কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। মঙ্গলবার পাহাড়ধসে এক শিশুসহ চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় পাহাড়ে বসবাসরত লোকজনের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করলেও তারা অন্যত্র সরছে না।
এদিকে পাহাড় থেকে সরে গিয়ে নিরাপদ স্থানে (ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে) আশ্রয় নিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে সাড়া মিলছে না। এতে আবারও পাহাড়ধসে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোহামঞ্চদ নাজেম উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার পাহাড়ধসে চারজনের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত লোকজনের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। কিন্তু হতদরিদ্র এসব লোকজনের অন্যত্র জায়গা কিনে ঘর তৈরির সামর্থ্য নেই। এ কারণে পাহাড়ে মৃত্যুঝুঁকি নিয়েও বাস করছে তারা। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে প্রবল বৃষ্টিতে মহেশখালীতে পাহাড়ধসে একই পরিবারের চারজনসহ ছয়জন প্রাণ হারায়।
কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা এলাকার বাসিন্দা আমান উল্লাহ, আবুল কালাম ও রবিউল হাসান বলেন, ‘পাহাড় থেকে সরে অন্যত্র গিয়ে বসতবাড়ি করার মতো কোনো সম্বল আমাদের নেই। এ কারণে জীবনের ঝুঁকি জেনেও সরতে পারছি না।’
কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন, পাহাড়ে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বসবাসরত পরিবারগুলোকে অন্যত্র সরে যেতে বলা হলেও তারা সরছে না। ভারী বৃষ্টি হলে আবারও পাহাড়ধসে বড় রকমের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ টি এম কাউসার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মাইকিং করার পর কিছু লোক ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। তবে অধিকাংশই এ আহ্বানে সাড়া দিচ্ছে না।
No comments:
Post a Comment