Monday, January 10, 2011

শেয়ারবাজারে ধস বিক্ষোভে উত্তাল বিনিয়োগকারীরা

শেয়ারবাজারে স্মরণকালের দরপতন দেখলেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। গতকাল রবিবার দুই স্টক এক্সচেঞ্জে চোখের সামনে মিনিটে মিনিটে শেয়ারের দাম কমার দৃশ্য দেখে তাঁরা হয়ে পড়েন হতবিহ্বল, ক্ষুব্ধ। ফলে ঢাকার বাইরে বড় শহরগুলোতে রাস্তায় নেমে আসেন বহু বিনিয়োগকারী।

কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাজশাহীতে ১০টি ব্রোকারেজ হাউসের শাখায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সিলেটে অসংখ্য বিনিয়োগকারী লেনদেন বন্ধ রাখেন। তাঁরা সমাবেশে ঘোষণা দিয়েছেন, এমনটি আজ সোমবারও চলতে থাকলে তাঁরা লেনদেন একেবারেই বর্জন করবেন।
গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক দিনেই শেয়ারের সাধারণ মূল্যসূচক কমেছে প্রায় ৬০০ পয়েন্ট বা পৌনে ৮ শতাংশ। এটি এখন পর্যন্ত শেয়ারবাজারের ইতিহাসে এক দিনে সূচকের সর্বোচ্চ পতন। এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর এক দিনে ডিএসইর সাধারণ সূচক ৫৫২ পয়েন্ট বা ৭ শতাংশ কমেছিল।
শেয়ারবাজারের গত কয়েক দিনের দরপতনের ঘটনাকে ’৯৬ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সময়কার পতনের চেয়ে ভয়াবহ উল্লেখ করেছেন অনেকে। ওই সময় সাত-আট মাসে ডিএসইর সূচক ৩ হাজার ৬০০ পয়েন্ট থেকে কমতে কমতে একপর্যায়ে ৪৬২ পয়েন্টে নেমে আসে। অবশ্য ১৯৯৬ সালের তুলনায় এখন বাজার অনেক বেশি বিস্তৃত। তালিকাভুক্ত কম্পানি ও বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও এখন বাজারে ’৯৬-এর তুলনায় অনেক বেশি। সূচকের গণনাও ’৯৬ সালের মতো না।
এদিকে, গত ৩ জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিক দরপতনের শুরু। সেই থেকে গতকাল পর্যন্ত পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর সাধারণ সূচক কমেছে ১১৬৯ পয়েন্ট। ৩ জানুয়ারি লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর সূচক ছিল প্রায় ৮৩০৪ পয়েন্টে। গতকাল লেনদেন শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭১৩৫ পয়েন্টে।
গতকালের দরপতনের ভয়াবহতা এতটাই ব্যাপক ছিল যে ঢাকার বাজারে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে তিনটি বাদে সবকটিরই দাম কমেছে। সকালের পর অনেক শেয়ারের কোনো ক্রেতাই ছিল না। বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতাশূন্যতায় ওই সব কম্পানির শেয়ার লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে ধারাবাহিক দরপতনকে ঘিরে গত সপ্তাহের শেষ দুই দিন রাজধানীর মতিঝিলে বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক বিক্ষোভ করলেও গতকাল তেমন হয়নি। সকাল থেকেই ডিএসই ভবনের সামনের সড়কে পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সদস্য অবস্থান নেয়। বেশ কয়েকদফা বিনিয়োগকারীরা দরপতনের প্রতিবাদে ডিএসইর ভবনের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে কিছু বিনিয়োগকারী ডিএসই ভবনের সামনের সড়কে শুয়ে পড়েন। কিন্তু পাঁচ মিনিটের মধ্যে পুলিশ তাঁদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন। এ সময় পুলিশ মামুন নামের এক বিনিয়োগকারীকে আটক করে। বিক্ষোভ না হলেও মতিঝিল পাড়ার অবস্থা ছিল কিছুটা থমথমে।
পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের মধ্যেই ছিল দরপতনের আশঙ্কা। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) মধ্যেও ছিল উদ্বেগ। এ কারণে গতকাল লেনদেন শুরুর আগেই সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় জরুরি বৈঠকে বসে এসইসি। সেই বৈঠকে পতন ঠেকাতে তিনটি সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার নিজেই সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য দেন। বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান তিনি। কিন্তু সেই আহ্বানও বেশ কিছুদিন ধরে আস্থার সংকটে ভুগতে থাকা বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে পারেনি। ফলে এর প্রভাব পড়তে থাকে বাজারে। কমতে থাকে শেয়ারের দাম। সেই সঙ্গে মূল্যসূচকও। চার ঘণ্টার লেনদেনকালীন মাঝেমধ্যে সূচকের পতনের ব্যবধান কমানোর দৃশ্য দেখা গেলেও সেটি ছিল সাময়িক। দিনের শেষভাগে সূচকের ভয়াবহ পতন ঘটতে থাকে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : শেয়ারবাজারের ধারাবাহিক এই পতন সরকারের মধ্যেও তোলপাড় সৃষ্টি করে। এ কারণে গতকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নিজেই পতন রোধে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অর্থমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন। বৈঠক সূত্র প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ব্যাংক ঋণের টাকা অবাধে যাতে পুঁজিবাজারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ খাতে চলে যেতে না পারে সেজন্য ব্যাংক ঋণের খাত নির্দিষ্ট করে দেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি এও বলেছেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এক শ্রেণীর মানুষ অধিক লাভের আশায় তা পুঁজিবাজারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ করে লোকসানের মুখে পড়ছেন। তাই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই এর খাত নির্দিষ্ট করে দেওয়া উচিত। বৈঠক সূত্রে এসব খবর জানা গেছে।
মুদ্রাবাজারে সৃষ্ট তারল্য সংকটের কারণে শেয়ারবাজারে দরপতন দেখা দিয়েছে-এমন বক্তব্য খণ্ডনের জন্য গতকাল বিকেলেই তারল্য পরিস্থিতি তুলে ধরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাজারচিত্র : গতকাল লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ছিল ৭৭৩৫ পয়েন্টে। ওখান থেকেই শুরু হয় গতকালের লেনদেন। লেনদেন শুরুর প্রথম ১০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৬৮ পয়েন্ট বেড়ে ৭৩০৮ পয়েন্টে ওঠে। এরপর শুরু হয় দরপতন। শেয়ারের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মিনিটে মিনিটে কমতে থাকে ডিএসইর সাধারণ সূচকও। দিনের একপর্যায়ে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬৭৬ পয়েন্ট কমে সর্বনিু ৭৫৯ পয়েন্টে নেমে আসে। তবে দিনশেষে সূচক কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়ে ৭১৩৫ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে গতকাল মোট ২৪৪ কম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। তার মধ্যে মাত্র তিনটি বাদে সবটির দাম কমেছে।
ইতিহাসের এই ভয়াবহ দরপতনের দিনে কিছুটা শুভ ইঙ্গিত ছিল লেনদেনে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মাত্র ৯৭০ কোটি টাকা। এটি ছিল গত আট মাসের মধ্যে সর্বনিু লেনদেন। গতকাল সেটি বেশ খানিকটা বেড়েছে। রবিবার দিনশেষে ঢাকার বাজারে এক হাজার ৩৩১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। আগের দিনের চেয়ে যা ৩৬১ কোটি টাকা বেশি। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শঙ্কিত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় লেনদেনও কিছুটা বেড়েছে। একদল ভয়ে শেয়ার বিক্রি করেছেন আর একদল কিনেছেন। লেনদেন বাড়াকে বাজারসংশ্লিষ্টরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
এসইসির তিন সিদ্ধান্ত : সকাল সাড়ে ৯টায় দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি ও মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এসইসি। বৈঠক থেকে নেতাদের কয়েকটি সুপারিশ গ্রহণ করে এসইসি। এই সুপারিশ অনুযায়ী ১০ কোটি টাকার ওপরের বিও হিসাবধারীদের বিনিয়োগে মার্জিন ঋণসুবিধা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে ১০ কোটি টাকার ওপরের বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ক্রয়ে ঋণসুুবিধা পাবেন। একই সঙ্গে নতুন বিও হিসাবধারীদের জন্য হিসাব খোলার প্রথম ৩০ কার্যদিবস পর্যন্ত ঋণসুবিধা বন্ধের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ১৫ দিন করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে নতুন বিনিয়োগকারীরা ১৫ দিনের মধ্যে ঋণসুবিধা পাবেন। এ ছাড়া গ্রামীণফোনের শেয়ার ক্রয়ে আর্থিক সমন্বয় সুবিধা (নেটিং সুবিধা) দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে যেকোনো শেয়ার বিক্রি করে গ্রামীণফোনের শেয়ার কিনতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। আগে গ্রামীণফোনের শেয়ার বিক্রি করে অন্য শেয়ার কেনার সুযোগ ছিল। কিন্তু অন্য কম্পানির শেয়ার বিক্রি করে গ্রামীণফোনের শেয়ার কেনার সুযোগ ছিল না।
সাংবাদিক আটক : বেলা সোয়া ২টার দিকে দায়িত্ব পালনরত র‌্যাবের একটি টিম ডিএসই ভবনের দ্বিতীয়তলায় সাবেক সভাপতি আবদুল হকের রুম থেকে প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিবেদক মঞ্জুর আহমেদকে আটক করে। এ ঘটনায় উপস্থিত বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা রাস্তায় বসে পড়েন। এর আধা ঘণ্টা পর র‌্যাব তাঁকে ছেড়ে দেয়। মঞ্জুর আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, তিনি ওই সময় বাথরুম থেকে বেরিয়ে শোরগোল দেখার জন্য নিচে উঁকি মারেন। এর অল্প সময় পর নিচ থেকে র‌্যাব এসে তাঁকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গাড়িতে আটকে রাখে।
চট্টগ্রাম : গত বছরের ১৯ ডিসেম্বরকে ধরা হতো ’৯৬ পরবর্তী শেয়ারবাজারের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়কর দিন। কিন্তু গতকালের চট্টগ্রাম পুঁজিবাজারে লেনদেন সে বিপর্যয়কেও ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এক দিনেই সার্বিক সূচকের পতন ঘটেছে ১৩৯৫ পয়েন্ট। আর দরপতনের তালিকায় ছিল লেনদেন হওয়া শেয়ারের প্রায় ৯৯ শতাংশ। কিন্তু এর মধ্যেও বেড়েছে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ। আতঙ্কের কারণে বিক্রির চাপ বাড়ায় এমনটি হয়েছে বলে মনে করছেন শেয়ারবিশেষজ্ঞরা।
সিএসইতে গতকাল ১৯০টি কম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র তিনটি কম্পানির। চট্টগ্রাম পুঁজিবাজারে গতকাল প্রায় ১৫৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের লেনদেনের চেয়ে ৬০ কোটি টাকা বেশি। এদিন শেয়ার লেনদেন হয়েছে এক কোটি সাড়ে ২৬ লাখ। বৃহস্পতিবারের চেয়েও প্রায় ৪৪ লাখ বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে গতকাল। শেয়ারবিপর্যয়ের দিনে লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়াকে অশনি সংকেত হিসেবে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
গত ১৯ ডিসেম্বর সিএসইতে সার্বিক সূচক ১৩৮৩ পয়েন্ট কমেছিল। গতকাল সেটাকে ছাড়িয়ে সূচক পড়েছে ১৩৯৫ পয়েন্ট। বিশ্লেষকদের মতে ১৯৯৬ সালের মহাবিপর্যয়েও এক দিনে সূচকের এত পতন হয়নি।
আর পতনের তালিকায় ছিল বাকি ১৮৭টি শেয়ার। সাধারণ সূচক ১৪৫৪ পয়েন্ট কমে গতকাল ১৩২৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজার মূলধনও এক দিনে ১৮ হাজার কোটি টাকা কমে গতকাল দুই লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
সিএসইতে গতকাল দাম বাড়ার তালিকায় থাকা ভাগ্যবান শেয়ার তিনটি হলো-বার্জার পেইন্ট, গ্রামীণফোন ও এসিআই জিরো কুপন বন্ড।
রাজশাহী : দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীরা নগরীতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে। নগরীর সাহেববাজার আইসিবির (ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ) কার্যালয়ের সামনে থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। অব্যাহত দরপতনের জন্য এসইসি চেয়ারম্যানকে দায়ী করে তাঁর পদত্যাগ চাওয়া হয় বিক্ষোভ-সমাবেশে। পরে বিনিয়োগকারীরা আইসিবিসহ শহরের ১০টি ব্রোকারেজ হাউসে তালা ঝুলিয়ে দেন। ফলে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়।
সিলেট : দরপতনের প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে সিলেটের অসংখ্য বিনিয়োগকারী রাজপথে নেমে আসেন। করেন প্রতিবাদ সভা। সভায় ঘোষণা দেওয়া হয় বাজার স্থিতিশীল না হলে আজ সোমবার থেকে সিলেটের ব্রোকার হাউসগুলোতে কেউ লেনদেন করবেন না। এর আগে বিভিন্ন ব্রোকার হাউসগুলোতে গিয়ে অনেক বিনিয়োগকারী লেনদেন বন্ধ করার আহ্বান জানালে অন্যরা সম্মত হন। এরপর দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা সব ব্রোকার হাউসে লেনদেন বন্ধ থাকে।
বগুড়া : শেয়ারবাজারে অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে বগুড়ার বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও সড়ক অবেরোধ করেন। বিনিয়োগকারীরা অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং এসইসি ও ডিএসই প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
খুলনা : দরপতনে বিক্ষুব্ধ হয়ে বিনিয়োগকারীরা নগরীর শিল্প ব্যাংকের সামনে জমায়েত হয়ে সব রকম যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন।

No comments:

Post a Comment