুুদের সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ হওয়ার বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়।
ব্রেভ রয়েলের মহাব্যবস্থাপক মেহেরুল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "রোববার থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সোমালীয় দস্যুদের সঙ্গে আমাদের তিন দফায় কথা হয়েছে।"
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বিকালে কথা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, "তারা এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো মুক্তিপণ দাবি করেনি।" গত ৫ ডিসেম্বর আরব সাগরে ভারতীয় জলসীমায় ছিনতাই হয় জাহান মনি। জাহাজটিতে প্রধান প্রকৌশলীসহ ২৫ জন নাবিক রয়েছেন। রয়েছেন প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীও।
ছিনতাইয়ের পর জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে ভিড়িয়েছে দস্যুরা।

No comments:

Post a Comment