Sunday, June 17, 2012

ভারি বর্ষণঃ কক্সবাজারে রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতি

গত তিন দিনের টানা ভারি বর্ষণে কক্সবাজার শহরের পাকা, আধা পাকা ও কাঁচা সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কাদা মাটিতে সয়লাব হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি সড়ক।

এছাড়া জলাবদ্ধতায় ডুবে গেছে নিচু এলাকা। ফলে পর্যটন শহর কক্সবারের মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিনের ভারি বর্ষণে কঙ্বাজার শহরের বৌদ্ধ মন্দির সড়ক, গোলদীঘির পাড়, প্রধান সড়কের বাজারঘাটা, আলিরজাহাল, হাসপাতাল সড়ক, ঘোনারপাড়া, বৈদ্যঘোনা, পাহাড়তলী, হোটেল-মোটেল জোন এলাকা, পেশকারপাড়া, ফুলবাগ এলাকা, টেকপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে এসব এলাকায় পাহাড়ি ঢলে জলাবদ্ধতারও সৃষ্টি হয়। ফলে মানুষের চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে এসব এলাকায়।
শহরের পেশকারপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, 'আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টিতেই পাহাড়ি মাটি ও ঢলে পুরো এলাকা ডুবে গেছে। শুক্রবারের ভোর রাতের বৃষ্টিতে হু হু করে বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়ে কাদা মাটি ও পানি।' নিচু এলাকার প্রায় সব বাড়িতেই পানি ঢুকে পড়েছে বলে তিনি জানান।
শহরের বৌদ্ধ মন্দির এলাকার রনজিত বড়ুয়া জানান, বর্ষা মওসুমে এমনিতে এই সড়কে হাঁটু পরিমাণ পানি থাকে। এর ওপর গত তিন দিনের ভারি বর্ষণের সময় সড়কে কোমর পরিমাণ ও সড়ক সংলগ্ন বাসাবাড়িতে হাঁটু পরিমাণ পানি ঢুকে পড়ে।' ওই সড়কে নালা ছোট হওয়ার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'অতিরিক্ত পানি রাস্তার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সড়কে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল এক প্রকার বন্ধ আছে।'
কলাতলী হোটেল-মোটেল জোন এলাকার বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন বলেন, 'পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় ভারী বর্ষণে পুরো এলাকা জলাবদ্ধতায় রূপ নিয়েছে। পাকা, আধা পাকা, কাঁচা রাস্তাগুলো ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।'
এসব বিষয়ে কঙ্বাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র রাজবিহারী দাশ বলেন, 'বর্ষা মওসুমকে সামনে রেখে ময়লা-আর্বজনা নালায় না ফেলা ও পাহাড়ের মাটি না কাটতে পৌরবাসীকে সর্তক করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। পৌর নাগরিকদের অসচেতনতার কারণে তারা নালা ভরাট করে ফেলে। যার কারণে বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতায় রাস্তা ও বসতবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়।' তিনি জানান, বিজ্ঞপ্তি জারির পরও যদি কেউ নালা ভরাট করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া ভারি বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা দ্রুত সংস্কার করা হবে।

No comments:

Post a Comment