Friday, February 11, 2011

বিচিত্রতার আনন্দ by শাশ্বতী মজুমদার

বাংলাদেশের প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থায় চারুকলার ছাত্রছাত্রীদের ভিন্ন দেশের শিল্প সম্পর্কে জানার সুযোগ কম। এ কারণে গত বছর মার্চ ২০১০ থেকে স্লেড স্কুল অব ফাইন আর্ট, ইউসিএল লন্ডন ও চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকার মধ্যে তিন বছরমেয়াদি একটি শিক্ষা বিনিময় কর্মসূচির সূচনা হয়।

এ কর্মসূচির প্রধান বিষয় শিল্পকলার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাসূচি সংক্রান্ত আদান-প্রদান ও ভৌগোলিকভাবে দুই অবস্থান থেকে নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিবেশে গড়ে ওঠা শিল্প শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ স্থাপন। এই শিক্ষা বিনিময় কার্যক্রম ব্রিটিশ কাউন্সিলের ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রাটেজি পার্টনারশিপস ইন রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন (আইএনএসপিআইআরই) প্রকল্পের সাহচর্যে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ থেকে স্লেড প্রফেসর ও বিশ্বখ্যাত ভাস্কর জন এইকেনের পরিচালনায় ‘সেপিং দ্য স্পেস বিটুইন’ শিরোনামে পাঁচ দিনের একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় চারুকলা অনুষদের সাতটি বিভাগের ১২ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে এবং ১৪ জন শিক্ষক পর্যবেক্ষক হিসেবে যুক্ত থাকেন, কর্মশালার সৃষ্ট শিল্পকর্মের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি।
চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের তৃতীয় তলায় এই প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। অনুষ্ঠানে সচিত্র উপস্থাপনার মাধ্যমে শিল্পকর্মের প্রদর্শনী ও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীকে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
কর্মশালায় জন এইকেন মূলত শিক্ষার্থীদের ড্রইং কম্পোজিশন, বস্তুর আকার ও পরিপ্রেক্ষিতের ওপর ধারণা দেন। ভাস্কর্য যে স্থানে বসবে, সেই স্পেসের ব্যবহার ও সে অনুযায়ী ফর্ম তৈরির বিষয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেন। প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীরা মূলত একটি গোলাকার স্পেসকে ব্যবহার করে চার কোণের বেশি ফর্ম তৈরি করেন। ফর্ম তৈরিতে তারা কাঠ, কার্ডবোর্ড ও কাগজ ব্যবহার করেন। রঙের ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা ছিলেন স্বাধীন।
এ শিক্ষা বিনিময় কর্মসূচির লিড পার্টনার হিসেবে ভাস্কর্য বিভাগের লালা রুখ সেলিম দায়িত্ব পালন করছেন।

No comments:

Post a Comment