Thursday, June 28, 2012

কক্সবাজারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০

কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। বন্যায় পাহাড় ধস, দেয়ালচাপা, বজ্রপাত ও ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে এ পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম।

পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে ডুবে গেছে জেলার ছয়টি উপজেলার ২০ হাজার বসতবাড়ি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ। ঢলের পানির তোড়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁও নাছির ব্রিজ ধসে যাওয়ায় মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে কক্সবাজারের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করতে ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, পাহাড় ধসে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পাতাবাড়িতে একই পরিবারের চারজনসহ সাতজন, রতনা পালং এলাকায় তিনজন, মহেশখালীতে চারজন ও চকরিয়ায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

বসতবাড়ির দেয়ালচাপা পড়ে কক্সবাজার সদরের দুইজন, রামুর কাউয়ারখোপের তিনজন, মহেশখালীতে একজন ও পেকুয়ায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

বজ্রপাতে কক্সবাজার সদরে তিনজন, চকরিয়ায় একজন, পেকুয়ায় একজন ও কুতুবদিয়ায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে রামুতে চারজন ও চকরিয়ায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

জেলা প্রশাসক জয়নুল বারী জানান, দুর্ঘটনাস্থলগুলো খুব দুর্গম এবং বন্যা কবলিত হওয়ায় এখনো উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ৩৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ দিকে পাহাড়ি ঢলে ভেসে গিয়ে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া গ্রাম ও উখিয়ায় ১৮ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে চকরিয়া, রামু ও সদর উপজেলায়। পাহাড়ি ঢলে চকরিয়া পৌর এলাকাসহ ১৫ ইউনিয়নই বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। প্রধান সড়কসহ পৌর এলাকার অনেক দোকান পানিতে ডুবে গেছে। সদর উপজেলার বিসিক শিল্প এলাকাসহ ১০টি ইউনিয়ন বন্যায় ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়েছে। রামু পৌর শহরসহ অনেক এলাকা বন্যায় ডুবে গেছে। এসব এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।

No comments:

Post a Comment