পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবু তাহেরের বিরুদ্ধে হুমকি-ধমকি ও পেশি শক্তি ব্যবহারের পৃথক অভিযোগ করেছে বিএনপি প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। এ পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তাই নির্বাচনের সাত দিন আগেই এখানে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন এসব প্রার্থী।
শনিবার দুপুরে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসানুজ্জামান চৌধুরী মিন্টু তাঁর বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, 'আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু তাহেরের বড় ছেলে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি বিপ্লব ও তাদের সমর্থক ক্যাডার বাহিনীর সদস্য মারজুসহ অনেকে নামে-বেনামে মোবাইল ফোনে গত কয়েক দিন থেকে তাঁর নির্বাচনী নেতা-কর্মীদের হুমকি-ধমকি প্রদান করছে। মোবাইল ফোনে তারা আবু তাহেরের নির্বাচন না করে অন্য কোনো প্রার্থীর নির্বাচন করলে পরিণতি খারাপ হবে বলে শাসাচ্ছে। এ পর্যন্ত বিএনপি নেতা শাহাজাহান মেম্বার, আবিদ মিয়া, করিম, যুবদল নেতা জুয়েল, ছাত্রদল নেতা হারুনসহ অনেককে মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া তিনি নিজে পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে আওয়ামী লীগ ক্যাডার ইসমাইল, আজিজ, জয়নালের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তাঁকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি-ধমকি প্রদান করে। হুমকিদাতারা কাউকে কাউকে এলাকাছাড়া করার হুমকি দেয় বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। তা ছাড়া নির্বাচনী লিফলেটে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের কথা লিখে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় তিনি আরো বলেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ হলে জনগণের ভোটে তিনি নির্বাচিত হবেন। কিন্তু হুমকি-ধমকি দিয়ে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে জয় ছিনিয়ে নিতে আওয়ামীলীগ প্রার্থী আবু তাহের ও তার ক্যাডার বাহিনী এখন সক্রিয়।' এ পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লক্ষ্মীপুরের সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, 'বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে আবু তাহের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেননি। সবাইকে এলাকা ছাড়া করে তিনি চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। এরপর সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হত্যা, লুণ্ঠনসহ বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুরকে অশান্ত জনপদে পরিণত করেছেন। এখন আবার সে পথেই এগোচ্ছেন তিনি।' নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করে সাধারণ ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে সাত দিন আগেই সেনা মোতায়েনের দাবি জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাশেম, হারুনুর রশিদ বেপারীসহ সভাপতি ছায়েদুর রহমান ছুট্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মানিক প্রমুখ।
এদিকে একই সময় লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আ ন ম ফজলুল করিম পৃথক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু তাহেরের বিরুদ্ধে তাঁর নির্বাচনী কর্মীদের হুমকি-ধমকি প্রদানের পৃথক অভিযোগ করেন। নির্বাচনে আবু তাহের ও তাঁর ক্যাডার বাহিনীর প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনে তিনিও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লক্ষ্মীপুরের সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, 'বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে আবু তাহের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেননি। সবাইকে এলাকা ছাড়া করে তিনি চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। এরপর সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হত্যা, লুণ্ঠনসহ বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুরকে অশান্ত জনপদে পরিণত করেছেন। এখন আবার সে পথেই এগোচ্ছেন তিনি।' নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করে সাধারণ ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে সাত দিন আগেই সেনা মোতায়েনের দাবি জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাশেম, হারুনুর রশিদ বেপারীসহ সভাপতি ছায়েদুর রহমান ছুট্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মানিক প্রমুখ।
এদিকে একই সময় লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আ ন ম ফজলুল করিম পৃথক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু তাহেরের বিরুদ্ধে তাঁর নির্বাচনী কর্মীদের হুমকি-ধমকি প্রদানের পৃথক অভিযোগ করেন। নির্বাচনে আবু তাহের ও তাঁর ক্যাডার বাহিনীর প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনে তিনিও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
No comments:
Post a Comment