Tuesday, February 15, 2011

নিঃস্ব লাখো বিনিয়োগকারী

দিন যত গড়াচ্ছে, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পরিমাণ তত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে তাঁদের ক্ষোভের মাত্রা। প্রায় দুই মাস ধরে চলা অব্যাহত দরপতনে এরই মধ্যে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হওয়ার পথে।

এ রকম পরিস্থিতিতে গতকাল সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে আবারও বড় ধরনের দরপতন ঘটে। এতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় ও জেলা শহরে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাঁরা বাজার নিয়ে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ও নীতিনির্ধারকসহ বিভিন্ন মহলের সমন্বয়হীন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। একপর্যায়ে বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় লিপ্ত হন। এ সময় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে থেকে পুলিশ কমপক্ষে ৬১ জন বিনিয়োগকারীকে আটক করে।
এদিকে সরকার ২১টি রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা আপতত কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিএসইর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গতকাল সকালেই সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। পরে দুপুরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর নিজ কার্যালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্র মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার পুঁজিবাজারে ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণার পর দেখা যাচ্ছে কেউ কেউ শেয়ারের দাম কমাচ্ছে, তার প্রমাণও আছে আমাদের কাছে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার এখনই বাজারে ছাড়া হবে না। এ ব্যাপারে ২০ ফেব্রুয়ারির পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ সময় অর্থমন্ত্রী আবারও চলতি সপ্তাহের মধ্যে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ফিরে আসার ইঙ্গিত দেন।
সরকার গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার ছাড়ার দিনক্ষণ বেঁধে দেয়। এরপর প্রথম লেনদেন দিবসে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটে। বিশেষ করে সরকারি কোম্পানিগুলো একেবারে ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে। বাজারে যখন চাহিদা বাড়ানো দরকার, তখন জোগান বাড়ানোর সরকারি উদ্যোগ সময়োচিত হয়নি বলে সমালোচনা করেন বাজার বিশ্লেষকেরা।
আগের দিনের ধারাবাহিকতায় গতকাল ডিএসইতে সাধারণ মূল্যসূচক ৪৭৩ পয়েন্ট বা ৭ দশমিক ৮১ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৫৭৯ পয়েন্টে নেমে আসে। এ নিয়ে গত তিন মাসেরও কম সময়ে সূচক কমেছে তিন হাজার ৩৩০ পয়েন্টের বেশি। সূচক কমার এ হার প্রায় ৪০ শতাংশের মতো। আর এতে বাজার মূলধন কমেছে এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। অবশ্য বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, গ্রামীণফোনের তালিকাভুক্তির সময় কৃত্রিমভাবে বাড়ানো সূচকের অংশটুকু বাদ দিলে বাজারের প্রকৃত সূচক আরও কম হবে।
যোগাযোগ করা হলে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ও এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বিনিয়োগকারীদের আরও যৌক্তিক আচরণ করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই বাজার তার মৌলভিত্তির চেয়ে নিচে নেমে এসেছে। তালিকাভুক্ত অন্তত ৮০ থেকে ১০০টি কোম্পানি রয়েছে, যেগুলোর মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই ১০ থেকে ২০-এর নিচে নেমে গেছে। এ ধরনের শেয়ার যাঁদের হাতে রয়েছে, তাঁদের সেগুলো বিক্রি করা উচিত নয়। এতে সরবরাহ কমে গিয়ে বাজার এমনিতেই ঘুরে দাঁড়াবে।
একই সঙ্গে তিনি বাজারে চাহিদা সৃষ্টির জন্য মিউচুয়াল ফান্ড ও মার্চেন্ট ব্যাংককে আরও সক্রিয় করার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ডিএসই সূত্র জানিয়েছে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বর্তমান বাজারের গড় পিই ১৩ দশমিক ৭৭।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ও ডিএসইর সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন আহমেদ খান বলেন, বাজার এমনিতেই আস্থার সংকটে ভুগছিল। তার ওপর নানা মহলের বক্তব্যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। এ অবস্থায় কেবল প্রণোদনা দিয়ে বাজারে আস্থা ফেরানো যাবে না, এ জন্য উদ্ধার বা বেইল-আউট কর্মসূচি নিতে হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অংগ্রণী ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), সাধারণ বিমা ও জীবন বিমার সমন্বয়ে একটি মিউচুয়াল ফান্ড গঠন করে শেয়ার কেনার কাজে লাগানো যেতে পারে।
বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ: প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্যাপক দরপতনের মধ্য দিয়ে গতকাল ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। আধঘণ্টার মধ্যে সাধারণ মূল্যসূচক ৪৩৬ পয়েন্ট কমে যায়। এ সময় পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে আসেন। তাঁরা অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ডিএসইর সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস থেকে হাজার হাজার বিনিয়োগকারী বেরিয়ে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে অংশ নেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ডিএসইর বিপরীত পাশে অবস্থিত মধুমিতা ভবনের ভেতর থেকে কিছু বিনিয়োগকারী ভবনের কাচ ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় ওই ভবনের সামনের সড়কে ভাঙা কাচের টুকরো পড়তে থাকে। একই সঙ্গে মধুমিতা ভবনসহ বিভিন্ন ভবন থেকে ইট, পানির বোতল ও বড় পানির জার নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় বিনিয়োগকারীরা ডিএসইর মূল ভবন ও সমবায় ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশ বিনিয়োগকারীদের ধাওয়া দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়। মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। অপর দিকে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে বিনিয়োগকারীদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে। এতে ওই এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। দুপুর ১২টায় বিনিয়োগকারীরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং গাড়ির চালক জয়নাল আবেদিনকে মারধর করেন। এ ছাড়া দৈনিক বাংলা মোড়ে আরও অন্তত ২০টি গাড়ি ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।
এ সময় বিনিয়োগকারীরা সেখানে কর্তব্যরত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির ক্যামেরা ভেঙে ফেলেন। তাঁদের আঘাতে আরটিভির ক্যামেরাম্যান মাসুদ, চ্যানেল আইয়ের ক্যামেরাম্যান আবদুর রব এবং মোহনা টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান আবুল কালাম আজাদ আহত হন।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিনিয়োগকারীরা মধুমিতা ভবনের ছয় তলায় আগুন লাগিয়ে দেন। প্রায় ২০ মিনিট পর নিজস্ব অগ্নি নির্বাপণব্যবস্থায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। একই সময় ডিএসইর সামনে ঝুলন্ত তারে আগুন লাগিয়ে দেন বিনিয়োগকারীরা। তবে ডিএসইর নিরাপত্তাকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় ডিএসইর কর্মচারীদের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরাও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। বেলা পৌনে একটার দিকে পুলিশ সড়কের দুই পাশে অবস্থানরত বিনিয়োগকারীদের সরাতে বেধড়ক লাঠিপেটা শুরু করে। একই সঙ্গে শুরু করে গণআটক। পুলিশ ডিএসই ভবনের (৯/ই) নিচতলাসহ বিভিন্ন ভবনে অবস্থিত ব্রোকারেজ হাউসে ঢুকে বেধড়ক লাঠিপেটা শুরু করে এবং সেখান থেকে সাইদুর রহমান, সুমন, মাসুম ও নিপুনা সার্ভিস স্টেশনের সামনে থেকে রাসেল, মোজাম্মেলসহ অন্তত ৩০ জনকে আটক করে। সংঘর্ষ চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অন্তত আটটি টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
পরে বেলা আড়াইটার দিকে মধুমিতা ভবনে অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ২৭ জন আটককে করে পুলিশ। এর আগে ডিএসইর সামনে থেকে আরও চারজনকে আটক করা হয়। এ নিয়ে আটকের সংখ্যা ৬১ জনে দাঁড়ায়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে ৪৫ জনকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে বিনিয়োগকারী ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত যান-চলাচল বন্ধ থাকে। পরে বিকেল পৌনে চারটার দিকে পুলিশ বিনিয়োগকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে যান-চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আমাদের খুলনা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সেখানে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। অব্যাহত দরপতনে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা জুতা মিছিল নিয়ে সড়ক অবরোধের চেষ্টাকালে নগরের ডাকবাংলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নারায়ণগঞ্জে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন। এ সময় তাঁরা অর্থমন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান আ হ ম মুস্তফা কামালের পদত্যাগ দাবি করেন। কুমিল্লায় বিনিয়োগকারীরা ঝাড়ু ও জুতা মিছিল করেছেন। এ সময় বিনিয়োগকারীরা শহরের কান্দিরপাড়ের পূবালী চত্বরে আগুন লাগাতে চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় পিছু হটতে বাধ্য হন। সিলেটের বিনিয়োগকারীরাও দরপতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। তাঁরা নগরে মিছিল ও রাস্তায় গাড়ির টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দরপতনের প্রতিবাদে বন্দরনগর চট্টগ্রামের বিনিয়োগকারীরা আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
সিএসইতে গতকাল সাধারণ মূল্যসূচক এক হাজার ৩০০ পয়েন্ট বা ৭ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ১১২-তে নেমে এসেছে। আর লেনদেন হয়েছে ৮১ কোটি টাকার শেয়ার।
অর্থমন্ত্রীর সংবাদ ব্রিফিং: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তো বলেছিলাম এ সপ্তাহের মধ্যে বাজার স্থিতিশীল হবে। সপ্তাহ তো এখনো শেষ হয়নি।’
রোববার এক সেমিনারে দেশের পুঁজিবাজারকে ক্যাসিনোর (জুয়া খেলা) সঙ্গে তুলনা করেছেন সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, রেহমান সোবহান এটা প্রতীকী অর্থে বলেছেন। আর আমি তো আগেই বলেছি, শেয়ারবাজার কোনো জুয়া খেলার জায়গা নয়। তবে এখানে কেউ কেউ আজ ১০০ টাকা এনে কালই ২০০ টাকা বানাতে চাইছেন। এমন প্রবণতা জুয়া খেলার মতোই মনে হয় তাঁর কাছে।
অর্থমন্ত্রী উল্টো প্রশ্ন করেন, ‘পতনোন্মুখ অবস্থার মধ্যেও বাজারে এক লাখ নতুন বিনিয়োগকারী এসেছেন। তার মানে কী?’
ডিমিউচুয়ালাইজেশন (মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনাকে পৃথক করা) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডিএসইর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। প্রথমে আপত্তি করলেও এখন তারা রাজি। ডিমিউচুয়ালাইজেশন সম্ভব না হলে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের চিন্তার কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের জন্য একটি বাজারই যথেষ্ট।’
ট্রিগার সেলের আতঙ্ক: যেসব বিনিয়োগকারী মার্চেন্ট ব্যাংক ও বা ব্রোকারেজ হাউস থেকে তাঁর মূলধনের বিপরীতে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছিলেন, তাঁদের অনেকেরই মূলধন শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে। এতে ঋণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান তা বিক্রির উদ্যোগ নিচ্ছে। বাজারে এ ধরনের ঋণ সমন্বয়ের জন্য শেয়ার বিক্রির বিষয়টি বাজারে ট্রিগার সেল নামে পরিচিত। বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অনেকে বলেছেন, গতকালের দরপতনের পেছনে অন্যতম কারণ এই ট্রিগার সেল। তাঁরা বলেন, সূচক আরও কমলে ট্রিগার সেলের পরিমাণও বাড়বে। তখন বাজার ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই ট্রিগার সেল বন্ধে তাঁরা সরকারি উদ্যোগের আহ্বান জানান।
বিশেষ ফান্ড অনুমোদন: এসইসি গতকাল ৫০০ কোটি টাকার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড নামের একটি বিশেষ মিউচুয়াল ফান্ড গঠনের জন্য ট্রাস্ট চুক্তি ও নিবন্ধনের অনুমোদন দিয়েছে। সরকারি মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ও বেসরকারি খাতের ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড ফান্ডটির মূল উদ্যোক্তা। এই চারটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে ২০০ কোটি টাকার জোগান দেবে। এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্যোক্তাদের অংশ এখনই বিনিয়োগের শর্তে ফান্ডটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ফান্ডটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকছে বেসরকারি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি রেইস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান ইমাম জানান, আজ মঙ্গলবার ট্রাস্ট চুক্তি ও নিবন্ধন সম্পন্ন হবে। এরপরই তাঁরা উদ্যোক্তাদের অংশ বাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

No comments:

Post a Comment