Friday, October 05, 2012

রামুর ঘটনাস্থলে বিএনপির তদন্ত কমিটিঃ সহিংস ঘটনার জন্য প্রশাসনের ব্যর্থতাই দায়ী

কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধবিহার ও তাদের বাড়িঘরে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা রোধে প্রশাসন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। প্রশাসন যদি যথাযত দায়িত্ববান হতো তাহলে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যেত- এমনটি মনে করেন বিএনপি গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমপি।

তিনি রামুতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সহিংসতার জন্য তিনি প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজার থেকে রামুর দূরত্ব মাত্র আধঘন্টার পথ। ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় এ সহিংস ঘটনার সূত্রপাত হয়। রাত ১টা বা দেড়টার সময়েও অনেক বৌদ্ধবিহার ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। তখন পর্যন্ত এ জেলা শহর থেকে প্রশাসন কিংবা পুলিশের কোনো কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসেনি বলে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন অভিযোগ করেছেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আরো বলেন, এ সহিংস ঘটনাটি পুর্ব পরিকল্পিত বলে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা অভিযোগ করেছেন। বিএনপি গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা আজ সকাল সাড়ে ৯টায় প্রথমে রামু কেন্দ্রীয় সীমা বৌদ্ধবিহারে যান এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে কথা বলেন। তদন্ত কমিটি দুপুর পর্যন্ত রামুর বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ বৌদ্ধবিহার ও বাড়িঘর পরিদর্শন করেন।

তদন্ত কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মেজর জেনারেল রুহুল আলম (অব.), কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ, গৌতম চক্রবর্তী, অধ্যাপক সুকুমল বড়ুয়া, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের এমপি লুত্ফুর রহমান কাজল, মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সাবেক এমপি আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

No comments:

Post a Comment