চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীতে ব্রিজের রিলিং ভেঙে বাস দুর্ঘটনায় নিহতদের ২ জন ছাড়া ১৬ জনের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে।
নিহতদের বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকার গাজীপুর পাঠানো হয়েছে।সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা এলাকার মাতামুহুরী নদীর ব্রিজের রেলিং ভেঙে গাজীপুর থেকে আসা নিরাপদ পরিবহন চেয়ারকোচাটি (নম্বর জ-১১-০০৮০) প্রায় ৫০ ফুট নিচে পড়ে যায়। গাড়ির যাত্রীরা সবাই চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মইনুদ্দীনের ওরশ মাহফিল শেষে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিলো।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার হয় আরও ২৭ জনকে। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেওয়ার পথে একজন এবং চমেকে আরও একজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মৃত্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে।
চকরিয়ার থানার পরিদর্শক (ওসি) রণজিত কুমার বড়ুয়া বাংলানিউজকে জানান, নিহতদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ, ২ জন নারী এবং ৪ শিশু রয়েছে। ঘটনার পর আহত এবং নানা সূত্র ধরে পরিচয় সনাক্ত করা হলেও এ পরিচয় সত্য বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন, পুলিশ সুপার মো. আজাদ মিয়া ঘটনাস্থলে এসে গাজিপুর প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করেছেন। তাদের সিদ্ধান্ত মতে বিশেষ কফিনে করে লাশগুলো সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গাজীপুরের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। ওখান থেকে লাশ আত্মীয়দের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।
প্রশাসন ও বিভিন্ন সূত্রে সনাক্ত নিহতরা হলেন, গাজিপুরের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আকমল হোসেনের ছেলে লাল মিয়া (৬০), তার ২ স্ত্রী জয়নব বেগম (৫৫), দ্বিতীয় স্ত্রী মুফিজা আক্তার (৪৫), মেয়ে শিউলি আক্তার (১৪), তোয়াজ উদ্দিনের ছেলে আবছার উদ্দিন (৪৬), মোহর আলীর ছেলে আবদুর রশিদ (৪০), হাসেমের ছেলে ইকবাল (৪০), আবদুল আজিজের ছেলে রাজিব (৩০), সাতাই ফলানের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৬৫), তহীদুল (৩৮), অহিজ উদ্দিন (৮০), আবদুল জলিল (৫০), হাসেম ভূঁইয়া (৬৫), আয়েছ আলী (৫৫), আবদুল জলিল (৫৫), নুসরাত জাহান (৭)।
অপর ২ জনের নামপরিচয় জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, হতাহতরা গাজীপুর জেলা থেকে শনিবার চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মইনুদ্দীনের ওরশ মাহফিলে যোগ দেয়। এরপর সোমবার কক্সবাজার যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
No comments:
Post a Comment