Sunday, May 15, 2011

ওবামাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন ওসামা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তাদের হত্যা করতে চেয়েছিলেন আল-কায়েদার শীর্ষনেতা ওসামা বিন লাদেন। ২০১২ সালে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বানচাল করার জন্যই তিনি ওবামাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডার ব্লুমবার্গ টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
ওসামাকে হত্যার পর তাঁর কম্পিউটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। সেগুলো থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে এসব বিষয় জানা যায় বলে উল্লেখ করেন এরিক হোল্ডার। তিনি জানান, ওসামার কম্পিউটারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এখনো পর্যালোচনা করে দেখছেন। জব্দ করা সরঞ্জামসহ বিভিন্ন নথি সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পেতে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পর্যালোচনা করা হতে পারে। এরিক হোল্ডার জানান, নাইন-ইলেভেনের দশম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে হামলা চালানোরও পরিকল্পনা ছিল ওসামার।
হোল্ডার বলেন, একজন ব্যক্তিকে নিয়ে তিনি এখনো উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। সেই ব্যক্তি হলেন আল-কায়েদার অন্যতম নেতা আনোয়ার আল আওলাকি। ২০০৯ সালে ডেট্রয়েটগামী একটি বিমানে নাইজেরিয়ার একজন নাগরিকের হামলা চালানোর চেষ্টার সঙ্গে আওলাকির সম্পৃক্ততা রয়েছে। ওই হামলার চেষ্টারও মূল হোতা ছিলেন ওসামা বিন লাদেন। কমান্ডোদের জব্দ করা নথি থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, এটা একেবারেই স্পষ্ট যে, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওসামা আল-কায়েদা পরিচালনা করছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদের নিষ্ঠুর কৌশল ব্যবহার করেই ওসামার অবস্থান সম্পর্কে জানা গেছে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে হোল্ডার বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার কাছে স্পষ্ট নয়।’ তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় সিআইএর কর্মকর্তারা কোনো ভুল করেছেন কি না, তার তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে অনেক অগ্রগতিও হয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ওই তদন্ত শেষ হতে পারে।
ওসামার কম্পিউটারে পর্নোগ্রাফি?: মার্কিন কমান্ডোদের জব্দ করা ওসামার কম্পিউটারে পর্নোগ্রাফির ভিডিওচিত্র ছিল। গতকাল শনিবার মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করে মার্কিন এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, ওসামা বা ওই বাড়িতে থাকা অন্য লোকজন পর্নো ভিডিওচিত্র সংগ্রহ করেছেন বা দেখেছেন, এমন কোনো প্রমাণ আছে কি না, তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান ওই মার্কিন কর্মকর্তা।
গত ২ মে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের অদূরে অ্যাবোটাবাদের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওসামাকে হত্যা করে মার্কিন কমান্ডোরা।

No comments:

Post a Comment