Monday, January 10, 2011

বিনিয়োগকারীদেরকে অর্থমন্ত্রীঃ ধৈর্য ধরুন সরকার সঙ্গে আছে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, ‘আপনারা ঠকবেন না। সরকার আপনাদের সঙ্গে আছে। তবে ধৈর্য ধরতে হবে।’

গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় মিন্টো রোডে নিজের সরকারি বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। গতকাল শেয়ারবাজারের ভয়াবহ দরপতনকে কেন্দ্র করে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মূলত বাজারকে ঘিরে সরকারের অবস্থান তুলে ধরতেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। এর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেয়ারবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অর্থমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, ব্যাংকিং বিভাগের সচিব শফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী। এ ছাড়া সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী জানান, ইউনি পেসহ কয়েকটি হায় হায় কম্পানি শেয়ারবাজার থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। তারা চট্টগ্রামের শেয়ারবাজারে ঢুকে মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। ইউনি পেসহ এসব কম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব কম্পানিকে দেশছাড়া করতে আইন করার চিন্তা করছে সরকার। যুবকের মতো ভাগ্য বরণ করতে হবে ইউনি পে-কে।
বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, যাঁরা শেয়ারবাজারে আসছেন, তাঁদের হিসাব করতে হবে কত বছরে তাঁরা বিনিয়োগ ফিরে পেতে চান। শেয়ারের মূল্য আয়ের অনুপাত (পিই রেশিও) হিসাব করতে হবে।
শেয়ারবাজারকে বিস্তৃত করার সরকারের পরিকল্পনার কথাও বলেন মন্ত্রী। তিনি জানান, বাজারে আরো শেয়ার আসবে। সরকারি কম্পানির শেয়ার বাজারে আসতে একটু দেরি হচ্ছে। কিন্তু সেগুলোকে (সরকারি কম্পানি) বাজারে আসতেই হবে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই শেয়ারবাজার ঘিরে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়-এমন এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের কথা ভাবে। কেউ কেউ হয়তো সেই সুযোগ নেয়।
বাজারে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঘন ঘন হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, উঠতি শেয়ারবাজারে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে নানা সময় নানা কারণে হস্তক্ষেপ করতে হয়। যত দিন ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন (পরিচালনা পর্ষদ থেকে ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করার প্রক্রিয়া) না হবে তত দিন বাজারে হস্তক্ষেপের প্রয়োজন আছে।
মশিউর রহমান বলেন, ‘শেয়ারবাজারের ব্যাপ্তি অনেক বেড়েছে। বহু লোক এখন বাজারের সঙ্গে যুক্ত। বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার। যাঁরা শেয়ারবাজারে যান তাঁরা ভাবেন, হঠাৎ করে অনেক লাভ হবে। কিন্তু সেটি সম্ভব নয়।’

No comments:

Post a Comment