Sunday, May 15, 2011

ন্যাটোর বোমা আমার নাগাল পাবে নাঃ মুয়াম্মার গাদ্দাফি

লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি বলেছেন, তিনি এখন এমন অবস্থানে রয়েছেন, ন্যাটোর বোমা তাঁর নাগাল পাবে না। গত শুক্রবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক অডিওবার্তায় তিনি এ কথা বলেন। এর আগে ইতালি দাবি করে, গাদ্দাফি আহত হয়েছেন এবং দৌড়ের ওপর রয়েছেন। লিবিয়া সরকার তাদের এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
গাদ্দাফি বলেন, ‘প্রতিপক্ষ কাপুরুষদের জানাতে চাই, আমি এমন এক স্থানে আছি, যেখানে পৌঁছানো বা আমাকে হত্যা করা সম্ভব না। আমি আছি লাখো মানুষের অন্তরে।’ তিনি বলেন, ন্যাটো জোট বৃহস্পতিবার ত্রিপোলিতে তাঁর বাব আল-আজিজিয়া কম্পাউন্ডে বিমান হামলা চালায়। এতে ‘তিনজন নির্দোষ সাংবাদিক’ নিহত হন।
লিবীয় সরকার অভিযোগ করেছে, দেশটির তেলসমৃদ্ধ নগর ব্রেগায় ন্যাটো জোটের ওই বিমান হামলায় বেসামরিক লোকজন মারা গেছে। তবে এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ন্যাটো জোট।
ইতালি-ভিত্তিক বার্তা সংস্থা এএনএসএ জানায়, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্কো ফ্রাত্তিনি বলেছেন, বৃহস্পতিবার চালানো ওই বিমান হামলায় সম্ভবত গাদ্দাফি আহত হয়েছেন এবং তিনি ত্রিপোলি ছেড়ে পালিয়েছেন। এ ব্যাপারে ত্রিপোলির বিশপ বলেন, ‘গাদ্দাফি সম্ভবত আহত’ হয়েছেন। কিন্তু ইতালির কাছে গাদ্দাফির অবস্থান ও তাঁর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য’ নেই।
ফ্রাত্তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক চাপের মুখে কোনো নিরাপদ স্থানে আশ্রয় খুঁজতে পারেন গাদ্দাফি।’
আল-আরাবিয়া টেলিভিশন জানায়, পশ্চিমাদের এসব প্রতিবেদনের পরপরই লিবীয় সরকারের মুখপাত্র মুসা ইব্রাহিম পশ্চিমাদের দাবি নাকচ করে বলেন, গাদ্দাফি আহত হননি। লিবিয়ার জনগণের মনোবল দুর্বল করার উদ্দেশে পশ্চিমারা গাদ্দাফি আহত হওয়ার খবর ছড়িয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিমান হামলায় বেসামরিক লোকজন নিহত হওয়ার খবরের জবাবে ন্যাটো জোট গতকাল ব্রাসেলসে এক বিবৃতিতে বলেছে, বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্য করে নয়, ত্রিপোলি থেকে ৭৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি সামরিক নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে এই হামলা চালানো হয়।
দুই সপ্তাহ আগে ন্যাটো জোটের এক বিমান হামলায় গাদ্দাফির ছোট ছেলে সাইফ আল-আরব গাদ্দাফি ও তিন নাতি-নাতনি নিহত হওয়ার পর ওই হামলায় লিবীয় নেতা গাদ্দাফিও মারা গেছেন বলে গুজব ছড়ায়। কিন্তু গত বুধবার টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, লিবীয় নেতা কয়েকজন উপজাতীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করছেন।
লিবিয়ার সরকারি টেলিভিশনে বলা হয়েছে, ব্রেগা নগরে ন্যাটো বিমান হামলায় অন্তত ১৬ জন মারা গেছে। তবে তা এখনো গাদ্দাফি-সমর্থিত বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানকার একটি অতিথিশালাকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে চ্যানেলটি দাবি করেছে।

No comments:

Post a Comment