Wednesday, January 26, 2011

ফাঁসির আসামিকে মুক্তি বিচারক ও জেল সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার

পিল অনুমতির আবেদন (লিভ টু আপিল) চলাকালে ফাঁসির দুই আসামিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট বিচারক ও কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার আপিল বিভাগে এ আবেদনের অনুমতিও নেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর শিশু অর্ণব দাস হত্যা মামলার বাদী নিশান চন্দ্র দাস গতকাল হলফনামা সম্পাদন করে সাতক্ষীরার জেলা ও দায়রা জজ মো. আবুল হোসেন খান এবং সাতক্ষীরার জেল সুপার নুরুন্নবী ভুইয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাতে অনুমতি নেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. একরামুল হক টুটুল ও খোন্দকার দিলারুজ্জমান বাদীর পক্ষে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি এস কে সিনহার কাছে অনুমতি চান। আদালত অনুমতি দেন।
মামলা আপিল বিভাগে থাকা অবস্থায় অর্ণব হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছেড়ে দেওয়ায় বাদী এ আবেদন করতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। আসামিরা হচ্ছে খলিলুর রহমান ও ফারুক হোসেন। গত ৯ জানুয়ারি সাতক্ষীরার দায়রা জজ মো. আবুল হোসেন খান আসামিদের মুক্তির আদেশ দেন। আর কারা কর্তৃপক্ষ গত ১১ জানুয়ারি দুজনকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
জানা গেছে, গত বছর ২৪ আগস্ট হাইকোর্ট আসামিদের আপিল শুনানি শেষে এ মামলার পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন। এরপর হাইকোর্টের রায় স্থগিত করতে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন জানালে আপিল বিভাগ গত বছর ৩১ আগস্ট হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল অনুমতির আবেদন (লিভ টু আপিল) করা হয়।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত করার বিষয়টি সাতক্ষীরার দায়রা জজ আদালত ও সাতক্ষীরার জেলা কারাগারকে জানানোর পরও কারাগারে থাকা ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মুক্তি দেওয়া হয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু কালের কণ্ঠকে বলেন, হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগ স্থগিত করার পর ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মুক্তি দেওয়া যায় না। আর রায় স্থগিতের বিষয়টি জেনেও আসামিদের মুক্তির নির্দেশ আদালত অবমাননার শামিল।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ১৮ জুন সকালে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার সাঁইহাটি গ্রামের বিমল দাসের ছেলে সাঁইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র অর্ণব দাসকে বিদ্যালয় থেকে পাখি দেওয়ার নাম করে ডেকে নেয় খলিষানি গ্রামের আবু দাউদের ছেলে মুকুল গাজী। ২১ জুন সকালে সাঁইহাটি গ্রামের আবদুর রউফ মোড়লের (মেম্বার) বাড়ির পাশে বাঁশবাগানের নালার মধ্যে অর্ণবের লাশ পাওয়া যায়। এক হাত কাটা, দু চোখ উপড়ানো ছিল অর্ণবের।

No comments:

Post a Comment