Wednesday, January 05, 2011

বিমানের লোকসান ৮০ কোটি টাকা

ত বছর জাতীয় পাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৮০ কোটি টাকারও বেশি লোকসান হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে বিমানের চেয়ারম্যান গত বছর সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন যে বিমান মুনাফা করবে।

দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের করা অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমান পরিচালনায় চারটি উড়োজাহাজ ইজারা নিতে ১০২ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করা হয়েছে। তবে প্রতিবেদনটি এখনো জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। মঙ্গলবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে স্বীকার করেন, অডিট প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটির লোকসান ধরা পড়েছে।

বিমানের পরিচালনা পর্ষদ ওই অডিট প্রতিবেদনটি গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি। জাকিউল ইসলাম তার কার্যালয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "হ্যাঁ, আমরা এ বছর ৮০ কোটি টাকারও বেশি লোকসান দিয়েছি।" অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়, ২ হাজার ৯৪৩ কোটি ৬২ লাখ ৪০ হাজার ৯১০ টাকা আয়ের বিপরীতে বিমানের ব্যয়ের পরিমাণ ৩ হাজার ২৩ কোটি ৭৬ লাখ ৩ হাজার ৮২৪ টাকা।

তিনি বলেন, "উড়োজাহাজ ইজারা নিতেই খরচ হয়েছে ১০২ কোটি টাকা। গত দুই বছর যাত্রীদের দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে। কিন্তু আমরা মুনাফা করেছি। "গত দুই বছর মূলত আমাদের উড়োজাহাজ দিয়ে ব্যবসা চালিয়েছি। তাই বিমানকে অনেক ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। যার দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। কিন্তু বিমান ঠিকই মুনাফা করেছে।"

২০০৯ সালে বিমান ১৫ কোটি টাকা মুনাফা করে। ২০০৮ সালে এর মুনাফার পরিমাণ ছিল ৫ কোটি টাকা। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এই লোকসানের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে স্বায়ত্বশাসিত বিমান র্কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, "এর আগে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অনেক সংবাদে বিমান লাভজনক প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে জানানো হয়।"

এতে আরো বলা হয়, বিমানের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় পতাকাবাহী এই প্রতিষ্ঠানটির কাছে সরকারের বিভিন্ন পাওনা ইক্যুইটিতে রূপান্তরিত করা হয় এবং মূল ঋণ ও সুদ পরিশোধের দায় থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পাওনা ১ হাজার ১৯৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পাওনা ৫৩৭ কোটি ৭০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা রয়েছে।

"অন্যথায় লোকসানের পরিমাণ আরো বেশি হতো" বলা হয় ওই চিঠিতে। বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ সম্পর্কে বলেন, "আমরা মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছি এবং এর জবাব পাঠাবো।" গত বছর বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল জামাল উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন যে ২০১০ সালে বিমান মুনাফা করবে। এ বিষয়ে জাকিউল ইসলাম বলেন, "আমরা এমনটাই প্রত্যাশা করেছিলাম।"

No comments:

Post a Comment